
দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৫ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত সহিংসতা) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত সহিংসতা) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৫ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৫ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে