সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।
২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।
২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল।
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’
প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’
এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’
আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।
এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।
ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’
এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’
কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।
২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।
২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল।
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’
প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’
এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’
আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।
এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।
ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’
এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’
কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।
২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।
২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল।
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’
প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’
এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’
আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।
এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।
ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’
এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’
কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।
২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।
২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল।
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’
প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’
এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’
আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।
এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।
ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’
এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’
কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর শারীরিক অবস্থা যতটুকু ডিসক্লোজড (সাধারণকে জানানো) করা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা-ই করা হয়েছে। দেশবাসীকে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন—এই কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা পূর্বের যে অবস্থায় ছিল, তাই রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয় রয়েছে। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সময়ের ব্যবধান থাকায় সন্ধ্যাতেও তাঁদের সঙ্গে মিটিং হয়। এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। আমরা আশাবাদী—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর বয়স, দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং পরিকল্পিতভাবে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই—তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সর্বক্ষণ উপস্থিত রয়েছেন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব নেতা-কর্মী, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল উন্মুক্ত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমাদের নেতাকর্মীরাও কোনো বিঘ্ন ঘটাবেন না।’
ব্রিফিং শেষে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে—এটা বলতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর শারীরিক অবস্থা যতটুকু ডিসক্লোজড (সাধারণকে জানানো) করা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা-ই করা হয়েছে। দেশবাসীকে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন—এই কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা পূর্বের যে অবস্থায় ছিল, তাই রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয় রয়েছে। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সময়ের ব্যবধান থাকায় সন্ধ্যাতেও তাঁদের সঙ্গে মিটিং হয়। এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। আমরা আশাবাদী—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর বয়স, দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং পরিকল্পিতভাবে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই—তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সর্বক্ষণ উপস্থিত রয়েছেন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব নেতা-কর্মী, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল উন্মুক্ত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমাদের নেতাকর্মীরাও কোনো বিঘ্ন ঘটাবেন না।’
ব্রিফিং শেষে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে—এটা বলতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকে
২৬ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নিতেই ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমকে জানান, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বুধবার সকালে শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডন সফর শেষে শফিকুর রহমান সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। সৌদি আরব থেকে ২১ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাত্রা করেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নিতেই ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমকে জানান, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বুধবার সকালে শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডন সফর শেষে শফিকুর রহমান সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। সৌদি আরব থেকে ২১ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাত্রা করেন তিনি।

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকে
২৬ অক্টোবর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকে
২৬ অক্টোবর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকে
২৬ অক্টোবর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৫ ঘণ্টা আগে