Ajker Patrika

বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার, ‘জেলার’-এর সাফল্য উদ্‌যাপন করলেন বাস ডিপোতে

আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ২২: ০৪
বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার, ‘জেলার’-এর সাফল্য উদ্‌যাপন করলেন বাস ডিপোতে

ভারতের বিনোদন জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। পাঁচ দশক ধরে দর্শকের মনোরঞ্জন করছেন তিনি। তবে পেশাদার জীবনের শুরুতে অভিনেতা ছিলেন না তিনি। বেঙ্গালুরুতে বাস কন্ডাক্টর হিসেবে পেশাদার জীবন শুরু করেছিলেন রজনীকান্ত। অভিনয় শুরুর আগে এটাই ছিল থালাইভার পেশাগত পরিচিতি।

এরপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ দশক। বড় পর্দায় নিজের অভিনয় দক্ষতায় দর্শক ও অনুরাগীদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন তিনি। ১০ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে তাঁর সিনেমা ‘জেলার’। মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহেই সিনেমাটির আয় ৬০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। আর এই সাফল্য উদ্‌যাপন করতে নিজের শিকড়ে ফিরে গেলেন রজনীকান্ত।

জয়নগর বাস ডিপোতে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। ছবি: সংগৃহীতভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর যে বাস ডিপোতে কন্ডাক্টর হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন, সম্প্রতি সেখানেই দেখা গেছে রজনীকান্তকে। জয়নগর বাস ডিপোতে দেখা করলেন বর্তমান কর্মীদের সঙ্গে। জমিয়ে দিলেন আড্ডা। শোনালেন তাঁর পুরোনো অভিজ্ঞতা।

সে সময় রজনীকান্তের নাম ছিল শিবাজি রাও গাইকোয়াড়। বিখ্যাত তামিল পরিচালক কে বালাচন্দ্রের নজরে পড়েন তিনি। তারপর ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় কমল হাসানের সঙ্গে তাঁর প্রথম সিনেমা ‘অপূর্ব রঙ্গলাল’। শিবাজি রাও থেকে তিনি হয়ে ওঠেন রজনীকান্ত।

‘অপূর্ব রঙ্গলাল’ পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকান্তকে। এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও যে তিনি নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি, তার প্রমাণ দিলেন রজনীকান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৪
ওমর সানী ও আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত
ওমর সানী ও আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী ও সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। সম্প্রতি এক টেলিভিশন পডকাস্টে ওমর সানীকে ‘নারীশাসিত পুরুষ’ সম্বোধন করায় আসিফকে ভিডিও বার্তায় শাসালেন অভিনেতা।

ওমর সানী ও আসিফের দ্বন্দ্বের শুরু গত নভেম্বরে। সে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। যোগ দিয়েই ফুটবল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় আসিফের সমালোচনা করেন অভিনেতা ওমর সানী। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে ওমর সানী লিখেছিলেন, ‘সব দোষ চেয়ারের’। প্রায় এক মাস পর ওমর সানীর সমালোচনার জবাব দিলেন আসিফ আকবর। পডকাস্টে ওমর সানীকে নারীশাসিত পুরুষ বলে মন্তব্য করেন আসিফ। জানান, তিনি সংসারটাই ঠিকমতো করতে পারছেন না।

ওমর সানীর সমালোচনা প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বলেন, ‘উনি (ওমর সানী) আসলে সহজ-সরল মানুষ তো। চাপটাপ বিক্রি করে, ভাবছে এমন কিছু বললে বাফুফে তার চাপটাপ কিনতে পারে। নিজেই সংসার ঠিকভাবে করতে পারছে না। উনি একজন নারীশাসিত পুরুষ। এই ফেসবুকটা হচ্ছে উনার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। ওই লেভেলের কোনো সমালোচক উনি নন। উনার যেটা মনে হয় গাধার মতো বলতে থাকে। উনারে সমালোচনা করো, গালি দাও, কোনো বিকার নেই। এ রকম একটা ক্লিব লিঙ্গের মতো মানুষকে নিয়ে কথা না বলাই ভালো। কিন্তু আমি ওমর সানী ভাইকে ভালোবাসি।’

আসিফের এমন মন্তব্যের জবাব দিতে সময় নেননি ওমর সানী। ফেসবুকে শেয়ার করা এক ভিডিওতে নিজের রাগ উগরে দেন তিনি। রেগে গিয়ে আসিফকে ‘তুই’ করেও সম্বোধন করেন। এমনকি হাত উঠিয়ে শাসিয়ে দেন। ওই ভিডিওতে ওমর সানী বলেন, ‘আসিফ আকবর মাছরাঙা টেলিভিশনে আমার সম্পর্কে কিছু বাজে মন্তব্য করেছে। আমি ওর সম্পর্কে বলেছিলাম যে চেয়ারের গরম। ওর ব্যক্তিগত ও পরিবার নিয়ে কোনো কথা বলি নাই। ওকে আমি খারাপ বলি নাই। ব্যক্তিজীবনে ও কী করে, না করে—সবই আমি জানি। কিন্তু ওর নোংরা জীবন নিয়ে কোনো কথাই আমি বলি নাই। আমি শুধু চেয়ারের কথা বলেছি। কিন্তু আসিফ মাছরাঙা টেলিভিশনে আমার সম্পর্কে বলল আমি নারীশাসিত।’

একপর্যায়ে সানী আরও বলেন, ‘আসিফ তুই গিয়ে মৌসুমীরে জিজ্ঞেস কর, আমার অবস্থান কোথায়? আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে তোর কোনো কথা বলার দরকার আছে? আমাকে নিয়ে সমালোচনা কর। তুই চাপ নিয়ে কথা বলিস, ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলিস, সংসার নিয়ে কথা বলিস। তোর কী অবস্থা যে আমাকে নিয়ে কথা বলিস? হাতটা দেখছোস? আমি ঢাকাতেই আছি, সাহস থাকলে আমার সামনে এসে কথা বল!’

এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি তোরে “তুমি”, “আপনি” করে কথা বলছি, ভদ্রভাবে কথা বলছি।... তোর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছি? আমি ফুটবল নিয়ে কথা বলছি। চেয়ার নিয়ে কথা বলছি, ক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছি। দ্যাটস ইট।... তোর (আসিফের) কোনো ব্যক্তিত্ব আছে? তুই আমার সম্পর্কে কথা বলিস। আমার আর মৌসুমীর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবি? এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যা, ভদ্র হয়ে যা। ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলবি না। আমি কি আছি না আছি, সেটা তোর ম্যাডামকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর।’

সবশেষে আসিফের প্রতি পরামর্শ দিয়ে ওমর সানী বললেন, ‘এখনো ভালো হ। আল্লাহ সম্মান দিয়েছে, বয়স হইছে। ভাবি (আসিফ আকবরের স্ত্রী) অনেক ভালো একজন মানুষ। বাচ্চারা অনেক ভালো, বিয়েশাদি দিছিস, দাদা হইছিস। ভালো হ, ভদ্র হ। ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলবি না আসিফ। এগুলো ভালো না। একদমই ভালো না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেটফ্লিক্সের ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুক্তিতে বাগড়া দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
হলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুক্তিতে বাগড়া দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির মুভি স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্কগুলো ৭২ বিলিয়ন ডলার মূল্যে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেটফ্লিক্সের বিশাল মার্কেট শেয়ার রয়েছে এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের মিলিত আকার ‘একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে’। এই চুক্তিটি অনুমোদনের বিষয়াদিতে ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকার কথাও জানান ট্রাম্প।

গত শুক্রবার নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স ঘোষণা করে, তারা চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এই চুক্তির ফলে হ্যারি পটার, গেম অব থ্রোনস, লুনি টিউনস দ্য ম্যাট্রিক্স এবং লর্ড অব দ্য রিংস-এর মতো জনপ্রিয় গ্লোবাল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নেটফ্লিক্সের মালিকানায় চলে আসবে।

১৯৯৭ সালে পোস্টাল ডিভিডি ভাড়া ব্যবসা হিসেবে যাত্রা শুরু করা নেটফ্লিক্স এখন বিশ্বের বৃহত্তম সাবস্ক্রিপশন স্ট্রিমিং পরিষেবা। চলচ্চিত্র শিল্পে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় চুক্তি। এই চুক্তি সম্পাদন হলে নেটফ্লিক্সের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত হবে।

জানা যায়, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ওয়ার্নার ব্রাদার্স তার ব্যবসা ভাগাভাগি করার পরেই এই চুক্তিটি সম্পন্ন হবে।

মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতিযোগিতা বিভাগ এত বড় ধরনের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া তদারকি করে। তাদের মতে, যদি একীভূত ব্যবসা স্ট্রিমিং মার্কেটের খুব বেশি অংশ দখল করে, তাহলে সেখানে আইন লঙ্ঘন হতে পারে।

জন এফ কেনেডি সেন্টারের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বারবার নেটফ্লিক্সের মার্কেট শেয়ারের আকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি চুক্তিটি হয়, তাহলে নেটফ্লিক্সের খুব বড় মার্কেট শেয়ার আরও অনেক বেড়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেড সারান্ডোস সম্প্রতি ওভাল অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তিনি তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তার প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে। তিনি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা কাজ করেছেন।’

টেড সারান্ডোস এর আগে স্বীকার করেন, চুক্তিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে, তবে এটি নেটফ্লিক্সকে ‘আগামী দশকগুলোতে’ সাফল্যের জন্য অবস্থান তৈরি করার একটি সুযোগ।

কমকাস্ট এবং প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে চুক্তিটি করতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রধান ডেভিড এলিসন এর আগে পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনার চেষ্টা করেছিলেন। ডেভিড এলিসনের বাবা ল্যারি এলিসন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

এদিকে, এই চুক্তিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা-এর ইস্ট ও ওয়েস্ট শাখা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি তার অন্যতম বৃহৎ প্রতিদ্বন্দ্বীকে গিলে ফেলা ঠিক সে ধরনের কাজ, যা একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিরোধের জন্য তৈরি আইনকে (অ্যান্টি ট্রাস্ট ল) বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

রাইটার্স গিল্ড সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই চুক্তির ফলে অনেক চাকরি বিলুপ্ত হবে, মজুরি কমবে, বিনোদন কর্মীদের সবার পরিস্থিতি খারাপ হবে, গ্রাহকদের খরচ বাড়বে এবং সব দর্শকের জন্য কনটেন্টের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গান-আড্ডায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর ৭০ বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য। তিনি লিখেছেন ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে’, ‘আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘যতীন স্যারের ক্লাসে’, ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ‘সময় যেন কাটে না’র মতো কালজয়ী অনেক গান। লিখছেন এখনো। আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ হবে শহীদ মাহমুদের ৭০ বছর। গান ও আড্ডায় এই গীতিকবির সাত দশকের জীবন পরিক্রমা উদ্‌যাপন করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। ১২ ডিসেম্বর ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আজব কারখানা।

ধানমন্ডির রাশান হাউসে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। সূচনা বক্তব্য এবং গীতিকারকে নিয়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণার পর মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ নামের স্মৃতিচারণা গ্রন্থের। জয় শাহরিয়ারের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে গীতিকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন নকীব খান, সামিনা চৌধুরী, ফয়সাল সিদ্দিকী বগি, ফোয়াদ নাসের বাবু, কুমার বিশ্বজিৎ, পিলু খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া, লিটন অধিকারী রিন্টু, গোলাম মোরশেদ, বাপ্পী খানসহ অনেকে। এতে উঠে এসেছে গীতিকারের জীবনের নানা ঘটনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা গান শোনাবেন রফিকুল আলম, নাসিম আলী খান, বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, সুমন কল্যাণ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাশ, ব্যান্ড সোলস, রেনেসাঁসহ অনেকে।

উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, পিলু খান, জয় শাহরিয়ার, শামীম আহমেদ, এনাম এলাহী টন্টি, সুমন কল্যাণ, শাকিল খান, হাসান আসাদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রন্ধনশিল্পীকে নিয়ে সিনেমা

পর্দায় টমি মিয়া হবেন সাজ্জাদ হোসেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে টমি মিয়াস হসপিটালিটি ইনস্টিটিউট থেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শেফ। এবার এই রন্ধনশিল্পীর জীবনী আসছে বড় পর্দায়। ‘সিটিএম’ নামের এই বায়োপিক পরিচালনা করবেন মনিরুজ্জামান মনির।

আগামী বছর টমি মিয়া এমবিইর সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘টমি মিয়াস ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৬’। অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দেশের একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গতকাল এ উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নিজের বায়োপিকের ঘোষণা দেন টমি মিয়া।

পর্দায় টমি মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসেন। অভিনয়ে আসার আগে যিনি নিজেও কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। ২০০৭ সালে টমি মিয়াস ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট থেকে ট্রেনিং করেন সাজ্জাদ। এরপর লন্ডনের রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে অভিনয়ের টানে চলে আসেন দেশে।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে কোর্স করার সময় টমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এই পরিচয় তাঁর জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে কাজে লাগবে আমার। এ ছাড়া শেফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় পর্দায় তাঁর চরিত্রটি উপস্থাপন করা একটু সহজ হবে আমার জন্য।’

সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘এটি বায়োপিক হলেও সুন্দর একটি গল্প আছে, প্রেম আছে, ট্র্যাজেডি আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের জন্য উপভোগ্য একটি সিনেমা হবে। চেষ্টা করব পর্দায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে টমি মিয়া হিসেবে উপস্থাপন করতে। ইতিমধ্যে টমি ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছি।’

‘এমআরনাইন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক সাজ্জাদের। এরপর অভিনয় করেছেন ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাজ্জাদ অভিনীত ‘প্রেম পুরাণ’ সিনেমাটি।

জানা গেছে, লন্ডনে বড় একটি অংশের শুটিং হবে সিটিএম সিনেমার। টমি মিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনায় থাকবেন বাংলাদেশ ও লন্ডনের কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে মহরত অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এই সিনেমার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত