ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) সমন্বয়ক সারজিস আলমের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলাম, সংবিধান হবে আল কোরআন–ইনশাআল্লাহ।’
‘অপ ইন্ডিয়া’ নামে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমেও সারজিস আলমের কথিত পোস্টের একটি টুইট যুক্ত করা হয়েছে।
একই ধরনের কিছু ফেসবুক পোস্ট ছড়িয়েছে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আসিফ মাহমুদের নামে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লেখা হয়, ‘আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলাম, সংবিধান হবে আল কোরআন–ইনশাআল্লা।’ ১টা ৪২ মিনিটে দেওয়া আরেকটি পোস্টে লেখা, ‘দেশে আসছেন সবার পরিচিত মুখ প্রিয় ড. মিজানুর রহমান আজহারী।’ গত রাতে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সক্রিয় থাকায় সবাই সবার স্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুক ও এক্সে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্টগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলমের নয়।
মিজানুর রহমান আজহারীর দেশে আসা বা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে আসিফ মাহমুদের করা কথিত পোস্টগুলো দেওয়া অ্যাকাউন্টটি যাচাই করে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটিতে ফলোয়ার সংখ্যা ৮০ হাজার। পরিচয়ে বলা হয়েছে, এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটি ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর খোলা হয়েছে। এসব তথ্যের বাইরে অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দেওয়া সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ৭ লাখ ৯৩ হাজার। অ্যাকাউন্টটিতে আসিফ মাহমুদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
তথ্যানুযায়ী, তিনি ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। অ্যাকাউন্টটিতে গত সোমবার (৪ আগস্ট) একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ‘এটা আমার একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং এটা পেজ। আমার নামে অন্য কোনো পেজ কিংবা আইডির ঘোষণায় বিভ্রান্ত হবেন না।’
অর্থাৎ মিজানুর রহমান আজহারীর দেশে আসা বা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে আসিফ মাহমুদের করা কথিত পোস্টগুলো দেওয়া অ্যাকাউন্টটি আসিফ মাহমুদের নয়।
সারজিস আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই
রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রোফাইলে সারজিস আলমের একই ছবি ব্যবহার করে অন্তত ৫০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ফলোয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্নসংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ফলোয়ারের একটি ধর্মীয় বিভিন্ন পোস্ট দিতে দেখা যায়। অ্যাকাউন্টটিতে বেশ কিছু রাজনৈতিক উসকানিমূলক পোস্ট দিতেও দেখা যায়।
গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) জাতীয় পার্টি নেতা জিএম কাদেরকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘জিএম কাদেরকেও ছেড়ে দেওয়া যাবে না সে দিল্লির দাস। তার ওপর ভর করে এত দিন খুনি হাসিনা টিকে ছিল।’ এ ছাড়া ভুল তথ্যও শেয়ার দিতে দেখা যায় অ্যাকাউন্টটি থেকে। এর মধ্যে সংসদ ভবনে গণকবর পাওয়ার মতো দাবিও।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৭ লাখ ৮৯ হাজার ফলোয়ার বিশিষ্ট ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিই সারজিস আলমের একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটি থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর একটায় লাইভে যান সারজিস আলম।
লাইভে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ফেসবুকে আমার নামে ৫০টির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। এই অ্যাকাউন্ট ছাড়া আমার আর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।’ লাইভে তিনি তার নামে খোলা ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো আনফলো করে দিতেও অনুরোধ করেছেন।
সংসদ ভবন বা গণভবনে গণকবর পাওয়ার দাবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গতকাল ছাত্র-জনতার ঢল নামে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ও সংসদ ভবনে। এমন পরিস্থিতিতে গত রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিওতে দাবি করা হয়, গণভবনে গণকবর পাওয়া গেছে। আবার কোনো কোনো ভিডিওতে দাবি করা হয়, সংসদ ভবনে গণকবর পাওয়া গেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগের বাংলাদেশ এডিটর কদরুদ্দিন শিশির গতকাল রাতেই একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ‘আমি ২ ঘণ্টা আরও ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবন এবং গণভবন ঘুরে কোন গণকবরের সন্ধান পাইনি এবং আরও অনেকেই পাননি।’
পোস্টে তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি পোস্টের লিংকও যুক্ত করেছেন। আকরাম হোসেইন নামে ওই সাংবাদিক লেখেন, ‘যমুনা টিভি, কালবেলাসহ আমরা কয়েকজন সাংবাদিক কিছুক্ষণ আগে সংসদ ভবনের পেছনে গণকবরের সন্ধানে গিয়ে কিছু বই খাতা পেয়েছি। এবং গন্ধ পেয়েছি। বই-খাতাগুলোতে ২-৩ জনের নাম পেয়েছি। তার মধ্যে ১ জনের মোবাইল নম্বর পেয়েছি, যার নাম নাইমুর রহমান। নম্বরে কল দিয়ে জানতে পারি, তিনি সংসদ ভবনের কর্মচারী, তার ছেলের নাম নাইমুর রহমান। তাদের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ছেলের বই-খাতা সবকিছু নিয়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ‘বই-খাতাগুলো কেউ ফেলে রেখে গেছে। আমরা একটা গন্ধ পেয়েছি। তবে আমরা কোনো কবরের সন্ধান পাই নাই। আর যে গন্ধটা পাওয়া যাচ্ছে, সেটা নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকেও আসছে না। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো মৃত প্রাণীর গন্ধ হতে পারে। সুতরাং সংসদ ভবনে গণকববের সন্ধানের বিষয়টা গুজব।’

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) সমন্বয়ক সারজিস আলমের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলাম, সংবিধান হবে আল কোরআন–ইনশাআল্লাহ।’
‘অপ ইন্ডিয়া’ নামে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমেও সারজিস আলমের কথিত পোস্টের একটি টুইট যুক্ত করা হয়েছে।
একই ধরনের কিছু ফেসবুক পোস্ট ছড়িয়েছে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আসিফ মাহমুদের নামে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লেখা হয়, ‘আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলাম, সংবিধান হবে আল কোরআন–ইনশাআল্লা।’ ১টা ৪২ মিনিটে দেওয়া আরেকটি পোস্টে লেখা, ‘দেশে আসছেন সবার পরিচিত মুখ প্রিয় ড. মিজানুর রহমান আজহারী।’ গত রাতে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সক্রিয় থাকায় সবাই সবার স্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুক ও এক্সে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্টগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলমের নয়।
মিজানুর রহমান আজহারীর দেশে আসা বা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে আসিফ মাহমুদের করা কথিত পোস্টগুলো দেওয়া অ্যাকাউন্টটি যাচাই করে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটিতে ফলোয়ার সংখ্যা ৮০ হাজার। পরিচয়ে বলা হয়েছে, এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটি ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর খোলা হয়েছে। এসব তথ্যের বাইরে অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দেওয়া সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ৭ লাখ ৯৩ হাজার। অ্যাকাউন্টটিতে আসিফ মাহমুদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
তথ্যানুযায়ী, তিনি ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। অ্যাকাউন্টটিতে গত সোমবার (৪ আগস্ট) একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ‘এটা আমার একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং এটা পেজ। আমার নামে অন্য কোনো পেজ কিংবা আইডির ঘোষণায় বিভ্রান্ত হবেন না।’
অর্থাৎ মিজানুর রহমান আজহারীর দেশে আসা বা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে আসিফ মাহমুদের করা কথিত পোস্টগুলো দেওয়া অ্যাকাউন্টটি আসিফ মাহমুদের নয়।
সারজিস আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই
রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রোফাইলে সারজিস আলমের একই ছবি ব্যবহার করে অন্তত ৫০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ফলোয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্নসংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ফলোয়ারের একটি ধর্মীয় বিভিন্ন পোস্ট দিতে দেখা যায়। অ্যাকাউন্টটিতে বেশ কিছু রাজনৈতিক উসকানিমূলক পোস্ট দিতেও দেখা যায়।
গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) জাতীয় পার্টি নেতা জিএম কাদেরকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘জিএম কাদেরকেও ছেড়ে দেওয়া যাবে না সে দিল্লির দাস। তার ওপর ভর করে এত দিন খুনি হাসিনা টিকে ছিল।’ এ ছাড়া ভুল তথ্যও শেয়ার দিতে দেখা যায় অ্যাকাউন্টটি থেকে। এর মধ্যে সংসদ ভবনে গণকবর পাওয়ার মতো দাবিও।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৭ লাখ ৮৯ হাজার ফলোয়ার বিশিষ্ট ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিই সারজিস আলমের একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটি থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর একটায় লাইভে যান সারজিস আলম।
লাইভে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ফেসবুকে আমার নামে ৫০টির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। এই অ্যাকাউন্ট ছাড়া আমার আর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।’ লাইভে তিনি তার নামে খোলা ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো আনফলো করে দিতেও অনুরোধ করেছেন।
সংসদ ভবন বা গণভবনে গণকবর পাওয়ার দাবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গতকাল ছাত্র-জনতার ঢল নামে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ও সংসদ ভবনে। এমন পরিস্থিতিতে গত রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিওতে দাবি করা হয়, গণভবনে গণকবর পাওয়া গেছে। আবার কোনো কোনো ভিডিওতে দাবি করা হয়, সংসদ ভবনে গণকবর পাওয়া গেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগের বাংলাদেশ এডিটর কদরুদ্দিন শিশির গতকাল রাতেই একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ‘আমি ২ ঘণ্টা আরও ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবন এবং গণভবন ঘুরে কোন গণকবরের সন্ধান পাইনি এবং আরও অনেকেই পাননি।’
পোস্টে তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি পোস্টের লিংকও যুক্ত করেছেন। আকরাম হোসেইন নামে ওই সাংবাদিক লেখেন, ‘যমুনা টিভি, কালবেলাসহ আমরা কয়েকজন সাংবাদিক কিছুক্ষণ আগে সংসদ ভবনের পেছনে গণকবরের সন্ধানে গিয়ে কিছু বই খাতা পেয়েছি। এবং গন্ধ পেয়েছি। বই-খাতাগুলোতে ২-৩ জনের নাম পেয়েছি। তার মধ্যে ১ জনের মোবাইল নম্বর পেয়েছি, যার নাম নাইমুর রহমান। নম্বরে কল দিয়ে জানতে পারি, তিনি সংসদ ভবনের কর্মচারী, তার ছেলের নাম নাইমুর রহমান। তাদের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ছেলের বই-খাতা সবকিছু নিয়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ‘বই-খাতাগুলো কেউ ফেলে রেখে গেছে। আমরা একটা গন্ধ পেয়েছি। তবে আমরা কোনো কবরের সন্ধান পাই নাই। আর যে গন্ধটা পাওয়া যাচ্ছে, সেটা নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকেও আসছে না। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো মৃত প্রাণীর গন্ধ হতে পারে। সুতরাং সংসদ ভবনে গণকববের সন্ধানের বিষয়টা গুজব।’

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন।
০৬ আগস্ট ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন।
০৬ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন।
০৬ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর দুই সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলম ফেসবুকে সরব এবং আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির আপডেট দিচ্ছেন।
০৬ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫