
শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
০১ জুলাই ২০২১
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
০১ জুলাই ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
০১ জুলাই ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
০১ জুলাই ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে