Ajker Patrika

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়— এমন ব্যবস্থা চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ০০
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়— এমন ব্যবস্থা চায় বিএনপি

বিগত দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের দাবি জোরালো হয়েছে এরই মধ্যে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছেও ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবির কথা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অবশেষে এই দাবির পক্ষে সমর্থন দিল দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিও।

দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সমর্থনে কথা বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ভবিষ্যতে এ দেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী–গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়, যাতে কেউ যেন পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।’

আজ রোববার কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময়কালে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন তারেক রহমান। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেশব্যাপী তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারেক রহমান। এর অংশ হিসেবে আজ এই সভার আয়োজন করা হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ, পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা। এই পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে আর আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। সেটা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এত দিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ। এদের অবস্থান অন্ধকারে, সর্বত্র সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়।’

নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এ দেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে, কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে যত বড়ই হোক, দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না।’ 

এদিকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসানের পর ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে এবার দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে বিএনপি। বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঘোষিত পাঁচ দিনের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে আজ শুধু প্রতিষ্ঠার দিনটিতেই উদ্‌যাপন সীমাবদ্ধ রাখে দলটি। এদিন রাজধানীসহ সারা দেশে দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু হয়। বাদ জোহর রাজধানীসহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দোয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বন্যা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এই দোয়ার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। ৪৬ বছর পর্যন্ত আমরা এই দলকে (বিএনপি) সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে টিকিয়ে রেখেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন, হাসিনার সরকার চলে গেছে, পালিয়ে গেছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে এবং একটা নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। আসুন, আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করি।’ 

তিনি বলেন, ‘গত ৪৬ বছরে বিএনপির যে অর্জন, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। গত ১৫ বছরে আমরা যে সংগ্রাম করেছি, তা ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটা স্রোতস্বিনী নদীর মতো, সব সময় প্রবহমান আছে। এখানে কখন কে আসল, কে বাইরে গেল, তাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি কখনো ব্যাহত হয় না।’ 

‘চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি’ মন্তব্য করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘চক্রান্ত চলছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বিভিন্নভাবে আখ্যায়িত করে কৃতিত্ব নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। আমাদের এই সংগ্রাম অবশ্যই চলবে গণতন্ত্র পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত।’ 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসান হয়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা এবার দারুণ উজ্জীবিত। ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানেও এর প্রতিফলন লক্ষ করা গেছে। সেখানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। হাতে রঙিন ব্যানার, মাথায় বিএনপির পতাকা বেঁধে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো এলাকা। 

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেকোনো বালাই আসুক না কেন, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্তবাজার অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা (বিএনপি) কাজ করে যাব।’ 

এদিকে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোববার সকালে ফেসবুক পেজে লাইভে এসে দলের নেতা–কর্মীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্র ও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সহায়তা করতে প্রস্তুত।’ 

এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার স্পষ্ট বার্তা, শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, ইনসাফ এবং উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন। জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দল বিএনপি মনে করে, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমগুলো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হলে সেটি বেশি কার্যকর বলেও জনগণ বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক বিশ্বেও এটি স্বীকৃত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৬
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই শোক জানান।

ওই পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি শরীফ ওসমান হাদীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তাঁর রুহের মাগফিরাত করে তাঁকে বেহেশত নসীব করেন। তাঁর এই অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও মনে করিয়ে দিল— রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে।’

হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমি তাঁর শোকাহত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আর কোনো ঘটনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে বা আমাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আঘাত না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ওসমান হাদি মানবিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। ন্যায়, সত্য ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শাহাদাতে জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল।

শফিকুর রহমান যোগ করেন, তাঁর (ওসমান হাদি) শাহাদাতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নতুন প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে এবং দলমত-নির্বিশেষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর কণ্ঠ ছিল সব আধিপত্যবাদী শক্তি ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন আপসহীন এক যোদ্ধা। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মাসুম বাচ্চাসহ স্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা যেন তাঁদের সবাইকে এই বিরাট শোক সওয়ার তাওফিক দান করেন, সেই দোয়া করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাপার আনিসুল ও রুহুল আমিনের গভীর শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৪
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রতিবাদী যুবক ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী যুবক। নিজ আদর্শে অবিচল থেকে তিনি আজীবন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। সন্ত্রাসী হামলায় তাঁর এ নির্মম মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

শোকবার্তায় নেতারা আরও বলেন, যারা ওসমান হাদিকে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া রাজধানীর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদির মতো একজন তরুণকে গুলি করে হত্যার পরও জড়িত সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানায় দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি আজ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই সহযোদ্ধার প্রয়াণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত