Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

খুব ভালো মুডে আছি

খুব ভালো মুডে আছি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও নেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বকাপের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে বাংলাদেশ দল চলে যাবে ওমানে। বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এখন আছেন ছুটিতে। এ অবসরে মাহমুদউল্লাহ সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন নিজের অধিনায়কত্ব, ব্যাটিং, সর্বশেষ সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।      

রানা আব্বাস
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৪

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আপনি। দুটি অর্জন কীভাবে দেখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বাংলাদেশের হয়ে ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে যে কটা ম্যাচ জিতেছি, পুরোটাই দলের কৃতিত্ব। দল ভালো করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। সেটা আমার অধিনায়কত্বে এসেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দল হিসেবে এই সংস্করণে আমাদের আরও ভালো কিছু করার বাকি। আশা করি, দল হিসেবে আরও ভালো কিছু অর্জন করব আমরা। আমাদের সব সময় এই সংস্করণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা কিংবা নির্ভার হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এটা আমরা সবাই জানি। দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। এটা ভাবতে আমার ভালো লাগে। 

প্রশ্ন: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধু আপৎকালীন দায়িত্বই পেয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের আগে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে (সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়)। গত দুই বছরে অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি কী ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে? 
মাহমুদউল্লাহ: সব সময়ই এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। বিশ্বাস করি, এই চ্যালেঞ্জ বা এই দায়িত্বটা আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দায়িত্ব আমি নিতেও পছন্দ করি। এটা একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। এটা ইতিবাচকভাবে নিই। এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি। 

প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ওপরে খেলে অনেক সফল হয়েছেন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিনিশিং ভূমিকাটাই কি আপনার জন্য যথার্থ হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আরেকভাবে বললে, চাপ নিয়ে খেলাই কি বেশি উপভোগ করেন? 
মাহমুদউল্লাহ: ওয়ানডেতে এর আগে চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছি। তার আগে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাটিং করতাম। সব সময়ই দলের জন্য খেলার চিন্তা করি। দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। প্রায়ই বলি, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি। আর যেকোনো খেলায় চাপ থাকবে। চাপ নিয়েই খেলতে হবে। সেভাবে আপনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরমার হতে চান। বাইরের বিষয়গুলো না ভেবে যদি নিজের খেলা বা প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী থাকেন বাকিগুলো এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: তীব্র চাপের মুহূর্তে আপনার সঙ্গে যখন একজন তরুণ খেলোয়াড় যেমন আফিফ-সোহান-শামীমের জুটি হয়, তখন তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কোন উপায়ে?
মাহমুদউল্লাহ: আফিফ (হোসেন) ও সোহান (নুরুল হাসান) ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্য রাখে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক ম্যাচে তাদের দেখেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বললে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোহান বেশ ভালোভাবে একটা ম্যাচ শেষ করেছে, যেখানে আমরা একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। আফিফেরও ফিনিশিং সামর্থ্য ভালো। শামীমেরও ম্যাচ শেষ করার ভালো সামর্থ্য আছে। চাপের মুখে আমরা স্নায়ুচাপ কীভাবে সামলাচ্ছি, সেটার ওপর এটা নির্ভর করছে। আমার মনে হয় ওরা ব্যাপারটা বোঝে। যখন আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করি ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও খুব ভালো হয়। দায়িত্বটা আমরা বুঝি এবং সেটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই। আর তখন ফিনিশিংয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়।

প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। ঘরের মাঠে দুটি জেতার পরও উইকেট-কন্ডিশন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে। এসব কীভাবে দেখছেন?  
মাহমুদউল্লাহ: আমরা এটা নিয়ে একবারেই বিচলিত নই। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো আছে। আমরা খুব ভালো মুডে আছি। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। যারা বিষয়গুলো নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাঁদের ইতিবাচক বিষয়গুলোও দেখা উচিত। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা প্রতিপক্ষের জন্যও কঠিন ছিল। ওদের জন্য কঠিন, আমাদের জন্য ব্যাটিংস্বর্গ ছিল, বিষয়টা তা নয়। এখানে আমাদের বোলিং বিভাগকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই কঠিন কন্ডিশনে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছি, সেটিরও কৃতিত্ব দিতে হবে। 

প্রশ্ন: আপনাদের কি এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল যে কোন কন্ডিশন-উইকেট খেলছি, সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় দলকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে আগে উন্নতি করতে হবে। আপনাকেই কিন্তু এই দুইটা সিরিজের আগে অনেকবার বলতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা ভালো দল, সেটা র‍্যাঙ্কিং প্রমাণ করে না!
মাহমুদউল্লাহ: আসলে র‍্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে মনোযোগী। দল জিতলে আমরা খুশি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকি, দল যদি জিততে থাকে, আমাদের উন্নতির গ্রাফ যদি ইতিবাচকভাবে ওপরের দিকে যেতে থাকে, র‍্যাঙ্কিংয়ের বাকি বিষয় এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাধারণত হাই স্কোরিং উইকেটে খেলা হয়। এ ধরনের উইকেটে লিটন-সৌম্যর মতো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলবে, আপনি কতটা আশাবাদী? আর তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার টুর্নামেন্টে কতটা মিস করবেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের ওপেনিংয়ে যারা আছে, তাদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভালো করতে যথেষ্ট সক্ষম। আশা করি, তারা বড় মঞ্চ দুর্দান্ত খেলবে। 

প্রশ্ন: ওমানে বাংলাদেশ আগে কখনো খেলেনি। যদিও সেখানে আপনারা টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন। তবু প্রথমবারের মতো ওমানের কন্ডিশনে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে? 
মাহমুদউল্লাহ: আমার মনে হয় ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশন প্রায় একই হবে। যদিও ওমানে আমরা খেলিনি। তবে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় অংশ যেহেতু সেখানে হবে, আমরা জানতে পারব কোন ধরনের উইকেটে সেখানে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলবে। আশা করি, ভালো ধারণা পাব, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সারতে পারি, সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারি, সেটা ভালো কাজে দেবে। আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টে যেতে পারব। 

প্রশ্ন: গত পরশু তামিম এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় বলছিলেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি যদি অধিনায়ক থাকেন, তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কি ঘোষণা দিয়ে যেতে চান এই বিশ্বকাপে? 
মাহমুদউল্লাহ: টি-টোয়েন্টিতে ওভাবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা কঠিন। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। একজন ব্যাটসম্যান যদি ৭০-৮০ রানের বড় স্কোর করে। একজন বোলার যদি কম রান দিয়ে ৪-৫ উইকেটের দুর্দান্ত একটা স্পেল করে, সঙ্গে দুই-একজন যদি ছোট অবদান রাখতে পারে, জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। যার যেদিন সুযোগ আসে, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক, নিশ্চিত করতে হবে সে যেন ওই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে। এই দায়িত্ববোধ সবার মধ্যেই থাকতে হবে। 

প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট মনে হয় কোন দলকে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার কাছে সবাইকেই ফেবারিট মনে হয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবে। এটা সময়ই বলে দেবে। 
 
প্রশ্ন: কখনো কখনো নানা ঘটনার ঘনঘটায় চারদিকে দলের অনেক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয় বাইরে। তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কোন উপায়ে স্বাভাবিক রাখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নিজেদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি। নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি। বাইরের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। বরং নিজেদের প্রক্রিয়াটা আমরা কীভাবে ধরে রাখতে পারি আর দল কী চাচ্ছে, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী। যাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আইসিসির সেরাদের তালিকায় তাইজুল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।

আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।

আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের

ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রোনালদোর ক্ষুধা কখনোই শেষ হওয়ার নয়’

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।  ছবি: এএফপি
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।

মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,

‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’

লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বীতশোক-ক্যাসপারদের লাতিন বাংলা সুপার কাপ দেখাবে না টিভিতে, দেখবেন কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৫
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।

ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। এই ম্যাচ দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও তা কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। এএফ বক্সিং প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাঁরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন

লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলা সরাসরি

ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

সকাল ১০টা

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস ১

নারী বিগ ব্যাশ

মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স

বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

ফুটবল খেলা সরাসরি

ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র

রাত ১১টা

সরাসরি

ফিফা+

বাংলাদেশ ফুটবল লিগ

ব্রাদার্স-বসুন্ধরা

বেলা ২টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুলারদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে তর সইছে না মেসির

ক্রীড়া ডেস্ক    
থমাস মুলারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আসেন লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি
থমাস মুলারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আসেন লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।

১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’

মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।

আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’

ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত