কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিয়ে অনেক তারকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেছেন। এবার এই তালিকায় যোগ দিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বিচার চাওয়ার পাশাপাশি এত দিন চুপ থাকার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী! গত ৪ দিন আমি ২/৪টা স্টোরি দেওয়া ছাড়া কোন কিছু লেখার সাহস পাচ্ছিলাম না! আমি ভিতু, আমাকে গালি দেন। গালির জবাবে কিছু বলার মুখ আমার নাই। বাবা নাই, মার বয়স ৭০ এর কাছাকাছি, আমাকে নিয়ে আমার মা আর দুই বোনের কম পোহানি পোহাতে হয় নাই, নতুন করে আমাকে নিয়ে কোনো ঝামেলায় তারা পরুক, আমি চাই না। আমি চুপ থাকাই বেষ্ট অপসন ভেবে ঘরে বসে আছি। মেয়ে মানুষ, তার উপর মিডিয়াতে কাজ করতাম, আমাকে গালি দেওয়া কিংবা খারাপ কথা বলারতো লাইসেন্সই আছে।’
ফারিয়া আরও লেখেন, ‘আজকে চুপ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে, নিজের কাছে নিজেকে ছোট লাগছে, নিজেকে বড় বেশি মেরুদণ্ডহীন মনে হচ্ছে। আজকে আমার নিজের ইউনিভার্সিটির ছোট ভাইয়েরা মারা গেছে! ভাই বিশ্বাস করেন আমরা আইইউবির স্টুডেন্টরা আসলেই ফার্মের মুরগি, আমরা ক্যাম্পাসে ৩০টাকা দিয়ে শিঙারা খাই, তাও প্রতিবাদ করি না যে এত দাম কেন? এরা সরকারি চাকরি কেউ করবে না! ওরা রাস্তায় দেশের জন্য নেমেছে! অন্য ভাইদের জন্য নেমেছে। ভ্রাতৃত্ব, ইনস্টিটিউশনাল প্রাইডের ঊর্ধ্বে। তাই বলে আমাদের ছোট ভাইগুলোকে মেরে ফেলবে? কেউ কোনো কিছুর দাবি করতে পারবে না? মেরে ফেলা লাগবে? মেরে ফেলা সমস্যার সমাধান? মানুষের জীবনের কোন দাম নাই?’
বিচার চেয়ে ফারিয়া লেখেন, ‘আমি আসলেই রাজনীতি বুঝি না, বুঝতেও চাই না। আমি শুধু বুঝতে চাই আমার ছোট ভাইগুলোকে কেন মারা হইলো? আমি এর জবাব চাই। আমি এর বিচার চাই। মুক্তিযোদ্ধারা যারা বেঁচে আছেন, আমি নিশ্চিত তাঁরা নিজেরাও এখন বিব্রত! তাঁদের সম্মান জানাতে গিয়ে এই ধরনের বর্বরতা! এইটা কেমন সম্মান রে ভাই? এতগুলো বাচ্চাকে জাস্ট মেরে ফেলল? আর কোন সমাধান ছিল না? মেরে ফেলা লাগবে, ওরা এত বড় সন্ত্রাসী ছিল?’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে