নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ারের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত মতিয়ার রহমান দেওভোগ গ্রামের বলিয়ার রহমানের ছেলে।
আজ সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মজিবর রহমান জানান, তাঁর ভাই মতিয়ারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেওভোগ গ্রামে মতিয়ার পৈতৃকসূত্রে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি পেয়েছেন। ওই জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধল্যা গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে শহীদ খান, ফরহাদ খান, মো. ফুয়াদ খান ও মাসুদ খানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে ১২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মতিয়ার। গতকাল সকালে মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ধল্যা যাওয়ার পথে দেওভোগ গ্রামের রাস্তায় পৌঁছালে শহীদ খান ও তাঁর লোকজন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আটকান। সেখানে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মতিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মতিয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মতিয়ার রহমানের কানে গুলি লেগে ছিদ্র হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ খান বলেন, জমির ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ারের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত মতিয়ার রহমান দেওভোগ গ্রামের বলিয়ার রহমানের ছেলে।
আজ সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মজিবর রহমান জানান, তাঁর ভাই মতিয়ারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেওভোগ গ্রামে মতিয়ার পৈতৃকসূত্রে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি পেয়েছেন। ওই জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধল্যা গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে শহীদ খান, ফরহাদ খান, মো. ফুয়াদ খান ও মাসুদ খানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে ১২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মতিয়ার। গতকাল সকালে মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ধল্যা যাওয়ার পথে দেওভোগ গ্রামের রাস্তায় পৌঁছালে শহীদ খান ও তাঁর লোকজন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আটকান। সেখানে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মতিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মতিয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মতিয়ার রহমানের কানে গুলি লেগে ছিদ্র হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ খান বলেন, জমির ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
১ ঘণ্টা আগে