Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট ১৪ অক্টোবর 

ফজলুল বারী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট ১৪ অক্টোবর 

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা। 

কিন্তু এই গণভোটকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়াবাসীর বড় অংশের ভেতরের বর্ণবাদী স্বরূপটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কথা উঠেছে! জনমত জরিপে দেখা গেছে সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ভোটার আদিবাসীদের বিশেষ সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এমন একটি উদ্যোগ ভোটের মাঠ পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যেতে পারে এ দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি। 

বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবশ্য শুরু থেকেই এই গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য এমন একটি উদ্যোগ জাতিকে বিভক্ত করবে। তারা আদিবাসীদের আরও সুবিধা দিতে চান। তবে তা সংসদে নয়। স্থানীয় পর্যায়ে। 

গণভোটের শুরুতে বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে যদি তারা হেরেও যায় তবে আগামীতে তারা ক্ষমতায় গেলে আদিবাসীদের বিশেষ সুযোগ বাতিল প্রশ্নে তারা আরেকটা গণভোটের ব্যবস্থা করবে। লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সাদাদের জোট মনে করা হয়। 

উল্লেখ্য, ৬০ হাজার বছরেরও আগে থেকে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বসবাস করে আসছেন। ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবী এই মহাদেশের কথা জানত না। ক্যাপ্টেন কুকের যুগ থেকে এখানে জারি হয় ব্রিটিশ শাসন। সাদাদের দাপট। আদিবাসী আর দ্বীপবাসীরা হয়ে পড়েন নিজভূমে পরবাসী! ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজবন্দীদের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করায়। আর তাদের জেলখানার দাগি আসামিদের অস্ট্রেলিয়ায় জেলখানায় স্থানান্তর করে। আজকের সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের বেশির ভাগ তাঁদেরই বংশধর। 

আধুনিক অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে আদিবাসী দ্বীপবাসীদের নানা সুবিধা দিলেও তাদের দাবি সাংবিধানিক ভয়েস প্রতিষ্ঠায় রাজি নয়। আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশ উলুরু স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এই দাবিটি তারা করে আসছে। 

২০০৭ সালে কেবিন রাড সরকারের আমলে পূর্ব পুরুষের আদিবাসী নির্যাতনের জন্য সংসদে আনুষ্ঠানিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয় ‘উই আর সরি’। এক সময় আদিবাসী জনসংখ্যা সংকুচিত করতে তাদের নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চুরি করে নিয়েও সাদাদের বাড়িতে তাদের বড় করা হতো। কালো এই অধ্যায়ের নাম স্টোলেন জেনারেশন। উই আর সরি’তে স্টোলেন জেলারেশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল। 

কিন্তু আদিবাসীরা চান বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। কিন্তু আভাস মিলছে মুখে বড় বড় কথা বললেও এখনো অস্ট্রেলিয়ানদের অতটা উদার হয়ে ওঠেননি। 

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না দিলে জরিমানা হয়। এ দেশে শনিবার দেখে ছুটির দিনে ভোট হয়। কিন্তু শনিবারও অনেকের কাজ থাকে। এর জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, আগাম ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট নেবার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাঝে ৪ মিলিয়ন তথা ৮০ লাখ লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আবেদন করে ফরম নিয়েছেন অনেক মানুষ। ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মতো বিদেশে থাকা ভোটারদের ভোট ডাকযোগে আসবে। 

ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গত নির্বাচনের সময় আদিবাসী ভয়েস প্রতিষ্ঠার এমন একটি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কাঠামো অথবা কমিটি দেশের আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের দাবি বক্তব্য সরাসরি সংসদ শুনবে ও ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্যই এই গণভোট। 

কিন্তু বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে তারা না ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য এতে জাতি বিভক্ত হবে। আদিবাসীদের তারা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নয়, স্থানীয় ভাবে সুবিধা দেওয়ার পক্ষে। 

গণভোটে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের জিজ্ঞাসা করবে যে একটি আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েস প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত কিনা। ভয়েসের জন্য কলগুলি প্রাথমিকভাবে উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল। 

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণ হিসেবে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের স্বীকৃতিতে: আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস নামে একটি বডি থাকবে; আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদ এবং কমনওয়েলথের নির্বাহী সরকারের কাছে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; সংসদের, এই সংবিধানের সাপেক্ষে, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস এর গঠন, কার্যাবলি, ক্ষমতা এবং পদ্ধতি সহ সম্পর্কিত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে। 

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ারও গণভোটের ইতিহাস ভালো নয়। ১৯০১ সালে এ দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪৪টি দেশব্যাপী গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি। 

হৃদয় থেকে উলুরু বিবৃতিটির ভয়েসকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। এটি করার জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের একটি গণভোট সফল হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিদলীয় সমর্থন ব্যাপকভাবে সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। 

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউগভ-এর চূড়ান্ত জরিপ অনুসারে, ১৪ অক্টোবর ভোটের দিন আগে দুই দিনেরও কম সময় বাকি আছে, যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫৬% থেকে ৩৮% পর্যন্ত’ হ্যাঁ’ শিবিরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপ করা প্রায় ৬% সিদ্ধান্তহীন ছিল। ইউগভ জরিপের জন্য ১৫১৯ জন ভোটারদের ভোট দিয়েছে। 

চূড়ান্ত জরিপ একটি ব্যাপক ‘না’ জয়ের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রায় ১০ জন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ‘না’ ভোট দিতে চান! 

জনমত জরিপের বিশদ বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে ‘হ্যাঁ’ অনেকগুলি অভ্যন্তরীণ মেট্রোপলিটন আসন ছাড়া অন্য কোথাও জিতবে। ‘হ্যাঁ’ তরুণদের মধ্যে এগিয়ে আছে, যখন বয়স্ক ভোটাররা বহুলাংশে ‘না’-এর পক্ষে। 

গণভোটের প্রতি সমর্থন, ভোটাররা ১৯৯৯ সালের প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে প্রথম, গত কয়েক মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভয়েস আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য অগ্রগতি আনবে, যখন কিছু বিরোধীরা বলে যে সংবিধানে একটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্ত হবে। 

আদিবাসী ভয়েস বিষয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশব্যাপী এবং ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে রুশ জাহাজে আঘাত হানল ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রুশ গোপন বহরের অন্তর্ভুক্ত ওই জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। ছবি: সংগৃহীত
রুশ গোপন বহরের অন্তর্ভুক্ত ওই জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। ছবি: সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।

এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে যুব টিপরা ফেডারেশনের কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে যুব টিপরা ফেডারেশনের কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।

বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫-২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫-২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।

মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।

যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।

তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্তিতে মাচাদোর নোবেল পাওয়ার বিরুদ্ধে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩১
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।

অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।

অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।

আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।

নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত