Ajker Patrika

স্মরণে সত্যজিৎ রায়: পথের পাঁচালীর অন্দরের অজানা কথা

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
স্মরণে সত্যজিৎ রায়: পথের পাঁচালীর অন্দরের অজানা কথা

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব। সত্যজিৎ তাঁর জীবনবিমার টাকা, নিজের আর্টবুক বিক্রি করে কিছু, আর নিকটতম বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে সিনেমার শুটিং শুরু করেন। অর্থাভাবে প্রায়ই কাজ বন্ধ থাকত। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার হতো শুটিং। 

আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর প্রথম সিনেমা তৈরির অন্তরালের কিছু ঘটনা। 

মিলছে না অপুর খোঁজ
তত দিনে সত্যজিৎ রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি সিনেমা বানাবেন। বিলেত থেকে ফেরার পথে জাহাজে বসেই লিখে ফেলেছেন ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রনাট্য। এবার আসল কাজ, মানে শুটিংয়ে নামার পালা। ছুটির দিনে শিল্প নির্দেশক বংশীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন লোকেশনের খোঁজে। তা ছাড়া সত্যজিতের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তো গ্রামের যোগাযোগ অতটা ছিল না। গ্রামীণ প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনযাপন অনেকটাই তাঁর জানার বাইরে ছিল। ফলে গ্রামকে আবিষ্কারের নেশায় তখন বুঁদ সত্যজিৎ। ভেতরে-ভেতরে একটা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক যুক্ত হচ্ছেন টিমে। কিন্তু প্রধান দুই চরিত্র অপু আর দুর্গা কারা হবে, তা ঠিক হয়নি তখনো। খোঁজ চলছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। শত শত শিশুর ইন্টারভিউ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে মনে ধরছে না সত্যজিতের। 

মনে মতো অপু পেতে কয়েকশ শিশুর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। ছবি: পথের পাঁচালীর হঠাৎ নজর গেল একটি ছেলের দিকে
এক বিকেলে বাড়ির জানালায় হঠাৎ শিশুদের কলরব। সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করছিলেন। শিশুদের হইচই শুনে নিচে তাকালেন। কয়েকটি শিশু খেলা করছে। হঠাৎ তাঁর নজর গেল একটি ছেলের দিকে। ভারী সুন্দর ফুটফুটে চেহারা, বছর পাঁচ–ছয় হবে। ছেলেটিকে দেখে বিজয়ার মনে হয়, ‘আহা, এ রকম দেখতে ছেলের মতো যদি আমাদের অপুকে পাওয়া যেত!’ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ছেলেটি অবাঙালি। কারণ তাঁদের পাড়ায় তখন বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারত আর উত্তর প্রদেশের লোক থাকত। তবুও বাড়ির কাজের মহিলাকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন ছেলেটিকে। কথা বলে বুঝলেন, ছেলেটি বাঙালি। 

সন্ধ্যায় অফিস থেকে সত্যজিৎ ফিরতেই সুখবর শোনালেন বিজয়া, ‘অপুকে পাওয়া গেছে।’ শুনে সত্যজিৎ তো অবাক! এত বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে পাওয়া গেল না, শেষে তার খোঁজ মিলল পাশের বাড়িতে! আবারও ছেলেটিকে ডেকে পাঠানো হলো। সুবীর ব্যানার্জিকে (ছেলেটির নাম) দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলেন সত্যজিৎ। এর চেয়ে ভালো অপু আর কেউ হতে পারে না! এরপর দুর্গাকে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। সত্যজিতের সহকারী আশিস বর্মণের মাধ্যমে পাওয়া গেল উমা দাশগুপ্তকে। সে–ই পথের পাঁচালীর দুর্গা। 

শুরুতেই গোলমাল
প্রথম দিনের শুটিং। অপু–দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে ৭০ মাইল দূরে বর্ধমানের কাছে পালসিট বলে একটা জায়গায়। সেখানে রেললাইনের ধারে কাশফুলে ভরা মাঠ। অপু–দুর্গার সেই বিখ্যাত কাশবনের ভেতরে ঘোরার দৃশ্য তোলা হবে। বেশ বড় দৃশ্য। তাই একদিনে হবে না, অন্তত দুই দিন লাগবে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অর্ধেক দৃশ্য তোলা হলো। প্রথম দিন শুটিংয়ের এক সপ্তাহ পর আবার একই জায়গায় শুটিং। কিন্তু লোকেশনে গিয়ে সবাই অবাক! সেই কাশবন আর নেই! স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশফুল নাকি গরুর খাদ্য! এই এক সপ্তাহে সব কাশ খেয়ে গেছে ওরা। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সেখানে শুটিং করলে আর প্রথম দিনের শুটিংয়ের সঙ্গে মিলবে না। এ দৃশ্যের বাকি অংশ তাই তোলা হয় পরের বছরের শরৎকালে। তখন আবার নতুন কাশে মাঠ ভরে গেছে। 

পথের পাঁচালীর দৃশ্যে অপু, দুর্গা আর তাদের মা বিজয়া।সাদা কাশ, কালো ধোঁয়া
এ শিডিউলে সেই বিখ্যাত ট্রেনের শটও নেওয়া হয়। ট্রেনের এত শট ছিল যে, একটা ট্রেনে কাজ হয়নি। পরপর তিনটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়। কাছাকাছি স্টেশনে থাকতেন পথের পাঁচালী টিমের অনিল বাবু। ট্রেন এলে তিনি ড্রাইভারের পাশে বসে পড়তেন। কারণ ট্রেন শুটিং স্পটের কাছাকাছি এলেই বয়লারে কয়লা দিতে হবে। তা না হলে কালো ধোঁয়া বেরোবে না। সাদা কাশফুলের পাশে কালো ধোঁয়া না পেলে দৃশ্য জমবে কীভাবে! 

একটি কুকুরের মৃত্যু
অপু–দুর্গার পোষা কুকুর ভুলো পথের পাঁচালী সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গ্রাম থেকে একটি কুকুর জোগাড় করা হয়েছিল। সে বেশ মিশে গিয়েছিল সিনেমার ইউনিটের সঙ্গে। এক দৃশ্যে মা সর্বজয়া অপুকে ভাত খাওয়াচ্ছে। ভুলো দাওয়ায় বসে তা দেখছে। খাওয়ায় বিশেষ মন নেই অপুর। সে ব্যস্ত তীর–ধনুক নিয়ে। মা বুঝতে পারে, অপু আর খাবে না। পরের শটে দেখানো হবে সর্বজয়া বাকি ভাতটুকু আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। আর পোষা কুকুরটি গিয়ে সেই ভাত খেয়ে নেয়। কিন্তু এ শটটা সেদিন নেওয়া গেল না। দিনের আলো ফুরিয়ে গেল। সঙ্গে টাকাও। মাস ছয়েক পরে টাকা জোগাড় হলে আবার বোড়াল গ্রামে শুটিং করতে যান সত্যজিৎ। কিন্তু জানা গেল, এ ছয় মাসের মধ্যে কুকুরটি মারা গেছে! এখন কী হবে! খবর পাওয়া গেল, ভুলোর মতো দেখতে আরেকটি কুকুর আছে গ্রামে। পরে তাকে নিয়ে এসে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ করা হয়। 

এই কাশবনে শুটিং সম্পন্ন করতে দুই বছর লেগেছিল। ছবি: পথের পাঁচালীর দৃশ্যফাঁকি ধরতে পারেনি কেউ
চিনিবাস ময়রার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার সামর্থ্য দুর্গা–অপুর নেই। তাই ময়রার পেছন ধাওয়া করে তারা যায় মুখুজ্যেদের বাড়ি। তারা বড়লোক, মিষ্টি কিনবেই, আর তা দেখেই অপু–দুর্গার আনন্দ। এ দৃশ্য খানিকটা তোলার পর অর্থাভাবে শুটিং কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পরেরবার শুটিং করতে গিয়ে জানা গেল, চিনিবাসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি আর বেঁচে নেই। বিপদে পড়লেন সত্যজিৎ। এখন কী উপায়! চিনিবাসের মতো দেখতে নাদুসনুদুস আরেকজনকে নিয়ে এসে শট নেওয়া হলো। সিনেমায় দেখা যায়, এক নম্বর চিনিবাস বাঁশবন থেকে বেরোলেন, আর পরের শটেই দু’নম্বর চিনিবাস ক্যামেরার দিকে পিঠ করে মুখুজ্যুদের বাড়ির ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ‘একেই বলে শুটিং’ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘পথের পাঁচালী ছবি অনেকে একাধিকবার দেখেছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাদের ফাঁকি ধরতে পেরেছে বলে শুনিনি।’ 

একটি বাস্তুসাপ
পথের পাঁচালী সিনেমায় যে বাড়িটিকে অপু–দুর্গাদের বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটি সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন জীর্ণ জংলা অবস্থায়। সেটিকে কাজের উপযোগী করে নিতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। বাড়ির এক অংশে সার বাঁধা পাশাপাশি কয়েকটা ঘর ছিল, সেটা সিনেমায় দেখা যায়নি। ঘরগুলোতে শুটিংয়ের মালপত্র রাখা হতো। আর সাউন্ডের যন্ত্র নিয়ে এক ঘরে বসতেন ভূপেন বাবু। সত্যজিৎ রায় প্রতি শটের পর হাঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘সাউন্ড ঠিক আছে তো?’ ভেতর থেকে জবাব দিতেন ভূপেন বাবু। একদিন শটের পর যথারীতি প্রশ্ন করলেন সত্যজিৎ। কোনো জবাব এল না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারেও কোনো জবাব নেই। ঘরে ঢুকে সত্যজিৎ দেখলেন, একটি বিরাট গোখরো সাপ ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে নামছে। কথা বন্ধ হয়ে গেছে ভূপেন বাবুর! এরপর সাপের ভয় নিয়েই পুরো শুটিং করতে হয়েছে তাঁদের। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাপটিকে তারা মারতে পারেননি গ্রামবাসীদের নিষেধের কারণে। এটি নাকি বাস্তুসাপ। বহুদিন থেকে এই পোড়ো বাড়িতে বসবাস করছে! 

তথ্যসূত্র: 
একেই বলে শুটিং, সত্যজিৎ রায়
আমাদের কথা, বিজয়া রায়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করলেন সোনিয়া, জানালেন কেমন আছেন নায়ক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সোনিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সোনিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।

সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখতে যান রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত সেপ্টেম্বরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখতে যান রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।

স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’

সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’

সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজাখস্তানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন নিশো

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্‌যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।

দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’

নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’

দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চান হামিন আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’

আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’

বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’

হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয়ের মাসে সুমীর চার গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।

সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।

গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’

প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’

সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’

প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত