Ajker Patrika

ঐক্যফ্রন্ট জিতলে কি আপনি রাষ্ট্রপতি হবেন, জবাবে বলেছিলেন মনোবাসনা নেই    

গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ৩৬
ঐক্যফ্রন্ট জিতলে কি আপনি রাষ্ট্রপতি হবেন, জবাবে বলেছিলেন মনোবাসনা নেই    

বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে একজন ডাক্তার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এটা শুধু একটি নাম নয়, একটি আবেগ। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অনন্য অবদান। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু স্বাস্থ্য খাতের এক যোদ্ধা নন, তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও একজন যোদ্ধা।

তখন তিনি বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ছিলেন। সেই সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গেরিলা ট্রেনিং করেন। সেখানেই ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। 

এই যোদ্ধা গতকাল রাত সোয়া ১১টায় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই শোক জানাতে থাকে। তিনি যে মানুষের মনে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন, তা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়। 

তিনি মানুষের মনে কেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গত রাতের চিত্র দেখলেই কিছুটা পরখ করা যায়। টিভির পর্দায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখছিলাম, সেখানে হাসপাতালের চিত্র দেখাচ্ছিল। অসংখ্য মানুষ কান্না করছে। দেখে মনে হবে, যাঁরা কান্না করছেন তাঁদের বাবা-মা অথবা প্রিয়জন মারা গেছেন। কিন্তু না, যাঁরা কান্না করছেন, তাঁদের কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক, কেউ নার্স, কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী, আবার কেউ এসেছেন তাঁকে দেখতে। তিনি যা করে গেছেন তা ভুলবার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর শোক, স্মৃতিচারণে ভরে গেছে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে বলার মতো আমার স্মৃতি আছে, তা নিয়ে একটু বলি—

সালটা ২০১৮। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্ত। তখন বিএনপিসহ কয়েকটি দল মিলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, আর সেই ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

ওই সময় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তেমনি একদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলবেন তিনি, আর সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে কথা বলতে এবং তাঁকে প্রশ্ন করতে আমাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে অন-ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম—স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। টকশো থেকে বেরিয়ে আমাকে ডেকে নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর প্যাডে আমার নম্বরটি টুকে নিলেন। বলেছিলেন ফোন দিও। 

আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চাই সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব।’ 

তিনি যে দেশের ভালো চাইতেন, ক্ষমতার মোহ তাঁর মধ্যে কাজ করত না, সেটা তাঁর কর্মকাণ্ডে বারবার ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা মহামারি—সব সময় তিনি অবদান রেখে গেছেন। এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক, ভালোভাবে বাঁচুক—এটাই তাঁর ব্রত ছিল। ভালো কাজে যে যখন ডেকেছে, তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন। শেষ কয়েক মাস তিনি তেমন হাঁটতে পারতেন না, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের ডাকে যেকোনো আন্দোলন, মানববন্ধনে হুইল চেয়ারে সবার আগে থাকতেন। সবার সমস্যায় এগিয়ে যেতেন। সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। আর এ কারণেই তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করত। 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় চেয়েছেন দেশে একটি কার্যকর সুলভ স্বাস্থ্যব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের একটি সাশ্রয়ী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এই হাসপাতালেই। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও নিতে রাজি হননি। 

যেখানে একটু সামর্থ্যবান, রাজনীতিবিদ বা আমলারা একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। করোনার সময় তাঁর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল। তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা এক বাক্যে নাকচ করে দেন। গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই তাঁর শেষ কথা ছিল। 

২০২০ সালে প্রথম আলোয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য ভাবতেন। তাঁর কিডনি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি করেননি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাইরে করাব না। বিদেশে যাব না।’ 

তাঁর ভাষ্যমতে, তাঁর কিডনিতে প্রথম সমস্যা শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে। এরপর বিদেশি বন্ধুরাও তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন—সেটি স্মরণ করিয়ে দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমাকে হার্ভার্ড বলেছিল, বিনা পয়সায় কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবে। আমি বলেছি, তুমি বাকিদের করবা? খালি আমার তো করবা। আমি বলেছি, আমি আমার দেশে চিকিৎসা করাতে চাই, চিকিৎসা উন্নত করতে চাই। সবাই যেন সুযোগটা পায়।’ 

এটাই একজন ‘গরিবের ডাক্তার’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লেখা ছেড়ে দেওয়া বিষয়ে

সম্পাদকীয়
লেখা ছেড়ে দেওয়া বিষয়ে

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!

...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?

...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।

আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...

সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ন্যাশনাল জুট মিলস বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
ন্যাশনাল জুট মিলস বধ্যভূমি

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বধ্যভূমি ৭১

সম্পাদকীয়
বধ্যভূমি ৭১

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রহনপুর গণকবর

সম্পাদকীয়
রহনপুর গণকবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত