Ajker Patrika

সাঙ্গাকারা-দিলশানদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু, চাপে বাংলাদেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৮: ১৬
সাঙ্গাকারা-দিলশানদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু, চাপে বাংলাদেশ 

সিলেটে চলমান প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুই ব্যাটারই করেন সেঞ্চুরি। সেই ফর্মটা ধরে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। তাতে তাঁরা (ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু) কুমার সাঙ্গাকারা-তিলকরত্নে দিলশানদের মতো লঙ্কান তারকাদের পাশে বসলেন। 

লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির সবশেষ কীর্তি ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ৩১৯ ও ১০৫ রান করেন সাঙ্গাকারা। ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষেই প্রথমে লঙ্কানদের অপেক্ষা ফুরিয়েছেন ধনাঞ্জয়া। ১৮৬ তম টেস্ট হলেও অধিনায়ক হিসেবে এটা ধনাঞ্জয়ার দ্বিতীয় টেস্ট। অধিনায়ক ধনাঞ্জয়ার কীর্তির কিছুক্ষণ পরই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন কামিন্দু। ধনাঞ্জয়া আউট হলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে এখনো অপরাজিত কামিন্দু। এরই মধ্যে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানরা নিয়েছে ৪৩০ রানের লিড। 

সাঙ্গা-ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু তো বটেই, বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাঠে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি রয়েছে তিলকরত্নে দিলশানেরও। চট্টগ্রামে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন ১৬২ ও ১৪৩ রান। সাঙ্গার বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন কীর্তি (দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি) রয়েছে দুবার। ২০১৩ সালে গল টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪২ ও ১০৫ রান করেছিলেন তিনি।

 

সিলেটে চলমান প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুই ব্যাটারই করেন সেঞ্চুরি। সেই ফর্মটা ধরে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। তাতে তাঁরা (ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু) কুমার সাঙ্গাকারা-তিলকরত্নে দিলশানদের মতো লঙ্কান তারকাদের পাশে বসলেন। 

 

লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির সবশেষ কীর্তি ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ৩১৯ ও ১০৫ রান করেন সাঙ্গাকারা। ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষেই প্রথমে লঙ্কানদের অপেক্ষা ফুরিয়েছেন ধনাঞ্জয়া। ১৮৬তম টেস্ট হলেও অধিনায়ক হিসেবে এটা ধনাঞ্জয়ার দ্বিতীয় টেস্ট। অধিনায়ক ধনাঞ্জয়ার কীর্তির কিছুক্ষণ পরই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন কামিন্দু। ধনাঞ্জয়া আউট হলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে এখনো অপরাজিত কামিন্দু। এরই মধ্যে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানরা নিয়েছে ৪৩০ রানের লিড। 

সাঙ্গা-ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু তো বটেই, বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাঠে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি রয়েছে তিলকরত্নে দিলশানেরও। চট্টগ্রামে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন ১৬২ ও ১৪৩ রান। সাঙ্গার বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন কীর্তি (দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি) রয়েছে দু্ইবার। ২০১৩ সালে গল টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪২ ও ১০৫ রান করেছিলেন তিনি।    

৯২ রানের লিড নিয়ে সিলেটে শ্রীলঙ্কা গতকাল দ্বিতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসেই ব্যাটিং শুরু করে। ৩৬ ওভারে লঙ্কানরা ৫ উইকেটে ১১৯ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে। সেখান থেকে আজ দিনের খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা বিশ্ব ফার্নান্দোকে ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেলান খালেদ আহমেদ। লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় তখন ৩৮.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৬ রান। এরপর ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন কামিন্দু। ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে ভোগান্তিতে ফেলার দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে তুলে নেন আবারও। এই জুটি গড়ার পেছনে দায় রয়েছে বাংলাদেশেরও। ৬৩তম ওভারের পঞ্চম বলে খালেদ করেন ধনাঞ্জয়াকে। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে কামিন্দু বেরিয়ে গেলে রানআউট করার সুযোগ পেয়েও করেননি খালেদ। সফরকারীদের স্কোর তখন ৬২.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। কামিন্দুর স্কোর তখন ৪৯ ও ধনাঞ্জয়া ৮৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

বেঁচে যাওয়ার এই সুযোগে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। কামিন্দু টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। এরপর নার্ভাস নাইন্টিতে সহজেই কাটা পড়তে পারতেন ধনাঞ্জয়া। ৭২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে কাট করতে যান ধনাঞ্জয়া। উইকেটরক্ষক লিটন দাস বল ধরেও কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করেননি আর কেউই। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেছে, ব্যাট ছুয়ে বল জমা পড়েছে লিটনের গ্লাভসে। ৯৪ রানে বেঁচে যাওয়া ধনাঞ্জয়া ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭৬তম ওভারে। ৭৬তম ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট মিড উইকেট এলাকায় সিঙ্গেল নিয়ে ফৌঁছে যান তিন অঙ্কে।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। ৮৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজের শর্ট পিচ বল পুল করতে যান ধনাঞ্জয়া। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন জাকির হাসান। ১৭৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ রান করেন ধনাঞ্জয়া। তাতে ভেঙে যায় সপ্তম উইকেটে ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর ২৭৩ বলে ১৭৩ রানের জুটি। লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় ৮৪.২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৯ রান। ধনাঞ্জয়ার বিদায়ের পর চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়  সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু। ৯৪তম ওভারের প্রথম বলে শান্তকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে তিন অঙ্ক ছুয়েছেন কামিন্দু। এই ৯৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৮ রানে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে লঙ্কানরা। ১৭১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত কামিন্দু। ৩৪ বলে ১৩ রানে ব্যাটিং করছেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া।   

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেকর্ডজয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলল নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২৩ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২৩ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

রানের বিচারে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারের ৩২৩ রানের জয়টাই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। রেকর্ড জয়ের পর ২০২৫-২৭ চক্রের পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দু্ইয়ে উঠে এল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সাফল্যের হার ৭৭.৭৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্যের হার ৭৫। গত মাসে ভারতকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা। অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজ ড্র করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৯ দলের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে আট নম্বরে।

২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচের ছয়টিতে জিতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অজিরা। জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে অস্ট্রেলিয়া। এবার চলমান অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে অজিরা। পার্থ, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড—কোথাও অজিদের কাছে পাত্তা পায়নি ইংল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ দলের মধ্যে ৯ নম্বরে থাকা উইন্ডিজের সাফল্যের হার ৪.১৭। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই ক্যারিবীয়দের।

চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের চার থেকে ছয়ে অবস্থান করছে এশিয়ার তিন দল। চার, পাঁচ ও ছয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের সাফল্যের হার ৬৬.৬৭, ৫০ ও ৪৮.১৫। ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। সাত নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের সাফল্যের হার ২৭.০৮। ঘরের মাঠে এ বছরের জুন-আগস্টে ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে ভারতের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ আগে অ্যাশেজ খোয়ানোর ফলে আরও বেকায়দায় পড়েছে ইংলিশরা।

২০২৫-২৭ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
২০২৫-২৭ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ এ বছরের নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে। মুশফিকুর রহিম তাঁর ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে রেকর্ড সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই চক্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জুনে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০১৯-২১, ২০২১-২৩ চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই দুইবারই রানার্সআপ হয়েছে। সবশেষ ২০২৩-২৫ চক্রে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল

সাফল্যের হার পয়েন্ট ম্যাচ

অস্ট্রেলিয়া ১০০ ৭২ ৬

নিউজিল্যান্ড ৭৭.৭৮ ২৮ ৩

দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৫ ৩৬ ৪

শ্রীলঙ্কা ৬৬.৬৭ ১৬ ২

পাকিস্তান ৫০ ১২ ২

ভারত ৪৮.১৫ ৫২ ৯

ইংল্যান্ড ২৭.০৮ ২৬ ৮

বাংলাদেশ ১৬.৬৭ ৪ ২

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪.১৭ ৪ ৮

*২০২৫-এর ২২ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কবে অবসর নেবেন রোহিত শর্মা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৮
অস্ট্রেলিয়ার সফরটা দারুণ গেছে এই ব্যাটারের। ছবি: বিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার সফরটা দারুণ গেছে এই ব্যাটারের। ছবি: বিসিসিআই

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।

ব্যাট হাতে ২০২৫ সালটা দারুণ গেছে রোহিতের। এই বছর ১৪ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে করেন ৬৫০ রান। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরটা তো স্বপ্নের মতো গেছে তাঁর। ৩ ম্যাচে করেন ২০২ রান। একটি করে সেঞ্চুরি এবং ফিফটি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অজিদের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের পর প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নেন তিনি। এরপরও রোহিতের অবসর নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। তবে সাবেক অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনই থামতে চান না তিনি।

রোহিত বলেন, ‘আমার জীবনটা হলো অনেকটা উড়োজাহাজের মতো। শুরুটা কঠিন ছিল। কিন্তু একবার গতি পাওয়ার পর প্লেনটা যে উচ্চতায় উঠেছে সেখান থেকে আর নিচে নামেনি। প্লেনটা এখনই নিচে নামুক সেটা চাই না।’

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা হাতছাড়া করে ভারত। সে ম্যাচের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রোহিত। এমনকি ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ সময় লেগেছে তাঁর।

এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর, আমি পুরোপুরি হতাশ ছিলাম এবং অনুভব করছিলাম যে আমি আর ক্রিকেট খেলতে চাই না। কারণ এটা আমার মন ভেঙেছে এবং আমার মনে হয়েছিল আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’

অধিনায়ক হিসেবে এখনো বিশ্বকাপ না জেতার আফসোসে পুড়ছেন রোহিত, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ২০২৩ বিশ্বকাপ। সেটা না হওয়ায় আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট ছিল না। নিজেকে সুস্থ করে তুলতে এবং আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমার কয়েক মাস সময় লেগেছে।’

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরে রোহিতের মতো দলের বাকি সদস্যরাও বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল। রোহিত বলেন, ‘সবাই অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিল। আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি যে কী হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে এটা ছিল আমার জন্য খুব কঠিন সময়। কারণ আমি বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমার চেষ্টার কমতি ছিল না। ২০২২ সালে অধিনায়কত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতকে হারিয়ে ২১ লাখ টাকা পাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।

দুবাই শেষে সামির মিনহাস, ফারহান ইউসাফ, হুসাইফা হাসানরা আজ বীরের বেশে দেশে ফিরেছেন। ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে রাজকীয় বরণ করা হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে বের হচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ছাদখোলা বাসে যখন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দল ভ্রমণ করছে, তখন ভক্ত-সমর্থকেরা তাঁদের উদ্দেশে ফুল ছিটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারদের দেখতে অনেকে উট ভাড়া করে এসেছেন। শিরোপা জয়ের আনন্দে সানাই বাজিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভিসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারদের জন্য ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ২১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

নাকভি একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানও। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়কে দেশটির ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয় বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আড়ালে চলে গেলেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এক রকম পুনর্জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তান এর আগে একবারই জিতেছিল। ২০১২ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর এবার আর শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি ভারত-পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন সামির মিনহাস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরাজিত ভারতকে রানার্সআপ পদক দিতে যান নাকভি। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেননি। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, কিষাণ সিংরা রানার্সআপ পদক নিয়েছেন মুবাশশির উসমানির কাছ থেকে। উসমানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বোর্ড পরিচালক। একই সঙ্গে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইসিসি কেন এই সিস্টেমের খরচ বহন করছে না, প্রশ্ন স্টার্কের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১২
ডিআরএস নিয়ে আইসিসির ওপর প্রশ্ন তুলেছেন মিচেল স্টার্ক। ছবি: ক্রিকইনফো
ডিআরএস নিয়ে আইসিসির ওপর প্রশ্ন তুলেছেন মিচেল স্টার্ক। ছবি: ক্রিকইনফো

অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু হয়েছে অনেক আগেই। ডিআরএসের এই সিস্টেমে স্নিকোমিটার, আল্ট্রা এজ নামে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে আইসিসি। কোন সিরিজে কোনটি ব্যবহার করা হবে, আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নির্ভর করে। ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া স্নিকোমিটার দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্নিকোমিটার বেশির ভাগ সময় ঠিকভাবে কাজ করেনি। সিস্টেমে গলদ থাকার কারণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত উল্টাপাল্টা হয়েছে।

অ্যাডিলেডে গতকাল পাঁচ দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের পর স্নিকোমিটার প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিসির উদ্দেশে স্টার্ক বলেন, ‘সব দেশে একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত ও আইসিসি সেটা তত্ত্বাবধান করবে। স্নিকোর উল্টাপাল্টা আচরণ সত্যিই হতাশাজনক। দর্শক থেকে শুরু করে ম্যাচ কর্মকর্তা, সম্প্রচারক সবার জন্যই ঝামেলা। ম্যাচ কর্মকর্তারাও তো স্নিকোমিটার ব্যবহার করেন। এটার খরচ কেন আইসিসি বহন করবে না?’

অ্যাডিলেডে ক্যারি গত ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে ৭২ রানে আউট হতে পারতেন ক্যারি। ইনিংসের ৬৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্যারির বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন ইংলিশ পেসার জশ টাঙ। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্পাইক ধরা পড়ার পরও ক্যারিকে আউট ঘোষণা করা হয়নি। ৭২ রানে বেঁচে যাওয়া ক্যারি তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ১০৬ রান করেছেন। পরের দিন (দ্বিতীয় দিন) ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথের বিপক্ষে ডিআরএস প্রযুক্তি দুইবার ভুল ডিসিশন দিয়েছে।

টানা দুই দিন স্নিকোমিটার প্রযুক্তি কাজ না করায় স্টার্ক তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার বলেছিলেন, ‘স্নিকোমিটার বাদ দেওয়া উচিত। সবচেয়ে বাজে প্রযুক্তি এটা। আগের দিনও তারা ভুল করেছে। আজ তারা আরেকটা ভুল করল।’ তাঁর এই কথা রেকর্ড হয়েছিল স্টাম্প মাইকে। টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাওয়া সাইমন টফেল তখন বলেছিলেন, ‘আম্পায়ারকে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে দেখতে চাই। প্রযুক্তি অবশ্যই পাশে থাকবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তো সবকিছু বদলে ফেলা যাবে না।’ টফেলের মতে দুই বছর আগে আম্পায়ারের ‘সফট সিগনাল’-এর নিয়ম উঠিয়ে দিয়েই আইসিসি ভুলটা করেছে।

পার্থ, ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই ৮ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছে দুই দিনে। ব্রিসবেনে গোলাপি বলে হওয়া অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের স্থায়িত্ব ছিল চার দিন। অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট পাঁচ দিনে গড়িয়েছে ও অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জিতেছে। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। এই টেস্ট বক্সিং ডে টেস্ট নামে পরিচিত। নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে অ্যাশেজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত