
চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের সব পাথর। দেখতেও কেমন অদ্ভুত। হঠাৎ মনে হতে পারে অন্য গ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়।
আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। ‘ট্রোভান্ট’ নামের এই পাথরগুলো ‘লিভিং রক’ বা ‘জীবন্ত পাথর’ নামেও বেশ পরিচিত। অবশ্য এদের বৃদ্ধি একেবারেই কম, এক হাজার বছরে সর্বোচ্চ দুই ইঞ্চি।
কিন্তু ঘটনা হলো, পাথরের আকার বাড়ে—এটা কীভাবে সম্ভব? এরা তো কোনো প্রাণী নয়। এমনকি গাছও নয়। একটু খোলাসা করা যাক। এই পাথরগুলো মূল অংশটি শক্ত পাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে বালু জমা হয়ে একটার পর একটা স্তর তৈরি হয়। শত শত বছর ধরে ভারী বৃষ্টির ফলে এই পাথরের ওপরের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢোকে পানি। এই জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই চুনাপাথরের আস্তরণে শুরু হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতেই একটু একটু করে ফুলে আকার বাড়ে ‘ট্রোভান্টে’র।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায়ই এর আকার-আকৃতি বদল হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ৫০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম কসতেসটি। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এসব পাথরের।
‘জীবন্ত পাথর’গুলো বহু বছর ধরেই স্থানীয়দের কৌতূহলের উদ্রেক করে এসেছে। তাদের আশ্চর্য আকৃতি এবং আকারে বড় হওয়ার প্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তির জন্ম দেয়। একসময় স্থানীয়রা এটাও বিশ্বাস করতেন এদের জীবিত বস্তুর মতো চলাফেরার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা আছে।
আগেই বলেছি, ট্রোভান্ট পাথরের আকার বেশ অস্বাভাবিক এবং একেকটি একেক রকম। কোনো কোনোটি এত ছোট যে আপনার হাতের তালুতে সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটি আবার ব্যাসে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। অন্তত ২০টি জায়গায় ১০০টির মতো ট্রোভান্টের খোঁজ মেলে। তাদের চারপাশের বালু উত্তোলন করার পরেই সন্ধান মেলে এমন অনেক পাথরের।
ধারণা করা হয়, ভূমিকম্পে ৬০ লাখ বছর আগে এদের জন্ম। রেডিও রোমানিয়া ইন্টারন্যাশনালকে বুইলা-ভানতুরারিতা ন্যাশনাল পার্কের একসময়কার ম্যানেজার ফ্লোরিন স্টোইকান বলেছিলেন, ‘এগুলোর কিছু বেলেপাথর থেকে, অন্যগুলো নুড়ি থেকে তৈরি হয়।’
গবেষকেরা ট্রোভান্ট ও আশপাশের বালুর নিচের শিলাস্তরের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাই তাঁরা অনুমান করেন, এদের বৃত্তাকার কিংবা উপবৃত্তকার আকার এসেছে মধ্য মিয়োসিন যুগের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ভূকম্পনের কারণে।
বছরের পর বছর ধরে মূল পাথরটির ওপর বালু, পাথরের আস্তরণ জমা পড়ছে। সেগুলোকে আঠার মতো জুড়ে রেখেছে চুনাপাথরের আস্তরণ। আর প্রবল বৃষ্টিপাতে এই পাথরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই বাকি কাজটা করে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলেও এ কারণেই একটু একটু করে আকারে বড় হয় এসব পাথর। তবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেবারে নগণ্য। হাজার-বারো শ বছরে মোটে চার-পাঁচ সেন্টিমিটার।
জিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব রোমানিয়ার ড. মিরসিয়া টিক্লিয়ানু বলেন, ‘রোমানিয়ার ট্রোভান্টগুলোর বয়সে পার্থক্য আছে। এরা কেবল মাটি থেকে উঠে এসেছে তা নয়, এগুলো শিলাস্তর ও বালুর খনিতে পাওয়া যাওয়া বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের বালুর মধ্যেও থাকে।’
ট্রোভান্ট হলো জার্মান শব্দ সেন্ডস্টেইসকনক্রিটইউনেনেন প্রতিশব্দ। এর অর্থ, সিমেন্ট দিয়ে জোড়া লাগানো বালু। ‘ট্রোভান্ট শব্দটি ভূতাত্ত্বিক সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয় রোমানিয়ায়।’ বলেন ড. টিক্লিয়ানু।
সত্যি সত্যি জীবন্ত না হলেও গাছের সঙ্গে একটি বিষয়ে এদের বেশ মিল আছে। তা হলো, ট্রোভান্টগুলো যখন কাটা হয়, তখন ভেতরের স্তরগুলো নজরে আসে। প্রতিটি স্তর বৃদ্ধির সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। বৈজ্ঞানিক অর্থে জীবিত না হলেও স্থানীয়রা এবং পর্যটকেরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার বদলানোয় তাদের ‘জীবন্ত পাথর’ বা ‘লিভিং স্টোন’ বলেই ডাকেন।
বড় ট্রোভান্টগুলো পাশে অনেকগুলো ছোট, অসম্পূর্ণ পাথরও আছে, তবে সবগুলোর আকারেই গোলাকার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়—উঠে এসেছে গবেষণায়।
কসতেসটি জায়গাটি এ ধরনের পাথরের জন্য বেশি বিখ্যাত হলেও ড. টিক্লিয়ানুসহ অন্যদের করা গবেষণায় উঠে আসে রোমানিয়ার কার্পেথিয়ান অঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। কসতেসটি পাথরগুলো বেশি নাম কামানোর কারণ এগুলো আকারে বেশ বড়। কোনো কোনোটার ব্যাস এক মিটারের বেশি। এগুলোর কোনোটা গোলাকার, ডিম্বাকার। তবে অনেকগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে জটিল রূপ পেয়েছে। কসতেসটির ট্রোভান্টগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বড় পাথরের পৃষ্ঠে প্রায়ই ছোট, গোলাকার পাথরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য আর্কিওলজিস্ট ডট অরগ, সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কম

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের সব পাথর। দেখতেও কেমন অদ্ভুত। হঠাৎ মনে হতে পারে অন্য গ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়।
আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। ‘ট্রোভান্ট’ নামের এই পাথরগুলো ‘লিভিং রক’ বা ‘জীবন্ত পাথর’ নামেও বেশ পরিচিত। অবশ্য এদের বৃদ্ধি একেবারেই কম, এক হাজার বছরে সর্বোচ্চ দুই ইঞ্চি।
কিন্তু ঘটনা হলো, পাথরের আকার বাড়ে—এটা কীভাবে সম্ভব? এরা তো কোনো প্রাণী নয়। এমনকি গাছও নয়। একটু খোলাসা করা যাক। এই পাথরগুলো মূল অংশটি শক্ত পাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে বালু জমা হয়ে একটার পর একটা স্তর তৈরি হয়। শত শত বছর ধরে ভারী বৃষ্টির ফলে এই পাথরের ওপরের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢোকে পানি। এই জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই চুনাপাথরের আস্তরণে শুরু হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতেই একটু একটু করে ফুলে আকার বাড়ে ‘ট্রোভান্টে’র।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায়ই এর আকার-আকৃতি বদল হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ৫০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম কসতেসটি। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এসব পাথরের।
‘জীবন্ত পাথর’গুলো বহু বছর ধরেই স্থানীয়দের কৌতূহলের উদ্রেক করে এসেছে। তাদের আশ্চর্য আকৃতি এবং আকারে বড় হওয়ার প্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তির জন্ম দেয়। একসময় স্থানীয়রা এটাও বিশ্বাস করতেন এদের জীবিত বস্তুর মতো চলাফেরার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা আছে।
আগেই বলেছি, ট্রোভান্ট পাথরের আকার বেশ অস্বাভাবিক এবং একেকটি একেক রকম। কোনো কোনোটি এত ছোট যে আপনার হাতের তালুতে সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটি আবার ব্যাসে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। অন্তত ২০টি জায়গায় ১০০টির মতো ট্রোভান্টের খোঁজ মেলে। তাদের চারপাশের বালু উত্তোলন করার পরেই সন্ধান মেলে এমন অনেক পাথরের।
ধারণা করা হয়, ভূমিকম্পে ৬০ লাখ বছর আগে এদের জন্ম। রেডিও রোমানিয়া ইন্টারন্যাশনালকে বুইলা-ভানতুরারিতা ন্যাশনাল পার্কের একসময়কার ম্যানেজার ফ্লোরিন স্টোইকান বলেছিলেন, ‘এগুলোর কিছু বেলেপাথর থেকে, অন্যগুলো নুড়ি থেকে তৈরি হয়।’
গবেষকেরা ট্রোভান্ট ও আশপাশের বালুর নিচের শিলাস্তরের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাই তাঁরা অনুমান করেন, এদের বৃত্তাকার কিংবা উপবৃত্তকার আকার এসেছে মধ্য মিয়োসিন যুগের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ভূকম্পনের কারণে।
বছরের পর বছর ধরে মূল পাথরটির ওপর বালু, পাথরের আস্তরণ জমা পড়ছে। সেগুলোকে আঠার মতো জুড়ে রেখেছে চুনাপাথরের আস্তরণ। আর প্রবল বৃষ্টিপাতে এই পাথরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই বাকি কাজটা করে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলেও এ কারণেই একটু একটু করে আকারে বড় হয় এসব পাথর। তবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেবারে নগণ্য। হাজার-বারো শ বছরে মোটে চার-পাঁচ সেন্টিমিটার।
জিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব রোমানিয়ার ড. মিরসিয়া টিক্লিয়ানু বলেন, ‘রোমানিয়ার ট্রোভান্টগুলোর বয়সে পার্থক্য আছে। এরা কেবল মাটি থেকে উঠে এসেছে তা নয়, এগুলো শিলাস্তর ও বালুর খনিতে পাওয়া যাওয়া বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের বালুর মধ্যেও থাকে।’
ট্রোভান্ট হলো জার্মান শব্দ সেন্ডস্টেইসকনক্রিটইউনেনেন প্রতিশব্দ। এর অর্থ, সিমেন্ট দিয়ে জোড়া লাগানো বালু। ‘ট্রোভান্ট শব্দটি ভূতাত্ত্বিক সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয় রোমানিয়ায়।’ বলেন ড. টিক্লিয়ানু।
সত্যি সত্যি জীবন্ত না হলেও গাছের সঙ্গে একটি বিষয়ে এদের বেশ মিল আছে। তা হলো, ট্রোভান্টগুলো যখন কাটা হয়, তখন ভেতরের স্তরগুলো নজরে আসে। প্রতিটি স্তর বৃদ্ধির সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। বৈজ্ঞানিক অর্থে জীবিত না হলেও স্থানীয়রা এবং পর্যটকেরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার বদলানোয় তাদের ‘জীবন্ত পাথর’ বা ‘লিভিং স্টোন’ বলেই ডাকেন।
বড় ট্রোভান্টগুলো পাশে অনেকগুলো ছোট, অসম্পূর্ণ পাথরও আছে, তবে সবগুলোর আকারেই গোলাকার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়—উঠে এসেছে গবেষণায়।
কসতেসটি জায়গাটি এ ধরনের পাথরের জন্য বেশি বিখ্যাত হলেও ড. টিক্লিয়ানুসহ অন্যদের করা গবেষণায় উঠে আসে রোমানিয়ার কার্পেথিয়ান অঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। কসতেসটি পাথরগুলো বেশি নাম কামানোর কারণ এগুলো আকারে বেশ বড়। কোনো কোনোটার ব্যাস এক মিটারের বেশি। এগুলোর কোনোটা গোলাকার, ডিম্বাকার। তবে অনেকগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে জটিল রূপ পেয়েছে। কসতেসটির ট্রোভান্টগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বড় পাথরের পৃষ্ঠে প্রায়ই ছোট, গোলাকার পাথরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য আর্কিওলজিস্ট ডট অরগ, সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কম

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের সব পাথর। দেখতেও কেমন অদ্ভুত। হঠাৎ মনে হতে পারে অন্য গ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়।
আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। ‘ট্রোভান্ট’ নামের এই পাথরগুলো ‘লিভিং রক’ বা ‘জীবন্ত পাথর’ নামেও বেশ পরিচিত। অবশ্য এদের বৃদ্ধি একেবারেই কম, এক হাজার বছরে সর্বোচ্চ দুই ইঞ্চি।
কিন্তু ঘটনা হলো, পাথরের আকার বাড়ে—এটা কীভাবে সম্ভব? এরা তো কোনো প্রাণী নয়। এমনকি গাছও নয়। একটু খোলাসা করা যাক। এই পাথরগুলো মূল অংশটি শক্ত পাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে বালু জমা হয়ে একটার পর একটা স্তর তৈরি হয়। শত শত বছর ধরে ভারী বৃষ্টির ফলে এই পাথরের ওপরের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢোকে পানি। এই জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই চুনাপাথরের আস্তরণে শুরু হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতেই একটু একটু করে ফুলে আকার বাড়ে ‘ট্রোভান্টে’র।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায়ই এর আকার-আকৃতি বদল হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ৫০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম কসতেসটি। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এসব পাথরের।
‘জীবন্ত পাথর’গুলো বহু বছর ধরেই স্থানীয়দের কৌতূহলের উদ্রেক করে এসেছে। তাদের আশ্চর্য আকৃতি এবং আকারে বড় হওয়ার প্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তির জন্ম দেয়। একসময় স্থানীয়রা এটাও বিশ্বাস করতেন এদের জীবিত বস্তুর মতো চলাফেরার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা আছে।
আগেই বলেছি, ট্রোভান্ট পাথরের আকার বেশ অস্বাভাবিক এবং একেকটি একেক রকম। কোনো কোনোটি এত ছোট যে আপনার হাতের তালুতে সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটি আবার ব্যাসে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। অন্তত ২০টি জায়গায় ১০০টির মতো ট্রোভান্টের খোঁজ মেলে। তাদের চারপাশের বালু উত্তোলন করার পরেই সন্ধান মেলে এমন অনেক পাথরের।
ধারণা করা হয়, ভূমিকম্পে ৬০ লাখ বছর আগে এদের জন্ম। রেডিও রোমানিয়া ইন্টারন্যাশনালকে বুইলা-ভানতুরারিতা ন্যাশনাল পার্কের একসময়কার ম্যানেজার ফ্লোরিন স্টোইকান বলেছিলেন, ‘এগুলোর কিছু বেলেপাথর থেকে, অন্যগুলো নুড়ি থেকে তৈরি হয়।’
গবেষকেরা ট্রোভান্ট ও আশপাশের বালুর নিচের শিলাস্তরের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাই তাঁরা অনুমান করেন, এদের বৃত্তাকার কিংবা উপবৃত্তকার আকার এসেছে মধ্য মিয়োসিন যুগের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ভূকম্পনের কারণে।
বছরের পর বছর ধরে মূল পাথরটির ওপর বালু, পাথরের আস্তরণ জমা পড়ছে। সেগুলোকে আঠার মতো জুড়ে রেখেছে চুনাপাথরের আস্তরণ। আর প্রবল বৃষ্টিপাতে এই পাথরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই বাকি কাজটা করে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলেও এ কারণেই একটু একটু করে আকারে বড় হয় এসব পাথর। তবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেবারে নগণ্য। হাজার-বারো শ বছরে মোটে চার-পাঁচ সেন্টিমিটার।
জিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব রোমানিয়ার ড. মিরসিয়া টিক্লিয়ানু বলেন, ‘রোমানিয়ার ট্রোভান্টগুলোর বয়সে পার্থক্য আছে। এরা কেবল মাটি থেকে উঠে এসেছে তা নয়, এগুলো শিলাস্তর ও বালুর খনিতে পাওয়া যাওয়া বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের বালুর মধ্যেও থাকে।’
ট্রোভান্ট হলো জার্মান শব্দ সেন্ডস্টেইসকনক্রিটইউনেনেন প্রতিশব্দ। এর অর্থ, সিমেন্ট দিয়ে জোড়া লাগানো বালু। ‘ট্রোভান্ট শব্দটি ভূতাত্ত্বিক সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয় রোমানিয়ায়।’ বলেন ড. টিক্লিয়ানু।
সত্যি সত্যি জীবন্ত না হলেও গাছের সঙ্গে একটি বিষয়ে এদের বেশ মিল আছে। তা হলো, ট্রোভান্টগুলো যখন কাটা হয়, তখন ভেতরের স্তরগুলো নজরে আসে। প্রতিটি স্তর বৃদ্ধির সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। বৈজ্ঞানিক অর্থে জীবিত না হলেও স্থানীয়রা এবং পর্যটকেরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার বদলানোয় তাদের ‘জীবন্ত পাথর’ বা ‘লিভিং স্টোন’ বলেই ডাকেন।
বড় ট্রোভান্টগুলো পাশে অনেকগুলো ছোট, অসম্পূর্ণ পাথরও আছে, তবে সবগুলোর আকারেই গোলাকার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়—উঠে এসেছে গবেষণায়।
কসতেসটি জায়গাটি এ ধরনের পাথরের জন্য বেশি বিখ্যাত হলেও ড. টিক্লিয়ানুসহ অন্যদের করা গবেষণায় উঠে আসে রোমানিয়ার কার্পেথিয়ান অঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। কসতেসটি পাথরগুলো বেশি নাম কামানোর কারণ এগুলো আকারে বেশ বড়। কোনো কোনোটার ব্যাস এক মিটারের বেশি। এগুলোর কোনোটা গোলাকার, ডিম্বাকার। তবে অনেকগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে জটিল রূপ পেয়েছে। কসতেসটির ট্রোভান্টগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বড় পাথরের পৃষ্ঠে প্রায়ই ছোট, গোলাকার পাথরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য আর্কিওলজিস্ট ডট অরগ, সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কম

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের সব পাথর। দেখতেও কেমন অদ্ভুত। হঠাৎ মনে হতে পারে অন্য গ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়।
আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। ‘ট্রোভান্ট’ নামের এই পাথরগুলো ‘লিভিং রক’ বা ‘জীবন্ত পাথর’ নামেও বেশ পরিচিত। অবশ্য এদের বৃদ্ধি একেবারেই কম, এক হাজার বছরে সর্বোচ্চ দুই ইঞ্চি।
কিন্তু ঘটনা হলো, পাথরের আকার বাড়ে—এটা কীভাবে সম্ভব? এরা তো কোনো প্রাণী নয়। এমনকি গাছও নয়। একটু খোলাসা করা যাক। এই পাথরগুলো মূল অংশটি শক্ত পাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে বালু জমা হয়ে একটার পর একটা স্তর তৈরি হয়। শত শত বছর ধরে ভারী বৃষ্টির ফলে এই পাথরের ওপরের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢোকে পানি। এই জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই চুনাপাথরের আস্তরণে শুরু হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতেই একটু একটু করে ফুলে আকার বাড়ে ‘ট্রোভান্টে’র।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায়ই এর আকার-আকৃতি বদল হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ৫০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম কসতেসটি। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এসব পাথরের।
‘জীবন্ত পাথর’গুলো বহু বছর ধরেই স্থানীয়দের কৌতূহলের উদ্রেক করে এসেছে। তাদের আশ্চর্য আকৃতি এবং আকারে বড় হওয়ার প্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তির জন্ম দেয়। একসময় স্থানীয়রা এটাও বিশ্বাস করতেন এদের জীবিত বস্তুর মতো চলাফেরার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা আছে।
আগেই বলেছি, ট্রোভান্ট পাথরের আকার বেশ অস্বাভাবিক এবং একেকটি একেক রকম। কোনো কোনোটি এত ছোট যে আপনার হাতের তালুতে সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটি আবার ব্যাসে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। অন্তত ২০টি জায়গায় ১০০টির মতো ট্রোভান্টের খোঁজ মেলে। তাদের চারপাশের বালু উত্তোলন করার পরেই সন্ধান মেলে এমন অনেক পাথরের।
ধারণা করা হয়, ভূমিকম্পে ৬০ লাখ বছর আগে এদের জন্ম। রেডিও রোমানিয়া ইন্টারন্যাশনালকে বুইলা-ভানতুরারিতা ন্যাশনাল পার্কের একসময়কার ম্যানেজার ফ্লোরিন স্টোইকান বলেছিলেন, ‘এগুলোর কিছু বেলেপাথর থেকে, অন্যগুলো নুড়ি থেকে তৈরি হয়।’
গবেষকেরা ট্রোভান্ট ও আশপাশের বালুর নিচের শিলাস্তরের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাই তাঁরা অনুমান করেন, এদের বৃত্তাকার কিংবা উপবৃত্তকার আকার এসেছে মধ্য মিয়োসিন যুগের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ভূকম্পনের কারণে।
বছরের পর বছর ধরে মূল পাথরটির ওপর বালু, পাথরের আস্তরণ জমা পড়ছে। সেগুলোকে আঠার মতো জুড়ে রেখেছে চুনাপাথরের আস্তরণ। আর প্রবল বৃষ্টিপাতে এই পাথরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই বাকি কাজটা করে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলেও এ কারণেই একটু একটু করে আকারে বড় হয় এসব পাথর। তবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেবারে নগণ্য। হাজার-বারো শ বছরে মোটে চার-পাঁচ সেন্টিমিটার।
জিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব রোমানিয়ার ড. মিরসিয়া টিক্লিয়ানু বলেন, ‘রোমানিয়ার ট্রোভান্টগুলোর বয়সে পার্থক্য আছে। এরা কেবল মাটি থেকে উঠে এসেছে তা নয়, এগুলো শিলাস্তর ও বালুর খনিতে পাওয়া যাওয়া বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের বালুর মধ্যেও থাকে।’
ট্রোভান্ট হলো জার্মান শব্দ সেন্ডস্টেইসকনক্রিটইউনেনেন প্রতিশব্দ। এর অর্থ, সিমেন্ট দিয়ে জোড়া লাগানো বালু। ‘ট্রোভান্ট শব্দটি ভূতাত্ত্বিক সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয় রোমানিয়ায়।’ বলেন ড. টিক্লিয়ানু।
সত্যি সত্যি জীবন্ত না হলেও গাছের সঙ্গে একটি বিষয়ে এদের বেশ মিল আছে। তা হলো, ট্রোভান্টগুলো যখন কাটা হয়, তখন ভেতরের স্তরগুলো নজরে আসে। প্রতিটি স্তর বৃদ্ধির সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। বৈজ্ঞানিক অর্থে জীবিত না হলেও স্থানীয়রা এবং পর্যটকেরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার বদলানোয় তাদের ‘জীবন্ত পাথর’ বা ‘লিভিং স্টোন’ বলেই ডাকেন।
বড় ট্রোভান্টগুলো পাশে অনেকগুলো ছোট, অসম্পূর্ণ পাথরও আছে, তবে সবগুলোর আকারেই গোলাকার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়—উঠে এসেছে গবেষণায়।
কসতেসটি জায়গাটি এ ধরনের পাথরের জন্য বেশি বিখ্যাত হলেও ড. টিক্লিয়ানুসহ অন্যদের করা গবেষণায় উঠে আসে রোমানিয়ার কার্পেথিয়ান অঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। কসতেসটি পাথরগুলো বেশি নাম কামানোর কারণ এগুলো আকারে বেশ বড়। কোনো কোনোটার ব্যাস এক মিটারের বেশি। এগুলোর কোনোটা গোলাকার, ডিম্বাকার। তবে অনেকগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে জটিল রূপ পেয়েছে। কসতেসটির ট্রোভান্টগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বড় পাথরের পৃষ্ঠে প্রায়ই ছোট, গোলাকার পাথরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য আর্কিওলজিস্ট ডট অরগ, সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কম

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
১০ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের অদ্ভুত সব পাথর। হঠাৎ মনে হতে পারে ভিনগ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়। আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পেতে হলে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
১০ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের অদ্ভুত সব পাথর। হঠাৎ মনে হতে পারে ভিনগ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়। আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পেতে হলে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
১০ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের অদ্ভুত সব পাথর। হঠাৎ মনে হতে পারে ভিনগ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়। আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পেতে হলে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের অদ্ভুত সব পাথর। হঠাৎ মনে হতে পারে ভিনগ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরও চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়। আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পেতে হলে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
১০ দিন আগে