নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আন্দোলনে রাজাকারদের একটি পক্ষ আছে। এই আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন শক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছেন। জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন দলও এতে জড়িয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডন থেকে আন্দোলনকারীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কোথায় কোথায় অবস্থান করবে সেটা বলা হয়েছে। ছাত্রদল-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা করছে। হলে হলে গিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিতে হুমকি দিচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পত্রিকা দেখে মনে হয় ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানো প্যাশনে পরিণত হয়েছে। যত দোষ নন্দ ঘোষ। কিন্তু এই হামলায় ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এসব কোনো পত্রিকায় দেখিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের নাম দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকালের ঘটনার নিন্দা জানাই। কোটা সংস্কারের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয়ে বল প্রয়োগ করে সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে বক্তব্য জানিয়েছে, তা নিয়ে নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে তাদের নিজেদের আয়নায় দেখা উচিত। তাদের দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পুলিশ অনেক সংযত আচরণ করছে।’
‘যারা এই আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব এবং পরাজিত করব। এই আন্দোলনের নামে দুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা আমরা সহ্য করব না। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সব শক্তিকে এসব ঘটনায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানেই দুর্বলতা নয়! সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আন্দোলনে রাজাকারদের একটি পক্ষ আছে। এই আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন শক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছেন। জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন দলও এতে জড়িয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডন থেকে আন্দোলনকারীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কোথায় কোথায় অবস্থান করবে সেটা বলা হয়েছে। ছাত্রদল-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা করছে। হলে হলে গিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিতে হুমকি দিচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পত্রিকা দেখে মনে হয় ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানো প্যাশনে পরিণত হয়েছে। যত দোষ নন্দ ঘোষ। কিন্তু এই হামলায় ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এসব কোনো পত্রিকায় দেখিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের নাম দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকালের ঘটনার নিন্দা জানাই। কোটা সংস্কারের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয়ে বল প্রয়োগ করে সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে বক্তব্য জানিয়েছে, তা নিয়ে নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে তাদের নিজেদের আয়নায় দেখা উচিত। তাদের দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পুলিশ অনেক সংযত আচরণ করছে।’
‘যারা এই আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব এবং পরাজিত করব। এই আন্দোলনের নামে দুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা আমরা সহ্য করব না। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সব শক্তিকে এসব ঘটনায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানেই দুর্বলতা নয়! সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।’

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
গতকাল জুমার নামাজের পর শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এরপর বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিলেও তা বাতিল করে এনসিপি অফিসের সামনে ছোট পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এনসিপির নেতারা বলছেন, ওসমান হাদির হত্যা এবং ধর্মকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হওয়া এড়াতেই দুটি কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যেসব হামলা হয়েছে, তাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। আরেকটি বিষয় হলো, কাল (শনিবার) ওসমান হাদির জানাজা হবে। তখন জনগণ যদি রাস্তায় নামে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু এটাকে বিভিন্ন দূতাবাসে হামলার কথা বলা হচ্ছে, আমরা এটার পক্ষে না। কারণ, দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এনসিপি। তবে সেটা হবে অহিংস আন্দোলন। কোনো সহিংসতায় জড়াবে না এনসিপি।
ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ আসার পর বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন। এরপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম, ছায়ানট এবং আরও কিছু জায়গায় হামলা হয়। সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এনসিপির নেতারা জানান, এই সহিংসতাকারীদের আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির নেতারা তাঁদের নাম জড়াতে চাইছেন না। এ জন্য দলের নেতারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। শাহবাগে আন্দোলনে গেলে সেখান থেকে যদি কোনো পক্ষ গিয়ে কোথাও হামলা চালায়, তাহলে এনসিপিকেও তাদের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী করা হতে পারে। আবার বিকেলে এনসিপি বিক্ষোভ মিছিল করলে সেই মিছিলে উগ্রপন্থীরা অনুপ্রবেশ করে কোথাও হামলা চালাতে পারে। এসব আশঙ্কা থেকে দুটি কর্মসূচি বাতিল করে দলটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে যেসব ঘটনা ঘটল, এরপর আমরা সচেতনভাবেই ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ‘তৌহিদি জনতা’র সঙ্গে এনসিপিকে যে ফ্রেমিং করা হয়, সেটা এড়াতে চাইছি। আমরা জামায়াত-শিবিরের বি টিম হতে চাই না। জামায়াত-শিবির এনসিপিতে ঢুকে তাদের কিছু স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছি।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেলের কো-লিড আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, যারা জঙ্গিবাদী অথবা যারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র করতে চায়, তারা কিছু পরিকল্পনা করছে। এনসিপি সেই রাজনীতি করে না। কোনো দূতাবাসে হামলা করে অথবা অন্য কোনোভাবে দেশকে অস্থিতিশীল যারা করতে চায়, এনসিপি কোনোভাবেই তাদের সুযোগ দিতে চায় না।
এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন শুক্রবার এক বার্তায় বলেন, ‘বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনোভাবে বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রতিবাদী বক্তব্য হবে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে, এমন কোনো বিষয়ে এনগেজড হওয়া যাবে না।’

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
গতকাল জুমার নামাজের পর শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এরপর বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিলেও তা বাতিল করে এনসিপি অফিসের সামনে ছোট পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এনসিপির নেতারা বলছেন, ওসমান হাদির হত্যা এবং ধর্মকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হওয়া এড়াতেই দুটি কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যেসব হামলা হয়েছে, তাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। আরেকটি বিষয় হলো, কাল (শনিবার) ওসমান হাদির জানাজা হবে। তখন জনগণ যদি রাস্তায় নামে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু এটাকে বিভিন্ন দূতাবাসে হামলার কথা বলা হচ্ছে, আমরা এটার পক্ষে না। কারণ, দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এনসিপি। তবে সেটা হবে অহিংস আন্দোলন। কোনো সহিংসতায় জড়াবে না এনসিপি।
ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ আসার পর বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন। এরপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম, ছায়ানট এবং আরও কিছু জায়গায় হামলা হয়। সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এনসিপির নেতারা জানান, এই সহিংসতাকারীদের আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির নেতারা তাঁদের নাম জড়াতে চাইছেন না। এ জন্য দলের নেতারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। শাহবাগে আন্দোলনে গেলে সেখান থেকে যদি কোনো পক্ষ গিয়ে কোথাও হামলা চালায়, তাহলে এনসিপিকেও তাদের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী করা হতে পারে। আবার বিকেলে এনসিপি বিক্ষোভ মিছিল করলে সেই মিছিলে উগ্রপন্থীরা অনুপ্রবেশ করে কোথাও হামলা চালাতে পারে। এসব আশঙ্কা থেকে দুটি কর্মসূচি বাতিল করে দলটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে যেসব ঘটনা ঘটল, এরপর আমরা সচেতনভাবেই ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ‘তৌহিদি জনতা’র সঙ্গে এনসিপিকে যে ফ্রেমিং করা হয়, সেটা এড়াতে চাইছি। আমরা জামায়াত-শিবিরের বি টিম হতে চাই না। জামায়াত-শিবির এনসিপিতে ঢুকে তাদের কিছু স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছি।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেলের কো-লিড আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, যারা জঙ্গিবাদী অথবা যারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র করতে চায়, তারা কিছু পরিকল্পনা করছে। এনসিপি সেই রাজনীতি করে না। কোনো দূতাবাসে হামলা করে অথবা অন্য কোনোভাবে দেশকে অস্থিতিশীল যারা করতে চায়, এনসিপি কোনোভাবেই তাদের সুযোগ দিতে চায় না।
এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন শুক্রবার এক বার্তায় বলেন, ‘বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনোভাবে বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রতিবাদী বক্তব্য হবে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে, এমন কোনো বিষয়ে এনগেজড হওয়া যাবে না।’

আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে, রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে...
১৬ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টটিতে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘শহীদ হাদির জানাজায় শরিক হতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি গিয়েছি শহীদ ওসমান হাদিকে এক নজর দেখার জন্য। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু এমন শোকের মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। মহান আল্লাহ এই পরিবারকে এবং দেশবাসী সবাইকে সবরে জামিল দান করুন।’
‘শহীদ ওসমান হাদি কোনো দল বা মতের নন’—মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আজ তাঁর জানাজায় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন। দেশের এই বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো আমাদের সবার দায়িত্ব। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়ভারও আমাদের সবার।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টটিতে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘শহীদ হাদির জানাজায় শরিক হতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি গিয়েছি শহীদ ওসমান হাদিকে এক নজর দেখার জন্য। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু এমন শোকের মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। মহান আল্লাহ এই পরিবারকে এবং দেশবাসী সবাইকে সবরে জামিল দান করুন।’
‘শহীদ ওসমান হাদি কোনো দল বা মতের নন’—মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আজ তাঁর জানাজায় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন। দেশের এই বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো আমাদের সবার দায়িত্ব। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়ভারও আমাদের সবার।’

আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে, রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে...
১৬ জুলাই ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে, রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে...
১৬ জুলাই ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আমাদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশবাসীর পক্ষে না ভেবে, রাজাকার ভাবল কেন? প্রধানমন্ত্রী তো তাদের রাজাকার বলেননি। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টটা আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রমাণ দিচ্ছে...
১৬ জুলাই ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে