জমির উদ্দিন

বছরের পর বছর লোকসান গুনছে রেল। অথচ দুই যুগের কিছু বেশি সময় আগেও এই খাত ছিল লাভজনক। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে বর্তমানে রেলের আয়ের চেয়ে ব্যয় আড়াই গুণের বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম কারণ দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয়। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং প্রায় সব ট্রেনে অর্ধেকের কম কোচ (বগি) নিয়ে চলাচলের কারণে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। অর্থাৎ শতভাগ কোচ নিয়ে যদি ট্রেন চলত এবং জনপ্রিয় রুটে যদি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ত, তাহলে অপারেটিং রেশিও কমে যেত। পাশাপাশি অপারেশন বাড়াতে হবে পণ্য পরিবহনে। এতে রেলের আয় বাড়বে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজনের (চট্টগ্রাম) সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে দুর্নীতি অনেকাংশে কম। তারা অতিরিক্ত ব্যয় খুব কমই করে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রকল্প মানেই লুটপাট আর অতিরিক্ত ব্যয়। এসব যত দিন না কমবে, তত দিন রেলে লাভ হবে না।
অপারেটিং রেশিও হলো একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়নের একটি পরিমাপ। অপারেটিং রেশিও যত কম হবে, আয় তত বাড়বে। এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ে মোট ব্যয়কে মোট আয় দিয়ে ভাগ করে নিরূপণ করা হয়। কোনো সংস্থা বা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কতটা দক্ষ, তা সহজে যাচাই করা যায় অপারেটিং রেশিওর মাধ্যমে। এই রেশিও যত বেশি হয়, প্রতিষ্ঠানের পরিচালন দক্ষতা তত দুর্বল হিসেবে গণ্য করা হয়।
রেলের লোকসানের চিত্র
ভারতীয় রেলে এক দশক ধরে অপারেটিং রেশিও ৯৫-৯৮ শতাংশের ঘরে। ফলে সে দেশে রেলওয়ে লাভজনক অবস্থায় আছে। বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৮ পয়সা। অন্যদিকে ২৪ বছর ধরে বাংলাদেশে রেলওয়ের অপারেটিং রেশিও বেড়েই চলছে। ফলে বাড়ছে লোকসান। বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে খরচ করতে হচ্ছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা।
রেলওয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে রেলের সবচেয়ে ভালো অপারেটিং রেশিও ছিল ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে, ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে প্রতি ১ টাকা আয় করতে রেলের ব্যয় হয়েছিল ৯৫ দশমিক ৯ পয়সা। এরপর থেকে রেলের অপারেটিং রেশিও কেবল বেড়েই চলেছে।রেলওয়ের গত ১৫ বছরে কী পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, তার একটি তালিকা পাওয়া গেছে। সেটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে রেলের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৮৯টি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। চলমান আছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার ৩২টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্প মিলিয়ে গত ১৫ বছরে রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে মোট ৮৭ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা।

রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছর সংস্থাটির অপারেটিং রেশিও ছিল ১৫৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে ১ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা। অপারেটিং রেশিও নিয়ে সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে দেখা যায়, ওই অর্থবছরে অপারেটিং রেশিও বেড়ে ২৫৮ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ এ সময়ে ১ টাকা আয় করতে ব্যয় হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় সব মিলিয়ে রেলের লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।
যে কারণে লোকসানে রেল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলকে যদি দুর্নীতিমুক্ত করা যায়, অপরিকল্পিত ব্যয় বন্ধ করা যায়, তাহলে লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ শূন্যের কোঠায় নামাতে হবে। শতভাগ কোচ নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে, জনপ্রিয় রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে মনোযোগী হতে হবে। তাহলে রেলকে আবার লাভজনক করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, পণ্য পরিবহন করে এক ট্রেনে যে পরিমাণ আয় হয়, দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েও তা হয় না। ১৯৯৯-৯৮ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ১২ শতাংশ রেলের মাধ্যমে পরিবহন হতো। এখন পণ্য পরিবহন হয় মাত্র ৩ শতাংশ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন সরকার এসেছে। সবাই এখন কাজ করছে। এখন আমাদের ব্যয় সংকোচনের দিকে নজর দিতে হবে। দেখেন, আয়ের সীমা কিন্তু সীমিত। যেমন একটি ট্রেন থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা আয় করতে পারবেন। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আমাদের এমন প্রকল্প হাতে নিতে হবে, যেন না করলেই নয়। তবেই রেল লোকসান থেকে বের হবে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন যেতে সময় লাগে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। কিন্তু একই দূরত্বে পণ্য পরিবহনে লেগে যায় দুদিন। পণ্য পরিবহনের সময় কমানো গেলে এই উৎস থেকে আয় বাড়ানো যেত। কয়েক বছর ধরে আয় বাড়াতে ম্যাংগো, ক্যাটল ও পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। এ তিন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। পার্সেল ট্রেনে নামমাত্র পণ্য পরিবহন হচ্ছে। অথচ ভারতে রেলওয়ে বছরে শুধু পণ্য পরিবহনে ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। লাভের বড় অংশ তারা ভর্তুকি দিচ্ছে যাত্রী পরিবহনে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওমর ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলে লোকসানের কারণ অপরিকল্পিত প্রকল্প। মানে, যাচাই-বাছাই না করেই প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রেলওয়ে। নতুন রেলপথ নির্মাণে যে ব্যয়, তা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এর কারণ খোঁজার সময় এসেছে। ক্রয় থেকে শুরু করে পরিচালনা—সব বিভাগের সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। তবেই লাভের মুখ দেখবে রেল।

বছরের পর বছর লোকসান গুনছে রেল। অথচ দুই যুগের কিছু বেশি সময় আগেও এই খাত ছিল লাভজনক। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে বর্তমানে রেলের আয়ের চেয়ে ব্যয় আড়াই গুণের বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম কারণ দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয়। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং প্রায় সব ট্রেনে অর্ধেকের কম কোচ (বগি) নিয়ে চলাচলের কারণে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। অর্থাৎ শতভাগ কোচ নিয়ে যদি ট্রেন চলত এবং জনপ্রিয় রুটে যদি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ত, তাহলে অপারেটিং রেশিও কমে যেত। পাশাপাশি অপারেশন বাড়াতে হবে পণ্য পরিবহনে। এতে রেলের আয় বাড়বে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজনের (চট্টগ্রাম) সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে দুর্নীতি অনেকাংশে কম। তারা অতিরিক্ত ব্যয় খুব কমই করে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রকল্প মানেই লুটপাট আর অতিরিক্ত ব্যয়। এসব যত দিন না কমবে, তত দিন রেলে লাভ হবে না।
অপারেটিং রেশিও হলো একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়নের একটি পরিমাপ। অপারেটিং রেশিও যত কম হবে, আয় তত বাড়বে। এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ে মোট ব্যয়কে মোট আয় দিয়ে ভাগ করে নিরূপণ করা হয়। কোনো সংস্থা বা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কতটা দক্ষ, তা সহজে যাচাই করা যায় অপারেটিং রেশিওর মাধ্যমে। এই রেশিও যত বেশি হয়, প্রতিষ্ঠানের পরিচালন দক্ষতা তত দুর্বল হিসেবে গণ্য করা হয়।
রেলের লোকসানের চিত্র
ভারতীয় রেলে এক দশক ধরে অপারেটিং রেশিও ৯৫-৯৮ শতাংশের ঘরে। ফলে সে দেশে রেলওয়ে লাভজনক অবস্থায় আছে। বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৮ পয়সা। অন্যদিকে ২৪ বছর ধরে বাংলাদেশে রেলওয়ের অপারেটিং রেশিও বেড়েই চলছে। ফলে বাড়ছে লোকসান। বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে খরচ করতে হচ্ছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা।
রেলওয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে রেলের সবচেয়ে ভালো অপারেটিং রেশিও ছিল ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে, ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে প্রতি ১ টাকা আয় করতে রেলের ব্যয় হয়েছিল ৯৫ দশমিক ৯ পয়সা। এরপর থেকে রেলের অপারেটিং রেশিও কেবল বেড়েই চলেছে।রেলওয়ের গত ১৫ বছরে কী পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, তার একটি তালিকা পাওয়া গেছে। সেটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে রেলের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৮৯টি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। চলমান আছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার ৩২টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্প মিলিয়ে গত ১৫ বছরে রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে মোট ৮৭ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা।

রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছর সংস্থাটির অপারেটিং রেশিও ছিল ১৫৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে ১ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা। অপারেটিং রেশিও নিয়ে সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে দেখা যায়, ওই অর্থবছরে অপারেটিং রেশিও বেড়ে ২৫৮ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ এ সময়ে ১ টাকা আয় করতে ব্যয় হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় সব মিলিয়ে রেলের লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।
যে কারণে লোকসানে রেল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলকে যদি দুর্নীতিমুক্ত করা যায়, অপরিকল্পিত ব্যয় বন্ধ করা যায়, তাহলে লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ শূন্যের কোঠায় নামাতে হবে। শতভাগ কোচ নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে, জনপ্রিয় রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে মনোযোগী হতে হবে। তাহলে রেলকে আবার লাভজনক করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, পণ্য পরিবহন করে এক ট্রেনে যে পরিমাণ আয় হয়, দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েও তা হয় না। ১৯৯৯-৯৮ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ১২ শতাংশ রেলের মাধ্যমে পরিবহন হতো। এখন পণ্য পরিবহন হয় মাত্র ৩ শতাংশ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন সরকার এসেছে। সবাই এখন কাজ করছে। এখন আমাদের ব্যয় সংকোচনের দিকে নজর দিতে হবে। দেখেন, আয়ের সীমা কিন্তু সীমিত। যেমন একটি ট্রেন থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা আয় করতে পারবেন। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আমাদের এমন প্রকল্প হাতে নিতে হবে, যেন না করলেই নয়। তবেই রেল লোকসান থেকে বের হবে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন যেতে সময় লাগে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। কিন্তু একই দূরত্বে পণ্য পরিবহনে লেগে যায় দুদিন। পণ্য পরিবহনের সময় কমানো গেলে এই উৎস থেকে আয় বাড়ানো যেত। কয়েক বছর ধরে আয় বাড়াতে ম্যাংগো, ক্যাটল ও পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। এ তিন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। পার্সেল ট্রেনে নামমাত্র পণ্য পরিবহন হচ্ছে। অথচ ভারতে রেলওয়ে বছরে শুধু পণ্য পরিবহনে ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। লাভের বড় অংশ তারা ভর্তুকি দিচ্ছে যাত্রী পরিবহনে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওমর ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলে লোকসানের কারণ অপরিকল্পিত প্রকল্প। মানে, যাচাই-বাছাই না করেই প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রেলওয়ে। নতুন রেলপথ নির্মাণে যে ব্যয়, তা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এর কারণ খোঁজার সময় এসেছে। ক্রয় থেকে শুরু করে পরিচালনা—সব বিভাগের সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। তবেই লাভের মুখ দেখবে রেল।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৮ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৮ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতিবছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৮ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১১ ঘণ্টা আগে