Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলা পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত: জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ০২
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলা পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত: জামায়াত

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলার ঘটনাকে পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির গাড়িবহরে হামলা ও প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত। আমি এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে ওই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তাঁদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। একই সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আহ্বান জানান জামায়াতের এই নেতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব দলের জন্য নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হয়নি: জি এম কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৯
ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জি এম কাদের। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জি এম কাদের। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কর্মকাণ্ডে নিজেরাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টি দেশের একটি বৃহৎ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলেও আমাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনার আহ্বান জানায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সব দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি হয় নাই এবং সারা দেশে সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় নাই বলে জাতীয় পার্টি মনে করে।’

বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমান।

ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার-ব্রাউন ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রেস ও তথ্য বিভাগের প্রধান ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বাইবা জারিনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জরিপে হতাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতে পারে: নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো কোনো দল হতাশ হয়ে ষড়যন্ত্র করতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রথম আলোর উদ্যোগের পরিচালিত একটি জরিপের উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। পার্থক্য হলো ৪৪ ভাগ। আর অন্যান্য যারা তারা তো অনেক অনেক কম আর কি? এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল তারা শতকরা এক ভাগও না আর কি? এর চেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু জনগণ তাদের মন স্থির করে ফেলেছে। তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা... এই এক দফার আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে: তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৬
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’

দুর্নীতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’

তিনি লিখেছেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির শাসনামলে হয়েছিল বলে পোস্টে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয় ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান।

তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি।’

তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।

বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:

১. শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।

২. স্বচ্ছ ক্রয়নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়—যা পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।

৩. উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।

৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।

তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।

আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:

১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।

২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।

৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।

৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০-৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।

৫. হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।

৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।

৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট: বাম-ডানের সমন্বয় ঘটিয়ে জোট বড় করার চেষ্টা

তানিম আহমেদ, ঢাকা অর্চি হক, ঢাকা 
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের সঙ্গী হতে পারে। আবার গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা পাঁচটি দলেরই এনসিপির জোটসঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলোচনা আছে।

এ বিষয়ে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের (এনসিপির নেতৃত্বাধীন জোট) সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের প্রতি শুভকামনা আছে। আলাপ-আলোচনা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো গণতন্ত্র মঞ্চটাকে রক্ষা করছি।’

‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গত রোববার। এনসিপি ছাড়া এই জোটের অন্য দুই দল হলো আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জোট ঘোষণার সময় এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আরও কয়েকটি দল এই জোটে যুক্ত হতে পারে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা জানিয়েছেন, জোটের ঘোষণাপত্র ও সংসদীয় আসনের প্রার্থিতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে জোটের কলেবর বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে। জোট গঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ (একাংশ) একাধিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংহতি আন্দোলনসহ দু-একটি দল বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বের হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে সম্মানজনক আসন সমঝোতা না হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্যসহ তিনটি দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ নতুন জোটে যোগ দিতে পারে।

জোটের এক নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও জামায়াতের নেতৃত্বে থাকা ৮ দলের জোটের বাইরে থাকা ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে আমরা বামপন্থী একাধিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করছি। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।’

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়, এমন কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। ইসলামপন্থী দু-একটি দলও এই আলোচনায় রয়েছে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা জোট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে এবং রাজনৈতিক পরিসরেও খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। গণতান্ত্রিক শক্তি এবং জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির যে দলগুলো আছে, তাদেরকে নিয়ে আমরা এই জোটটা নিয়ে আরও এগোতে চাই। তাদের অনেকের সঙ্গেই আগে থেকে কথা চলছিল এবং রেসপন্স বেশ ভালো।’

রাজনীতিসংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টার মধ্যে একজন চলতি সপ্তাহেই পদত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদ বা বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন। তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তার ওপরেও গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে নতুন করে কোন কোন দল যুক্ত হবে—সে বিষয়টি নির্ভর করছে।

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের একটি দলের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জোট গঠনের সঙ্গে নির্বাচনে কে কোন আসনে, কোন দলের প্রার্থী হবেন—সে বিষয়টিও জড়িত। তাই আমাদের জোটে নতুন করে কোন দল যুক্ত হবে, সেটা দেখতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত