Ajker Patrika

গত দুই নির্বাচনে সক্রিয় ছিল ৫০টির বেশি নামসর্বস্ব ইসলামি দল

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
গত দুই নির্বাচনে সক্রিয় ছিল ৫০টির বেশি নামসর্বস্ব ইসলামি দল

বিপুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভাব নেই। তবে সাংগঠনিক ভিত্তি ও জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো ধর্মীয় দলের সংখ্যা নগণ্য। দেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর তৎপরতা নির্বাচনের মৌসুমেই সীমাবদ্ধ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশ কয়েকটির নেতা ও কার্যালয়ের খোঁজ করতে গিয়ে এ প্রতিবেদককে সম্প্রতি নিরাশ হতে হয়েছে।

২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ৫০টির বেশি ইসলামপন্থী দল বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়েছিল। পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এদের অধিকাংশই আর্থিকসহ নানান সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যত একতরফা ভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হওয়া ইসলামপন্থী দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। নেই উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। অনেকের কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই। সাধারণত কিছু একক নেতার ওপর নির্ভরশীল দলগুলো। বছরের অন্য সময়ে কার্যক্রম না থাকলেও ভোটের আগে সুবিধা পেতে তৎপর হয়েছে।

২০১৮ সালে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫টি দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)। জোটটি আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল। 
মিছবাহুর রহমানের নিজের বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ছয়টি দল নিয়ে সরকারপন্থী ইসলামি জোট ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ এ যুক্ত হয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে লিবারেল ইসলামিক জোট গত ৭ আগস্ট মিছবাহুরকে বহিষ্কার করে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫ দলীয় আরেকটি জোট গঠিত হয়। প্রগতিশীল ইসলামী জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরাম ২০১৮ সালে গঠিত মোর্চা আইডিএরও সদস্য ছিল। দলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক বর্তমানে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান। নেজামে ইসলামও প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে। দলটির বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জোবায়ের হোসাইন নেজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের পাশেই তাঁদের প্রধান কার্যালয়। দলটির ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলেও জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জোবায়ের হোসাইন নেজামী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ এ নির্বাচন বর্জন করেছি। এখন অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা আছে।’

প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরেক শরিক ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই এখন। দলটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল বর্তমানে বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। ইসলামী ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। এই ব্যানারে সংগঠনটির সদস্যরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না চাওয়ায় বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট দলটি গঠন করা হয়েছে।’ নিজের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস বলতে...আগে কলাবাগান থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হতো, এখন আশুলিয়া থেকে হচ্ছে। দলের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৫টি জেলা কমিটি আছে।’

 এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে। মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল,বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান

জোটের অন্যান্য দল সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘এদের কার্যক্রম খুব একটা নেই। মাঠে-ময়দানে তেমন কিছু হচ্ছে না। অফিসে বসেই আলাপ-আলোচনা চলে।’

আইডিএ জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী ও মহাসচিব মো. আবুল কাশেম। কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে দলটির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭। ইসলামিক পার্টির সদস্যসংখ্যা জানতে চাইলে মহাসচিব মো. আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সদস্যসংখ্যা কত, তা এখন বলতে পারব না।’ দলের ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে বলে জানিয়েছেন কাশেম।

এই জোটের শরিক হাসরত খান ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যেও ছিল ৩৫টি ইসলামপন্থী দল। তার ৩৪টি ধর্মীয় দল ছিল ইসলামী মহাজোটের অধীনে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় জোটটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই জোটের নেতাদের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাকে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যুক্ত হওয়া ইসলামী মহাজোটে ছিল জমিয়তুল ওলামা পার্টি, গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনসহ প্রায় তিন ডজন দল। সম্প্রতি অনুসন্ধান করে এ জোটের অনেক দলেরই নেতা বা কার্যালয়ের সুলুকসন্ধান করা যায়নি।

ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে জাপা (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের যোগাযোগ ছিল। এসব দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো আসনের নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তাই তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে ছিল না। আমরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারিনি। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বা যোগাযোগ নেই। মাঝেমধ্যে এদের সঙ্গে হাই-হ্যালো হয় কেবল।’

এসব দল প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দলগুলো একেবারেই কিংস পার্টি। তাই আমরা কখনোই এদের সঙ্গে সংযোগ রাখিনি।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম তাঁর নিজ গবেষণার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রাজধানীতেই ধর্মীয় দল মিলিয়ে প্রায় ১৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন দলগুলোকে সঙ্গে রাখে। এদের সবার মধ্যে ইসলামের প্রকৃত চর্চা নেই, বরং সুবিধাবাদিতা আছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে বলে বিদেশিদের দেখানো যায়।’

কার্যত নিষ্ক্রিয় এসব দল সম্পর্কে অভিমত চাইলে নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব দলের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। শুধু নিবন্ধিত ১১টি ধর্মীয় দলের তথ্য আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আসিফ-মাহফুজকে ঘিরে এনসিপিতে নতুন সমীকরণ

  • জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আসতে পারেন মাহফুজ।
  • সদস্যসচিব পদমর্যাদা চান আসিফ মাহমুদ।
  • এ দুজন এলে বিএনপি-এনসিপির জোট হতে পারে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ০৫
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।

মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।

মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।

চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।

এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।

এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাক বাহিনীর হয়ে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ভালো করেই জানি: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।

ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’

আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানিরা নয়, ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫১
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’

ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’

জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিজয় দিবসে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত