বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকা: প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
ইচ্ছে করেই বেশি সাক্ষাৎকার দেই না
আলমগীর, চিত্রনায়ক
আমাকে সিনেমায় এনেছিলেন প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম। ১৯৭২ সালের ঘটনা। কুমকুম ভাই আমাকে ‘চিত্রালী’ অফিসে নিয়ে যান। তখন ‘চিত্রালী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ ভাই। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি আমাকে পাঠালেন সহসম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরীর কাছে। আমরা যাঁকে বলতাম আজাচৌ। তিনি আমার সাক্ষাৎকার নিলেন।
দুই-তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কিন্তু ছাপা তো হয় না। অবশেষে একদিন ছাপার অক্ষরে আমার নাম এল। শিরোনাম ছিল–‘আমি আলমগীর জয়যাত্রার পথে নেমেছি’। আরো অনেক দিন পর আজাচৌর সঙ্গে এফডিসিতে একদিন অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। সেই আড্ডার পরে লিখলেন–‘আলমগীরের জয়যাত্রা অব্যাহত আছে’।
পুরো অভিনয়জীবনে আমি খুব বেশি সাক্ষাৎকার দিইনি। মনে হতো দর্শক আমার সম্পর্কে যত জানবে, তাদের প্রত্যাশা তত বেড়ে যাবে। সবার প্রত্যাশা পূরণ করার ক্ষমতা আমার নেই।
পড়াশোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম
সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী
পত্রিকায় আমাকে নিয়ে প্রথম লেখা হয়েছিল সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য়। সম্পাদক ছিলেন কবি শামসুর রাহমান। ১৯৭৫ সালের ঘটনা। আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় ‘বরফ গলা নদী’ করেছিলাম। ‘বিচিত্রা’য় সেটা নিয়ে লেখা বেরিয়েছিল। শিরোনাম ছিল–‘আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন’।
খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এর পরদিন কী যেন পরীক্ষা ছিল। ওটা নিয়ে যে একটু মাতামাতি করব, পড়াশোনার চাপে তা পারছিলাম না। বাবা-মা বারবার পড়তে বসতে বলছিলেন। আমি তো তখন ছোট। অভিনয় করলেও পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম।

প্রথম খবরটা ছোট করে এসেছিল
মিশা সওদাগর, খল অভিনেতা
ততদিনে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু পত্রিকা বা পোস্টার—কোথাও আমার ছবি আসেনি। ১৯৯৪ সালের দিকের ঘটনা। একদিন নরেশ ভুঁইয়া আমাকে ফোন করলেন, ‘তুই কোথায়?’ বললাম, আমি তো এফডিসিতে শুটিং করছি। উনি বললেন, ‘তোর একটা নিউজ করব। তুই কি অফিসে আসবি, নাকি আমি আসব?’ ওই সময় ‘চিত্রালী’তে কোনো শিল্পীর সাক্ষাৎকার আসা বেশ বড় প্রাপ্তি ছিল।
বললাম, ‘আজ শুটিং শেষ করে কালকেই যাব।’ কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, ওই রাতে আমার ঘুম হয়নি। কীভাবে প্রশ্ন করবে, উত্তরটা কত সুন্দরভাবে দিতে পারি, সারা রাত মনে মনে সেই মহড়া করেছি। নিউজটা ছোট করে এসেছিল। নতুন প্রতিভাবান ছেলে–এই ধরনের কিছু লেখা। আর টুকিটাকি কাজের খবর।

পত্রিকা কিনে সবাইকে দেখালাম
তৌকীর আহমেদ, অভিনেতা ও নির্মাতা
পত্রিকায় আমার প্রথম ছবি এসেছিল ১৯৮৮ সালে। তখন ‘বিচিত্রা’য় বর্ষসংখ্যা বের হতো, যেখানে মঞ্চে আলোচিত ১০ জনের ছবি ছাপা হবে। সে বছর আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘তোমরাই’ নাটকটি খুব আলোচিত হয়েছিল।
১০ জনের মধ্যে আমার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হলো। ছবি তোলা হলো। কিন্তু কবে ছাপা হবে তা তো জানি না। প্রতিদিন ফার্মগেটে পত্রিকার দোকানে তন্নতন্ন করে খুঁজতাম। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর একদিন ওটা প্রকাশিত হলো।
পত্রিকা কিনে বাড়ির সবাইকে দেখালাম। মানে, আমি পাস। রেজাল্ট নিয়ে গিয়েছি এমন একটা অবস্থা! জানি না, এখন যারা নতুন, তাদের কাছে এই ব্যাপারটা এত রোমাঞ্চকর কি না।

পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখেছিলেন বাবা-মা
তারিন জাহান, অভিনেত্রী
১৯৮৪ সালে পত্রিকায় প্রথম আমার নাম আসে। আমি তখন কুমিল্লায়। একটা নাচের অনুষ্ঠান করেছিলাম। তখন ‘ইত্তেফাক’–এ আমার সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছিল। সঙ্গে চার-পাঁচ লাইনের ছোট্ট লেখা। পত্রিকার কাটিং এখনো আমার কাছে আছে। আমি তো তখন ছোট ছিলাম। এটা যে রেখে দিতে হবে, এমনটা তো একদমই মাথায় ছিল না। পরিবার থেকেই বিশেষ করে বাবা-মা পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনো আমার কাছে আছে।

পত্রিকার ফটোশুট কিভাবে করতে হয় সেবারই প্রথম জেনেছি
জয়া আহসান, অভিনেত্রী
‘আনন্দভুবন’ ম্যাগাজিনে প্রথম নিজেকে দেখতে পাই। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। পত্রিকায় কাভার পেজে এসেছিলাম। তখন আমি ওভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুও করিনি। ফটোশুট কী, কীভাবে সাজতে হয়, কীভাবে মেকআপ করতে হয়–কিছুই জানি না।
কীভাবে কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে হয়, সেটা ওই প্রথম অনেকটা শিখেছি। ওই সময় পত্রিকায় নিজের ছবি আসা মানে অস্কার পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা!

একজন বন্ধু আর আমার ছবি বড় করে ছাপা হয়েছিল
তাহসান রহমান খান, সংগীতশিল্পী
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় পত্রিকায় প্রথম আমার ছবি আসে। তখন এসএসসি পরীক্ষায় ছিল বোর্ডস্ট্যান্ড সিস্টেম। আমার বড় ভাই রিশান সারা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। যাঁরা প্রথম হতেন, পুরো পরিবারসহ পত্রিকায় তাদের ছবি আসত। সেই সুবাধে ছবিতে আমি ছিলাম।
তবে নিজের কাজ দিয়ে প্রথম পত্রিকার পাতায় আসি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে গান গাইতাম। একবার আমার আর আমার এক বন্ধুর ছবি পত্রিকায় বড় করে এসেছিল। মনে আছে, পরদিন যখন স্কুলে যাই, বন্ধুরা পেপার কেটে ক্লাসে টানিয়ে রেখেছিল।

ঢাকা: প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
ইচ্ছে করেই বেশি সাক্ষাৎকার দেই না
আলমগীর, চিত্রনায়ক
আমাকে সিনেমায় এনেছিলেন প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম। ১৯৭২ সালের ঘটনা। কুমকুম ভাই আমাকে ‘চিত্রালী’ অফিসে নিয়ে যান। তখন ‘চিত্রালী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ ভাই। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি আমাকে পাঠালেন সহসম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরীর কাছে। আমরা যাঁকে বলতাম আজাচৌ। তিনি আমার সাক্ষাৎকার নিলেন।
দুই-তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কিন্তু ছাপা তো হয় না। অবশেষে একদিন ছাপার অক্ষরে আমার নাম এল। শিরোনাম ছিল–‘আমি আলমগীর জয়যাত্রার পথে নেমেছি’। আরো অনেক দিন পর আজাচৌর সঙ্গে এফডিসিতে একদিন অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। সেই আড্ডার পরে লিখলেন–‘আলমগীরের জয়যাত্রা অব্যাহত আছে’।
পুরো অভিনয়জীবনে আমি খুব বেশি সাক্ষাৎকার দিইনি। মনে হতো দর্শক আমার সম্পর্কে যত জানবে, তাদের প্রত্যাশা তত বেড়ে যাবে। সবার প্রত্যাশা পূরণ করার ক্ষমতা আমার নেই।
পড়াশোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম
সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী
পত্রিকায় আমাকে নিয়ে প্রথম লেখা হয়েছিল সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য়। সম্পাদক ছিলেন কবি শামসুর রাহমান। ১৯৭৫ সালের ঘটনা। আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় ‘বরফ গলা নদী’ করেছিলাম। ‘বিচিত্রা’য় সেটা নিয়ে লেখা বেরিয়েছিল। শিরোনাম ছিল–‘আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন’।
খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এর পরদিন কী যেন পরীক্ষা ছিল। ওটা নিয়ে যে একটু মাতামাতি করব, পড়াশোনার চাপে তা পারছিলাম না। বাবা-মা বারবার পড়তে বসতে বলছিলেন। আমি তো তখন ছোট। অভিনয় করলেও পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম।

প্রথম খবরটা ছোট করে এসেছিল
মিশা সওদাগর, খল অভিনেতা
ততদিনে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু পত্রিকা বা পোস্টার—কোথাও আমার ছবি আসেনি। ১৯৯৪ সালের দিকের ঘটনা। একদিন নরেশ ভুঁইয়া আমাকে ফোন করলেন, ‘তুই কোথায়?’ বললাম, আমি তো এফডিসিতে শুটিং করছি। উনি বললেন, ‘তোর একটা নিউজ করব। তুই কি অফিসে আসবি, নাকি আমি আসব?’ ওই সময় ‘চিত্রালী’তে কোনো শিল্পীর সাক্ষাৎকার আসা বেশ বড় প্রাপ্তি ছিল।
বললাম, ‘আজ শুটিং শেষ করে কালকেই যাব।’ কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, ওই রাতে আমার ঘুম হয়নি। কীভাবে প্রশ্ন করবে, উত্তরটা কত সুন্দরভাবে দিতে পারি, সারা রাত মনে মনে সেই মহড়া করেছি। নিউজটা ছোট করে এসেছিল। নতুন প্রতিভাবান ছেলে–এই ধরনের কিছু লেখা। আর টুকিটাকি কাজের খবর।

পত্রিকা কিনে সবাইকে দেখালাম
তৌকীর আহমেদ, অভিনেতা ও নির্মাতা
পত্রিকায় আমার প্রথম ছবি এসেছিল ১৯৮৮ সালে। তখন ‘বিচিত্রা’য় বর্ষসংখ্যা বের হতো, যেখানে মঞ্চে আলোচিত ১০ জনের ছবি ছাপা হবে। সে বছর আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘তোমরাই’ নাটকটি খুব আলোচিত হয়েছিল।
১০ জনের মধ্যে আমার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হলো। ছবি তোলা হলো। কিন্তু কবে ছাপা হবে তা তো জানি না। প্রতিদিন ফার্মগেটে পত্রিকার দোকানে তন্নতন্ন করে খুঁজতাম। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর একদিন ওটা প্রকাশিত হলো।
পত্রিকা কিনে বাড়ির সবাইকে দেখালাম। মানে, আমি পাস। রেজাল্ট নিয়ে গিয়েছি এমন একটা অবস্থা! জানি না, এখন যারা নতুন, তাদের কাছে এই ব্যাপারটা এত রোমাঞ্চকর কি না।

পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখেছিলেন বাবা-মা
তারিন জাহান, অভিনেত্রী
১৯৮৪ সালে পত্রিকায় প্রথম আমার নাম আসে। আমি তখন কুমিল্লায়। একটা নাচের অনুষ্ঠান করেছিলাম। তখন ‘ইত্তেফাক’–এ আমার সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছিল। সঙ্গে চার-পাঁচ লাইনের ছোট্ট লেখা। পত্রিকার কাটিং এখনো আমার কাছে আছে। আমি তো তখন ছোট ছিলাম। এটা যে রেখে দিতে হবে, এমনটা তো একদমই মাথায় ছিল না। পরিবার থেকেই বিশেষ করে বাবা-মা পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনো আমার কাছে আছে।

পত্রিকার ফটোশুট কিভাবে করতে হয় সেবারই প্রথম জেনেছি
জয়া আহসান, অভিনেত্রী
‘আনন্দভুবন’ ম্যাগাজিনে প্রথম নিজেকে দেখতে পাই। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। পত্রিকায় কাভার পেজে এসেছিলাম। তখন আমি ওভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুও করিনি। ফটোশুট কী, কীভাবে সাজতে হয়, কীভাবে মেকআপ করতে হয়–কিছুই জানি না।
কীভাবে কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে হয়, সেটা ওই প্রথম অনেকটা শিখেছি। ওই সময় পত্রিকায় নিজের ছবি আসা মানে অস্কার পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা!

একজন বন্ধু আর আমার ছবি বড় করে ছাপা হয়েছিল
তাহসান রহমান খান, সংগীতশিল্পী
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় পত্রিকায় প্রথম আমার ছবি আসে। তখন এসএসসি পরীক্ষায় ছিল বোর্ডস্ট্যান্ড সিস্টেম। আমার বড় ভাই রিশান সারা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। যাঁরা প্রথম হতেন, পুরো পরিবারসহ পত্রিকায় তাদের ছবি আসত। সেই সুবাধে ছবিতে আমি ছিলাম।
তবে নিজের কাজ দিয়ে প্রথম পত্রিকার পাতায় আসি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে গান গাইতাম। একবার আমার আর আমার এক বন্ধুর ছবি পত্রিকায় বড় করে এসেছিল। মনে আছে, পরদিন যখন স্কুলে যাই, বন্ধুরা পেপার কেটে ক্লাসে টানিয়ে রেখেছিল।
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকা: প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
ইচ্ছে করেই বেশি সাক্ষাৎকার দেই না
আলমগীর, চিত্রনায়ক
আমাকে সিনেমায় এনেছিলেন প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম। ১৯৭২ সালের ঘটনা। কুমকুম ভাই আমাকে ‘চিত্রালী’ অফিসে নিয়ে যান। তখন ‘চিত্রালী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ ভাই। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি আমাকে পাঠালেন সহসম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরীর কাছে। আমরা যাঁকে বলতাম আজাচৌ। তিনি আমার সাক্ষাৎকার নিলেন।
দুই-তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কিন্তু ছাপা তো হয় না। অবশেষে একদিন ছাপার অক্ষরে আমার নাম এল। শিরোনাম ছিল–‘আমি আলমগীর জয়যাত্রার পথে নেমেছি’। আরো অনেক দিন পর আজাচৌর সঙ্গে এফডিসিতে একদিন অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। সেই আড্ডার পরে লিখলেন–‘আলমগীরের জয়যাত্রা অব্যাহত আছে’।
পুরো অভিনয়জীবনে আমি খুব বেশি সাক্ষাৎকার দিইনি। মনে হতো দর্শক আমার সম্পর্কে যত জানবে, তাদের প্রত্যাশা তত বেড়ে যাবে। সবার প্রত্যাশা পূরণ করার ক্ষমতা আমার নেই।
পড়াশোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম
সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী
পত্রিকায় আমাকে নিয়ে প্রথম লেখা হয়েছিল সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য়। সম্পাদক ছিলেন কবি শামসুর রাহমান। ১৯৭৫ সালের ঘটনা। আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় ‘বরফ গলা নদী’ করেছিলাম। ‘বিচিত্রা’য় সেটা নিয়ে লেখা বেরিয়েছিল। শিরোনাম ছিল–‘আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন’।
খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এর পরদিন কী যেন পরীক্ষা ছিল। ওটা নিয়ে যে একটু মাতামাতি করব, পড়াশোনার চাপে তা পারছিলাম না। বাবা-মা বারবার পড়তে বসতে বলছিলেন। আমি তো তখন ছোট। অভিনয় করলেও পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম।

প্রথম খবরটা ছোট করে এসেছিল
মিশা সওদাগর, খল অভিনেতা
ততদিনে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু পত্রিকা বা পোস্টার—কোথাও আমার ছবি আসেনি। ১৯৯৪ সালের দিকের ঘটনা। একদিন নরেশ ভুঁইয়া আমাকে ফোন করলেন, ‘তুই কোথায়?’ বললাম, আমি তো এফডিসিতে শুটিং করছি। উনি বললেন, ‘তোর একটা নিউজ করব। তুই কি অফিসে আসবি, নাকি আমি আসব?’ ওই সময় ‘চিত্রালী’তে কোনো শিল্পীর সাক্ষাৎকার আসা বেশ বড় প্রাপ্তি ছিল।
বললাম, ‘আজ শুটিং শেষ করে কালকেই যাব।’ কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, ওই রাতে আমার ঘুম হয়নি। কীভাবে প্রশ্ন করবে, উত্তরটা কত সুন্দরভাবে দিতে পারি, সারা রাত মনে মনে সেই মহড়া করেছি। নিউজটা ছোট করে এসেছিল। নতুন প্রতিভাবান ছেলে–এই ধরনের কিছু লেখা। আর টুকিটাকি কাজের খবর।

পত্রিকা কিনে সবাইকে দেখালাম
তৌকীর আহমেদ, অভিনেতা ও নির্মাতা
পত্রিকায় আমার প্রথম ছবি এসেছিল ১৯৮৮ সালে। তখন ‘বিচিত্রা’য় বর্ষসংখ্যা বের হতো, যেখানে মঞ্চে আলোচিত ১০ জনের ছবি ছাপা হবে। সে বছর আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘তোমরাই’ নাটকটি খুব আলোচিত হয়েছিল।
১০ জনের মধ্যে আমার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হলো। ছবি তোলা হলো। কিন্তু কবে ছাপা হবে তা তো জানি না। প্রতিদিন ফার্মগেটে পত্রিকার দোকানে তন্নতন্ন করে খুঁজতাম। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর একদিন ওটা প্রকাশিত হলো।
পত্রিকা কিনে বাড়ির সবাইকে দেখালাম। মানে, আমি পাস। রেজাল্ট নিয়ে গিয়েছি এমন একটা অবস্থা! জানি না, এখন যারা নতুন, তাদের কাছে এই ব্যাপারটা এত রোমাঞ্চকর কি না।

পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখেছিলেন বাবা-মা
তারিন জাহান, অভিনেত্রী
১৯৮৪ সালে পত্রিকায় প্রথম আমার নাম আসে। আমি তখন কুমিল্লায়। একটা নাচের অনুষ্ঠান করেছিলাম। তখন ‘ইত্তেফাক’–এ আমার সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছিল। সঙ্গে চার-পাঁচ লাইনের ছোট্ট লেখা। পত্রিকার কাটিং এখনো আমার কাছে আছে। আমি তো তখন ছোট ছিলাম। এটা যে রেখে দিতে হবে, এমনটা তো একদমই মাথায় ছিল না। পরিবার থেকেই বিশেষ করে বাবা-মা পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনো আমার কাছে আছে।

পত্রিকার ফটোশুট কিভাবে করতে হয় সেবারই প্রথম জেনেছি
জয়া আহসান, অভিনেত্রী
‘আনন্দভুবন’ ম্যাগাজিনে প্রথম নিজেকে দেখতে পাই। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। পত্রিকায় কাভার পেজে এসেছিলাম। তখন আমি ওভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুও করিনি। ফটোশুট কী, কীভাবে সাজতে হয়, কীভাবে মেকআপ করতে হয়–কিছুই জানি না।
কীভাবে কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে হয়, সেটা ওই প্রথম অনেকটা শিখেছি। ওই সময় পত্রিকায় নিজের ছবি আসা মানে অস্কার পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা!

একজন বন্ধু আর আমার ছবি বড় করে ছাপা হয়েছিল
তাহসান রহমান খান, সংগীতশিল্পী
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় পত্রিকায় প্রথম আমার ছবি আসে। তখন এসএসসি পরীক্ষায় ছিল বোর্ডস্ট্যান্ড সিস্টেম। আমার বড় ভাই রিশান সারা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। যাঁরা প্রথম হতেন, পুরো পরিবারসহ পত্রিকায় তাদের ছবি আসত। সেই সুবাধে ছবিতে আমি ছিলাম।
তবে নিজের কাজ দিয়ে প্রথম পত্রিকার পাতায় আসি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে গান গাইতাম। একবার আমার আর আমার এক বন্ধুর ছবি পত্রিকায় বড় করে এসেছিল। মনে আছে, পরদিন যখন স্কুলে যাই, বন্ধুরা পেপার কেটে ক্লাসে টানিয়ে রেখেছিল।

ঢাকা: প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
ইচ্ছে করেই বেশি সাক্ষাৎকার দেই না
আলমগীর, চিত্রনায়ক
আমাকে সিনেমায় এনেছিলেন প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম। ১৯৭২ সালের ঘটনা। কুমকুম ভাই আমাকে ‘চিত্রালী’ অফিসে নিয়ে যান। তখন ‘চিত্রালী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ ভাই। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি আমাকে পাঠালেন সহসম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরীর কাছে। আমরা যাঁকে বলতাম আজাচৌ। তিনি আমার সাক্ষাৎকার নিলেন।
দুই-তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কিন্তু ছাপা তো হয় না। অবশেষে একদিন ছাপার অক্ষরে আমার নাম এল। শিরোনাম ছিল–‘আমি আলমগীর জয়যাত্রার পথে নেমেছি’। আরো অনেক দিন পর আজাচৌর সঙ্গে এফডিসিতে একদিন অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। সেই আড্ডার পরে লিখলেন–‘আলমগীরের জয়যাত্রা অব্যাহত আছে’।
পুরো অভিনয়জীবনে আমি খুব বেশি সাক্ষাৎকার দিইনি। মনে হতো দর্শক আমার সম্পর্কে যত জানবে, তাদের প্রত্যাশা তত বেড়ে যাবে। সবার প্রত্যাশা পূরণ করার ক্ষমতা আমার নেই।
পড়াশোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম
সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী
পত্রিকায় আমাকে নিয়ে প্রথম লেখা হয়েছিল সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য়। সম্পাদক ছিলেন কবি শামসুর রাহমান। ১৯৭৫ সালের ঘটনা। আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় ‘বরফ গলা নদী’ করেছিলাম। ‘বিচিত্রা’য় সেটা নিয়ে লেখা বেরিয়েছিল। শিরোনাম ছিল–‘আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন’।
খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এর পরদিন কী যেন পরীক্ষা ছিল। ওটা নিয়ে যে একটু মাতামাতি করব, পড়াশোনার চাপে তা পারছিলাম না। বাবা-মা বারবার পড়তে বসতে বলছিলেন। আমি তো তখন ছোট। অভিনয় করলেও পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম।

প্রথম খবরটা ছোট করে এসেছিল
মিশা সওদাগর, খল অভিনেতা
ততদিনে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু পত্রিকা বা পোস্টার—কোথাও আমার ছবি আসেনি। ১৯৯৪ সালের দিকের ঘটনা। একদিন নরেশ ভুঁইয়া আমাকে ফোন করলেন, ‘তুই কোথায়?’ বললাম, আমি তো এফডিসিতে শুটিং করছি। উনি বললেন, ‘তোর একটা নিউজ করব। তুই কি অফিসে আসবি, নাকি আমি আসব?’ ওই সময় ‘চিত্রালী’তে কোনো শিল্পীর সাক্ষাৎকার আসা বেশ বড় প্রাপ্তি ছিল।
বললাম, ‘আজ শুটিং শেষ করে কালকেই যাব।’ কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, ওই রাতে আমার ঘুম হয়নি। কীভাবে প্রশ্ন করবে, উত্তরটা কত সুন্দরভাবে দিতে পারি, সারা রাত মনে মনে সেই মহড়া করেছি। নিউজটা ছোট করে এসেছিল। নতুন প্রতিভাবান ছেলে–এই ধরনের কিছু লেখা। আর টুকিটাকি কাজের খবর।

পত্রিকা কিনে সবাইকে দেখালাম
তৌকীর আহমেদ, অভিনেতা ও নির্মাতা
পত্রিকায় আমার প্রথম ছবি এসেছিল ১৯৮৮ সালে। তখন ‘বিচিত্রা’য় বর্ষসংখ্যা বের হতো, যেখানে মঞ্চে আলোচিত ১০ জনের ছবি ছাপা হবে। সে বছর আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘তোমরাই’ নাটকটি খুব আলোচিত হয়েছিল।
১০ জনের মধ্যে আমার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হলো। ছবি তোলা হলো। কিন্তু কবে ছাপা হবে তা তো জানি না। প্রতিদিন ফার্মগেটে পত্রিকার দোকানে তন্নতন্ন করে খুঁজতাম। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর একদিন ওটা প্রকাশিত হলো।
পত্রিকা কিনে বাড়ির সবাইকে দেখালাম। মানে, আমি পাস। রেজাল্ট নিয়ে গিয়েছি এমন একটা অবস্থা! জানি না, এখন যারা নতুন, তাদের কাছে এই ব্যাপারটা এত রোমাঞ্চকর কি না।

পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখেছিলেন বাবা-মা
তারিন জাহান, অভিনেত্রী
১৯৮৪ সালে পত্রিকায় প্রথম আমার নাম আসে। আমি তখন কুমিল্লায়। একটা নাচের অনুষ্ঠান করেছিলাম। তখন ‘ইত্তেফাক’–এ আমার সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছিল। সঙ্গে চার-পাঁচ লাইনের ছোট্ট লেখা। পত্রিকার কাটিং এখনো আমার কাছে আছে। আমি তো তখন ছোট ছিলাম। এটা যে রেখে দিতে হবে, এমনটা তো একদমই মাথায় ছিল না। পরিবার থেকেই বিশেষ করে বাবা-মা পত্রিকার কাটিংটা যত্ন করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনো আমার কাছে আছে।

পত্রিকার ফটোশুট কিভাবে করতে হয় সেবারই প্রথম জেনেছি
জয়া আহসান, অভিনেত্রী
‘আনন্দভুবন’ ম্যাগাজিনে প্রথম নিজেকে দেখতে পাই। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। পত্রিকায় কাভার পেজে এসেছিলাম। তখন আমি ওভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুও করিনি। ফটোশুট কী, কীভাবে সাজতে হয়, কীভাবে মেকআপ করতে হয়–কিছুই জানি না।
কীভাবে কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে হয়, সেটা ওই প্রথম অনেকটা শিখেছি। ওই সময় পত্রিকায় নিজের ছবি আসা মানে অস্কার পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা!

একজন বন্ধু আর আমার ছবি বড় করে ছাপা হয়েছিল
তাহসান রহমান খান, সংগীতশিল্পী
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় পত্রিকায় প্রথম আমার ছবি আসে। তখন এসএসসি পরীক্ষায় ছিল বোর্ডস্ট্যান্ড সিস্টেম। আমার বড় ভাই রিশান সারা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। যাঁরা প্রথম হতেন, পুরো পরিবারসহ পত্রিকায় তাদের ছবি আসত। সেই সুবাধে ছবিতে আমি ছিলাম।
তবে নিজের কাজ দিয়ে প্রথম পত্রিকার পাতায় আসি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে গান গাইতাম। একবার আমার আর আমার এক বন্ধুর ছবি পত্রিকায় বড় করে এসেছিল। মনে আছে, পরদিন যখন স্কুলে যাই, বন্ধুরা পেপার কেটে ক্লাসে টানিয়ে রেখেছিল।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
২৮ জুন ২০২১
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
২৮ জুন ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
২৮ জুন ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

প্রথম যেদিন পত্রিকায় খবর হয়ে এলেন, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তারকাদের মনে জ্বলজ্বলে। প্রথম নাম, প্রথম ছবি—সেই উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি অনেকেই। কেউ আবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছেন দিনের পর দিন। তারকাদের সেই প্রথম খবরের গল্প নিয়ে এ আয়োজন।
২৮ জুন ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে