নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মতিয়া চৌধুরীর মামা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ এখন এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, তাঁকে আগামীকাল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাঁকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া।
১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার আগে ১৯৯৬ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথম কোনো সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আসা মতিয়া গত শতকের ষাটের দশকে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তখন ডাকসুর জিএসের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
একসময়ের বামপন্থী ছাত্রনেতা পরে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে মারা যান।

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মতিয়া চৌধুরীর মামা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ এখন এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, তাঁকে আগামীকাল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাঁকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া।
১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার আগে ১৯৯৬ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথম কোনো সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আসা মতিয়া গত শতকের ষাটের দশকে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তখন ডাকসুর জিএসের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
একসময়ের বামপন্থী ছাত্রনেতা পরে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে মারা যান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মতিয়া চৌধুরীর মামা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ এখন এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, তাঁকে আগামীকাল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাঁকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া।
১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার আগে ১৯৯৬ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথম কোনো সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আসা মতিয়া গত শতকের ষাটের দশকে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তখন ডাকসুর জিএসের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
একসময়ের বামপন্থী ছাত্রনেতা পরে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে মারা যান।

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মতিয়া চৌধুরীর মামা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ এখন এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, তাঁকে আগামীকাল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাঁকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া।
১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার আগে ১৯৯৬ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথম কোনো সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আসা মতিয়া গত শতকের ষাটের দশকে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তখন ডাকসুর জিএসের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
একসময়ের বামপন্থী ছাত্রনেতা পরে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে মারা যান।

১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন..
২১ মিনিট আগে
ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
৩৬ মিনিট আগে
এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
দেশে ফিরতে তারেক রহমান ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন যেন বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যেভাবে, যা কিছু দৃষ্টান্ত হয়েছে, তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও যেন সে রকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয়। সেভাবে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আমাদের সব আয়োজন হচ্ছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করে। এ সময় তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল, তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামছুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারেক রহমানের নিরাপদ আগমন, বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যাত্রী ও জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রেখে অভ্যর্থনা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে আজ বিকেলে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে বিমানবন্দরে যেখানে তারেক রহমান অবতরণ করবেন, সে জায়গা, কোথা থেকে গাড়িতে উঠবেন এবং সব রাস্তা পরিদর্শন করেছি।’
সালাউদ্দিন জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মাকে দেখতে যেতে পারেন। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছাকাছি উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন করেছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এই আবেদন দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন তারেক রহমান। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতার ঢাকায় আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বিভিন্ন রুটে রেলগাড়ি রিজার্ভ করার উদ্যোগ নিতে চায় বিএনপি।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করা হবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যে সাতটি রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন বিএনপি করেছে, সেগুলো হচ্ছে কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা।

১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
দেশে ফিরতে তারেক রহমান ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন যেন বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যেভাবে, যা কিছু দৃষ্টান্ত হয়েছে, তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও যেন সে রকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয়। সেভাবে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আমাদের সব আয়োজন হচ্ছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করে। এ সময় তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল, তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামছুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারেক রহমানের নিরাপদ আগমন, বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যাত্রী ও জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রেখে অভ্যর্থনা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে আজ বিকেলে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে বিমানবন্দরে যেখানে তারেক রহমান অবতরণ করবেন, সে জায়গা, কোথা থেকে গাড়িতে উঠবেন এবং সব রাস্তা পরিদর্শন করেছি।’
সালাউদ্দিন জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মাকে দেখতে যেতে পারেন। তাই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছাকাছি উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন করেছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এই আবেদন দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন তারেক রহমান। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতার ঢাকায় আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বিভিন্ন রুটে রেলগাড়ি রিজার্ভ করার উদ্যোগ নিতে চায় বিএনপি।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করা হবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যে সাতটি রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন বিএনপি করেছে, সেগুলো হচ্ছে কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা।

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন..
২১ মিনিট আগে
ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
৩৬ মিনিট আগে
এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচন করাটা একটা বিরাট কাজ, যা ভালোভাবে করতে পারার কোনো গ্যারান্টি নেই। সরকার সমস্ত প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রবাসীদের ডাক আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে লিবিয়া ভিরগানাম জাওয়াইয়া, ত্রিপোলি কারাগারে বন্দী ২৬ জনের মুক্তির দাবিতে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির একটা বড় সমস্যা। আমি জানি না সম্ভবত সারা পৃথিবীতেই রাজনীতি এ রকম হয় কি না। রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি খুব চলে। বক্তৃতার সময় এত সব কথা বলা হয়, এত বড় বড় অঙ্গীকার করা হয়, বড় বড় স্বপ্ন দেখানো হয়—যা বাস্তবের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্কই নাই।’
লিবিয়াতে বন্দী পরিবারের সদস্যদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ও তাঁদের মুক্তির কথা টেনে এনে সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘এই আপনাদের মতো যারা আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন, আক্রান্ত পরিবার বা শোকাহত পরিবার তাদের মতো—এ রকম অনুষ্ঠান অনেক কিছু হচ্ছে। ’২৪-এর অভ্যুত্থানের একটা অন্যতম স্লোগান ছিল, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ করব। অথচ আমাদের চাকরির জীবনে কত যে বৈষম্য আছে। বেতনের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। বিচারের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। এগুলোকে কেউ আলাদা করে উনি (প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস) কোনো কাজ করেছে বলে আমরা জানিও না। এই দাবিগুলো আদায় করবার কাজে বর্তমান সরকারের কিছু করবে বলে মনে করেন আপনারা?’
বৈষম্য টেনে নির্বাচন করাটাও একটা বিরাট কাজ বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। কাল রাত থেকে খবর ভাসছে, হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন। রাতে কয়েকজন আমাকে ফোন করেছে। ও কি আসলে বেঁচে আছে? এ রকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলে লোকে বলছে।’
মান্না বলেন, ‘সামনের সম্ভাব্য ঘটনা সামাল দিতে পারবে সরকার? সরকার অযথা বলে সমস্ত প্রার্থীদের আমরা নিরাপত্তা দেব। আমি মাহমুদুর রহমান মান্না আমার একার নিরাপত্তা দিতে পারবে? তারা আমি গ্রামে যতগুলো জায়গায় যাব, যেতে হয় নির্বাচন করলে, সংগঠন করলে গ্রামে গ্রামে, আমার পেছনে পুলিশ ঘুরতে পারবে? আমার সিকিউরিটি কীভাবে হবে; আর ৩০০টা ক্যান্ডিডেট ৩০০টা আসন কতগুলো প্রার্থী হবে তাঁদের হিসাব করে কথা বলছেন কি?’
সরকার যদি সাপোর্ট শুধু উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না বলে মন্তব্য মান্নার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে চালুই আছে নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা হওয়ার পর দেশের সবকিছু চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। কথাটা ঠিক নাকি বলার জন্য বলা? আমি তো বাস্তবে দেখি এগুলো বলা হয়, কিন্তু এ রকম হয় না। সরকারের সাপোর্ট ছাড়া এগুলো কোনো কাজেই লাগে না। সরকার যদি সাপোর্ট জাস্ট উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না।’
মানব পাচারের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মানবের ব্যবসা, আদম ব্যবসা, মানব পাচার কিংবা হিউম্যান রিসোর্স যে রকম করে বলেন না কেন—এইখানে তো একটা ভয়াবহ দস্যুতা চলছে। প্রায় শুরু থেকে কোনো সরকার এটাকে মানবিক করবার চেষ্টা করেছেন? করেননি। আমরা কত বড় সংস্কারের আন্দোলন করলাম। ভূমধ্যসাগরের মধ্যে মানুষ ডুবে মারা যায়।’
বন্দী থেকে মুক্ত হতে চাওয়া পাঠানো এক চিঠির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই চিঠি পড়বার পরে কী মনে হয় আপনাদের? কোথায় সংস্কার করা দরকার আগে? আমরা মানুষকে মানুষই ভাবি না। আমাদের প্রশাসন ওদেরকে গরু-ছাগলের মতো মনে করে। মানে এমনিতেই তারা মানুষ খারাপ বলছি না। ওদের কোনো উপায়ও নাই। তারা (প্রশাসন) লিবিয়া পর্যন্ত হাত বাড়াতেই পারবে না। প্রফেসর ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সম্মানের কারণে অনেকে মনে করতেন যে তিনি হয়তো ম্যাজিক দেখিয়ে অনেক কিছু করতে পারবেন’, যদিও গত কয়েক বছরে তেমন কোনো ম্যাজিক দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অবৈধ প্রবাসীদের মুক্তির সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যার মূল কারণ হলো অনেক ব্যক্তিকে বৈধ পথে নেওয়া হয়নি এবং এজেন্টরা তাঁদের কোথাও রেজিস্টার করেনি, ফলে সরকার তাঁদের গ্যারান্টি দিতে পারে না। যদিও প্রফেসর ইউনূসের মতো মানুষের অনুরোধে কোনো দেশের সরকার হয়তো একবার বা দুবার সম্মান দেখাতে পারে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে অবৈধ কার্যক্রমের শিকার হওয়া লোকদের রক্ষা করা কঠিন।’
প্রবাসীদের ডাক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন লিবিয়া কারাগারে বন্দীদের স্বজনেরা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচন করাটা একটা বিরাট কাজ, যা ভালোভাবে করতে পারার কোনো গ্যারান্টি নেই। সরকার সমস্ত প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রবাসীদের ডাক আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে লিবিয়া ভিরগানাম জাওয়াইয়া, ত্রিপোলি কারাগারে বন্দী ২৬ জনের মুক্তির দাবিতে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির একটা বড় সমস্যা। আমি জানি না সম্ভবত সারা পৃথিবীতেই রাজনীতি এ রকম হয় কি না। রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি খুব চলে। বক্তৃতার সময় এত সব কথা বলা হয়, এত বড় বড় অঙ্গীকার করা হয়, বড় বড় স্বপ্ন দেখানো হয়—যা বাস্তবের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্কই নাই।’
লিবিয়াতে বন্দী পরিবারের সদস্যদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ও তাঁদের মুক্তির কথা টেনে এনে সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘এই আপনাদের মতো যারা আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন, আক্রান্ত পরিবার বা শোকাহত পরিবার তাদের মতো—এ রকম অনুষ্ঠান অনেক কিছু হচ্ছে। ’২৪-এর অভ্যুত্থানের একটা অন্যতম স্লোগান ছিল, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ করব। অথচ আমাদের চাকরির জীবনে কত যে বৈষম্য আছে। বেতনের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। বিচারের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। এগুলোকে কেউ আলাদা করে উনি (প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস) কোনো কাজ করেছে বলে আমরা জানিও না। এই দাবিগুলো আদায় করবার কাজে বর্তমান সরকারের কিছু করবে বলে মনে করেন আপনারা?’
বৈষম্য টেনে নির্বাচন করাটাও একটা বিরাট কাজ বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। কাল রাত থেকে খবর ভাসছে, হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন। রাতে কয়েকজন আমাকে ফোন করেছে। ও কি আসলে বেঁচে আছে? এ রকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলে লোকে বলছে।’
মান্না বলেন, ‘সামনের সম্ভাব্য ঘটনা সামাল দিতে পারবে সরকার? সরকার অযথা বলে সমস্ত প্রার্থীদের আমরা নিরাপত্তা দেব। আমি মাহমুদুর রহমান মান্না আমার একার নিরাপত্তা দিতে পারবে? তারা আমি গ্রামে যতগুলো জায়গায় যাব, যেতে হয় নির্বাচন করলে, সংগঠন করলে গ্রামে গ্রামে, আমার পেছনে পুলিশ ঘুরতে পারবে? আমার সিকিউরিটি কীভাবে হবে; আর ৩০০টা ক্যান্ডিডেট ৩০০টা আসন কতগুলো প্রার্থী হবে তাঁদের হিসাব করে কথা বলছেন কি?’
সরকার যদি সাপোর্ট শুধু উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না বলে মন্তব্য মান্নার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে চালুই আছে নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা হওয়ার পর দেশের সবকিছু চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। কথাটা ঠিক নাকি বলার জন্য বলা? আমি তো বাস্তবে দেখি এগুলো বলা হয়, কিন্তু এ রকম হয় না। সরকারের সাপোর্ট ছাড়া এগুলো কোনো কাজেই লাগে না। সরকার যদি সাপোর্ট জাস্ট উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না।’
মানব পাচারের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মানবের ব্যবসা, আদম ব্যবসা, মানব পাচার কিংবা হিউম্যান রিসোর্স যে রকম করে বলেন না কেন—এইখানে তো একটা ভয়াবহ দস্যুতা চলছে। প্রায় শুরু থেকে কোনো সরকার এটাকে মানবিক করবার চেষ্টা করেছেন? করেননি। আমরা কত বড় সংস্কারের আন্দোলন করলাম। ভূমধ্যসাগরের মধ্যে মানুষ ডুবে মারা যায়।’
বন্দী থেকে মুক্ত হতে চাওয়া পাঠানো এক চিঠির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই চিঠি পড়বার পরে কী মনে হয় আপনাদের? কোথায় সংস্কার করা দরকার আগে? আমরা মানুষকে মানুষই ভাবি না। আমাদের প্রশাসন ওদেরকে গরু-ছাগলের মতো মনে করে। মানে এমনিতেই তারা মানুষ খারাপ বলছি না। ওদের কোনো উপায়ও নাই। তারা (প্রশাসন) লিবিয়া পর্যন্ত হাত বাড়াতেই পারবে না। প্রফেসর ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সম্মানের কারণে অনেকে মনে করতেন যে তিনি হয়তো ম্যাজিক দেখিয়ে অনেক কিছু করতে পারবেন’, যদিও গত কয়েক বছরে তেমন কোনো ম্যাজিক দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অবৈধ প্রবাসীদের মুক্তির সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যার মূল কারণ হলো অনেক ব্যক্তিকে বৈধ পথে নেওয়া হয়নি এবং এজেন্টরা তাঁদের কোথাও রেজিস্টার করেনি, ফলে সরকার তাঁদের গ্যারান্টি দিতে পারে না। যদিও প্রফেসর ইউনূসের মতো মানুষের অনুরোধে কোনো দেশের সরকার হয়তো একবার বা দুবার সম্মান দেখাতে পারে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে অবৈধ কার্যক্রমের শিকার হওয়া লোকদের রক্ষা করা কঠিন।’
প্রবাসীদের ডাক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন লিবিয়া কারাগারে বন্দীদের স্বজনেরা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
৩৬ মিনিট আগে
এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর বর্বর হামলা এবং পরে হামলাকারীদের প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার খবরের ভিত্তিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের মনে যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি। এ প্রেক্ষাপটে জনপরিসরে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে, এই আলোচনার মধ্যে কারও কারও বক্তব্যে ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে যেসব মন্তব্য এসেছে, অনলাইন পরিসরে সেসব মন্তব্যের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে।’
মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আচরণ এবং ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ভূমিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা যেভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতিসত্বর তাদের বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘তবে এটাও অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যেকোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপসহীন। কোনো দেশের অখণ্ডতা নিয়ে বক্তব্যের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক আইন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমরা দৃঢ় অবস্থানে অবিচল থাকব।’

ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর বর্বর হামলা এবং পরে হামলাকারীদের প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার খবরের ভিত্তিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের মনে যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি। এ প্রেক্ষাপটে জনপরিসরে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে, এই আলোচনার মধ্যে কারও কারও বক্তব্যে ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে যেসব মন্তব্য এসেছে, অনলাইন পরিসরে সেসব মন্তব্যের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে।’
মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আচরণ এবং ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ভূমিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা যেভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতিসত্বর তাদের বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘তবে এটাও অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যেকোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপসহীন। কোনো দেশের অখণ্ডতা নিয়ে বক্তব্যের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক আইন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমরা দৃঢ় অবস্থানে অবিচল থাকব।’

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন..
২১ মিনিট আগে
এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সার্বিক খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘রুমী আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। উনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এনসিপিতে কাজ করতে এসেছিলেন। যেভাবে তাঁকে আমরা দেখতে পেয়েছি, এটাকে এনসিপির জায়গা থেকে, জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধার জায়গা থেকে আমরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা খবর পাই যে আমাদের সহযোদ্ধা রুমীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায়। হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে, রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ অন্যান্য যারা জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন, সবাইকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।’
এ সময় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের যারা সম্মুখসারির যোদ্ধা, যারা শহীদ পরিবার এবং যাঁরা আহত হয়েছেন, যাঁরা এই পুরো অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয় নাই।’
জুলাই সনদ ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেত্রী। নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে, তার সঠিক রোডম্যাপ নেই বলেও অভিযোগ জানান তিনি। সামান্তা বলেন, ‘জুলাই সনদ এবং সংস্কার নিয়ে দিনকে দিন আলাপ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় যখন পুরো দেশটাকে একটা এমন নির্বাচনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে নির্বাচনে কীভাবে পুলিশ বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে—সেটার কোনো সঠিক রোডম্যাপ (পথনির্দেশ) নাই।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল আজ সকালে জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সার্বিক খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘রুমী আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। উনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এনসিপিতে কাজ করতে এসেছিলেন। যেভাবে তাঁকে আমরা দেখতে পেয়েছি, এটাকে এনসিপির জায়গা থেকে, জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধার জায়গা থেকে আমরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা খবর পাই যে আমাদের সহযোদ্ধা রুমীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায়। হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে, রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ অন্যান্য যারা জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন, সবাইকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।’
এ সময় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের যারা সম্মুখসারির যোদ্ধা, যারা শহীদ পরিবার এবং যাঁরা আহত হয়েছেন, যাঁরা এই পুরো অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয় নাই।’
জুলাই সনদ ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেত্রী। নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে, তার সঠিক রোডম্যাপ নেই বলেও অভিযোগ জানান তিনি। সামান্তা বলেন, ‘জুলাই সনদ এবং সংস্কার নিয়ে দিনকে দিন আলাপ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় যখন পুরো দেশটাকে একটা এমন নির্বাচনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে নির্বাচনে কীভাবে পুলিশ বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে—সেটার কোনো সঠিক রোডম্যাপ (পথনির্দেশ) নাই।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল আজ সকালে জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর অবতরণের কথা রয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন..
২১ মিনিট আগে
ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
৩৬ মিনিট আগে