নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
বিএনপির নেতারা গতকাল স্পষ্টই বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। নির্বাচনও বিলম্বিত হবে। সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে একই অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিক সমঝোতায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি; বরং তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। পরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার একমত। আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কয়েকটি সংগঠন। কয়েক শ বিক্ষোভকারীর মধ্যে একাংশ রাত আটটার দিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার উত্তেজনা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো কথা বলেনি। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছিল, রাষ্ট্রপতির সরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশে যেন নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করে যমুনা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বের হন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যু এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে হেলেন লাফেভের সাক্ষাতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন মাসে কমপক্ষে ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এখানে এসেছেন। এটা তো রুটিন মিটিংয়ের বিষয়। প্রতিটি মিটিং যখনই হয়, আমরা আপনাদের জানিয়েছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে—এটা জাতির কাম্য নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হওয়া—সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। সভাসূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে এখনই সাহাবুদ্দিনের অপসারণ না করার পক্ষে বিএনপি। সভায় এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকেও এমন মত এসেছে; যা তাঁরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্ন এ মুহূর্তে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
তবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন কথা বলতে পারব না। আমরা (ট্রাইব্যুনালের) কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। খুব ভালোভাবে কাজ এগোচ্ছে।’
সূত্র বলেছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল অনানুষ্ঠানিক আলাপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যেহেতু সংবিধানের মধ্যে থাকতে চাইছে, সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কোনো হইচই না করাই ভালো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোবে, এটাকে আমরা প্রধান অ্যাজেন্ডা মনে করি। পদত্যাগ করা না করা, এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বক্তব্য (বঙ্গভবনের ব্যাখ্যা) দিয়েছেন, তাতে এই আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৬ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও এ নিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। সূত্র বলেছে, এই ইস্যুতে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে