
প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন সম্পাদকীয় নীতি জারি করা হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পরপরই। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে প্রতিবেদন কীভাবে করতে হবে। দ্য ইন্টারসেপ্টের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকতা নীতি ও জনমত গঠনে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্পাদকীয় নীতি গ্রহণ করেনি। তবে সংবাদমাধ্যমটির স্ট্যান্ডার্ড এডিটর সুসান ওয়েসলিং, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফিলিপ প্যান ও তাঁদের সহযোগীরা যৌথভাবে এক মেমোতে অধস্তন সাংবাদিকদের এই নির্দেশনা দেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে গতকাল সোমবার প্রকাশিত ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনসংক্রান্ত সংবাদে এড়িয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, অবরুদ্ধ গাজায় খোদ জাতিসংঘ পরিচালিত আটটি শরণার্থীশিবির আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই মেমোতে উল্লিখিত শব্দগুলো ব্যবহার না করে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা কি বলতে পারি যে কেন আমরা কিছু শব্দকে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করছি এবং কিছু শব্দকে করছি না? বরাবরের মতো আমাদের স্পষ্টতা ও নির্ভুলতার ওপর ফোকাস করা উচিত। কোনো ঘটনার ওপর নির্দিষ্ট “লেবেল” ব্যবহারের পরিবর্তে কী ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।’
দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মেমোতে সাংবাদিকদের ফিলিস্তিনিদের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ‘যোদ্ধা’ বলে আখ্যায়িত না করে তার পরিবর্তে ‘সন্ত্রাসী’ বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারসেপ্টের বিশ্লেষণ বলছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করছে।
ওই মেমোতে ফিলিস্তিনসংক্রান্ত খবরে নিয়মিতভাবে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়। কেবল বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ, উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত বিভিন্ন ঘটনার সময় সীমিত আকারে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারসেপ্ট ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত গাজা ও ইসরায়েলে যা যা ঘটেছে, সে বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের সংবাদ আধেয় বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে যা করেছে, তার বর্ণনা দিতে এসব সংবাদমাধ্যম প্রায়শই ‘নির্মম হত্যা’, ‘হত্যাকাণ্ড’ ও ‘নৃশংস’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছে।
বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় যা করেছে, তার বর্ণনায় এসব শব্দ কখনোই ব্যবহার হয়নি বললেই চলে। ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলা বোঝাতে অন্তত ৫৩ বার ‘হত্যাকাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দ মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ‘নির্মম হত্যা’ সংঘটিত হয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস, যা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বোঝানোর ক্ষেত্রে আসেনি বললেই চলে। এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করলে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি নির্মমতা বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি ‘নির্মম হত্যা’ অন্তত ২২ গুণ বেশি বার ব্যবহার করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া ওই মেমোতে বলা হয়েছে, ‘অক্টোবরের হামলার বর্ণনায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী শব্দদ্বয় ব্যবহার উপযুক্ত।’ কিন্তু ইসরায়েল বারবার গাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যা, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালালেও সেটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলা হয়নি। এমনকি ওই মেমোতে ‘সম্ভব হলে গাজা, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থান নির্দেশক শব্দ’ ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, ‘অধিকৃত অঞ্চল শব্দটি এড়িয়ে যাওয়া মূলত ইসরায়েলের সরকারি বর্ণনার সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা সংঘাতের প্রকৃত প্রকৃতিকে অস্পষ্ট করে।’
ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘এর মাধ্যমে আপনি মূলত (ইসরায়েলি) দখলকে সংবাদ কভারেজের বাইরে ঠেলে দিচ্ছেন এবং সেটাই সংঘর্ষের আসল কারণ।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে) এ রকম যে, আসুন আমরা দখলকে দখল না বলি। কারণ, এটি দেখে মনে হতে পারে যে আমরা (নিউ ইয়র্ক টাইমস) একটি সন্ত্রাসী হামলাকে ন্যায্যতা দিচ্ছি।’
দ্য ইন্টারসেপ্ট থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন সম্পাদকীয় নীতি জারি করা হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পরপরই। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে প্রতিবেদন কীভাবে করতে হবে। দ্য ইন্টারসেপ্টের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকতা নীতি ও জনমত গঠনে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্পাদকীয় নীতি গ্রহণ করেনি। তবে সংবাদমাধ্যমটির স্ট্যান্ডার্ড এডিটর সুসান ওয়েসলিং, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফিলিপ প্যান ও তাঁদের সহযোগীরা যৌথভাবে এক মেমোতে অধস্তন সাংবাদিকদের এই নির্দেশনা দেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে গতকাল সোমবার প্রকাশিত ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনসংক্রান্ত সংবাদে এড়িয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, অবরুদ্ধ গাজায় খোদ জাতিসংঘ পরিচালিত আটটি শরণার্থীশিবির আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই মেমোতে উল্লিখিত শব্দগুলো ব্যবহার না করে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা কি বলতে পারি যে কেন আমরা কিছু শব্দকে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করছি এবং কিছু শব্দকে করছি না? বরাবরের মতো আমাদের স্পষ্টতা ও নির্ভুলতার ওপর ফোকাস করা উচিত। কোনো ঘটনার ওপর নির্দিষ্ট “লেবেল” ব্যবহারের পরিবর্তে কী ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।’
দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মেমোতে সাংবাদিকদের ফিলিস্তিনিদের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ‘যোদ্ধা’ বলে আখ্যায়িত না করে তার পরিবর্তে ‘সন্ত্রাসী’ বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারসেপ্টের বিশ্লেষণ বলছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করছে।
ওই মেমোতে ফিলিস্তিনসংক্রান্ত খবরে নিয়মিতভাবে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়। কেবল বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ, উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত বিভিন্ন ঘটনার সময় সীমিত আকারে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারসেপ্ট ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত গাজা ও ইসরায়েলে যা যা ঘটেছে, সে বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের সংবাদ আধেয় বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে যা করেছে, তার বর্ণনা দিতে এসব সংবাদমাধ্যম প্রায়শই ‘নির্মম হত্যা’, ‘হত্যাকাণ্ড’ ও ‘নৃশংস’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছে।
বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় যা করেছে, তার বর্ণনায় এসব শব্দ কখনোই ব্যবহার হয়নি বললেই চলে। ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলা বোঝাতে অন্তত ৫৩ বার ‘হত্যাকাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দ মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ‘নির্মম হত্যা’ সংঘটিত হয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস, যা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বোঝানোর ক্ষেত্রে আসেনি বললেই চলে। এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করলে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি নির্মমতা বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি ‘নির্মম হত্যা’ অন্তত ২২ গুণ বেশি বার ব্যবহার করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া ওই মেমোতে বলা হয়েছে, ‘অক্টোবরের হামলার বর্ণনায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী শব্দদ্বয় ব্যবহার উপযুক্ত।’ কিন্তু ইসরায়েল বারবার গাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যা, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালালেও সেটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলা হয়নি। এমনকি ওই মেমোতে ‘সম্ভব হলে গাজা, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থান নির্দেশক শব্দ’ ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, ‘অধিকৃত অঞ্চল শব্দটি এড়িয়ে যাওয়া মূলত ইসরায়েলের সরকারি বর্ণনার সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা সংঘাতের প্রকৃত প্রকৃতিকে অস্পষ্ট করে।’
ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘এর মাধ্যমে আপনি মূলত (ইসরায়েলি) দখলকে সংবাদ কভারেজের বাইরে ঠেলে দিচ্ছেন এবং সেটাই সংঘর্ষের আসল কারণ।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে) এ রকম যে, আসুন আমরা দখলকে দখল না বলি। কারণ, এটি দেখে মনে হতে পারে যে আমরা (নিউ ইয়র্ক টাইমস) একটি সন্ত্রাসী হামলাকে ন্যায্যতা দিচ্ছি।’
দ্য ইন্টারসেপ্ট থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন সম্পাদকীয় নীতি জারি করা হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পরপরই। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে প্রতিবেদন কীভাবে করতে হবে। দ্য ইন্টারসেপ্টের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকতা নীতি ও জনমত গঠনে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্পাদকীয় নীতি গ্রহণ করেনি। তবে সংবাদমাধ্যমটির স্ট্যান্ডার্ড এডিটর সুসান ওয়েসলিং, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফিলিপ প্যান ও তাঁদের সহযোগীরা যৌথভাবে এক মেমোতে অধস্তন সাংবাদিকদের এই নির্দেশনা দেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে গতকাল সোমবার প্রকাশিত ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনসংক্রান্ত সংবাদে এড়িয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, অবরুদ্ধ গাজায় খোদ জাতিসংঘ পরিচালিত আটটি শরণার্থীশিবির আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই মেমোতে উল্লিখিত শব্দগুলো ব্যবহার না করে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা কি বলতে পারি যে কেন আমরা কিছু শব্দকে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করছি এবং কিছু শব্দকে করছি না? বরাবরের মতো আমাদের স্পষ্টতা ও নির্ভুলতার ওপর ফোকাস করা উচিত। কোনো ঘটনার ওপর নির্দিষ্ট “লেবেল” ব্যবহারের পরিবর্তে কী ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।’
দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মেমোতে সাংবাদিকদের ফিলিস্তিনিদের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ‘যোদ্ধা’ বলে আখ্যায়িত না করে তার পরিবর্তে ‘সন্ত্রাসী’ বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারসেপ্টের বিশ্লেষণ বলছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করছে।
ওই মেমোতে ফিলিস্তিনসংক্রান্ত খবরে নিয়মিতভাবে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়। কেবল বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ, উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত বিভিন্ন ঘটনার সময় সীমিত আকারে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারসেপ্ট ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত গাজা ও ইসরায়েলে যা যা ঘটেছে, সে বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের সংবাদ আধেয় বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে যা করেছে, তার বর্ণনা দিতে এসব সংবাদমাধ্যম প্রায়শই ‘নির্মম হত্যা’, ‘হত্যাকাণ্ড’ ও ‘নৃশংস’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছে।
বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় যা করেছে, তার বর্ণনায় এসব শব্দ কখনোই ব্যবহার হয়নি বললেই চলে। ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলা বোঝাতে অন্তত ৫৩ বার ‘হত্যাকাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দ মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ‘নির্মম হত্যা’ সংঘটিত হয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস, যা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বোঝানোর ক্ষেত্রে আসেনি বললেই চলে। এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করলে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি নির্মমতা বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি ‘নির্মম হত্যা’ অন্তত ২২ গুণ বেশি বার ব্যবহার করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া ওই মেমোতে বলা হয়েছে, ‘অক্টোবরের হামলার বর্ণনায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী শব্দদ্বয় ব্যবহার উপযুক্ত।’ কিন্তু ইসরায়েল বারবার গাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যা, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালালেও সেটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলা হয়নি। এমনকি ওই মেমোতে ‘সম্ভব হলে গাজা, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থান নির্দেশক শব্দ’ ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, ‘অধিকৃত অঞ্চল শব্দটি এড়িয়ে যাওয়া মূলত ইসরায়েলের সরকারি বর্ণনার সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা সংঘাতের প্রকৃত প্রকৃতিকে অস্পষ্ট করে।’
ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘এর মাধ্যমে আপনি মূলত (ইসরায়েলি) দখলকে সংবাদ কভারেজের বাইরে ঠেলে দিচ্ছেন এবং সেটাই সংঘর্ষের আসল কারণ।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে) এ রকম যে, আসুন আমরা দখলকে দখল না বলি। কারণ, এটি দেখে মনে হতে পারে যে আমরা (নিউ ইয়র্ক টাইমস) একটি সন্ত্রাসী হামলাকে ন্যায্যতা দিচ্ছি।’
দ্য ইন্টারসেপ্ট থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন সম্পাদকীয় নীতি জারি করা হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পরপরই। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে প্রতিবেদন কীভাবে করতে হবে। দ্য ইন্টারসেপ্টের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকতা নীতি ও জনমত গঠনে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্পাদকীয় নীতি গ্রহণ করেনি। তবে সংবাদমাধ্যমটির স্ট্যান্ডার্ড এডিটর সুসান ওয়েসলিং, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফিলিপ প্যান ও তাঁদের সহযোগীরা যৌথভাবে এক মেমোতে অধস্তন সাংবাদিকদের এই নির্দেশনা দেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে গতকাল সোমবার প্রকাশিত ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনসংক্রান্ত সংবাদে এড়িয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, অবরুদ্ধ গাজায় খোদ জাতিসংঘ পরিচালিত আটটি শরণার্থীশিবির আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই মেমোতে উল্লিখিত শব্দগুলো ব্যবহার না করে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা কি বলতে পারি যে কেন আমরা কিছু শব্দকে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করছি এবং কিছু শব্দকে করছি না? বরাবরের মতো আমাদের স্পষ্টতা ও নির্ভুলতার ওপর ফোকাস করা উচিত। কোনো ঘটনার ওপর নির্দিষ্ট “লেবেল” ব্যবহারের পরিবর্তে কী ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।’
দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মেমোতে সাংবাদিকদের ফিলিস্তিনিদের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ‘যোদ্ধা’ বলে আখ্যায়িত না করে তার পরিবর্তে ‘সন্ত্রাসী’ বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারসেপ্টের বিশ্লেষণ বলছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করছে।
ওই মেমোতে ফিলিস্তিনসংক্রান্ত খবরে নিয়মিতভাবে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়। কেবল বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ, উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত বিভিন্ন ঘটনার সময় সীমিত আকারে ‘ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারসেপ্ট ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত গাজা ও ইসরায়েলে যা যা ঘটেছে, সে বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের সংবাদ আধেয় বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে যা করেছে, তার বর্ণনা দিতে এসব সংবাদমাধ্যম প্রায়শই ‘নির্মম হত্যা’, ‘হত্যাকাণ্ড’ ও ‘নৃশংস’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছে।
বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় যা করেছে, তার বর্ণনায় এসব শব্দ কখনোই ব্যবহার হয়নি বললেই চলে। ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলা বোঝাতে অন্তত ৫৩ বার ‘হত্যাকাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দ মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ‘নির্মম হত্যা’ সংঘটিত হয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস, যা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বোঝানোর ক্ষেত্রে আসেনি বললেই চলে। এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করলে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি নির্মমতা বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি ‘নির্মম হত্যা’ অন্তত ২২ গুণ বেশি বার ব্যবহার করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া ওই মেমোতে বলা হয়েছে, ‘অক্টোবরের হামলার বর্ণনায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী শব্দদ্বয় ব্যবহার উপযুক্ত।’ কিন্তু ইসরায়েল বারবার গাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যা, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালালেও সেটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলা হয়নি। এমনকি ওই মেমোতে ‘সম্ভব হলে গাজা, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থান নির্দেশক শব্দ’ ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, ‘অধিকৃত অঞ্চল শব্দটি এড়িয়ে যাওয়া মূলত ইসরায়েলের সরকারি বর্ণনার সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা সংঘাতের প্রকৃত প্রকৃতিকে অস্পষ্ট করে।’
ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘এর মাধ্যমে আপনি মূলত (ইসরায়েলি) দখলকে সংবাদ কভারেজের বাইরে ঠেলে দিচ্ছেন এবং সেটাই সংঘর্ষের আসল কারণ।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে) এ রকম যে, আসুন আমরা দখলকে দখল না বলি। কারণ, এটি দেখে মনে হতে পারে যে আমরা (নিউ ইয়র্ক টাইমস) একটি সন্ত্রাসী হামলাকে ন্যায্যতা দিচ্ছি।’
দ্য ইন্টারসেপ্ট থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়।
২ ঘণ্টা আগে
সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর এই শুল্ক ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
কোন কোন পণ্যে শুল্ক
ম্যাক্সিকান দৈনিক এল ইউনিভার্সালের তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক আরোপ করা হয়েছে অনেকগুলো পণ্যের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে—অটো পার্টস, ছোট গাড়ি, পোশাক, প্লাস্টিক, স্টিল, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, খেলনা, টেক্সটাইল, আসবাব, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, কাগজ ও কার্ডবোর্ড, মোটরসাইকেল, অ্যালুমিনিয়াম, কাচ, সাবান, সুগন্ধি ও কসমেটিকস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তারা এই শুল্কে প্রভাবিত হবে।
মেক্সিকো কেন শুল্ক বাড়াচ্ছে
মেক্সিকো সরকারের দাবি, দেশের স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা এবং এশিয়া বিশেষ করে চীন থেকে অতিরিক্ত আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতেই এই পদক্ষেপ। চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে—শুধু ২০২৪ সালেই দেশটি চীন থেকে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেই রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
মেক্সিকো বলছে, নতুন শুল্ক আরোপে সরকারের অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং দেশের শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়াকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের ডেপুটি রিকার্ডো মনরিয়াল বলেন, ‘ম্যাক্সিকান শিল্পকে সমর্থন দেওয়া মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।’ তবে বিশ্লেষকদের অনেকের মত, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তি মাথায় রেখে ওয়াশিংটনকে খুশি করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের ওপর প্রভাব কতটা
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর সিদ্ধান্তে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ধাক্কা খাবে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের প্রধান গাড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে রয়েছে—মারুতি সুজুকি, হুন্দাই, নিসান ও ভক্সওয়াগন।
গাড়ির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের অন্যতম বড় বাজারে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবের পর মেক্সিকো বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি রপ্তানি বাজার।
ভারতীয় গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠনগুলো বলেছে, শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি রপ্তানি হ্রাস করবে। তারা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে চীন বলেছে, তারা সব ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধী। তারা মেক্সিকোকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর এই শুল্ক ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
কোন কোন পণ্যে শুল্ক
ম্যাক্সিকান দৈনিক এল ইউনিভার্সালের তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক আরোপ করা হয়েছে অনেকগুলো পণ্যের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে—অটো পার্টস, ছোট গাড়ি, পোশাক, প্লাস্টিক, স্টিল, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, খেলনা, টেক্সটাইল, আসবাব, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, কাগজ ও কার্ডবোর্ড, মোটরসাইকেল, অ্যালুমিনিয়াম, কাচ, সাবান, সুগন্ধি ও কসমেটিকস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তারা এই শুল্কে প্রভাবিত হবে।
মেক্সিকো কেন শুল্ক বাড়াচ্ছে
মেক্সিকো সরকারের দাবি, দেশের স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা এবং এশিয়া বিশেষ করে চীন থেকে অতিরিক্ত আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতেই এই পদক্ষেপ। চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে—শুধু ২০২৪ সালেই দেশটি চীন থেকে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেই রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
মেক্সিকো বলছে, নতুন শুল্ক আরোপে সরকারের অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং দেশের শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়াকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের ডেপুটি রিকার্ডো মনরিয়াল বলেন, ‘ম্যাক্সিকান শিল্পকে সমর্থন দেওয়া মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।’ তবে বিশ্লেষকদের অনেকের মত, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তি মাথায় রেখে ওয়াশিংটনকে খুশি করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের ওপর প্রভাব কতটা
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর সিদ্ধান্তে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ধাক্কা খাবে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের প্রধান গাড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে রয়েছে—মারুতি সুজুকি, হুন্দাই, নিসান ও ভক্সওয়াগন।
গাড়ির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের অন্যতম বড় বাজারে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবের পর মেক্সিকো বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি রপ্তানি বাজার।
ভারতীয় গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠনগুলো বলেছে, শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি রপ্তানি হ্রাস করবে। তারা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে চীন বলেছে, তারা সব ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধী। তারা মেক্সিকোকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়।
২ ঘণ্টা আগে
সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়। আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য এবং আমরা ইতিমধ্যেই ঝুঁকির মধ্যে আছি—আর সেই জন্যই হুমকিটা স্পষ্ট করে জানা জরুরি।’
রুটে দাবি করেন, এই বছরের শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি আত্মতুষ্টির সময় নয়।’ তাঁর মতে, অনেক দেশ এখনো এই হুমকিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন সময় আমাদের পক্ষে। তা কিন্তু নয়। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। মিত্র দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সামরিক উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে হবে। নিরাপদ থাকতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা দিতে হবে।’
রাশিয়া সম্পর্কে রুটে বলেন, দেশটি ন্যাটো ও ইউক্রেনের প্রতি আরও ধৃষ্ট, বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে। তিনি স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘এভিল এম্পায়ার’ বা ‘শয়তান সাম্রাজ্য’-এর মন্তব্য স্মরণ করে বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন আবার সাম্রাজ্য গঠনের কাজে নেমেছেন।’
রুটের ভাষ্যমতে—পুতিন ইতিহাসকে বিকৃত দৃষ্টিতে দেখেন এবং মনে করেন পশ্চিমাদের স্বাধীনতা তার ক্ষমতার ওপর হুমকি সৃষ্টি করে। রাশিয়ার আক্রমণাত্মক নীতির জন্য চীনকেও দায়ী করেন তিনি।
রুটে বলেন, চীন এখন রাশিয়ার ‘জীবনরেখা’, যা তাকে আক্রমণাত্মক নীতি চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও ইরানও মস্কোকে সমর্থন দিচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন রুটে। তাঁর মতে, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্ষম একমাত্র ব্যক্তি হলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘চলুন পুতিনকে পরীক্ষা করি—তিনি সত্যিই শান্তি চান, নাকি হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেতে চান।’ এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর অব্যাহত চাপ বজায় রাখারও তাগিদ দেন।

ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়। আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য এবং আমরা ইতিমধ্যেই ঝুঁকির মধ্যে আছি—আর সেই জন্যই হুমকিটা স্পষ্ট করে জানা জরুরি।’
রুটে দাবি করেন, এই বছরের শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি আত্মতুষ্টির সময় নয়।’ তাঁর মতে, অনেক দেশ এখনো এই হুমকিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন সময় আমাদের পক্ষে। তা কিন্তু নয়। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। মিত্র দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সামরিক উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে হবে। নিরাপদ থাকতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা দিতে হবে।’
রাশিয়া সম্পর্কে রুটে বলেন, দেশটি ন্যাটো ও ইউক্রেনের প্রতি আরও ধৃষ্ট, বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে। তিনি স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘এভিল এম্পায়ার’ বা ‘শয়তান সাম্রাজ্য’-এর মন্তব্য স্মরণ করে বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন আবার সাম্রাজ্য গঠনের কাজে নেমেছেন।’
রুটের ভাষ্যমতে—পুতিন ইতিহাসকে বিকৃত দৃষ্টিতে দেখেন এবং মনে করেন পশ্চিমাদের স্বাধীনতা তার ক্ষমতার ওপর হুমকি সৃষ্টি করে। রাশিয়ার আক্রমণাত্মক নীতির জন্য চীনকেও দায়ী করেন তিনি।
রুটে বলেন, চীন এখন রাশিয়ার ‘জীবনরেখা’, যা তাকে আক্রমণাত্মক নীতি চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও ইরানও মস্কোকে সমর্থন দিচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন রুটে। তাঁর মতে, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্ষম একমাত্র ব্যক্তি হলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘চলুন পুতিনকে পরীক্ষা করি—তিনি সত্যিই শান্তি চান, নাকি হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেতে চান।’ এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর অব্যাহত চাপ বজায় রাখারও তাগিদ দেন।

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
১৬ এপ্রিল ২০২৪
নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থবিরোধী অর্থনৈতিক নীতি ও দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সপ্তাহ ধরে এ বিক্ষোভ চলছিল।
টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে ঝেলিয়াজকভ বলেন, ‘আমরা জোটের বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের করণীয় সিদ্ধান্তগুলো আলোচনা করেছি। জনগণ আমাদের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীলতার প্রত্যাশা করে, আমরা সে উচ্চতায় থাকতে চাই। ক্ষমতা আসে জনগণের কণ্ঠ থেকে।’
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী সোফিয়া ছাড়াও দেশজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকারের অর্থনৈতিক নীতি জনস্বার্থবিরোধী, উচ্চকর ও সামাজিক নিরাপত্তা অবদানের প্রস্তাব জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বছরের পর বছর চলা দুর্নীতি দমনে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
গত সপ্তাহে সরকার তাদের ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব করে, যেখানে প্রথমবারের মতো ইউরো মুদ্রায় খসড়া করা হয়েছিল। তবে বিক্ষোভের কারণে সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তায় নাগরিক ব্যয় বাড়ানো এবং লভ্যাংশের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা ছিল।
তবে বাজেট প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি। গত চার বছরে দেশটিতে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজন বুলগেরিয়ার সংকট আরও গভীর করেছে।
এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘জনগণের কণ্ঠ আর মাফিয়ার ভয়ের মাঝে—জনগণের কণ্ঠই শুনুন। রাস্তায় যে স্লোগান উঠছে, তার প্রতিধ্বনি শুনুন।’
বুলগেরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত। এখন তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার গঠন কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আর যদি দলগুলো নতুন সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন এবং দেশে আবারও নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থবিরোধী অর্থনৈতিক নীতি ও দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সপ্তাহ ধরে এ বিক্ষোভ চলছিল।
টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে ঝেলিয়াজকভ বলেন, ‘আমরা জোটের বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের করণীয় সিদ্ধান্তগুলো আলোচনা করেছি। জনগণ আমাদের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীলতার প্রত্যাশা করে, আমরা সে উচ্চতায় থাকতে চাই। ক্ষমতা আসে জনগণের কণ্ঠ থেকে।’
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী সোফিয়া ছাড়াও দেশজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকারের অর্থনৈতিক নীতি জনস্বার্থবিরোধী, উচ্চকর ও সামাজিক নিরাপত্তা অবদানের প্রস্তাব জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বছরের পর বছর চলা দুর্নীতি দমনে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
গত সপ্তাহে সরকার তাদের ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব করে, যেখানে প্রথমবারের মতো ইউরো মুদ্রায় খসড়া করা হয়েছিল। তবে বিক্ষোভের কারণে সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তায় নাগরিক ব্যয় বাড়ানো এবং লভ্যাংশের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা ছিল।
তবে বাজেট প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি। গত চার বছরে দেশটিতে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজন বুলগেরিয়ার সংকট আরও গভীর করেছে।
এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘জনগণের কণ্ঠ আর মাফিয়ার ভয়ের মাঝে—জনগণের কণ্ঠই শুনুন। রাস্তায় যে স্লোগান উঠছে, তার প্রতিধ্বনি শুনুন।’
বুলগেরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত। এখন তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার গঠন কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আর যদি দলগুলো নতুন সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন এবং দেশে আবারও নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
১৬ এপ্রিল ২০২৪
নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ফায়েজ হামিদ ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগাম অবসরে যান হামিদ। পাকিস্তানের ইতিহাসে হামিদই প্রথম কোনো আইএসআই প্রধান, যাকে সামরিক আইনের মুখোমুখি হতে হলো।
আইএসপিআর জানিয়েছে, পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ মাসব্যাপী চলেছে এই বিচারপ্রক্রিয়া। হামিদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়—রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, অফিশিয়াল গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা, ক্ষমতা ও সরকারি সম্পদের অপব্যবহার এবং নাগরিকদের ক্ষতি সাধন।
সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামিদ নিজের পছন্দমতো আইনজীবী দল নিয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তাঁর কাছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকারও উন্মুক্ত রয়েছে।
মামলার শুনানি সামরিক আদালতে হওয়ায় এর সুনির্দিষ্ট তথ্য গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি।
আইএসপিআর জানিয়েছে, হামিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ আলাদাভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এই অভিযোগটি ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংস বিক্ষোভে হামিদের ভূমিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাকাঠামোতে আইএসআই প্রধানকে সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রভাবশালী পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই রায় দেশটির রাজনৈতিক–সামরিক সম্পর্কে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফায়েজ হামিদকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ফায়েজ হামিদ ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগাম অবসরে যান হামিদ। পাকিস্তানের ইতিহাসে হামিদই প্রথম কোনো আইএসআই প্রধান, যাকে সামরিক আইনের মুখোমুখি হতে হলো।
আইএসপিআর জানিয়েছে, পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ মাসব্যাপী চলেছে এই বিচারপ্রক্রিয়া। হামিদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়—রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, অফিশিয়াল গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা, ক্ষমতা ও সরকারি সম্পদের অপব্যবহার এবং নাগরিকদের ক্ষতি সাধন।
সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামিদ নিজের পছন্দমতো আইনজীবী দল নিয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তাঁর কাছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকারও উন্মুক্ত রয়েছে।
মামলার শুনানি সামরিক আদালতে হওয়ায় এর সুনির্দিষ্ট তথ্য গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি।
আইএসপিআর জানিয়েছে, হামিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ আলাদাভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এই অভিযোগটি ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংস বিক্ষোভে হামিদের ভূমিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাকাঠামোতে আইএসআই প্রধানকে সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রভাবশালী পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই রায় দেশটির রাজনৈতিক–সামরিক সম্পর্কে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস তার কর্মীদের ফিলিস্তিন বা গাজাসংক্রান্ত খবরগুলোতে ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ ও ‘শরণার্থীশিবিরের’ মতো শব্দগুলো লিখতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
১৬ এপ্রিল ২০২৪
নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়।
২ ঘণ্টা আগে
সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগে