Ajker Patrika

যেভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল শ্রীমৎভগবদ্‌গীতা

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৭: ০৮
যেভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল শ্রীমৎভগবদ্‌গীতা

পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। শ্রীমৎভগবদ্‌গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।

ওপেনহাইমার প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন এবং ভগবদ্‌গীতা তাঁর পছন্দের বই ছিল। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের দুই দিন আগে রবার্ট ওপেনহাইমার ভগবদ্‌গীতার একটি স্তবক পাঠ করেছিলেন।

ওপেনহাইমার একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে শিক্ষকতা করার সময় প্রাচীন ভারতীয় ভাষা সংস্কৃত এবং পরে গীতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। দুই হাজার বছরের পুরোনো ভগবদ্‌গীতা মহাভারতের অংশ। হিন্দুধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। এতে ৭০০ শ্লোকের বিশ্বের দীর্ঘতম কবিতা রয়েছে।

মেক্সিকো মরুভূমিতে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ওপেনহাইমার সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনূদিত যেই স্তবক পাঠ করেছিলেন তা ছিল: 

‘‘যুদ্ধক্ষেত্র, বন আর সমস্ত পাহাড়ের চূড়ায়

সাগরের অন্ধকারে, তীরে ও বল্লমে

ঘুমের অতলে, বিভ্রান্তিতে, লজ্জার গভীরে

সব মহান কাজের আগে মানুষ করেছে নিজেকে রক্ষা।’

কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরউইন ২০০৫ সালে প্রকাশিত ওপেনহাইমারের জীবনী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে রবার্ট ওপেনহাইমার’ নামের ওই বইতে তাঁরা লিখেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় ২৫ বছর বয়সী তরুণ ওপেনহাইমার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক আর্থার ডব্লিউ রাইডারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়’ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন।

রাইডার একজন রিপাবলিকান ও প্রতিমা পূজার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ওপেনহাইমার তাঁর প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। ওপেনহাইমার রাইডারকে একজন ‘অভিমানী বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে গণ্য করেছেন। একজন পণ্ডিত যিনি প্রকৃতপক্ষেই চিন্তাভাবনা করেছেন এবং একটি স্টয়িকের মতো কথা বলতেন। ওপেনহাইমারের বাবাও বলেছিলেন, ‘রাইডারের ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ। তাঁর চরিত্রে নিষ্ঠা ও কোমলতার মিশ্রণ ছিল।’

রবার্ট ওপেনহাইমার কে ছিলেন? 
আত্মজীবনীমূলক এ চলচ্চিত্রে ওপেনহাইমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা সিলিয়ান মারফি। সিনেমায়ও রাইডারকে একজন বিরল ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যিনি জীবনকে দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে দেখতেন। যেখানে মানুষ পরিত্রাণ এবং অভিশাপের মধ্যে পার্থক্য করতেই আয়ু পার করে দেয়। 

প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওপেনহাইমারকে সংস্কৃত পড়াতেন রাইডার। ওপেনহাইমার এ নিয়ে তার ভাই ফ্রাঙ্ককে চিঠিও লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সংস্কৃত শিখছি। বিষয়টি খুবই উপভোগ করছি।’

ওপেনহাইমারের জীবনীকারেরা উল্লেখ করেছেন, তার অনেক বন্ধু ভারতীয় ভাষার প্রতি তার নতুন আবেশ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হ্যারল্ড এফ চেরনিস। যিনি বিজ্ঞানীকে পণ্ডিত রাইডারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ ওপেনহাইমারের অতীন্দ্রিয় এবং রহস্যময় জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিল।

সুতরাং সংস্কৃত এবং গীতা সম্পর্কে ওপেনহাইমারের জ্ঞান থাকার বিষয়টি স্পষ্টতই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু কিছু ডানপন্থী হিন্দু সিনেমায় ফ্লোরেন্স পুগের সঙ্গে ওপেনহাইমারের যৌন দৃশ্যকে নিজেদের ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলছেন। তাঁরা দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন।

কিন্তু ভারতের ফিল্ম সেন্সররা এতে কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। বক্স অফিসে এটি ভারতে ও বছরের হলিউড হিট সিনেমা ও বার্বির চেয়ে বেশি আয় করেছে।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ওপেনহাইমার একজন ব্যাপক পড়ুয়া ছিলেন। তিনি দর্শন, ফরাসি সাহিত্য, ইংরেজি, ইতিহাসের কোর্স নিয়েছিলেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে স্থাপত্য অধ্যয়ন করার কথা বিবেচনা করেছিলেন। এমনকি তিনি একজন ক্লাসিস্ট, কবি বা চিত্রশিল্পী হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছিলেন। তিনি দুঃখ এবং একাকিত্বের থিম নিয়ে কবিতা লিখেছেন এবং টি এস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডের ‘বিক্ষিপ্ত অস্তিত্ববাদে’র সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।

চেরনিস বলেন, যেহেতু প্রায় সবকিছুই তাঁর জন্য সহজ ছিল। তাই তিনি কঠিন জিনিস পছন্দ করতেন। সেগুলোই তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করত।

ওপেনহাইমার গ্রিক, ল্যাটিন, ফরাসি এবং জার্মান ভাষাও অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডাচ ভাষা শিখেছিলেন। এসব ভাষা শিক্ষা ভগবদ্‌গীতা পড়ার খুব বেশি আগের কথা নয়। তিনি এটিকে খুব সহজ এবং বেশ আশ্চর্যজনক মনে করতেন। বন্ধুদের বলেছিলেন যে এটি তাঁর জানা যেকোনো ভাষার চেয়ে সুন্দর দার্শনিক গানের বই। তাঁর বুকশেলফে রাইডারের উপহার দেওয়া গোলাপি মোড়কের একটি ভগবদ্‌গীতার কপিও ছিল। ওপেনহাইমার নিজেও তাঁর অনেক বন্ধুকে গীতার কপি উপহার দিয়েছিলেন।

জীবনীকাররা লিখেছেন, ওপেনহাইমার সংস্কৃত ভাষার প্রতি এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে ১৯৩৩ সালে যখন তাঁর পিতা তাঁকে একটি ক্রিসলার গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, তখন তিনি হিন্দু পুরাণে দৈত্য পাখি ঈশ্বরের নামানুসারে এর নাম দিয়েছিলেন ‘গরুড়’। 

সেই বছরের বসন্তে ওপেনহাইমার তাঁর ভাইয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছিলেন, কেন শৃঙ্খলা এবং কাজ সর্বদা তাঁর নীতি ছিল। এটি ইঙ্গিত করে যে তিনি প্রাচ্যের দর্শন দ্বারা মুগ্ধ হয়েছিলেন।

তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন, শৃঙ্খলার মাধ্যমেই আমরা প্রশান্তি অর্জন এবং অবতারের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে পারি। শুধু শৃঙ্খলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার স্থূল বিভ্রান্তি ছেড়ে বিশ্বকে দেখা সম্ভব। এভাবেই পার্থিব জীবনের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

তাঁর জীবনীকাররা লিখেছেন, বিশের দশকের শেষের দিকে ওপেনহাইমার এক নির্জনতার সন্ধান করতেন। তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে ভৌত জগতের সঙ্গে জড়িত থাকতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি একটি বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক জগতে হারাতে চাননি। তিনি ধর্ম খোঁজেননি। তিনি মূলত চেয়েছিলেন মনের শান্তি। সেই দর্শন গীতায় ছিল বলে বিশ্বাস করতেন।

লস অ্যালামোস প্রকল্পের প্রধান ফটক এবং ব্রিগেডিয়ার লেসলি গ্রোভসের সঙ্গে ওপেনহাইমারকালিদাসের ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতার প্রতি ওপেনহাইমারের মুগ্ধতা

তাঁর প্রিয় সংস্কৃত গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি ছিল কালিদাসের রচিত ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতা। তিনি ভাই ফ্রাঙ্ককে লিখেছিলেন, আমি রাইডারের সঙ্গে মেঘদূত পড়েছি। আনন্দে, কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এবং অভাবনীয়ভাবে মুগ্ধতার ছোঁয়া পেয়েছি।

ওপেনহাইমার কেন গীতা এবং এর কর্ম, নিয়তি এবং পার্থিব কর্তব্যের ধারণার দিকে এত উদ্যমী ছিলেন? এ নিয়ে তাঁর জীবনীকারদের মধ্য মতভেদ রয়েছে। ‘ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে উল্লেখ করে জীবনীকারেরা বলেছেন, যৌবনে তাঁকে যা শেখানো হয়েছিল সেটির বিরুদ্ধাচরণের জন্যই তিনি গীতার নিয়তিবাদের ঝুঁকে পড়েছিলেন। ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি ইহুদি ধর্মের অনন্য এক আমেরিকান শাখা, যা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করে।

নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওপেনহাইমার একাই গীতার প্রশংসা করেননি। আমেরিকান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক হেনরি ডেভিড থোরো ভগবদ্‌গীতা অপূর্ব এবং বিশ্বদর্শনে মুগ্ধ ছিলেন। তিনি লিখেছেন, গীতার কাছে আমাদের আধুনিক বিশ্ব এবং এর সাহিত্য তুচ্ছ এবং তুচ্ছ বলে মনে হয়। জার্মান নাজি পার্টির সদস্য হেনরিক হিমলারও গীতার ভক্ত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন প্রবল অনুসারী। ওপেনহাইমারের প্রিয় দুই কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস এবং টি এস এলিয়টও মহাভারত পড়েছিলেন।

প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর এর ভয়াবহতা দেখে কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েন ওপেনহাইমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর তিনি আবারও গীতায় ফিরে আসেন। 

পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের পর ১৯৬৫ সালের একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি এনবিসিকে বলেন, ‘আমরা জানতাম পৃথিবী আগের মতো থাকবে না। বোমা বর্ষণের পর কিছু লোক হেসেছে, কিছু লোক কাঁদছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই নির্বাক হয়ে পড়েছিল।’

এনবিসিকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ শ্রীমৎভগবদ্‌গীতার লাইনটি মনে রেখেছি। বিষ্ণু [একজন প্রধান হিন্দু দেবতা] রাজকুমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তাঁকে তাঁর কাজ করা উচিত। তাঁকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর বহু-সশস্ত্র রূপ ধারণ করে এবং বলে, ‘‘এখন আমি মৃত্যু, বিশ্বের ধ্বংসকারী হয়েছি।’’ আমি মনে করি আমরা সবাই এটা ভেবেছিলাম, কোনো না কোনো উপায়ে।’

এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ওপেনহাইমারের এক বন্ধু বলেছেন, ওপেনহাইমারের মুখে এমন উদ্ধৃতি তাঁকে পুরোহিতের মতো শোনাচ্ছিল। তবুও রহস্যময় বিজ্ঞানী গ্রন্থটি দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।

‘দ্য ক্রিশ্চিয়ান সেঞ্চুরির’ সম্পাদকেরা যখন বিজ্ঞানীকে একবার তাঁর পড়া বইগুলো শেয়ার করতে বলেছিলেন। বিশেষ করে যেগুলো তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সবচেয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তখন ফরাসি কবি শার্ল বোঁদলিয়ারের ‘লে ফ্লোঁরস দ্যু মাল’ কাব্যগ্রন্থের কথা তিনি সর্বাগ্রে বলেছিলেন। আর ভগবদ্‌গীতা পেয়েছিল দ্বিতীয় স্থান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেখা হলো শাহরুখ-মেসির, সঙ্গে ছিল খানপুত্র আব্রাম

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৩
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।

মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।

মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।

জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত