Ajker Patrika

লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৩০
লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের

মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের সকালেই যে ধুঁকছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে শান্তরা বড্ড কেকায়দায় পড়েছেন।

টেস্ট শুরুর প্রথম সকালেই চোখের ফলক ফেলতে না ফেলতে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে। একপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় আগলে রাখলেও অন্যান্য সতীর্থরা ব্যস্ত আসা-যাওয়ার মিছিলে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক থেকে শুরু করে অধিনায়ক শান্ত-লাঞ্চ বিরতির আগে সবাই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ২৬.১ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির আগ মুহূর্তে স্বাগতিকেরা হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট।

দলীয় ৬ রানে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে উইয়ান মুল্ডারের অনেক বাইরের বল চেজ করতে যান সাদমান ইসলাম। আউটসাইড এজ হওয়া বল সেকেন্ড স্লিপে ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। টেস্টে এই নিয়ে চতুর্থবার শূন্য রানে আউট হলেন সাদমান।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশকে মুহূর্তেই ৩ উইকেটে ২১ রানে পরিণত করেন মুল্ডার।  মুমিনুল (৪), শান্ত (৭)-দুই ব্যাটারকেই ফেরান মুল্ডার। মুমিনুলের আউটের না হয় একটা ধরন আছে। ইনসুইঙ্গার ডেলিভারি মুমিনুল ডিফেন্স করতে গেলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে তালুবন্দী হয়েছেন। তবে দলের বিপদের মুহূর্তে শান্ত নিজের উইকেটটা বিলিয়ে এসেছেন। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে মুল্ডারকে লেগ সাইডে ঘোরাতে যান। বটম এজ হওয়া বল মিড অফে তালুবন্দী করেন কেশব মহারাজ। 

একপ্রান্তে আগলে খেলতে থাকা জয়ের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম এগোতে থাকেন সাবলীলভাবেই। চতুর্থ উইকেটে জয়-শান্ত জুটি বেঁধে খেলেছেন ৪৯ বল। তবে যোগ করেছেন ১৯ রান। ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে কী করবেন বুঝতে না পারেননি মুশফিক। কাগিসো রাবাদার ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুশফিক। ২০ বলে ২ চারে মুশি করেন ১১ রান। টেস্টে এটা রাবাদার ৩০০তম উইকেট। মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসার প্রতীক লিটন দাসকেও দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ দেখান রাবাদা। ২০তম ওভারের প্রথম বলে গালি থেকে বাঁ দিকে উড়ে বাজপাখির মতো লুফে নেন ত্রিস্তান স্টাবস। ১৩ বল খেলে লিটন করেন ১ রান। 

৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর স্বাভাবিক গতিতে এগোতে থাকে জয় ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিংয়ে। মনে হচ্ছিল লাঞ্চের আগে নির্বিঘ্নে এই ৫ উইকেটেই কাটিয়ে দেবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আর হলে তো! ২৭তম ওভারের প্রথম বলে কেশব মহারাজের আর্ম বল সোজা মিরাজের পায়ে আঘাত হানে। আম্পায়ার দ্রুত আউট ঘোষণা করেন। মিরাজ রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে পারেননি। উল্টো রিভিউ নষ্ট করেছেন। ওপেনার জয় ৮৬ বলে ১৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কী হবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ, সকালে বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। অবশেষে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় এই ম্যাচ। এদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনাল এখনো শুরুই হয়নি।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে ভারত উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭ ওভারে ২ উইকেটে ২৬ রান করেছে। অধিনায়ক তামিম করেছেন ১ রান। কালাম সিদ্দিকী ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত