গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে একজন ডাক্তার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এটা শুধু একটি নাম নয়, একটি আবেগ। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অনন্য অবদান। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু স্বাস্থ্য খাতের এক যোদ্ধা নন, তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও একজন যোদ্ধা।
তখন তিনি বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ছিলেন। সেই সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গেরিলা ট্রেনিং করেন। সেখানেই ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
এই যোদ্ধা গতকাল রাত সোয়া ১১টায় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই শোক জানাতে থাকে। তিনি যে মানুষের মনে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন, তা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি মানুষের মনে কেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গত রাতের চিত্র দেখলেই কিছুটা পরখ করা যায়। টিভির পর্দায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখছিলাম, সেখানে হাসপাতালের চিত্র দেখাচ্ছিল। অসংখ্য মানুষ কান্না করছে। দেখে মনে হবে, যাঁরা কান্না করছেন তাঁদের বাবা-মা অথবা প্রিয়জন মারা গেছেন। কিন্তু না, যাঁরা কান্না করছেন, তাঁদের কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক, কেউ নার্স, কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী, আবার কেউ এসেছেন তাঁকে দেখতে। তিনি যা করে গেছেন তা ভুলবার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর শোক, স্মৃতিচারণে ভরে গেছে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে বলার মতো আমার স্মৃতি আছে, তা নিয়ে একটু বলি—
সালটা ২০১৮। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্ত। তখন বিএনপিসহ কয়েকটি দল মিলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, আর সেই ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওই সময় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তেমনি একদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলবেন তিনি, আর সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে কথা বলতে এবং তাঁকে প্রশ্ন করতে আমাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে অন-ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম—স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। টকশো থেকে বেরিয়ে আমাকে ডেকে নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর প্যাডে আমার নম্বরটি টুকে নিলেন। বলেছিলেন ফোন দিও।
আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চাই সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব।’
তিনি যে দেশের ভালো চাইতেন, ক্ষমতার মোহ তাঁর মধ্যে কাজ করত না, সেটা তাঁর কর্মকাণ্ডে বারবার ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা মহামারি—সব সময় তিনি অবদান রেখে গেছেন। এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক, ভালোভাবে বাঁচুক—এটাই তাঁর ব্রত ছিল। ভালো কাজে যে যখন ডেকেছে, তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন। শেষ কয়েক মাস তিনি তেমন হাঁটতে পারতেন না, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের ডাকে যেকোনো আন্দোলন, মানববন্ধনে হুইল চেয়ারে সবার আগে থাকতেন। সবার সমস্যায় এগিয়ে যেতেন। সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। আর এ কারণেই তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করত।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় চেয়েছেন দেশে একটি কার্যকর সুলভ স্বাস্থ্যব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের একটি সাশ্রয়ী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এই হাসপাতালেই। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও নিতে রাজি হননি।
যেখানে একটু সামর্থ্যবান, রাজনীতিবিদ বা আমলারা একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। করোনার সময় তাঁর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল। তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা এক বাক্যে নাকচ করে দেন। গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই তাঁর শেষ কথা ছিল।
২০২০ সালে প্রথম আলোয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য ভাবতেন। তাঁর কিডনি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি করেননি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাইরে করাব না। বিদেশে যাব না।’
তাঁর ভাষ্যমতে, তাঁর কিডনিতে প্রথম সমস্যা শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে। এরপর বিদেশি বন্ধুরাও তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন—সেটি স্মরণ করিয়ে দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমাকে হার্ভার্ড বলেছিল, বিনা পয়সায় কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবে। আমি বলেছি, তুমি বাকিদের করবা? খালি আমার তো করবা। আমি বলেছি, আমি আমার দেশে চিকিৎসা করাতে চাই, চিকিৎসা উন্নত করতে চাই। সবাই যেন সুযোগটা পায়।’
এটাই একজন ‘গরিবের ডাক্তার’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে একজন ডাক্তার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এটা শুধু একটি নাম নয়, একটি আবেগ। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অনন্য অবদান। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু স্বাস্থ্য খাতের এক যোদ্ধা নন, তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও একজন যোদ্ধা।
তখন তিনি বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ছিলেন। সেই সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গেরিলা ট্রেনিং করেন। সেখানেই ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
এই যোদ্ধা গতকাল রাত সোয়া ১১টায় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই শোক জানাতে থাকে। তিনি যে মানুষের মনে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন, তা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি মানুষের মনে কেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গত রাতের চিত্র দেখলেই কিছুটা পরখ করা যায়। টিভির পর্দায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখছিলাম, সেখানে হাসপাতালের চিত্র দেখাচ্ছিল। অসংখ্য মানুষ কান্না করছে। দেখে মনে হবে, যাঁরা কান্না করছেন তাঁদের বাবা-মা অথবা প্রিয়জন মারা গেছেন। কিন্তু না, যাঁরা কান্না করছেন, তাঁদের কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক, কেউ নার্স, কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী, আবার কেউ এসেছেন তাঁকে দেখতে। তিনি যা করে গেছেন তা ভুলবার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর শোক, স্মৃতিচারণে ভরে গেছে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে বলার মতো আমার স্মৃতি আছে, তা নিয়ে একটু বলি—
সালটা ২০১৮। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্ত। তখন বিএনপিসহ কয়েকটি দল মিলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, আর সেই ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওই সময় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তেমনি একদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলবেন তিনি, আর সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে কথা বলতে এবং তাঁকে প্রশ্ন করতে আমাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে অন-ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম—স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। টকশো থেকে বেরিয়ে আমাকে ডেকে নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর প্যাডে আমার নম্বরটি টুকে নিলেন। বলেছিলেন ফোন দিও।
আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চাই সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব।’
তিনি যে দেশের ভালো চাইতেন, ক্ষমতার মোহ তাঁর মধ্যে কাজ করত না, সেটা তাঁর কর্মকাণ্ডে বারবার ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা মহামারি—সব সময় তিনি অবদান রেখে গেছেন। এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক, ভালোভাবে বাঁচুক—এটাই তাঁর ব্রত ছিল। ভালো কাজে যে যখন ডেকেছে, তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন। শেষ কয়েক মাস তিনি তেমন হাঁটতে পারতেন না, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের ডাকে যেকোনো আন্দোলন, মানববন্ধনে হুইল চেয়ারে সবার আগে থাকতেন। সবার সমস্যায় এগিয়ে যেতেন। সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। আর এ কারণেই তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করত।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় চেয়েছেন দেশে একটি কার্যকর সুলভ স্বাস্থ্যব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের একটি সাশ্রয়ী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এই হাসপাতালেই। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও নিতে রাজি হননি।
যেখানে একটু সামর্থ্যবান, রাজনীতিবিদ বা আমলারা একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। করোনার সময় তাঁর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল। তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা এক বাক্যে নাকচ করে দেন। গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই তাঁর শেষ কথা ছিল।
২০২০ সালে প্রথম আলোয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য ভাবতেন। তাঁর কিডনি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি করেননি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাইরে করাব না। বিদেশে যাব না।’
তাঁর ভাষ্যমতে, তাঁর কিডনিতে প্রথম সমস্যা শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে। এরপর বিদেশি বন্ধুরাও তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন—সেটি স্মরণ করিয়ে দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমাকে হার্ভার্ড বলেছিল, বিনা পয়সায় কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবে। আমি বলেছি, তুমি বাকিদের করবা? খালি আমার তো করবা। আমি বলেছি, আমি আমার দেশে চিকিৎসা করাতে চাই, চিকিৎসা উন্নত করতে চাই। সবাই যেন সুযোগটা পায়।’
এটাই একজন ‘গরিবের ডাক্তার’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন—এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চায় সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব
১২ এপ্রিল ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন—এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চায় সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব
১২ এপ্রিল ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন—এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চায় সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব
১২ এপ্রিল ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন—এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চায় সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব
১২ এপ্রিল ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে