সম্পাদকীয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েই বহুজাতিক কোম্পানি পাকিস্তান টোব্যাকোতে (বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) চাকরি পান। করাচিতে শুরু করেন কর্মজীবন। ১৯৭০ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বদলি হন ঢাকায়। মাঝে কয়েক মাসের জন্য কর্মস্থল ছিল বিলেত। উচ্চ পদে। মাইনেও বেশ। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তারপরও অভিজাত নিশ্চিত জীবন ছেড়ে বেছে নিলেন দুর্গন্ধময় হাজারীবাগ। দামি গাড়ি ছেড়ে উঠলেন রিকশায়। চামড়ার ভাঁজে খুঁজে নিলেন নতুন এক অধ্যায়।
৪৯ বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এখন চামড়া খাতের একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু হয়। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান এপেক্স। যদিও ছোটবেলায় বাবা-ভাইদের যখন বড় হয়ে ব্যবসায়ী হওয়ার কথা বলতেন, তখন হেসেই উড়িয়ে দিতেন। বলতেন, ‘তুই ব্যবসার কী বুঝিস। আমাদের চৌদ্দ পুরুষে কেউ ব্যবসায়ী নাই।’
১৯৭২ সালে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসায় নামেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ট্যানারি। অবশ্য সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে শুধু সফল ব্যবসায়ীর গণ্ডির মধ্যে রাখলে ভুল হবে। তিনি ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জীবনের শেষবেলায় এসেও মানুষটি মনেপ্রাণে বেশ তরুণ। জীবনের নানা ঘটনা বলতে বলতে প্রাণ খুলে হাসলেন। বললেন, ‘জীবন নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। একজন মানুষের কত আর প্রয়োজন। কোথাও না কোথাও তো দাঁড়ি টানতে হয়...।’
সূত্র: শুভংকর কর্মকার: সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী: বহুজাতিকের চাকরি ছেড়ে চামড়ার সফল ব্যবসায়ী, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, প্রথম আলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েই বহুজাতিক কোম্পানি পাকিস্তান টোব্যাকোতে (বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) চাকরি পান। করাচিতে শুরু করেন কর্মজীবন। ১৯৭০ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বদলি হন ঢাকায়। মাঝে কয়েক মাসের জন্য কর্মস্থল ছিল বিলেত। উচ্চ পদে। মাইনেও বেশ। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তারপরও অভিজাত নিশ্চিত জীবন ছেড়ে বেছে নিলেন দুর্গন্ধময় হাজারীবাগ। দামি গাড়ি ছেড়ে উঠলেন রিকশায়। চামড়ার ভাঁজে খুঁজে নিলেন নতুন এক অধ্যায়।
৪৯ বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এখন চামড়া খাতের একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু হয়। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান এপেক্স। যদিও ছোটবেলায় বাবা-ভাইদের যখন বড় হয়ে ব্যবসায়ী হওয়ার কথা বলতেন, তখন হেসেই উড়িয়ে দিতেন। বলতেন, ‘তুই ব্যবসার কী বুঝিস। আমাদের চৌদ্দ পুরুষে কেউ ব্যবসায়ী নাই।’
১৯৭২ সালে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসায় নামেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ট্যানারি। অবশ্য সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে শুধু সফল ব্যবসায়ীর গণ্ডির মধ্যে রাখলে ভুল হবে। তিনি ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জীবনের শেষবেলায় এসেও মানুষটি মনেপ্রাণে বেশ তরুণ। জীবনের নানা ঘটনা বলতে বলতে প্রাণ খুলে হাসলেন। বললেন, ‘জীবন নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। একজন মানুষের কত আর প্রয়োজন। কোথাও না কোথাও তো দাঁড়ি টানতে হয়...।’
সূত্র: শুভংকর কর্মকার: সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী: বহুজাতিকের চাকরি ছেড়ে চামড়ার সফল ব্যবসায়ী, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, প্রথম আলো
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ সারা বাংলাদেশে নানাভাবে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এ দিন স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে নতুন সামরিক বিধি জারির প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই জনসভায়...
১ দিন আগে১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায়
৮ দিন আগে১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১৫ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
১৬ দিন আগে