
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের কটক শহরে। বাবা জানকীনাথ বসু ছিলেন আইনজীবী। মা প্রভাবতী দেবী।
সুভাষচন্দ্র বসুর প্রাথমিক লেখাপড়া কটক শহরে। প্রথমে স্টুয়ার্ট হাইস্কুলে, পরে র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। মেধাবী ছাত্র সুভাষ চন্দ্র বসু ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে ভর্তি হন কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সুভাষ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র ডা. শিশির কুমার বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসুর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কলেজের ইংরেজ অধ্যাপক প্রফেসর ওটেনকে ছাত্ররা মারধর করেছিল ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য। সে ঘটনায় জড়িত থাকায় কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয় সুভাষ চন্দ্র বসুকে। পরে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতক পাশ করেন।
ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি ১৯১৯ সালে ইংল্যান্ড যান। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কোনো বিদেশি সরকারের অধীনে কাজ করতে চাননি। তাই সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়ে চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগ দেন।
১৯২৪ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে কলকাতা করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়। ওই বছরই জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯২৭ সালে মুক্তি পান। ১৯২৮ সালে কলকাতায় কংগ্রেস দলের ঐতিহাসিক সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৯-এ বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন তিনি। তারপর নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি ও পরের বছর কলকাতা করপোরেশন-এর মেয়র হন।
১৯৩০ সালে গান্ধীর লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়ে আবার কারারুদ্ধ হন। মুক্তি লাভের পর তিনি ১৯৩১-এর গান্ধী-আরউইন চুক্তির বিরোধিতা করেন। পরে আবার কারারুদ্ধ হোন। স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য ইউরোপ যান। তখন ভারতের ব্যাপারে সহানুভূতি আছে এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে।
ওই সময়ই লেখেন ‘দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ নামে বইয়ের প্রথম পর্বটি। এই বইয়ে তুলে ধরেন ১৯২০-১৯৩৪ সাল পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। লন্ডন থেকে প্রকাশিত হলেও ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশে নিষিদ্ধ করে বইটি।
১৯৩৮ সালে সুভাষ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। পরের বছর পুনঃনির্বাচিত হন। তবে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত মতৈক্যের কারণে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সুভাষ চন্দ্র।
১৯৪১ সালে সুভাষ বসু গোপনে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে কাবুল হয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেন। রাশিয়া থেকে বার্লিনে পৌঁছানোর পর তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জার্মানির সমর্থন পান। সেখান থেকে জাপানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। জার্মানি ও জাপান সরকারের সমর্থন পাওয়ার পর একটি সাবমেরিনে ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসের গোড়ার দিকে সিঙ্গাপুর পৌঁছান। এর মধ্যে জাপানে অবস্থান করা ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব সুভাষ বসুকে বুঝিয়ে দেন। ১৯৪৩ সালের ২৫ আগস্ট সুভাষ রাসবিহারী বসু প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর (আইএনএ) সর্বাধিনায়ক হন।
১৯৪৪ সালের জানুয়ারি। সুভাষচন্দ্র বসু বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) রেঙ্গুনে আইএনএ-র সদর দপ্তর সরিয়ে নেন। সেখান থেকে ভারত-বার্মা সীমান্তে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। ১৯৪৪-এর মার্চে ইম্ফল ও কোহিমায় দুটি ব্রিটিশ সামরিক চৌকি দখল করেন। সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট। জাপান অধিকৃত ফরমোজায় (বর্তমান তাইপে) এক বিমান দুর্ঘটনায় আহত সুভাষ চন্দ্র বসুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান বলে ধারণা করা হয়। তবে তাঁর এই মৃত্যু সংবাদ ভক্তরা মেনে নিতে পারেননি। কংগ্রেসে থাকা তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অনেকের ধারণা ছিল, তিনি আত্মগোপনে আছেন। তাঁর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে বিভিন্ন কমিশন গঠিত হলেও তিনি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি এমন কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
জাপানের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের অনেক নেতাই সুভাষচন্দ্র বসুর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তবে ভক্তদের তাঁর প্রতি আস্থা ছিল অটুট। তাঁদের চোখে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক মহানায়ক। এখনো তিনি ‘নেতাজি’ হয়েই বেঁচে আছেন সবার মনে।
সূত্র. বিবিসি বাংলা, বাংলাপিডিয়া, উইকিডিপিয়া

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের কটক শহরে। বাবা জানকীনাথ বসু ছিলেন আইনজীবী। মা প্রভাবতী দেবী।
সুভাষচন্দ্র বসুর প্রাথমিক লেখাপড়া কটক শহরে। প্রথমে স্টুয়ার্ট হাইস্কুলে, পরে র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। মেধাবী ছাত্র সুভাষ চন্দ্র বসু ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে ভর্তি হন কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সুভাষ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র ডা. শিশির কুমার বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসুর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কলেজের ইংরেজ অধ্যাপক প্রফেসর ওটেনকে ছাত্ররা মারধর করেছিল ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য। সে ঘটনায় জড়িত থাকায় কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয় সুভাষ চন্দ্র বসুকে। পরে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতক পাশ করেন।
ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি ১৯১৯ সালে ইংল্যান্ড যান। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কোনো বিদেশি সরকারের অধীনে কাজ করতে চাননি। তাই সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়ে চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগ দেন।
১৯২৪ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে কলকাতা করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়। ওই বছরই জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯২৭ সালে মুক্তি পান। ১৯২৮ সালে কলকাতায় কংগ্রেস দলের ঐতিহাসিক সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৯-এ বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন তিনি। তারপর নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি ও পরের বছর কলকাতা করপোরেশন-এর মেয়র হন।
১৯৩০ সালে গান্ধীর লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়ে আবার কারারুদ্ধ হন। মুক্তি লাভের পর তিনি ১৯৩১-এর গান্ধী-আরউইন চুক্তির বিরোধিতা করেন। পরে আবার কারারুদ্ধ হোন। স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য ইউরোপ যান। তখন ভারতের ব্যাপারে সহানুভূতি আছে এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে।
ওই সময়ই লেখেন ‘দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ নামে বইয়ের প্রথম পর্বটি। এই বইয়ে তুলে ধরেন ১৯২০-১৯৩৪ সাল পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। লন্ডন থেকে প্রকাশিত হলেও ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশে নিষিদ্ধ করে বইটি।
১৯৩৮ সালে সুভাষ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। পরের বছর পুনঃনির্বাচিত হন। তবে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত মতৈক্যের কারণে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সুভাষ চন্দ্র।
১৯৪১ সালে সুভাষ বসু গোপনে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে কাবুল হয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেন। রাশিয়া থেকে বার্লিনে পৌঁছানোর পর তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জার্মানির সমর্থন পান। সেখান থেকে জাপানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। জার্মানি ও জাপান সরকারের সমর্থন পাওয়ার পর একটি সাবমেরিনে ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসের গোড়ার দিকে সিঙ্গাপুর পৌঁছান। এর মধ্যে জাপানে অবস্থান করা ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব সুভাষ বসুকে বুঝিয়ে দেন। ১৯৪৩ সালের ২৫ আগস্ট সুভাষ রাসবিহারী বসু প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর (আইএনএ) সর্বাধিনায়ক হন।
১৯৪৪ সালের জানুয়ারি। সুভাষচন্দ্র বসু বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) রেঙ্গুনে আইএনএ-র সদর দপ্তর সরিয়ে নেন। সেখান থেকে ভারত-বার্মা সীমান্তে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। ১৯৪৪-এর মার্চে ইম্ফল ও কোহিমায় দুটি ব্রিটিশ সামরিক চৌকি দখল করেন। সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট। জাপান অধিকৃত ফরমোজায় (বর্তমান তাইপে) এক বিমান দুর্ঘটনায় আহত সুভাষ চন্দ্র বসুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান বলে ধারণা করা হয়। তবে তাঁর এই মৃত্যু সংবাদ ভক্তরা মেনে নিতে পারেননি। কংগ্রেসে থাকা তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অনেকের ধারণা ছিল, তিনি আত্মগোপনে আছেন। তাঁর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে বিভিন্ন কমিশন গঠিত হলেও তিনি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি এমন কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
জাপানের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের অনেক নেতাই সুভাষচন্দ্র বসুর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তবে ভক্তদের তাঁর প্রতি আস্থা ছিল অটুট। তাঁদের চোখে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক মহানায়ক। এখনো তিনি ‘নেতাজি’ হয়েই বেঁচে আছেন সবার মনে।
সূত্র. বিবিসি বাংলা, বাংলাপিডিয়া, উইকিডিপিয়া

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। তবে নেতাজি নামেই ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি। ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে