আবদুল বাছেদ, ঢাকা

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে