
ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে নানা উপায় অবলম্বন করে। প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতিতে এই কাজটি অনেক সহজ ও সুলভ হয়ে উঠেছে। কর্মীদের কাজকর্মের ওপর নজর রাখার উদ্দেশ্যেই হোক বা তাঁদের অফিসে আসা যাওয়ার হিসাব রাখার উদ্দেশ্যেই হোক— এ নজরদারি এখন প্রায় সবখানে। অনেক প্রতিষ্ঠান সীমা অতিক্রমও করে ফেলছে। কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা যেতে পারে কি না তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
করোনা মহামারিতে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন অনেক প্রতিষ্ঠানই ঘরে থেকে কাজ করার উপায় বেছে নেয়। এ নিয়ে ওই সময় নানা মডেল ভাবা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে। তবে, এখন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের অফিসে ফেরার জন্য চাপ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুসারে, অফিসে ফেরার এ তাড়ার মধ্যে কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোরও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
কর্মীদের ওপর নজরদারিতে যেসব উপায় অবলম্বন করছে প্রতিষ্ঠানগুলো—
আইডি কার্ড সোয়াইপ
অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য একটি অপটিক্যাল ডিভাইসে পরিচয়পত্র সোয়াইপ করতে হয়। এ ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের আইরিস অথবা ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিও ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে কর্মীদের অফিসে অবস্থান করাকালীন সব তথ্য জমা হয় মানবসম্পদ বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপকের কাছে। করোনার পর অফিসে ফেরার নীতি প্রয়োগের শুরু করার ফলে কর্মীদের এ ধরনের এখন কোম্পানিগুলোর কাছে সোনার খনি হয়ে উঠেছে!
ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক বিভাগের কর্মীদের অফিসে উপস্থিতির রেকর্ডে নজর রাখা শুরু করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এমনকি কর্মীরাও তাঁদের এই উপস্থিতি রেকর্ড দেখতে পান। এ রেকর্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁরা কয়দিন অফিসে এসেছেন— এমন আট সপ্তাহের তালিকা পর্যন্ত দেখা যায়।
যেখানে আগে শুধু নিরাপত্তা ও স্থান সংকুলানের উদ্দেশ্যে গোপনে কর্মীদের যাওয়া–আসার রেকর্ড রাখা হতো।
আমাজনের মুখপাত্র রব মুনোজ ইনসাইডারকে ই–মেইল বার্তায় বলেন, ‘একটি করপোরেট ভবনে কর্মীরা কয়দিন প্রবেশ করেছেন, এ টুল ব্যবহার করে কর্মী ও ব্যবস্থাপক উভয়েই তার হিসাব দেখতে পান। এ তথ্য ব্যবহার করে কর্মীরা অফিসে আসার বিষয়ে সহকর্মীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে পারবেন।’
কোনো কর্মী অফিসে এসে কাজে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন কি না তা জানতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক সংস্থা আইডি সোয়াইপ ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগানও একই উপায় অবলম্বন করেছে।
জেপি মরগানের ড্যাশবোর্ডটি কর্মীদের কর্মদিবসে উপস্থিতির হার নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করতে সাহায্য করে।
কি–স্ট্রোক, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং ওয়েবক্যাম
কর্মীরা তাঁদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কী করছেন, কোম্পানিকে সেটি জানার সুযোগ দেয় টাইম–ট্র্যাকিং সফটওয়্যারগুলো।
কর্মদিবস বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান টাইম ডক্টরের কনটেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কার্লো বোরজা বলেন, তাঁদের সফটওয়্যার কর্মীদের কর্মক্ষমতা নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এ ছাড়া সফটওয়্যারটিতে কর্মীদের অফিসে প্রবেশ করার ও বের হওয়া, বিশ্রাম নেওয়া, ইন্টারনেট ও অ্যাপ ব্যবহারের সময়ের রেকর্ড রাখা হয়। এমনকি টাইম ডক্টরের একটি টুল ব্যবহার করে কর্মীদের ব্যবহৃত ডিভাইসের ডিসপ্লের স্ক্রিনশট ও ভিডিও রেকর্ডিং রাখা যায়।
কার্লো বলেন, ‘আমরা কর্মীদের কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বস্তি পেতে সাহায্য করি।’
কিছু কিছু সফটওয়্যার কর্মীদের কি–স্ট্রোকের রেকর্ড অর্থাৎ কি–বোর্ড ব্যবহারের ওপর নজরদারি করতে পারে। এ ছাড়া কর্মীদের অজ্ঞাতসারে তাঁদের ব্যবহৃত ডিভাইসের মাইক্রোফোন ও ওয়েবক্যাম চালু করতেও সক্ষম এসব সফটওয়্যার।
জেপি মরগান আরও বিস্তৃত তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘ওয়ার্ক ফোর্স অ্যাক্টিভিটি ডেটা ইউটিলিটি’ নামের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মীরা কতক্ষণ জুম কল, ই–মেইল এবং স্প্রেডশিটে (এক্সেল বা এমন অন্য কিছু) সময় ব্যয় করেন তা থেকে শুরু করে তাঁরা কতক্ষণ অফিসের সিটে বসে থাকছেন তা পর্যন্ত জানা যায়।
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের ওপর জরিপ চালিয়েছে রেজুমি বিল্ডার ডটকম। তারা দেখেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৯৬ শতাংশ ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানেই কর্মীদের ওপর নজরদারি করার মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে মহামারির আগে এ হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ।
অফিসে কর্মীদের অবস্থান পর্যবেক্ষণের সেন্সর
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীরা অফিসের কোন জায়গায় বেশি সময় কাটান তার ওপরও নজর রাখে। অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান এক্সওয়াই সেন্স এমন সব সেন্সর সরবরাহ করে যা অফিস পর্যবেক্ষণের জন্য ছাদে সেঁটে দেওয়া যায়। এসব সেন্সর অফিসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্থান এবং সবচেয়ে কম ব্যবহৃত স্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
এক্সওয়াই সেন্সের সিইও অ্যালেক্স বির্চ বলেন, ‘এ যন্ত্রটি কর্মীদের পরিচয় চিহ্নিত করতে না পারলেও প্রতি জনের বিপরীতে স্ক্রিনে একটি করে ডট দেখায়। এটি কারও ওপর নজরদারির জন্য নয় বরং অফিসের জায়গাগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়।’
পানি শীতলকরণ যন্ত্র
হাই–টেক পানি শীতলকরণ যন্ত্রগুলোতেও কর্মীদের তথ্য জমা হয়। বিভিন্ন স্বাদযুক্ত পানীয় তৈরির যন্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘বেভি’ কর্মীরা কতবার যন্ত্রটি ব্যবহার করেন তার তথ্য সংগ্রহ করে। এ প্রতিষ্ঠানের সহ–প্রতিষ্ঠাতা শান গ্রান্ডি বলেন, তাঁদের মেশিনে সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, মহামারির আগের তুলনায় কর্মীদের ৯টার আগে অফিসে আসার বা ৫টার পরেও অফিসে অবস্থান করার হার বেড়েছে।

ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে নানা উপায় অবলম্বন করে। প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতিতে এই কাজটি অনেক সহজ ও সুলভ হয়ে উঠেছে। কর্মীদের কাজকর্মের ওপর নজর রাখার উদ্দেশ্যেই হোক বা তাঁদের অফিসে আসা যাওয়ার হিসাব রাখার উদ্দেশ্যেই হোক— এ নজরদারি এখন প্রায় সবখানে। অনেক প্রতিষ্ঠান সীমা অতিক্রমও করে ফেলছে। কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা যেতে পারে কি না তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
করোনা মহামারিতে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন অনেক প্রতিষ্ঠানই ঘরে থেকে কাজ করার উপায় বেছে নেয়। এ নিয়ে ওই সময় নানা মডেল ভাবা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে। তবে, এখন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের অফিসে ফেরার জন্য চাপ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুসারে, অফিসে ফেরার এ তাড়ার মধ্যে কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোরও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
কর্মীদের ওপর নজরদারিতে যেসব উপায় অবলম্বন করছে প্রতিষ্ঠানগুলো—
আইডি কার্ড সোয়াইপ
অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য একটি অপটিক্যাল ডিভাইসে পরিচয়পত্র সোয়াইপ করতে হয়। এ ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের আইরিস অথবা ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিও ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে কর্মীদের অফিসে অবস্থান করাকালীন সব তথ্য জমা হয় মানবসম্পদ বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপকের কাছে। করোনার পর অফিসে ফেরার নীতি প্রয়োগের শুরু করার ফলে কর্মীদের এ ধরনের এখন কোম্পানিগুলোর কাছে সোনার খনি হয়ে উঠেছে!
ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক বিভাগের কর্মীদের অফিসে উপস্থিতির রেকর্ডে নজর রাখা শুরু করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এমনকি কর্মীরাও তাঁদের এই উপস্থিতি রেকর্ড দেখতে পান। এ রেকর্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁরা কয়দিন অফিসে এসেছেন— এমন আট সপ্তাহের তালিকা পর্যন্ত দেখা যায়।
যেখানে আগে শুধু নিরাপত্তা ও স্থান সংকুলানের উদ্দেশ্যে গোপনে কর্মীদের যাওয়া–আসার রেকর্ড রাখা হতো।
আমাজনের মুখপাত্র রব মুনোজ ইনসাইডারকে ই–মেইল বার্তায় বলেন, ‘একটি করপোরেট ভবনে কর্মীরা কয়দিন প্রবেশ করেছেন, এ টুল ব্যবহার করে কর্মী ও ব্যবস্থাপক উভয়েই তার হিসাব দেখতে পান। এ তথ্য ব্যবহার করে কর্মীরা অফিসে আসার বিষয়ে সহকর্মীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে পারবেন।’
কোনো কর্মী অফিসে এসে কাজে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন কি না তা জানতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক সংস্থা আইডি সোয়াইপ ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগানও একই উপায় অবলম্বন করেছে।
জেপি মরগানের ড্যাশবোর্ডটি কর্মীদের কর্মদিবসে উপস্থিতির হার নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করতে সাহায্য করে।
কি–স্ট্রোক, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং ওয়েবক্যাম
কর্মীরা তাঁদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কী করছেন, কোম্পানিকে সেটি জানার সুযোগ দেয় টাইম–ট্র্যাকিং সফটওয়্যারগুলো।
কর্মদিবস বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান টাইম ডক্টরের কনটেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কার্লো বোরজা বলেন, তাঁদের সফটওয়্যার কর্মীদের কর্মক্ষমতা নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এ ছাড়া সফটওয়্যারটিতে কর্মীদের অফিসে প্রবেশ করার ও বের হওয়া, বিশ্রাম নেওয়া, ইন্টারনেট ও অ্যাপ ব্যবহারের সময়ের রেকর্ড রাখা হয়। এমনকি টাইম ডক্টরের একটি টুল ব্যবহার করে কর্মীদের ব্যবহৃত ডিভাইসের ডিসপ্লের স্ক্রিনশট ও ভিডিও রেকর্ডিং রাখা যায়।
কার্লো বলেন, ‘আমরা কর্মীদের কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বস্তি পেতে সাহায্য করি।’
কিছু কিছু সফটওয়্যার কর্মীদের কি–স্ট্রোকের রেকর্ড অর্থাৎ কি–বোর্ড ব্যবহারের ওপর নজরদারি করতে পারে। এ ছাড়া কর্মীদের অজ্ঞাতসারে তাঁদের ব্যবহৃত ডিভাইসের মাইক্রোফোন ও ওয়েবক্যাম চালু করতেও সক্ষম এসব সফটওয়্যার।
জেপি মরগান আরও বিস্তৃত তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘ওয়ার্ক ফোর্স অ্যাক্টিভিটি ডেটা ইউটিলিটি’ নামের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মীরা কতক্ষণ জুম কল, ই–মেইল এবং স্প্রেডশিটে (এক্সেল বা এমন অন্য কিছু) সময় ব্যয় করেন তা থেকে শুরু করে তাঁরা কতক্ষণ অফিসের সিটে বসে থাকছেন তা পর্যন্ত জানা যায়।
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের ওপর জরিপ চালিয়েছে রেজুমি বিল্ডার ডটকম। তারা দেখেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৯৬ শতাংশ ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানেই কর্মীদের ওপর নজরদারি করার মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে মহামারির আগে এ হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ।
অফিসে কর্মীদের অবস্থান পর্যবেক্ষণের সেন্সর
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীরা অফিসের কোন জায়গায় বেশি সময় কাটান তার ওপরও নজর রাখে। অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান এক্সওয়াই সেন্স এমন সব সেন্সর সরবরাহ করে যা অফিস পর্যবেক্ষণের জন্য ছাদে সেঁটে দেওয়া যায়। এসব সেন্সর অফিসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্থান এবং সবচেয়ে কম ব্যবহৃত স্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
এক্সওয়াই সেন্সের সিইও অ্যালেক্স বির্চ বলেন, ‘এ যন্ত্রটি কর্মীদের পরিচয় চিহ্নিত করতে না পারলেও প্রতি জনের বিপরীতে স্ক্রিনে একটি করে ডট দেখায়। এটি কারও ওপর নজরদারির জন্য নয় বরং অফিসের জায়গাগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়।’
পানি শীতলকরণ যন্ত্র
হাই–টেক পানি শীতলকরণ যন্ত্রগুলোতেও কর্মীদের তথ্য জমা হয়। বিভিন্ন স্বাদযুক্ত পানীয় তৈরির যন্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘বেভি’ কর্মীরা কতবার যন্ত্রটি ব্যবহার করেন তার তথ্য সংগ্রহ করে। এ প্রতিষ্ঠানের সহ–প্রতিষ্ঠাতা শান গ্রান্ডি বলেন, তাঁদের মেশিনে সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, মহামারির আগের তুলনায় কর্মীদের ৯টার আগে অফিসে আসার বা ৫টার পরেও অফিসে অবস্থান করার হার বেড়েছে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ
০২ অক্টোবর ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ
০২ অক্টোবর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ
০২ অক্টোবর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের নানা আচরণে যে কোনো কর্মীর ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নজরদারি করছে। এমন সন্দেহ কিন্তু অমূলক নয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় শতাভাগ করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সহায়তায় কর্মীদের ওপর নজরদারি করে। কোভিড মহামারীর আগে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ
০২ অক্টোবর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে