Ajker Patrika

আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মূল্যস্ফীতি: ড. আতিউর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭: ০৩
আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মূল্যস্ফীতি: ড. আতিউর 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মূল্যস্ফীতি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মানুষ এ কারণে বিপর্যস্ত।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শোভন কাজ ও সামাজিক সুরক্ষা, সকলের জন্য সমান মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যবিমোচন দিবস উপলক্ষে এনজিওদের সমন্বয়কারী ও প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এডাব এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। 

সভায় আতিউর রহমান বলেন, ‘নতুন করে আবার সংকট তৈরি হচ্ছে। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে ৷ সাপ্লাই চেইন আরও বিপর্যস্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। আমদানির প্রত্যেকটা পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ 

আতিউর রহমান বলেন, `কৃষি খাতে ভালো করছি বলে আমরা দারিদ্র্য মোকাবিলা করতে পারছি। কিন্তু কৃষিও ভালো করতে পারবে না। কারণ আমদানি করা সার ব্যবহার করতে হচ্ছে ৷ এতে কৃষিতে খরচ বেশি পড়ছে ৷’ 

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাবের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায়ন মানুষের পছন্দ ও সুযোগ বাড়ায়। ক্ষমতায়ন হলে দারিদ্র্য হ্রাসে সুফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশে সম্পত্তির মালিকানায় নারীর অধিকার এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ। বর্তমানে কেবল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ নারীর সম্পদে মালিকানা রয়েছে। এই ৪ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী সম্পদের ক্রয়-বিক্রয় বা সম্পদ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ১ কোটি ৮৬ লাখ নারী সরাসরি অর্থ আয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলেও মাত্র ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী তার নিজস্ব আয়কৃত অর্থ ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। ভোর থেকে মধ্যরাত নাগাদ কাজের মাঝে অবসরের সুযোগ পান না ৭ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। অন্যদিকে গৃহকর্মে নারীদের তেমন কোনো স্বীকৃতি নেই বললেই চলে। নারীরা শুধু ঘর-গৃহস্থালি কাজে আর সন্তান লালন-পালনে ব্যস্ত থাকবে—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন এডাবের ভাইস চেয়ারপারসন মাজেদা শওকত আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এনামুল কবীর রুপম। সভা সঞ্চালনা করেন এডাবের পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন। 

বক্তারা বাংলাদেশের দারিদ্র‍্যের প্রকৃতি, দারিদ্র্যবিমোচনে এনজিওর ভূমিকা, শিশুর সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ দারিদ্র্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি দরকার। যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে ৷ 

বক্তারা বলেন, কারও একার পক্ষে দারিদ্র্যবিমোচন করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকার ও এনজিওর একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে ৷ বক্তারা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, গৃহকর্মী পলাতক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের ঘটনাস্থলে যায়।‎

‎পুলিশ জানায়, আজ সকালে দুই নারীর মরদেহের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় থাকতেন তাঁরা। গত তিন দিন আগে আয়েশা নামের এক গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজে আসেন। ঘটনার পর সেই গৃহকর্মী পলাতক রয়েছে।

নিহত দুই নারী হলেন— লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। লায়লার স্বামীর নাম এ জেড আজিজুল ইসলাম। মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ৩২/২/এ নং বাসার ৭তম তলায় থাকেন।

পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা, এই হত্যার পেছনে গৃহকর্মী আয়েশার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ দু’টির সুরতহাল করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় পাওয়া পাওয়া যাবে বলেও জানায় পুলিশ।‎

‎তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। জড়িতদের দ্রুতই চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেগমগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

 নোয়াখালী প্রতিনিধি
গণপিটুনিতে নিহতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণপিটুনিতে নিহতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবার বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে বলিকে হত্যা করেছে।

নিহত বলি চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।

চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব জানান, আজ সকালে তাঁর ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারের উদ্দেশে বের হয়। পথে উপজেলার মনতাজ স্যারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বলি ও তাঁর লোকজন মিজানকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে বলিকে আটক করে গণপিটুনি দিলে তিনি মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহত বলির আড্ডাখানায় হামলা চালায়।

এদিকে নিহতের বড় বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে বলি তাঁর (শাহনাজ) মেয়েকে দেখতে তাঁদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আবার নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ১৫-২০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি দাবি করেন, পূর্বশত্রুতার জেরে বলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।  

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নিহত বলির বিরুদ্ধে পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। এলাকায় তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দেয়। লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাকরি দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি 
কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শংকর সাহা নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।

অভিযুক্ত শংকর সাহা গোপালগঞ্জে জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ভুক্তভোগী যুবক হলেন উপজেলার দক্ষিণ কুশলী গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে আরিফুল শেখ (২৫)। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ কয়েকটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন চাকরির জন্য আরিফুল স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এক দিন পর নগদ দুই লাখ টাকা দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর নিয়োগটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আরিফুল টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে নিয়োগের আশ্বাস দিতে থাকেন প্রধান শিক্ষক। কয়েক মাস পর প্রধান শিক্ষক শংকর সাহাকে টাকার জন্য চাপ দিলে তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুকে দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান। আর এখন টাকা ফেরত চাইলে বর্তমান সভাপতি টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান।

ভুক্তভোগী আরিফুল শেখ বলেন, ‘২০২৩ সালে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চান। পরে স্থানীয় দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে দুই লাখ টাকা নেন শংকর সাহা। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তৎকালীন সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুর ভয় দেখাত। আর এখন বর্তমান সভাপতি এসি ল্যান্ড স্যারের ভয় দেখায়। টাকা ফেরতসহ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক শংকর কর সাহার অপসারণ দাবি করি।’

দুই লাখ টাকা দেওয়ার সাক্ষী স্থানীয় মুরব্বি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আরিফুলের চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার কথা হয়। তখন আরিফুলের পরিবার আমি ও আরেক মুরব্বি হাফিজ শিকদারের উপস্থিতিতে শংকর সাহাকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়। নিয়োগ স্থগিতের পর টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন আরিফুলকে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রধান শিক্ষক তাতে সাড়া দেননি। আর তিনি টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করছেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে প্রশাসন দিয়ে হেনস্তা করাসহ নানা রকম হুমকি দেয়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর সাহা চাকরির জন্য ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আরিফুল আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল, সেইভাবে ওকে চিনি। কিন্তু চাকরির কথা বলে ওর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি সময় না দেওয়ায় তিনবার চেষ্টা করেও নিয়োগটি সম্পন্ন করতে পারিনি। আর কাউকে কোনো ভয় দেখাইনি।’

টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল-আমিন হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। যদি প্রধান শিক্ষক কাউকে প্রশাসনিক ভয় দেখিয়ে থাকে, তাহলে সেটাও অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী ব্যালট ছাপাতে ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ কেপিএমের

কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ উৎপাদনের কাজ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ উৎপাদনের কাজ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।  

নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কেপিএমের কাছ থেকে ৯১৫ কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস  (বিএসও)। এই কাগজের বর্তমান বাজারমূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১  টাকা। আবার বিএসও থেকে  নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপাবে।  

গতকাল বেলা ১১টায় কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিলে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাগজ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ  করেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করব। তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন; যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধু একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত