
ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৭৬৮ সালে রয়্যাল নেভির জরিপকারী কুককে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এইচএমএস এন্ডেভার নামের জাহাজের দায়িত্ব পান তিনি। শুক্রগ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীদের তাহিতি নিয়ে যাওয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। ১৭৭১ সালে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে অনুসন্ধান এবং পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৭৭২ সালের গোড়ার দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বড় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। পরবর্তী তিন বছরে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। এ ছাড়া নিউ হেব্রিডসের মানচিত্র তৈরি করেন এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া আবিষ্কার করেন।
১৭৭৬ সালে এইচএমএস রেজ্যুলিউশন এবং ডিসকভারি নামের দুটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। ১৭৭৮ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ভ্রমণ করেন। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে এই দ্বীপপুঞ্জে পা রাখেন। এই জায়গাটির নাম রাখেন স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড, অভিযানের একজন পৃষ্ঠপোষক আর্ল অব স্যান্ডউইচ জন মন্টাগুর সম্মানে।
কুক এবং তাঁর ক্রুদের হাওয়াইয়ানরা স্বাগতই জানায়। তাঁরা ইউরোপীয়দের জাহাজ এবং তাদের লোহার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। তারপর নি’ইহাউতে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দেন অভিযাত্রীরা এবং উত্তর দিকে রওনা দেন। উদ্দেশ্য উত্তর আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাওয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের পথের পশ্চিম অংশের সন্ধান লাভ। প্রায় এক বছর পরে, কুকের দুটি জাহাজ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ফিরে আসে এবং হাওয়াইয়ের কিয়ালাকেকুয়া উপসাগরে একটি নিরাপদ পোতাশ্রয় খুঁজে পায়।
কিয়ালাকেকুয়াকে হাওয়াইয়ানরা তাঁদের দেবতা লোনোর পবিত্র বন্দর হিসেবে বিবেচনা করত। কুকের আগমনের সময় স্থানীয়রা লোনোর সম্মানে একটি উৎসব উদ্যাপন করছিল। কুক এবং তার স্বদেশিদের তাঁরা দেবতাই মনে করে এবং তাঁদের স্বাগত জানায়।
কুক ও তাঁর সঙ্গীদের আগমনে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় হাওয়াইয়াদের মধ্যে। এতে সেখানকার অনেকেই মারা যান। একপর্যায়ে কুকের একজন কর্মীরও মৃত্যু হয় রোগে ভুগে। এতে হাওয়াইয়ানরা বুঝতে পারে ইউরোপীয়রা মোটেই দেবতা নয়, তাঁদের মতো রক্তমাংসের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই কুকদের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ জাহাজগুলি কিয়ালাকেকুয়া উপসাগর থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রেজ্যুলিউশনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক সপ্তাহ পরেই দলবল সমেত হাওয়াইতে ফিরে যেতে বাধ্য হন কুক।
এবার কিন্তু হাওয়াইয়ানরা পাথর নিক্ষেপ করে কুক এবং তাঁর লোকদের অভ্যর্থনা জানায়। একপর্যায়ে তারা ডিসকভারি থেকে একটি ছোট নৌকা চুরি করে। হাওয়াইয়ান এক গোত্রপতিকে কুকের নাবিকেরা গুলি করে হত্যা করার পর নৌকা ফেরত পেতে রাজা কালানিওপুর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যায়।
ক্যাপ্টেন এবং তাঁর লোকেরা এবার হাওয়াইয়ানদের ওপর গুলি চালালেন। কিন্তু শিগগিরই বিপুল সংখ্যক হাওয়াইয়ান হামলা চালালে উল্টো বিপদে পড়েন। মাত্র কয়েকজন রেজ্যুলিউশনের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে সক্ষম হয়। আক্রমণে ক্যাপ্টেন কুক নিজেও নিহত হন। কয়েক দিন পরে, ইংরেজরা তাদের কামান এবং গুলির সাহায্যে প্রতিশোধ নেয়। এ সময় ৩০ জনের মতো হাওয়াইয়ানকে হত্যা করা হয়। তারপর রেজ্যুলিউশনের এবং ডিসকভারি ইংল্যান্ডে ফিরে আসে।

ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৭৬৮ সালে রয়্যাল নেভির জরিপকারী কুককে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এইচএমএস এন্ডেভার নামের জাহাজের দায়িত্ব পান তিনি। শুক্রগ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীদের তাহিতি নিয়ে যাওয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। ১৭৭১ সালে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে অনুসন্ধান এবং পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৭৭২ সালের গোড়ার দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বড় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। পরবর্তী তিন বছরে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। এ ছাড়া নিউ হেব্রিডসের মানচিত্র তৈরি করেন এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া আবিষ্কার করেন।
১৭৭৬ সালে এইচএমএস রেজ্যুলিউশন এবং ডিসকভারি নামের দুটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। ১৭৭৮ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ভ্রমণ করেন। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে এই দ্বীপপুঞ্জে পা রাখেন। এই জায়গাটির নাম রাখেন স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড, অভিযানের একজন পৃষ্ঠপোষক আর্ল অব স্যান্ডউইচ জন মন্টাগুর সম্মানে।
কুক এবং তাঁর ক্রুদের হাওয়াইয়ানরা স্বাগতই জানায়। তাঁরা ইউরোপীয়দের জাহাজ এবং তাদের লোহার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। তারপর নি’ইহাউতে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দেন অভিযাত্রীরা এবং উত্তর দিকে রওনা দেন। উদ্দেশ্য উত্তর আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাওয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের পথের পশ্চিম অংশের সন্ধান লাভ। প্রায় এক বছর পরে, কুকের দুটি জাহাজ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ফিরে আসে এবং হাওয়াইয়ের কিয়ালাকেকুয়া উপসাগরে একটি নিরাপদ পোতাশ্রয় খুঁজে পায়।
কিয়ালাকেকুয়াকে হাওয়াইয়ানরা তাঁদের দেবতা লোনোর পবিত্র বন্দর হিসেবে বিবেচনা করত। কুকের আগমনের সময় স্থানীয়রা লোনোর সম্মানে একটি উৎসব উদ্যাপন করছিল। কুক এবং তার স্বদেশিদের তাঁরা দেবতাই মনে করে এবং তাঁদের স্বাগত জানায়।
কুক ও তাঁর সঙ্গীদের আগমনে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় হাওয়াইয়াদের মধ্যে। এতে সেখানকার অনেকেই মারা যান। একপর্যায়ে কুকের একজন কর্মীরও মৃত্যু হয় রোগে ভুগে। এতে হাওয়াইয়ানরা বুঝতে পারে ইউরোপীয়রা মোটেই দেবতা নয়, তাঁদের মতো রক্তমাংসের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই কুকদের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ জাহাজগুলি কিয়ালাকেকুয়া উপসাগর থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রেজ্যুলিউশনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক সপ্তাহ পরেই দলবল সমেত হাওয়াইতে ফিরে যেতে বাধ্য হন কুক।
এবার কিন্তু হাওয়াইয়ানরা পাথর নিক্ষেপ করে কুক এবং তাঁর লোকদের অভ্যর্থনা জানায়। একপর্যায়ে তারা ডিসকভারি থেকে একটি ছোট নৌকা চুরি করে। হাওয়াইয়ান এক গোত্রপতিকে কুকের নাবিকেরা গুলি করে হত্যা করার পর নৌকা ফেরত পেতে রাজা কালানিওপুর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যায়।
ক্যাপ্টেন এবং তাঁর লোকেরা এবার হাওয়াইয়ানদের ওপর গুলি চালালেন। কিন্তু শিগগিরই বিপুল সংখ্যক হাওয়াইয়ান হামলা চালালে উল্টো বিপদে পড়েন। মাত্র কয়েকজন রেজ্যুলিউশনের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে সক্ষম হয়। আক্রমণে ক্যাপ্টেন কুক নিজেও নিহত হন। কয়েক দিন পরে, ইংরেজরা তাদের কামান এবং গুলির সাহায্যে প্রতিশোধ নেয়। এ সময় ৩০ জনের মতো হাওয়াইয়ানকে হত্যা করা হয়। তারপর রেজ্যুলিউশনের এবং ডিসকভারি ইংল্যান্ডে ফিরে আসে।

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে