সম্পাদকীয়

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি। তিনি তখন খালেদ চৌধুরী, সুকুমার মজুমদারদের সঙ্গে মন দিয়েছেন দর্শনশাস্ত্রে। প্লেটো, কান্ট, হেগেল পড়ছেন। ভাবতে শুরু করেছেন, জীবনের অর্থ, সত্যের উদ্ঘাটন কেবল দর্শনেই সম্ভব। কবিতা তখন তাঁর কাছে ছেলেমানুষি।
একদিন ঢাকার প্রথম চায়নিজ রেস্টুরেন্ট চু চিং চাওয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সেখানে হাজির হলেন সৈয়দ শামসুল হক। বললেন, ‘আমার প্রথম কবিতার বই “একদা একরাত্রি” বেরিয়েছে। কাল চিত্রালী অফিসে আসেন। আমি আপনাকে এক কপি দিতে চাই।’
পরদিন সিনেপত্রিকা চিত্রালীতে গেলেন শহীদ কাদরী। হক বললেন, ‘পারলে একটা রিভিউ করে দেন।’
শহীদ কাদরী বললেন, ‘ঠিক আছে, বইটা নিয়ে যাই বাসায়।’
হক বললেন, ‘আপনি একবার বাসায় গেলে রিভিউ আর পাওয়া যাবে না। এখানে বসেই লিখে দিন।’
অগত্যা! লিখতে হলো রিভিউ।
এ সময় সৈয়দ হক বললেন, ‘বইটার একটা প্রকাশনা উৎসব হয়েছিল, সেখানে শামসুর রাহমান বলেছিলেন, “আহ! আজকে শহীদ কোথায়? ও ছেলেটা লিখতে পারত! ও নিজেকে নষ্ট করল খামোখাই!”’
কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগল শহীদ কাদরীর। বাড়িতে এসে সেই সন্ধ্যায় লিখে ফেললেন ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতাটি। যার প্রথম কয়েক পঙ্ক্তি:
‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে
যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে
শহর উজাড় হবে,–বলে গেল কেউ–’।
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বলেছিলেন শহীদ কাদরীকে, ‘এত অল্প বয়সে বৃষ্টি বৃষ্টির মতো কবিতা লিখেছ, এটা একটা বিস্ময়কর ঘটনা!’
সূত্র: শামস আল মমীনের নেওয়া শহীদ কাদরীর সাক্ষাৎকার, শঙ্খচিল

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি। তিনি তখন খালেদ চৌধুরী, সুকুমার মজুমদারদের সঙ্গে মন দিয়েছেন দর্শনশাস্ত্রে। প্লেটো, কান্ট, হেগেল পড়ছেন। ভাবতে শুরু করেছেন, জীবনের অর্থ, সত্যের উদ্ঘাটন কেবল দর্শনেই সম্ভব। কবিতা তখন তাঁর কাছে ছেলেমানুষি।
একদিন ঢাকার প্রথম চায়নিজ রেস্টুরেন্ট চু চিং চাওয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সেখানে হাজির হলেন সৈয়দ শামসুল হক। বললেন, ‘আমার প্রথম কবিতার বই “একদা একরাত্রি” বেরিয়েছে। কাল চিত্রালী অফিসে আসেন। আমি আপনাকে এক কপি দিতে চাই।’
পরদিন সিনেপত্রিকা চিত্রালীতে গেলেন শহীদ কাদরী। হক বললেন, ‘পারলে একটা রিভিউ করে দেন।’
শহীদ কাদরী বললেন, ‘ঠিক আছে, বইটা নিয়ে যাই বাসায়।’
হক বললেন, ‘আপনি একবার বাসায় গেলে রিভিউ আর পাওয়া যাবে না। এখানে বসেই লিখে দিন।’
অগত্যা! লিখতে হলো রিভিউ।
এ সময় সৈয়দ হক বললেন, ‘বইটার একটা প্রকাশনা উৎসব হয়েছিল, সেখানে শামসুর রাহমান বলেছিলেন, “আহ! আজকে শহীদ কোথায়? ও ছেলেটা লিখতে পারত! ও নিজেকে নষ্ট করল খামোখাই!”’
কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগল শহীদ কাদরীর। বাড়িতে এসে সেই সন্ধ্যায় লিখে ফেললেন ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতাটি। যার প্রথম কয়েক পঙ্ক্তি:
‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে
যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে
শহর উজাড় হবে,–বলে গেল কেউ–’।
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বলেছিলেন শহীদ কাদরীকে, ‘এত অল্প বয়সে বৃষ্টি বৃষ্টির মতো কবিতা লিখেছ, এটা একটা বিস্ময়কর ঘটনা!’
সূত্র: শামস আল মমীনের নেওয়া শহীদ কাদরীর সাক্ষাৎকার, শঙ্খচিল

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে...
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে পুঁতে ফেলত। ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে ফেনী মুক্ত হলে মানুষ তাদের নিখোঁজ আত্মীয়দের খোঁজে কলেজ মাঠে যায়, কিন্তু খুঁজে পায় লাশ। সদ্য মারা যাওয়া মানুষের লাশও ছিল সেখানে। এই বধ্যভূমিতে কতজন নিহত হয়েছিল, তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়, ৫০০ মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়েছিল। শহীদদের স্মরণে ফেনী কলেজ বধ্যভূমির জায়গায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে পুঁতে ফেলত। ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে ফেনী মুক্ত হলে মানুষ তাদের নিখোঁজ আত্মীয়দের খোঁজে কলেজ মাঠে যায়, কিন্তু খুঁজে পায় লাশ। সদ্য মারা যাওয়া মানুষের লাশও ছিল সেখানে। এই বধ্যভূমিতে কতজন নিহত হয়েছিল, তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়, ৫০০ মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়েছিল। শহীদদের স্মরণে ফেনী কলেজ বধ্যভূমির জায়গায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে...
৯ ঘণ্টা আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে...
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৬ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালে শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা ছেপেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেকালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কারও কবিতা ছাপা হওয়া ছিল অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেই কবিতা ছাপা হওয়ার পর দুই বছর শহীদ কাদরী আর কোনো কবিতা লেখেননি।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফেনী সরকারি কলেজকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজ মাঠে ধরে আনত এবং অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলোকে তারা মাঠের এক কোণে...
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে