ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের শুরুতেই পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৩টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি দিয়ে সেটি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের বলে দাবি করা হচ্ছে। কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, পৃষ্ঠাটি ৩য় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিতে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ রয়েছে ১২। এতে লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কি না তা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণের সূত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক পর্যায় ও প্রাথমিক স্তরের বইগুলো খুঁজে দেখা হয়।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ে এমন পাঠ নেই
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক যাচাই করে দেখা যায়, এই শ্রেণিতে এসো লিখতে শিখি, ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্টসহ মোট ছয়টি পাঠ্যপুস্তক আছে। এর মধ্যে ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্ট দুটি এক পৃষ্ঠার। তবে এই চার্টগুলোর সঙ্গে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অন্য পাঠ্যপুস্তকগুলোতেও এমন কোনো পাঠ বা পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলোতেও এমন পাঠ ও পৃষ্ঠা নেই
প্রাক প্রাথমিকের বই ছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলো যাচাই করে দেখা হয়। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, প্রথমেই এই শ্রেণিগুলোর বইগুলোর মধ্যে বাংলা বইগুলো খুঁজে দেখা হয়। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ১২ নম্বর পৃষ্ঠার পাঠ হলো ‘বাঘ ও রাখালের গল্প’। বর্ণ শিক্ষা বিষয়ক পাঠ রয়েছে ১৫ থেকে ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তবে এই পাঠগুলোতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম শ্রেণির বাকি দুইটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।

দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচিত পাঠটির ন্যায় কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ থেকে ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি বর্ণমালা’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। ১৭ থেকে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠাতে ‘কার চিহ্ন দিয়ে শব্দ বানাই’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব পাঠসহ বইটির অন্যান্য পাঠে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি দুটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।
তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি ফলাচিহ্ন’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। এতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পুরো বইটির অন্য পাঠগুলো খুঁজেও দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যেহেতু স্যোশাল মিডিয়ার কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হয় যে, ভাইরাল পৃষ্ঠাটি তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। বইটির ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় এমন কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বরং দেখা যায়, পৃষ্ঠাটি ওজু ও গোসলের পাঠের অনুশীলনের।

অধিকতর নিশ্চয়তার লক্ষ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী বা প্রাথমিকের বইগুলো যাচাই করেও ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির ন্যায় অনুরূপ কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, এটি বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার সংক্রান্ত পাঠ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে এমন কোনো পাঠ থাকার সম্ভাবনা নেই।
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির প্রকৃত উৎসের খুঁজে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত পহেলা জানুয়ারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানা নামের এক ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয়, ভাইরাল এই পৃষ্ঠাটি সম্পর্কিত এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। ওইদিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দেওয়া পোস্টটিতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিসহ আরেকটি পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি ১ হাজার ২০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
এতে লেখা রয়েছে, ‘আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায়’। বইটির প্রথম প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং অষ্টম বা সবশেষ প্রকাশকাল ২০২১ সালের নভেম্বর। বইটি প্রকাশনায় ছিল লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বিস্তারিত অনুসন্ধানে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে আলোচিত প্রতিষ্ঠানের লোগোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রোফাইলটিতে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আইএনজিওয়ের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানার পোস্টটিতে বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি কোন শ্রেণির বই তা জানতে চেয়ে মন্তব্য করেন। তবে তিনি অন্য একটি মন্তব্যের উত্তর দিলেও এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি। ফেসবুকে ভাইরাল অন্য পোস্টগুলোর মন্তব্য যাচাই করেও দেখা যায়, অনেক নেটিজেন বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলেও পোস্টকারীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পুরানো শিক্ষাক্রমের বইগুলো খুঁজেও এমন কোনো বইয়ের নাম পাওয়া যায়নি।
বইটি সম্পর্কে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১ নামে এনসিটিবির কোনো বই নেই। এনসিটিবির বইয়ের তালিকা ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে। লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গেও এনসিটিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার কিছু বইয়ের মলাটের উল্টো পাশে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ইংরেজি সংস্করণের মলাট দেখা যায়। পরে বইগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। এটি দেখে মূলত আমাদের প্রিন্টিং বিভাগ। তবে যতটুকু জেনেছি, এটি ছাপাখানার ভুল ছিল।’
সিদ্ধান্ত
লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায় নামের একটি বই প্রকাশ করে ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে বইটির সবশেষ সংস্করণ বের করা হয়। এই নামে এনসিটিবির কোনো বই না থাকলেও এটিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রমের বই হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের শুরুতেই পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৩টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি দিয়ে সেটি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের বলে দাবি করা হচ্ছে। কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, পৃষ্ঠাটি ৩য় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিতে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ রয়েছে ১২। এতে লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কি না তা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণের সূত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক পর্যায় ও প্রাথমিক স্তরের বইগুলো খুঁজে দেখা হয়।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ে এমন পাঠ নেই
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক যাচাই করে দেখা যায়, এই শ্রেণিতে এসো লিখতে শিখি, ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্টসহ মোট ছয়টি পাঠ্যপুস্তক আছে। এর মধ্যে ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্ট দুটি এক পৃষ্ঠার। তবে এই চার্টগুলোর সঙ্গে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অন্য পাঠ্যপুস্তকগুলোতেও এমন কোনো পাঠ বা পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলোতেও এমন পাঠ ও পৃষ্ঠা নেই
প্রাক প্রাথমিকের বই ছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলো যাচাই করে দেখা হয়। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, প্রথমেই এই শ্রেণিগুলোর বইগুলোর মধ্যে বাংলা বইগুলো খুঁজে দেখা হয়। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ১২ নম্বর পৃষ্ঠার পাঠ হলো ‘বাঘ ও রাখালের গল্প’। বর্ণ শিক্ষা বিষয়ক পাঠ রয়েছে ১৫ থেকে ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তবে এই পাঠগুলোতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম শ্রেণির বাকি দুইটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।

দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচিত পাঠটির ন্যায় কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ থেকে ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি বর্ণমালা’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। ১৭ থেকে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠাতে ‘কার চিহ্ন দিয়ে শব্দ বানাই’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব পাঠসহ বইটির অন্যান্য পাঠে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি দুটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।
তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি ফলাচিহ্ন’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। এতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পুরো বইটির অন্য পাঠগুলো খুঁজেও দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যেহেতু স্যোশাল মিডিয়ার কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হয় যে, ভাইরাল পৃষ্ঠাটি তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। বইটির ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় এমন কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বরং দেখা যায়, পৃষ্ঠাটি ওজু ও গোসলের পাঠের অনুশীলনের।

অধিকতর নিশ্চয়তার লক্ষ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী বা প্রাথমিকের বইগুলো যাচাই করেও ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির ন্যায় অনুরূপ কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, এটি বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার সংক্রান্ত পাঠ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে এমন কোনো পাঠ থাকার সম্ভাবনা নেই।
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির প্রকৃত উৎসের খুঁজে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত পহেলা জানুয়ারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানা নামের এক ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয়, ভাইরাল এই পৃষ্ঠাটি সম্পর্কিত এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। ওইদিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দেওয়া পোস্টটিতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিসহ আরেকটি পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি ১ হাজার ২০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
এতে লেখা রয়েছে, ‘আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায়’। বইটির প্রথম প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং অষ্টম বা সবশেষ প্রকাশকাল ২০২১ সালের নভেম্বর। বইটি প্রকাশনায় ছিল লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বিস্তারিত অনুসন্ধানে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে আলোচিত প্রতিষ্ঠানের লোগোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রোফাইলটিতে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আইএনজিওয়ের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানার পোস্টটিতে বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি কোন শ্রেণির বই তা জানতে চেয়ে মন্তব্য করেন। তবে তিনি অন্য একটি মন্তব্যের উত্তর দিলেও এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি। ফেসবুকে ভাইরাল অন্য পোস্টগুলোর মন্তব্য যাচাই করেও দেখা যায়, অনেক নেটিজেন বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলেও পোস্টকারীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পুরানো শিক্ষাক্রমের বইগুলো খুঁজেও এমন কোনো বইয়ের নাম পাওয়া যায়নি।
বইটি সম্পর্কে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১ নামে এনসিটিবির কোনো বই নেই। এনসিটিবির বইয়ের তালিকা ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে। লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গেও এনসিটিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার কিছু বইয়ের মলাটের উল্টো পাশে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ইংরেজি সংস্করণের মলাট দেখা যায়। পরে বইগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। এটি দেখে মূলত আমাদের প্রিন্টিং বিভাগ। তবে যতটুকু জেনেছি, এটি ছাপাখানার ভুল ছিল।’
সিদ্ধান্ত
লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায় নামের একটি বই প্রকাশ করে ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে বইটির সবশেষ সংস্করণ বের করা হয়। এই নামে এনসিটিবির কোনো বই না থাকলেও এটিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রমের বই হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের শুরুতেই পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৩টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি দিয়ে সেটি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের বলে দাবি করা হচ্ছে। কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, পৃষ্ঠাটি ৩য় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিতে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ রয়েছে ১২। এতে লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কি না তা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণের সূত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক পর্যায় ও প্রাথমিক স্তরের বইগুলো খুঁজে দেখা হয়।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ে এমন পাঠ নেই
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক যাচাই করে দেখা যায়, এই শ্রেণিতে এসো লিখতে শিখি, ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্টসহ মোট ছয়টি পাঠ্যপুস্তক আছে। এর মধ্যে ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্ট দুটি এক পৃষ্ঠার। তবে এই চার্টগুলোর সঙ্গে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অন্য পাঠ্যপুস্তকগুলোতেও এমন কোনো পাঠ বা পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলোতেও এমন পাঠ ও পৃষ্ঠা নেই
প্রাক প্রাথমিকের বই ছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলো যাচাই করে দেখা হয়। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, প্রথমেই এই শ্রেণিগুলোর বইগুলোর মধ্যে বাংলা বইগুলো খুঁজে দেখা হয়। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ১২ নম্বর পৃষ্ঠার পাঠ হলো ‘বাঘ ও রাখালের গল্প’। বর্ণ শিক্ষা বিষয়ক পাঠ রয়েছে ১৫ থেকে ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তবে এই পাঠগুলোতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম শ্রেণির বাকি দুইটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।

দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচিত পাঠটির ন্যায় কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ থেকে ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি বর্ণমালা’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। ১৭ থেকে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠাতে ‘কার চিহ্ন দিয়ে শব্দ বানাই’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব পাঠসহ বইটির অন্যান্য পাঠে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি দুটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।
তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি ফলাচিহ্ন’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। এতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পুরো বইটির অন্য পাঠগুলো খুঁজেও দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যেহেতু স্যোশাল মিডিয়ার কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হয় যে, ভাইরাল পৃষ্ঠাটি তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। বইটির ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় এমন কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বরং দেখা যায়, পৃষ্ঠাটি ওজু ও গোসলের পাঠের অনুশীলনের।

অধিকতর নিশ্চয়তার লক্ষ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী বা প্রাথমিকের বইগুলো যাচাই করেও ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির ন্যায় অনুরূপ কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, এটি বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার সংক্রান্ত পাঠ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে এমন কোনো পাঠ থাকার সম্ভাবনা নেই।
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির প্রকৃত উৎসের খুঁজে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত পহেলা জানুয়ারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানা নামের এক ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয়, ভাইরাল এই পৃষ্ঠাটি সম্পর্কিত এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। ওইদিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দেওয়া পোস্টটিতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিসহ আরেকটি পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি ১ হাজার ২০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
এতে লেখা রয়েছে, ‘আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায়’। বইটির প্রথম প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং অষ্টম বা সবশেষ প্রকাশকাল ২০২১ সালের নভেম্বর। বইটি প্রকাশনায় ছিল লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বিস্তারিত অনুসন্ধানে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে আলোচিত প্রতিষ্ঠানের লোগোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রোফাইলটিতে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আইএনজিওয়ের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানার পোস্টটিতে বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি কোন শ্রেণির বই তা জানতে চেয়ে মন্তব্য করেন। তবে তিনি অন্য একটি মন্তব্যের উত্তর দিলেও এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি। ফেসবুকে ভাইরাল অন্য পোস্টগুলোর মন্তব্য যাচাই করেও দেখা যায়, অনেক নেটিজেন বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলেও পোস্টকারীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পুরানো শিক্ষাক্রমের বইগুলো খুঁজেও এমন কোনো বইয়ের নাম পাওয়া যায়নি।
বইটি সম্পর্কে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১ নামে এনসিটিবির কোনো বই নেই। এনসিটিবির বইয়ের তালিকা ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে। লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গেও এনসিটিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার কিছু বইয়ের মলাটের উল্টো পাশে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ইংরেজি সংস্করণের মলাট দেখা যায়। পরে বইগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। এটি দেখে মূলত আমাদের প্রিন্টিং বিভাগ। তবে যতটুকু জেনেছি, এটি ছাপাখানার ভুল ছিল।’
সিদ্ধান্ত
লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায় নামের একটি বই প্রকাশ করে ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে বইটির সবশেষ সংস্করণ বের করা হয়। এই নামে এনসিটিবির কোনো বই না থাকলেও এটিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রমের বই হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের শুরুতেই পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৩টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি দিয়ে সেটি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের বলে দাবি করা হচ্ছে। কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, পৃষ্ঠাটি ৩য় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিতে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ রয়েছে ১২। এতে লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি নতুন শিক্ষাক্রমের কি না তা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণের সূত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক পর্যায় ও প্রাথমিক স্তরের বইগুলো খুঁজে দেখা হয়।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ে এমন পাঠ নেই
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক যাচাই করে দেখা যায়, এই শ্রেণিতে এসো লিখতে শিখি, ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্টসহ মোট ছয়টি পাঠ্যপুস্তক আছে। এর মধ্যে ব্যঞ্জণ ও স্বরবর্ণের চার্ট দুটি এক পৃষ্ঠার। তবে এই চার্টগুলোর সঙ্গে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অন্য পাঠ্যপুস্তকগুলোতেও এমন কোনো পাঠ বা পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলোতেও এমন পাঠ ও পৃষ্ঠা নেই
প্রাক প্রাথমিকের বই ছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইগুলো যাচাই করে দেখা হয়। পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, প্রথমেই এই শ্রেণিগুলোর বইগুলোর মধ্যে বাংলা বইগুলো খুঁজে দেখা হয়। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ১২ নম্বর পৃষ্ঠার পাঠ হলো ‘বাঘ ও রাখালের গল্প’। বর্ণ শিক্ষা বিষয়ক পাঠ রয়েছে ১৫ থেকে ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তবে এই পাঠগুলোতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম শ্রেণির বাকি দুইটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।

দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচিত পাঠটির ন্যায় কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ থেকে ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি বর্ণমালা’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। ১৭ থেকে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠাতে ‘কার চিহ্ন দিয়ে শব্দ বানাই’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব পাঠসহ বইটির অন্যান্য পাঠে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি দুটি বই হচ্ছে ইংলিশ ফর টুডে ও প্রাথমিক গণিত।
তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা বইয়ের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আবার পড়ি ফলাচিহ্ন’ একটি পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়। এতে ভাইরাল পৃষ্ঠাটির মতো কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পুরো বইটির অন্য পাঠগুলো খুঁজেও দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যেহেতু স্যোশাল মিডিয়ার কোনো কোনো পোস্টে দাবি করা হয় যে, ভাইরাল পৃষ্ঠাটি তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। বইটির ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় এমন কোনো পাঠের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বরং দেখা যায়, পৃষ্ঠাটি ওজু ও গোসলের পাঠের অনুশীলনের।

অধিকতর নিশ্চয়তার লক্ষ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী বা প্রাথমিকের বইগুলো যাচাই করেও ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির ন্যায় অনুরূপ কোনো পাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু পৃষ্ঠাটিতে উল্লিখিত পাঠের বিবরণ অনুযায়ী, এটি বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার সংক্রান্ত পাঠ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে এমন কোনো পাঠ থাকার সম্ভাবনা নেই।
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটির প্রকৃত উৎসের খুঁজে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত পহেলা জানুয়ারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানা নামের এক ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয়, ভাইরাল এই পৃষ্ঠাটি সম্পর্কিত এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট। ওইদিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দেওয়া পোস্টটিতে ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠাটিসহ আরেকটি পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি ১ হাজার ২০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
এতে লেখা রয়েছে, ‘আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায়’। বইটির প্রথম প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং অষ্টম বা সবশেষ প্রকাশকাল ২০২১ সালের নভেম্বর। বইটি প্রকাশনায় ছিল লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বিস্তারিত অনুসন্ধানে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে আলোচিত প্রতিষ্ঠানের লোগোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রোফাইলটিতে লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আইএনজিওয়ের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রানার পোস্টটিতে বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি কোন শ্রেণির বই তা জানতে চেয়ে মন্তব্য করেন। তবে তিনি অন্য একটি মন্তব্যের উত্তর দিলেও এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি। ফেসবুকে ভাইরাল অন্য পোস্টগুলোর মন্তব্য যাচাই করেও দেখা যায়, অনেক নেটিজেন বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলেও পোস্টকারীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পুরানো শিক্ষাক্রমের বইগুলো খুঁজেও এমন কোনো বইয়ের নাম পাওয়া যায়নি।
বইটি সম্পর্কে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১ নামে এনসিটিবির কোনো বই নেই। এনসিটিবির বইয়ের তালিকা ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে। লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গেও এনসিটিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার কিছু বইয়ের মলাটের উল্টো পাশে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ইংরেজি সংস্করণের মলাট দেখা যায়। পরে বইগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। এটি দেখে মূলত আমাদের প্রিন্টিং বিভাগ। তবে যতটুকু জেনেছি, এটি ছাপাখানার ভুল ছিল।’
সিদ্ধান্ত
লাইট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আলোর দিশারি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন বই-১, ব্যবহারিক সাক্ষরতা প্রথম পর্যায় নামের একটি বই প্রকাশ করে ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে বইটির সবশেষ সংস্করণ বের করা হয়। এই নামে এনসিটিবির কোনো বই না থাকলেও এটিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রমের বই হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ ওই পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ ওই পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ ওই পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বইয়ের পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘পাঠ-৫ মানুষের পাপে পতন। আদম হাওয়া পাপ করল।’ ওই পাঠের বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বর্ণমালা ও আ-কারের ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫