Ajker Patrika

গত দুই নির্বাচনে সক্রিয় ছিল ৫০টির বেশি নামসর্বস্ব ইসলামি দল

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
গত দুই নির্বাচনে সক্রিয় ছিল ৫০টির বেশি নামসর্বস্ব ইসলামি দল

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।

২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।

২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল। 
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’

প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’

 এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান

জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’

আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।

এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।

ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’

এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’

কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।

আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্য নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
আজ শুক্রবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ‍্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন‍্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ‍্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত‍্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ‍্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির তীব্র নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির তীব্র নিন্দা

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।

এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন‍্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত‍্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ‍্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব‍্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।

‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ‍্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।

‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।

‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন‍্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ‍্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’

বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:

১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।

২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।

৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।

৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।

৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!

৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।

১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।

১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পরিদর্শনে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।

ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ‍্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।

মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত