Ajker Patrika

তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য সামনের ৬ মাস কঠিন সময় : বিজিএমইএ সভাপতি  

সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৬: ০৪
তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য সামনের ৬ মাস কঠিন সময় : বিজিএমইএ সভাপতি  

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় পকেটে টান পড়েছে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত বিশ্বের মানুষেরও। আয়-ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় খরচের লাগাম টানতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির ঋণ পরিশোধেও। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পোশাকসহ অন্যান্য ননফুড আইটেমে খরচ অনেকটাই সংকোচন করছে। বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, আগামী ছয় মাস তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য খুবই কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। তৈরি পোশাক নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কী চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা আছে তা নিয়ে ৫ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। 

আজকের পত্রিকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে টার্গেট ছিল, সেটা অর্জন করা গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ার চাপে আছে সেখানকার ভোক্তারা।
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ থাকার কারণে পোশাকসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমিয়ে দিয়েছে ভোক্তারা। এর জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য কারণ। এই সংকটের মধ্যেও আমাদের তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটা কোনোমতে অর্জন করা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের মতো। কিন্তু আগের অর্থবছরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩০ শতাংশ। পোশাক খাতে গত বছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যতম কারণ। সার্বিক বিবেচনায় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়। 

আজকের পত্রিকা: একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানির সবচেয়ে বড় দেশ। মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় আছে। সেটা আপনাদের জন্য কতটুকু শঙ্কার?
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যাওয়া স্বভাবতই খুবই উদ্বেগের। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য ব্যাংকের সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বাসাবাড়ি, গাড়ি ও খাবারদাবারের পেছনে খরচের পর মানুষের হাতে আর টাকা থাকছে না। ফলে স্বভাবতই ভোক্তারা এখন পোশাকের পেছনে খরচ কমিয়ে দিয়েছে। 

তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে গত চার মাস ধরে মোট আমদানির প্রায় ২২ শতাংশ এবং ভলিয়মের দিক দিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি একটু ভালো। তবে এই ভালো ভালো নয়। প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি সংকুচিত হওয়ার কারণে আমরা নতুন এমার্জিং মার্কেট যেমন—ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

আজকের পত্রিকা: ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই যুদ্ধ শিগগির শেষ হচ্ছে না। যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অন্যতম দেশ জার্মানিতে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক মন্দাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত কেমন পারফর্ম করতে পারে?
ফারুক হাসান: ইউক্রেন যুদ্ধের এখন যা অবস্থা এবং ইউরোপের অর্থনীতি ধীরে ধীরে মন্দার দিকে যাচ্ছে। এটা সহজে অনুমান করা যায় সামনের দিনগুলোতে তৈরি পোশাকে রপ্তানি ধরে রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যাবে। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার রেশে জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশে এখন মন্দা দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক সমস্যা ছাড়াও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা যেমন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ, একই সঙ্গে কাস্টম বন্ডের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখছি না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তৈরি পোশাক খাত খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে যাবে। 

আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, তৈরি পোশাকের জন্য সামনের ছয় মাস খুবই কঠিন সময়। অন্যদিকে এই বছরের প্রবৃদ্ধিও আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হবে নিশ্চিত।
ফারুক হাসান: দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য শীর্ষস্থানীয় রপ্তানির পণ্য তৈরি পোশাকে বিনিয়োগ খুবই জরুরি। তবে বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানে এ অবস্থায় বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন। অনেকেই এখন নতুন করে বিনিয়োগ করা বন্ধ রেখেছেন। এ বছর নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব তো হবেই না, বরং যে কর্মসংস্থানগুলো আছে, সেগুলো ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। 

আজকের পত্রিকা: ডলার সংকটের কারণে ক্যাপিটাল মেশিনারি ইমপোর্টের ক্ষেত্রে এলসি খোলায় কি কোন সমস্যা হচ্ছে?
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় বর্তমানে আরএমজি খাতে তেমন বড় কোনো ইনভেস্টমেন্ট হবে না। তবে হাই অ্যান্ড প্রোডাক্ট প্রস্তুত করার জন্য যে ক্ষমতা প্রয়োজন, তার জন্য আমরা টেকনোলজিতে ইনভেস্ট করছি। তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখন বিনিয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইনভেস্ট করা হয়, তাহলে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ নেবে। তাছাড়া নতুন বিনিয়োগের জন্য যে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি করতে হয়, তা ডলারের সংকট থাকায় এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। দেশে যে ডলারের সংকট আছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। 

আজকের পত্রিকা: আইএমএফের পরামর্শে সরকার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংক ঋণ এখন আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাইছি।
ফারুক হাসান: ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য খাতের মতো তৈরি পোশাক খাতেও বিনিয়োগের খরচ বাড়াবে। একই সঙ্গে উৎপাদনে খরচও বাড়বে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা আমাদের প্রতিযোগী ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সেসব দেশগুলোতে ব্যাংকের সুদের হার আমাদের চেয়ে অনেক কম, যার ফলে ব্যাংক ঋণের কস্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট, প্রোডাকশন এবং কস্ট অব গুডস বেড়ে যাবে, যার ভার দিন শেষে বহন করতে হবে ভোক্তাদের। 

আজকের পত্রিকা: যে সমস্যাগুলোর কথা বলছেন, সেগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়—এ রকম কোনো পরিকল্পনা কি আপনারা করছেন? 
ফারুক হাসান: তৈরি পোশাক খাতে বর্তমানে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলা কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশ-বিদেশে দৌড়ঝাঁপ করছি। ক্রেতাদের মধ্যে মনোবল ফিরে আনার জন্য আমি শরীর খারাপ নিয়েও বায়ারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফ্রান্সের ছুটে এসেছি, যাতে আমাদের মেম্বাররা পোশাক খাত নিয়ে একটু আশ্বস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্রান্সে এখন তিনটা মেলা হচ্ছে। সেখানে আমাদের অনেক রপ্তানিকারক অংশগ্রহণ করছেন। আমি ফ্রান্সে ছুটে এসেছি ক্রেতা ও উৎপাদকদের একটু সাহস জোগাতে। 

আজকের পত্রিকা: শিল্প উৎপাদনের অন্যতম অনুষঙ্গ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। শিল্পের রেকর্ড পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়ার শর্তে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ কেমন পাচ্ছেন। 
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহে সংকট আছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে এই শর্তে গ্যাসের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও আমরা গ্যাসের পর্যাপ্ত সংগ্রহ পাচ্ছি না। বিশ্ববাজারে এখন গ্যাসের দাম দিনে দিনে কমছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির এই সংকটের মধ্যে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য সরকারের উচিত উৎপাদনশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গ সমন্বয় করা। 

আজকের পত্রিকা: সম্প্রতি আপনি রিপাবলিকান পার্টির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টেড ক্রুজসহ কয়েকজন মার্কিন আইন প্রণতাকে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য। কোনো সাড়া পেয়েছেন কি? 
ফারুক হাসান: এখনো তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তুলা কিনি, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। আমরা আমাদের তুলার মোট চাহিদার ১০ থেকে ১২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে থাকি। একটা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে শুল্ক মওকুফ করতে পারে, তাহলে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পোশাক রপ্তানিতে একই সুবিধা প্রত্যাশা করি। তা ছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যদি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা কম দামে পোশাক কিনতে পারবে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। সামনের দিনের ট্যাড ক্রসের সঙ্গে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।

আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।

এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।

বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।

এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।

ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।

বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৪
আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত