নাসিম আহমেদ

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে