Ajker Patrika

সাত মাসে আলেশা মার্টের মালিকের সম্পত্তি বেড়েছে ২২৮ গুণ 

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ১৭: ৩১
সাত মাসে আলেশা মার্টের মালিকের সম্পত্তি বেড়েছে ২২৮ গুণ 

মামলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম সিকদারসহ চার ব্যক্তি ও ১৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ডিএমপির বনানী থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন।

চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকের ৪২১ কোটি টাকা পাচার করেছে আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম সিকদার। অর্থপাচারে তাকে সহযোগিতা করেছেন তাঁর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরীসহ তিন ব্যক্তি ও দশ প্রতিষ্ঠান। সারা বছরে মঞ্জুর আলমের আয় ছিল ১৩ লাখ টাকা। তবে আলেশা মার্ট খোলার সাত মাসেই ৩১ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন তিনি। সাত মাসে তাঁর সম্পদ ও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৮ গুণের বেশি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, এগুলো সবই গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে গড়ে তোলা সম্পদ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থপাচারের প্রাথমিক প্রমাণ মিলছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ও মামলার পর আলেশা মার্টের অর্থপাচারের বিষয়ে আড়াই বছর ধরে অনুসন্ধান করে সিআইডি। অনুসন্ধান শেষে সিআইডি প্রতিষ্ঠান ও মালিকের বিরুদ্ধে ৪২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এই ঘটনায় গত ৩১ মে মামলা করা হয়।

মামলায় আসামিরা হলেন আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম সিকদার, তাঁর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী, প্রস্তাবিত পিপিলস ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও এস কে ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আল মামুন। এছাড়াও দশটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আলেশা মার্ট লিমিটেড, আলেশা হোল্ডিং লিমিটেড, আলেশা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিসিং লিমিটেড, আলেশা টেক লিমিটেড, আলেশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আলেশা রাইড লিমিটেড, আলেশা এক্সপোর্ট–ইমপোর্ট লিমিটেড, আলেশা ফার্মেসি লিমিটেড ও আলেশা এগ্রো লিমিটেড। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা বনানীর ১৭ নম্বর সড়কের রূপসা টাওয়ার।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ৩১ মে আলেশা মার্টের মালিকের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে সিআইডির একজন কর্মকর্তা মামলাটি করেছেন। মামলা নম্বর ৪০। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন সময় পাচার করেছেন।

সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে মঞ্জুর আলম সিকদারের আয়কর নথিতে তাঁর বেতনসহ অন্যান্য সোর্স থেকে বার্ষিক আয় ছিল ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা মাত্র। কিন্তু আলেশা মার্ট শুরুর পর তিনি ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১ কোট ৮০ লাখ ৫৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হন। সাত মাসে তাঁর সম্পদ ও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৮ গুণের বেশি। আসলে মঞ্জুর আলম হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিয়ে এই সম্পদের মালিক হন।

এছাড়াও গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে মঞ্জুর আলম সিকদার প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের ডাইরেক্টরশীপ নেওয়া এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আবুল কাশেমকেও মামলায় আসামি করেছে সিআইডি।
 
আলেশা মার্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বাইক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি দেশের হাজার হাজার গ্রাহককে আলেশা মার্টে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করেছেন। তিনি সাধারণ গ্রাহকদের আস্থা তৈরি করতে নিজের প্রতিষ্ঠানের চেক দিয়েছেন। যা বিশ্বাস করে গ্রাহকেরা প্রতারিত হয়েছে। এস কে ট্রেডার্সের মামুন মঞ্জুর আলম সিকদারকে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন বলেও সিআইডি দাবি করেছে।

গত ১ মে পর্যন্ত আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ২ হাজার ৮৭ জন এবং সিআইডি সদর দপ্তরে ৩৫ জন গ্রাহক প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেন। এ সকল অভিযোগে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে এবং তারা টাকা ফেরতে আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
 
সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলেশা মার্ট শুরু থেকেই আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টে বিভিন্ন অফার দিয়ে অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে মোটরসাইকেল ও ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের কথা বলে অগ্রিম টাকা নেয়। টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের মালিক ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থপাচার করেছেন।

অর্থপাচারের মামলা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। পুলিশ বলছে আসামিরা পলাতক। তবে গ্রাহকদের অনেকেই জানিয়েছেন মঞ্জুর আলম প্রকাশ্যে রয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধ এই মামলা ছাড়াও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। সেগুলোর কয়েকটিতে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানাও রয়েছে। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছেন। যে দশটি প্রতিষ্ঠান মঞ্জুর আলম করেছেন, তাও গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে।

অর্থপাচারের বিষয়ে মঞ্জুর আলমের বক্তব্য জানতে আলেশা মার্টের বনানীর রূপসা টাওয়ারের অফিসে দুদিন গিয়েও সেখানে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে ফোন করে ও খুদে বার্তা দিয়েও কোনো সারা মেলেনি। অপর আসামিদের বর্তমান ঠিকানায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ। তারা পলাতক রয়েছেন।

সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইমের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কুসুম দেওয়ান জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আলেশা মার্ট ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আরজেএসসি (যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তর) থেকে নিবন্ধন করা হয়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) সীতাকুণ্ড
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর (দুপুরে) কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো এসব সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন তাঁরা।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাগর থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয় জেলে সন্তোষ কুমার জলদাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মাছ ধরার নৌকা রাখার জায়গাগুলো বিলীন হচ্ছে।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত বুধবার উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না: শিল্প উপদেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় বন্ধ করে দেওয়া কলকারখানাগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দরকার। শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না। এ জন্য বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কেইন ক্যারিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। উদ্বোধন উপলক্ষে মিলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের যে অবস্থা করে গেছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে অনেকটা সময় লেগেছে। নতুন করে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য বিডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। হয়তো আমরা থাকব না, কিন্তু আমাদের কাজের ফলাফলে আপনারা নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’

আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘চিনিকলটির আধুনিকায়ন এবং আখমাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের বিএমআরআই প্রকল্পটি (আধুনিকায়ন) অচিরেই কার্যক্রম শুরু করবে। আমি আশা করেছিলাম, আজই বিএমআরআই চালু হবে। পরে জানলাম, কিছু কাজ বাকি আছে। তবে কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে, অচিরেই এটি কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। খুব দ্রুত আমরা প্রকল্পটি চালু করব।’

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আখচাষি, কৃষক ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে বাস্তবসম্মত পাঁচ বছরের রোডম্যাপ হাতে নিয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

২০২৫-২৬ মৌসুমে মাড়াই দিবস ধরা হয়েছে ৬৯ দিন। এই মৌসুমে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়াই করার মাধ্যমে ৪ হাজার ২৫৬ টন চিনি উৎপাদন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫.০৬ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেশবপুরে অস্ত্র-মাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও একটি চাপাতি এবং আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাঁসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল: যুবদল নেতাকে অপর যুবদল নেতার ছুরিকাঘাত

বগুড়া প্রতিনিধি
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম হাট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা সজীব সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাবগ্রাম হাট এলাকায় কথা-কাটাকাটির জেরে সজীব আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।’

স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে সাবগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার জেরে সজীবের সঙ্গে জিয়াউরের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাতে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জিয়াউরকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাহত করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার পর থেকে যুবদল নেতা সজীব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের জের ধরে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত