আবদুল বাছেদ, ঢাকা

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
গত একমাসে বিশ্বে সবচেয়ে উচ্চারিত শব্দের একটি নিঃসন্দেহে ‘গাজা’। দিনে একবার হলেও আপনি ভেবেছেন গাজাবাসীর দুর্দশার কথা। কত রক্তই না দিতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। কখনো কি ভেবেছেন এই ‘গাজা’ শব্দের অর্থ কী?
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার তথ্যনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর ড্রেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হালকা ও খোলা বুননের কাপড়কেই সাধারণত গজ (Gauze) বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি এসেছে ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ থেকে। একই বুননে তৈরি কাপড় জানালা বা দরজার পর্দা বানানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের একজাতীয় পোশাকও তৈরি করা হয় এই বুননে শৈলিতে।
এই ফেব্রিক বা বুনন শিল্পের উৎপত্তি গাজায় বলে মনে করা হয়। এ ধরনের কাপড় প্লেইন বুনন বা লেনো বুনন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে তুলো দিয়ে তৈরি চিজক্লথ, যা মূলত চাপা পনিরের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে আজকাল এই কাপড় বই বাঁধাইসহ নানা কাজেই ব্যবহার হয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ‘Gauze’ শব্দটি এসে ফরাসি ভাষা থেকে। ফ্রান্স সরকারের অনলাইন ব্যুৎপত্তিগত অভিধান অনুসারে, ইংরেজিতে শব্দটি এসেছে ফরাসি ‘gaze’ থেকে। তবে এর চূড়ান্ত মূল সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
তবে প্রায়শই এটি আরবি এবং ফার্সি শব্দ ক্বাজ (কাঁচা সিল্ক) থেকে উদ্ভুত বলে ধারণা করা হয়। এই শব্দ এসেছে ফিলিস্তিনের শহর ‘গাজা’ থেকে। তবে গাজায় প্রাচীন বুনন শিল্প সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এটিই পরিষ্কার নয় যে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই শব্দ কীভাবে ইউরোপীয় ভাষায় প্রবেশ করল?
ইউরোপে গজ কাপড়ের প্রথম ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২৫০ সালে ইতালির বোলোগনায় মধ্যযুগীয় লাতিন ভাষার ‘গারজা’ এবং ১২৭৯ সালে বুদাপেস্টে ‘গাজ্জাতুম’ নামে।
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে গজ কাপড় বোনা হতো। ইংরেজি শব্দটি গাজা থেকেই এসেছে। আরবিতে বলে গাজ্জা। এই অঞ্চলের বয়ন শিল্পের কেন্দ্র ছিল গাজা। সেই নামেই কাপড়ের নাম।
মধ্যযুগীয় ইউরোপের ধর্মীয় শাসকেরা অখ্রিস্টানদের সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ১৩ শতকের প্রথম দিকে গাজা থেকে গাজাতুম নামে পরিচিত একটি সূক্ষ্ম রেশমি কাপড় আমদানি করা হতো। যদিও ইউরোপে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের এটি পরা নিষেধ ছিল। দ্রুতই এই ফ্যাব্রিক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিককালে সেটি গজ নামে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
সেসব যাই হোক, শব্দের বিবর্তনে গাজার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ক্ষতস্থান বাঁধার কাপড়, বিশ্ব রাজনীতির দ্বিচারিতা গাজাবাসীর কাছে সেই অর্থকেই করে তুলেছে প্রাসঙ্গিক। বিষয়টি নিয়ে কবিতাও লিখেছেন আমেরিকান সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও মোটিভেশনাল স্পিকার নুর তাগুরি। কবিতাটি ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়:
আমাদেরই দরুন
আজ এই প্রভাতে জানলাম
‘গজ’ নামের ইংরেজি শব্দটি
অর্থ তার ক্ষতকে বাঁধবার বস্ত্র
আরও জানলাম সেই শব্দের নাড়ি।
এসেছে নাকি ‘গাজা’ থেকে
সঙ্গে তার সেই নগরীর
বুনন শিল্পের ইতিহাস।
হয়ে গেলাম নির্বাক।
এখন নিজেকেই করি প্রশ্ন,
তাদের (ইসরায়েল) দরুন
আমাদের কতজনের ক্ষত
করতে হয়েছে বাঁধাই!
আমাদের (ফিলিস্তিন) দরুন
তাদের কতজনের ক্ষত
রয়েছে বিনা শুশ্রূষায়!
নুর তাগুরির এই কবিতা ফেসবুকে ১৫ হাজারের অধিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং ১৩ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। কিন্তু আর কতদিন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চের নেতারা (নাকি অভিনেতা!) বাস্তবেই মানবিক হবেন ফিলিস্তিনের নিরপরাধ নারী–শিশুদের প্রতি। যখন আমরা আর শুনব না কোনো ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় শিশুর মৃত্যুর খবর। আর কত শিশু প্রাণ হারালে গাজাবাসীর জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে গাজা শব্দের অর্থ।

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
গত একমাসে বিশ্বে সবচেয়ে উচ্চারিত শব্দের একটি নিঃসন্দেহে ‘গাজা’। দিনে একবার হলেও আপনি ভেবেছেন গাজাবাসীর দুর্দশার কথা। কত রক্তই না দিতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। কখনো কি ভেবেছেন এই ‘গাজা’ শব্দের অর্থ কী?
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার তথ্যনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর ড্রেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হালকা ও খোলা বুননের কাপড়কেই সাধারণত গজ (Gauze) বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি এসেছে ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ থেকে। একই বুননে তৈরি কাপড় জানালা বা দরজার পর্দা বানানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের একজাতীয় পোশাকও তৈরি করা হয় এই বুননে শৈলিতে।
এই ফেব্রিক বা বুনন শিল্পের উৎপত্তি গাজায় বলে মনে করা হয়। এ ধরনের কাপড় প্লেইন বুনন বা লেনো বুনন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে তুলো দিয়ে তৈরি চিজক্লথ, যা মূলত চাপা পনিরের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে আজকাল এই কাপড় বই বাঁধাইসহ নানা কাজেই ব্যবহার হয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ‘Gauze’ শব্দটি এসে ফরাসি ভাষা থেকে। ফ্রান্স সরকারের অনলাইন ব্যুৎপত্তিগত অভিধান অনুসারে, ইংরেজিতে শব্দটি এসেছে ফরাসি ‘gaze’ থেকে। তবে এর চূড়ান্ত মূল সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
তবে প্রায়শই এটি আরবি এবং ফার্সি শব্দ ক্বাজ (কাঁচা সিল্ক) থেকে উদ্ভুত বলে ধারণা করা হয়। এই শব্দ এসেছে ফিলিস্তিনের শহর ‘গাজা’ থেকে। তবে গাজায় প্রাচীন বুনন শিল্প সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এটিই পরিষ্কার নয় যে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই শব্দ কীভাবে ইউরোপীয় ভাষায় প্রবেশ করল?
ইউরোপে গজ কাপড়ের প্রথম ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২৫০ সালে ইতালির বোলোগনায় মধ্যযুগীয় লাতিন ভাষার ‘গারজা’ এবং ১২৭৯ সালে বুদাপেস্টে ‘গাজ্জাতুম’ নামে।
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে গজ কাপড় বোনা হতো। ইংরেজি শব্দটি গাজা থেকেই এসেছে। আরবিতে বলে গাজ্জা। এই অঞ্চলের বয়ন শিল্পের কেন্দ্র ছিল গাজা। সেই নামেই কাপড়ের নাম।
মধ্যযুগীয় ইউরোপের ধর্মীয় শাসকেরা অখ্রিস্টানদের সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ১৩ শতকের প্রথম দিকে গাজা থেকে গাজাতুম নামে পরিচিত একটি সূক্ষ্ম রেশমি কাপড় আমদানি করা হতো। যদিও ইউরোপে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের এটি পরা নিষেধ ছিল। দ্রুতই এই ফ্যাব্রিক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিককালে সেটি গজ নামে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
সেসব যাই হোক, শব্দের বিবর্তনে গাজার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ক্ষতস্থান বাঁধার কাপড়, বিশ্ব রাজনীতির দ্বিচারিতা গাজাবাসীর কাছে সেই অর্থকেই করে তুলেছে প্রাসঙ্গিক। বিষয়টি নিয়ে কবিতাও লিখেছেন আমেরিকান সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও মোটিভেশনাল স্পিকার নুর তাগুরি। কবিতাটি ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়:
আমাদেরই দরুন
আজ এই প্রভাতে জানলাম
‘গজ’ নামের ইংরেজি শব্দটি
অর্থ তার ক্ষতকে বাঁধবার বস্ত্র
আরও জানলাম সেই শব্দের নাড়ি।
এসেছে নাকি ‘গাজা’ থেকে
সঙ্গে তার সেই নগরীর
বুনন শিল্পের ইতিহাস।
হয়ে গেলাম নির্বাক।
এখন নিজেকেই করি প্রশ্ন,
তাদের (ইসরায়েল) দরুন
আমাদের কতজনের ক্ষত
করতে হয়েছে বাঁধাই!
আমাদের (ফিলিস্তিন) দরুন
তাদের কতজনের ক্ষত
রয়েছে বিনা শুশ্রূষায়!
নুর তাগুরির এই কবিতা ফেসবুকে ১৫ হাজারের অধিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং ১৩ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। কিন্তু আর কতদিন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চের নেতারা (নাকি অভিনেতা!) বাস্তবেই মানবিক হবেন ফিলিস্তিনের নিরপরাধ নারী–শিশুদের প্রতি। যখন আমরা আর শুনব না কোনো ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় শিশুর মৃত্যুর খবর। আর কত শিশু প্রাণ হারালে গাজাবাসীর জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে গাজা শব্দের অর্থ।
আবদুল বাছেদ, ঢাকা

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
গত একমাসে বিশ্বে সবচেয়ে উচ্চারিত শব্দের একটি নিঃসন্দেহে ‘গাজা’। দিনে একবার হলেও আপনি ভেবেছেন গাজাবাসীর দুর্দশার কথা। কত রক্তই না দিতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। কখনো কি ভেবেছেন এই ‘গাজা’ শব্দের অর্থ কী?
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার তথ্যনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর ড্রেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হালকা ও খোলা বুননের কাপড়কেই সাধারণত গজ (Gauze) বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি এসেছে ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ থেকে। একই বুননে তৈরি কাপড় জানালা বা দরজার পর্দা বানানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের একজাতীয় পোশাকও তৈরি করা হয় এই বুননে শৈলিতে।
এই ফেব্রিক বা বুনন শিল্পের উৎপত্তি গাজায় বলে মনে করা হয়। এ ধরনের কাপড় প্লেইন বুনন বা লেনো বুনন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে তুলো দিয়ে তৈরি চিজক্লথ, যা মূলত চাপা পনিরের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে আজকাল এই কাপড় বই বাঁধাইসহ নানা কাজেই ব্যবহার হয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ‘Gauze’ শব্দটি এসে ফরাসি ভাষা থেকে। ফ্রান্স সরকারের অনলাইন ব্যুৎপত্তিগত অভিধান অনুসারে, ইংরেজিতে শব্দটি এসেছে ফরাসি ‘gaze’ থেকে। তবে এর চূড়ান্ত মূল সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
তবে প্রায়শই এটি আরবি এবং ফার্সি শব্দ ক্বাজ (কাঁচা সিল্ক) থেকে উদ্ভুত বলে ধারণা করা হয়। এই শব্দ এসেছে ফিলিস্তিনের শহর ‘গাজা’ থেকে। তবে গাজায় প্রাচীন বুনন শিল্প সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এটিই পরিষ্কার নয় যে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই শব্দ কীভাবে ইউরোপীয় ভাষায় প্রবেশ করল?
ইউরোপে গজ কাপড়ের প্রথম ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২৫০ সালে ইতালির বোলোগনায় মধ্যযুগীয় লাতিন ভাষার ‘গারজা’ এবং ১২৭৯ সালে বুদাপেস্টে ‘গাজ্জাতুম’ নামে।
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে গজ কাপড় বোনা হতো। ইংরেজি শব্দটি গাজা থেকেই এসেছে। আরবিতে বলে গাজ্জা। এই অঞ্চলের বয়ন শিল্পের কেন্দ্র ছিল গাজা। সেই নামেই কাপড়ের নাম।
মধ্যযুগীয় ইউরোপের ধর্মীয় শাসকেরা অখ্রিস্টানদের সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ১৩ শতকের প্রথম দিকে গাজা থেকে গাজাতুম নামে পরিচিত একটি সূক্ষ্ম রেশমি কাপড় আমদানি করা হতো। যদিও ইউরোপে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের এটি পরা নিষেধ ছিল। দ্রুতই এই ফ্যাব্রিক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিককালে সেটি গজ নামে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
সেসব যাই হোক, শব্দের বিবর্তনে গাজার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ক্ষতস্থান বাঁধার কাপড়, বিশ্ব রাজনীতির দ্বিচারিতা গাজাবাসীর কাছে সেই অর্থকেই করে তুলেছে প্রাসঙ্গিক। বিষয়টি নিয়ে কবিতাও লিখেছেন আমেরিকান সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও মোটিভেশনাল স্পিকার নুর তাগুরি। কবিতাটি ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়:
আমাদেরই দরুন
আজ এই প্রভাতে জানলাম
‘গজ’ নামের ইংরেজি শব্দটি
অর্থ তার ক্ষতকে বাঁধবার বস্ত্র
আরও জানলাম সেই শব্দের নাড়ি।
এসেছে নাকি ‘গাজা’ থেকে
সঙ্গে তার সেই নগরীর
বুনন শিল্পের ইতিহাস।
হয়ে গেলাম নির্বাক।
এখন নিজেকেই করি প্রশ্ন,
তাদের (ইসরায়েল) দরুন
আমাদের কতজনের ক্ষত
করতে হয়েছে বাঁধাই!
আমাদের (ফিলিস্তিন) দরুন
তাদের কতজনের ক্ষত
রয়েছে বিনা শুশ্রূষায়!
নুর তাগুরির এই কবিতা ফেসবুকে ১৫ হাজারের অধিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং ১৩ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। কিন্তু আর কতদিন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চের নেতারা (নাকি অভিনেতা!) বাস্তবেই মানবিক হবেন ফিলিস্তিনের নিরপরাধ নারী–শিশুদের প্রতি। যখন আমরা আর শুনব না কোনো ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় শিশুর মৃত্যুর খবর। আর কত শিশু প্রাণ হারালে গাজাবাসীর জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে গাজা শব্দের অর্থ।

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
গত একমাসে বিশ্বে সবচেয়ে উচ্চারিত শব্দের একটি নিঃসন্দেহে ‘গাজা’। দিনে একবার হলেও আপনি ভেবেছেন গাজাবাসীর দুর্দশার কথা। কত রক্তই না দিতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। কখনো কি ভেবেছেন এই ‘গাজা’ শব্দের অর্থ কী?
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার তথ্যনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর ড্রেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হালকা ও খোলা বুননের কাপড়কেই সাধারণত গজ (Gauze) বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি এসেছে ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ থেকে। একই বুননে তৈরি কাপড় জানালা বা দরজার পর্দা বানানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের একজাতীয় পোশাকও তৈরি করা হয় এই বুননে শৈলিতে।
এই ফেব্রিক বা বুনন শিল্পের উৎপত্তি গাজায় বলে মনে করা হয়। এ ধরনের কাপড় প্লেইন বুনন বা লেনো বুনন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে তুলো দিয়ে তৈরি চিজক্লথ, যা মূলত চাপা পনিরের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে আজকাল এই কাপড় বই বাঁধাইসহ নানা কাজেই ব্যবহার হয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ‘Gauze’ শব্দটি এসে ফরাসি ভাষা থেকে। ফ্রান্স সরকারের অনলাইন ব্যুৎপত্তিগত অভিধান অনুসারে, ইংরেজিতে শব্দটি এসেছে ফরাসি ‘gaze’ থেকে। তবে এর চূড়ান্ত মূল সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
তবে প্রায়শই এটি আরবি এবং ফার্সি শব্দ ক্বাজ (কাঁচা সিল্ক) থেকে উদ্ভুত বলে ধারণা করা হয়। এই শব্দ এসেছে ফিলিস্তিনের শহর ‘গাজা’ থেকে। তবে গাজায় প্রাচীন বুনন শিল্প সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এটিই পরিষ্কার নয় যে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই শব্দ কীভাবে ইউরোপীয় ভাষায় প্রবেশ করল?
ইউরোপে গজ কাপড়ের প্রথম ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২৫০ সালে ইতালির বোলোগনায় মধ্যযুগীয় লাতিন ভাষার ‘গারজা’ এবং ১২৭৯ সালে বুদাপেস্টে ‘গাজ্জাতুম’ নামে।
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে গজ কাপড় বোনা হতো। ইংরেজি শব্দটি গাজা থেকেই এসেছে। আরবিতে বলে গাজ্জা। এই অঞ্চলের বয়ন শিল্পের কেন্দ্র ছিল গাজা। সেই নামেই কাপড়ের নাম।
মধ্যযুগীয় ইউরোপের ধর্মীয় শাসকেরা অখ্রিস্টানদের সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ১৩ শতকের প্রথম দিকে গাজা থেকে গাজাতুম নামে পরিচিত একটি সূক্ষ্ম রেশমি কাপড় আমদানি করা হতো। যদিও ইউরোপে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের এটি পরা নিষেধ ছিল। দ্রুতই এই ফ্যাব্রিক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিককালে সেটি গজ নামে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
সেসব যাই হোক, শব্দের বিবর্তনে গাজার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ক্ষতস্থান বাঁধার কাপড়, বিশ্ব রাজনীতির দ্বিচারিতা গাজাবাসীর কাছে সেই অর্থকেই করে তুলেছে প্রাসঙ্গিক। বিষয়টি নিয়ে কবিতাও লিখেছেন আমেরিকান সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও মোটিভেশনাল স্পিকার নুর তাগুরি। কবিতাটি ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়:
আমাদেরই দরুন
আজ এই প্রভাতে জানলাম
‘গজ’ নামের ইংরেজি শব্দটি
অর্থ তার ক্ষতকে বাঁধবার বস্ত্র
আরও জানলাম সেই শব্দের নাড়ি।
এসেছে নাকি ‘গাজা’ থেকে
সঙ্গে তার সেই নগরীর
বুনন শিল্পের ইতিহাস।
হয়ে গেলাম নির্বাক।
এখন নিজেকেই করি প্রশ্ন,
তাদের (ইসরায়েল) দরুন
আমাদের কতজনের ক্ষত
করতে হয়েছে বাঁধাই!
আমাদের (ফিলিস্তিন) দরুন
তাদের কতজনের ক্ষত
রয়েছে বিনা শুশ্রূষায়!
নুর তাগুরির এই কবিতা ফেসবুকে ১৫ হাজারের অধিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং ১৩ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। কিন্তু আর কতদিন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চের নেতারা (নাকি অভিনেতা!) বাস্তবেই মানবিক হবেন ফিলিস্তিনের নিরপরাধ নারী–শিশুদের প্রতি। যখন আমরা আর শুনব না কোনো ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় শিশুর মৃত্যুর খবর। আর কত শিশু প্রাণ হারালে গাজাবাসীর জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে গাজা শব্দের অর্থ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৯ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
১৪ নভেম্বর ২০২৩
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
১৪ নভেম্বর ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৯ ঘণ্টা আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
১৪ নভেম্বর ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৯ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের প্রয়োজনে হাজারো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সেসব শব্দের জন্ম ও সামাজিক–রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। নিত্যদিন ব্যবহার্য কয়টি শব্দের বিবর্তনের ইতিহাসই বা আমরা জানি!
১৪ নভেম্বর ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৯ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে