ইশতিয়াক হাসান

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ
ইশতিয়াক হাসান

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে