Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

রেজাল্ট তখনই আসে, যখন ফাইট দেবেন

রেজাল্ট তখনই আসে, যখন ফাইট দেবেন
রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ০৩

২ টেস্টে ১৫৫ রান, সিরিজের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজের সেরা খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ। সিরিজটা তাঁর অলরাউন্ডার পরিচয়ের সেরা উদাহরণ হয়ে রইল। মিরাজ কাল বিকেলে তাঁর মিরপুরের বাসায় আজকের পত্রিকাকে লম্বা সময় দিলেন নিজের কীর্তি, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, ক্যারিয়ার, সামনের ভারত সিরিজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে। তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রানা আব্বাস। 

প্রশ্ন: চার মাস আগে বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়েই কি ভালো করার জেদ চেপেছিল মনে? 
মেহেদী হাসান মিরাজ: জেদ ঠিক না। আমি যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলাম না, তখন আমার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির (নাজমুল হাসান পাপন) কথা হয়েছিল। তিনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, দলের সঙ্গে যেতে চাও কি না। আমি তখন পরিষ্কার হতে চাইলাম, ১৫ জনের দলে আমাকে রাখা হচ্ছে কি না। আমাকে বলেছিলেন, ১৭ জনের দলে সদস্য হতে; দলের সঙ্গে থাকতে। ১৭ জনের সদস্য হয়ে যেতে চাইনি। মনে হয়েছে, ওটা আমার জন্য ক্ষতি হবে। এই যে পাঁচটা মাস সুযোগ পেয়েছি, এ সময় নিজের ফিটনেস, স্কিল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেটারই ফল পেয়েছি। 

প্রশ্ন: প্রস্তুতির এই সময়ে স্কিলে কোথায় বেশি উন্নতি করতে চেয়েছেন? 
মিরাজ: প্রস্তুতির শুরুতে বোলিংয়ে খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম। সোহেল স্যার (সোহেল ইসলাম) বারবার আমাকে নিয়ে টেনশন করছিলেন। এরপর কাজ করেছি। পরে যখন ঠিক হলো, তিনি অনেক স্বস্তি পেলেন। বাবুল স্যারের (মিজানুর রহমান) সঙ্গে ট্রিগার মুভমেন্ট, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি। দুজনের সঙ্গে কাজ করার ফল পেয়েছি। 

প্রশ্ন: ওয়ানডে ও টেস্টে আপনি নিয়মিত, তিন সংস্করণেই নিয়মিত হতে আপনার আসলে আর কী করণীয়? 
মিরাজ: আমি তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাই। আমি যখন টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়েছি, ওটা যৌক্তিক ছিল। আমি এই সংস্করণে ভালো খেলতে পারিনি। চার বছর আগে যখন ফিরে এলাম এবং ওই সময়ে যখন বাদ পড়লাম, বাদ পড়ার অবস্থায় ছিলাম না। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচসেরা, এশিয়া কাপে ওপেন করানো হয়েছে, একটাতে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলাম, আরব আমিরাতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ম্যাচসেরা হয়েছিলাম—সব মিলিয়ে যখন টি­-টোয়েন্টিতে বাদ পড়ি, তখন আমি আসলে বাদ পড়ার পজিশনে ছিলাম না। এটা জানি না, কেন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বলেছিল যে ওয়ানডে ও টেস্টে বেশি মনোযোগ রাখতে বাদ পড়েছি। 

প্রশ্ন: ব্যাটিংয়ে আপনাকে নিয়ে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এত দিন, আপনি খুব ইতিবাচক, সহজেই ‘না’ করেন না। এ কারণেই কি আপনাকে নিয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে? 
মিরাজ: ঠিক বলেছেন। যেখানেই বলে, সেখানেই রাজি হয়ে যাই খেলতে। আমি সব সময় দলের জন্য খেলি। দলের জন্য অনেক বিসর্জন দেওয়ার চেষ্টা করি, নিজের ক্যারিয়ারও বিসর্জন দেওয়ার চেষ্টা করি। রাজি হচ্ছি শুধু দলের জন্যই। একটা পজিশনে যদি খেলা যায়, সেই পজিশন সম্পর্কে ভালো জানা-বোঝা যায়। আমি আটে ব্যাটিং করি লম্বা সময়। ওখানকার ভূমিকা সম্পর্কে আমি খুব ভালো বুঝি। 

প্রশ্ন: আরেকটু ওপরে ব্যাটিং করার কথা অনেকবার বলেছেন। আপনার সবচেয়ে পছন্দের পজিশন আসলে কোনটি? 
মিরাজ: যদি পাঁচ-ছয়ে ব্যাটিং করতে পারি, অনেক ভালো। এই মুহূর্তে এখানে ব্যাটিং করা কঠিন। এখানে প্রতিষ্ঠিত যারা, অনেক দিন ধরে ভালো খেলছে, দীর্ঘদিন দলকে সার্ভিস দিচ্ছে। ওখানে এখন ব্যাটিং করার দাবি করব না, করাটা অযৌক্তিক হবে। তবে যখন সুযোগ আসবে, ওখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ভালো লাগবে। 

প্রশ্ন: আট নম্বর পজিশন মানে বেশির ভাগ সময়ে ব্যাটিং করতে হয় চাপের মধ্যে। বেশির ভাগ ইনিংস মেরামত করার কাজ করতে হয়। আর যেদিন আপনার একটু নির্ভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলে, তখন দলের ৩০০-৪০০ রান হয়ে যায়, দল তখন ইনিংস ঘোষণার কাছাকাছি এসে যায়। এটা ভেবে একটু দুর্ভাগা মনে হয় কি না—সাকিব আল হাসানের মতো আরেকটু ওপরে ব্যাটিং করতে পারলে হয়তো এত দিনে নিজেকে দুর্দান্ত অলরাউন্ডার হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন?
মিরাজ: না। সবশেষ দুই-তিন বছর ভালো ব্যাটিং করার চেষ্টা করছি। আমি বোলিংয়ে মনোযোগী ছিলাম। দুর্ভাগা না, প্রথম দিকে নিজেকে ওভাবে প্রমাণ করতে পারিনি। এখন ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে ব্যাটিং। 

প্রশ্ন: পাকিস্তান সিরিজের আগে ভাবনাটা কী ছিল? ভেবেছিলেন, এভাবে দাপটের সঙ্গে সিরিজ জিতবেন? 
মিরাজ: আমরা সিরিজ জিতব, এটা কখনো ভাবিনি, চিন্তা করিনি। তবে হ্যাঁ, চিন্তা করেছিলাম, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমরা পাকিস্তানে গিয়ে ভালো রান করতে পারি, উইকেট নিতে পারি, আমরা ওদের সঙ্গে ফাইট দিতে পারি। একটা রেজাল্ট তখনই আসে, যখন ফাইট দেবেন। আমরা যদি ফাইটই দিতে না পারি, তখন কোনো রেজাল্ট আসবে না। এই মানসিকতা আমাদের দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ছিল, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইট দিতে চাই। এবং ফাইট দিতে দিতে একটা সময় কিন্তু আপনি জিতে যাবেন। 

প্রশ্ন: এই সিরিজে দুটি বড় জুটির সঙ্গে আপনার নাম জড়িয়ে। মুশফিকের সঙ্গে জুটিতে দলের অবস্থান ভালো ছিল। কিন্তু ২৬ রানে ৬ উইকেট—মানে খুব বিপর্যয়ের মধ্যে কোন বিষয়টি ইতিবাচকভাবে এগোতে সহায়তা করেছে? 
মিরাজ: লিটন আর আমি যখন ব্যাটিং শুরু করেছিলাম, তখন অবশ্য চাপ কাজ করেছে। তবে আমরা ওই মুহূর্তকে উপভোগের চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি, একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে। মুহূর্তটা উপভোগ করতে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে একেকটা বল খেলা যায়, আমরা গল্প করেছি। ওকে বলছিলাম, এশিয়া কাপে (২০১৮ সালের ফাইনাল) মনে আছে, তুমি আর আমি ওপেন করেছিলাম। ওই পরিস্থিতিটা কী রকম ছিল। হালকা হতে বিভিন্ন দুষ্টুমি করছিলাম। কারণ, আমাদের চাপ কমানোর প্রয়োজন ছিল। যখন আমরা দুজন খেলাটা ধরতে পারলাম, তখন আমরা সিরিয়াসনেস বাড়িয়ে দিলাম এবং গেমের মধ্যে ঢুকে গেলাম—কীভাবে খেলব, কীভাবে বড় ইনিংস করব, গেমকে সাজাব ইত্যাদি। 

প্রশ্ন: যখন ওদের ডমিনেট করছিলেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? 
মিরাজ: পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে আমরা পাকিস্তানকে হারিয়েছি, এটা বিশাল ব্যাপার। বিশেষ করে টেস্টে। একটা জিতেছেন, হয়তো অনেকে মনে করবেন, এমনি হয়ে গেছে। দুটি জয়—এটা কোনো মজার বিষয় নয়। আপনি দেখেন, আমরা ৯ দিনই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এ জন্যই জিতেছি। পাকিস্তানে যেটা ভালো লেগেছে, ওখানে প্রত্যেক মানুষ শ্রদ্ধা করেছে। 

প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তাঁকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? 
মিরাজ: তিনি পরিকল্পনা খুব ভালো করেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে যখন কথা বলেন, ক্রিকেটীয় জ্ঞান খুবই ভালো। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করেন। সবশেষ টেস্টের এক লাঞ্চের পরে বলেছিল, সায়েম আইয়ুব ব্যাটিং করছিল (দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে), আমি দুটি ফিল্ডার পেছনে নিয়েছিলাম। দুজন ফিল্ডার পেছনে থাকলে ব্যাটার ঝুঁকি নিয়ে মারতে পারবে। তিনি বললেন, তুমি মিড অনটা সামনে রেখে মিড অফটা হাফওয়েতে রাখলে আর অফ স্টাম্পের বাইরে বল করলে ও একটা ভুল করলে তোমার সুযোগ থাকবে উইকেট নেওয়ার। ওভাবে ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করার চেষ্টা করেছি। তখনই ডাউন দ্য উইকেটে সে আউট হয়েছে। এই যে ছোট একটা পরিকল্পনা দিয়েছে, এগুলো তাঁর মধ্যে আছে। 

প্রশ্ন: সামনে ভারত সফর, এবার সেখানেও দুর্দান্ত কিছু করতে কতটা আত্মবিশ্বাসী? 
মিরাজ: শুরুটা ভালো হয়েছে, লড়াই করার মানসিকতা আছে। সে ধরনের বোলার, ব্যাটার আছে। বিশ্ব ক্রিকেটকে আমরা জানান দিয়েছি, ভালোভাবে আসছি। এটা শুরু মাত্র। ধরে রাখতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট লম্বা প্রক্রিয়া। প্রতিটি প্রজন্মকে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে হবে। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজে (২০২২) ওদের প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলাম। ওরাও জানে, আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা ওদের যেকোনো সময় ধরতে পারি। আমরা ভালো করব ইনশা আল্লাহ। 

প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের পর দেশের আরেকজন সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার পথে মিরাজ কতটা এগোলেন? 
মিরাজ: আমাকে অলরাউন্ডার হতে গেলে আরও অনেক কষ্ট করতে হবে। অনেক ভালো করতে হবে, ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই। আমি ভালো করার চেষ্টা করছি। যাতে বাংলাদেশ উপকৃত হয়। সাকিব ভাইকে দেখে আমরা সবাই অনুপ্রাণিত হয়েছি। তিনি বাংলাদেশ দলকে অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। যখন মানুষ বলে, আমি অলরাউন্ডার হচ্ছি, শুনে খুব ভালো লাগে। এখন যেহেতু ভালো ব্যাটিংটা করছি; আরেকটু ওপরে দিকে নামতে পারলে আমার জন্য আরও ভালো হবে। 

প্রশ্ন: ক্রিকেটের বাইরে যদি আসি, গত কিছুদিনে দেশে বড় একটা পরিবর্তন ঘটে গেছে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ছোঁয়া বিসিবিতেও, নতুন সভাপতি এসেছেন। তাদের কাছে ক্রিকেটার হিসেবে আপনার চাওয়া কী? 
মিরাজ: টেস্ট ক্রিকেট আমরা ভালো খেলতে পারি না, এত দিন এটাই বলা হতো। কিন্তু এখন সময় টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের আরও এগিয়ে নেওয়ার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো আরও ভালো করা; ভালো ভালো উইকেটে আরও বেশি বেশি ম্যাচ খেলা; দেশের বাইরে বেশি ম্যাচ খেলা; ‘এ’ দল, এইচপি, বয়সভিত্তিক দলকেও বাইরে খেলার সুযোগ করে দেওয়া। আগে যে বাইরে খেলার সুযোগ ছিল না, তা নয়, কিন্তু এটা আরও বেশি করা দরকার। যত বেশি এটা করা যাবে, ততই এগিয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট। ভালোর তো আর শেষ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিংহাসন কেড়ে নিতে বুমরার পেছনে লেগেছেন কামিন্স-স্টার্ক

ক্রীড়া ডেস্ক    
টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ছবি: সংগৃহীত
টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ছবি: সংগৃহীত

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ছেলেদের সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন তিন নম্বরে মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের র‍েটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।

অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।

৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ভিড়ে তাঁর ব্যাটেই যা একটু রান আসছে। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।

হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।

টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সূর্যবংশীকে পেছনে ফেলে সাকিবের দ্রুততম সেঞ্চুরি, বিহারের রেকর্ড ৫৭৪

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২২
বৈভব সূর্যবংশীকে পেছনে ফেলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন সাকিবুল গনির। ছবি: সংগৃহীত
বৈভব সূর্যবংশীকে পেছনে ফেলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন সাকিবুল গনির। ছবি: সংগৃহীত

রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি।

বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগ ম্যাচে আজ বিহার খেলছে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে। সূর্যবংশী, সাকিব দুজনেই খেলছেন বিহারের হয়ে। রাঁচিতে আজ সকালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। সূর্যবংশীরটাকে যদি ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সাকিবেরটা টর্নেডো, সুনামি বললেও ভুল কিছু হবে না। ৩২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বিহার অধিনায়ক সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। সূর্যবংশী, সাকিবের তাণ্ডবে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে বিহার ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান করেছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই কীর্তিটা ছিল তামিলনাড়ুর। বিজয় হাজারে ট্রফির ২০২২-২৩ মৌসুমে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল।

অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে আজ বিহারের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন। ৮৪ বলে ১৬ চার ও ১৫ ছক্কায় সূর্যবংশী করেন ১৯০ রান। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি এখন ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটারের। দলের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেও এসেছে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় সাকিব ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আয়ুশ লোকারুকা করেছেন ১১৬ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৮ ছক্কা মেরেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৮ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড টা ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।

৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী পেছনে ফেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ৫৪ বলে ১৫০ রান করে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড গড়লেন সূর্যবংশী। এই রেকর্ডটা ১০ বছর অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার। সেবার তিনি ৬৬ বলে ১৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাসমানিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখানে ডি ভিলিয়ার্সের আরেক রেকর্ড পেছনে পড়ে গেছে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ৩৬ বলে সেঞ্চুরিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে যৌথভাবে ষষ্ঠ সূর্যবংশী, কোরি অ্যান্ডারসন ও গ্রাহাম রোজ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। এর আগে ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্যাংক ট্রফিতে সমারসেটের হয়ে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রাহাম রোজ। ৩৫ বছর আগে সেই ম্যাচে রোজের প্রতিপক্ষ ছিল ডেভন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগে যা হয়নি, এনরিকের সঙ্গে এবার সেটাই করতে যাচ্ছে পিএসজি

ক্রীড়া ডেস্ক    
লুইস এনরিকেকে আজীবন রেখে দিতে চাচ্ছে পিএসজি। ছবি: এএফপি
লুইস এনরিকেকে আজীবন রেখে দিতে চাচ্ছে পিএসজি। ছবি: এএফপি

লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।

এনরিকের অধীনে পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা পিএসজি জিতেছে এ বছরই। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ কাপ, লিগ ওয়ানেও শিরোপা জেতে প্যারিসিয়ানরা। তাঁর অধীনে পিএসজির এমন সাফল্যে ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা রীতিমতো মুগ্ধ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এনরিকের সঙ্গে ‘আজীবন চুক্তি’র চিন্তাভাবনা করছে ফরাসি ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলে সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ক্লাব তাদের কোচের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই চুক্তি শেষ হলে আবার নবায়ন করা হয়। তবে আজীবন চুক্তির ব্যাপার ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে আগে কখনো দেখা যায়নি। পিএসজির সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এনরিকের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে।

২০২৩ সালে কোচ হওয়ার পর এনরিকের অধীনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে পিএসজি খেলেছে ১৪৩ ম্যাচ। প্যারিসিয়ানরা ১০১ ম্যাচ জিতেছে। হেরেছে ১৯ ম্যাচ ও ২৩ ম্যাচ ড্র করেছে। কোচ হিসেবে পিএসজিকে এখন পর্যন্ত ৯টি শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর অধীনে দুইবার করে লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ, ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নসের শিরোপা জিতেছে প্যারিসিয়ানরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার করে। উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা প্যারিসিয়ানরা জিতেছে এ বছরই।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে কদিন আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা পিএসজি জিতেছে টটেনহামকে হারিয়ে। এ বছরের জুন-জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চেলসির কাছে হেরেছে পিএসজি। এই শিরোপা জিতলে পিএসজির কোচ হিসেবে অন্যতম সেরা সাফল্য পেতেন তিনি।

পিএসজির কোচ হওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেন জাতীয় দলের কোচ ছিলেন এনরিকে। কাতারে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। মরক্কোর কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশরা। এদিকে ২০২৩ সালে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পিএসজি। গালতিয়ের চলে গেলে পিএসজির কোচের পদে বসেন এনরিকে। তাঁর অধীনে প্যারিসিয়ানরা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে বলে তাঁকে আজীবন রেখে দিতে যাচ্ছে পিএসজি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বাঁচা-মরা’র ম্যাচে মোস্তাফিজদের বিপক্ষে নামবেন তাসকিনরা, দেখবেন কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে আজ রাতে মুখোমুখি হবেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক
আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে আজ রাতে মুখোমুখি হবেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে। তাসকিনের শারজা হারলে নিশ্চিত বাদ। যদি আজ জেতে, তবু তাসকিনদের সামনে থাকবে অনেক সমীকরণ। বর্তমানে ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। একনজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলা সরাসরি

আইএল টি-টোয়েন্টি

দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স

রাত ৮টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত