সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার (২৪ মে) লাহোরের নিজ বাসভবন থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমি একটা কমিটি গঠন করব। এই কমিটি সরকারের যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। সরকারের কাছে আমার প্রতিনিধিরা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এক. তারা যদি মনে করে আমি রাজনীতি ছাড়লে তাদের দাবি অনুযায়ী দেশের কল্যাণ হবে, তাহলে আমি রাজনীতি ছাড়ব। দুই. অক্টোবরে নির্বাচন হলে তা দেশের জন্য কতটা উপকারী? তারা যদি আমাদের এ দুটি বিষয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়, তাহলে আমরা তাদের সবকিছু মেনে নেব।’
পিটিআইয়ের প্রধান ভাষণে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পিটিআইকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য ক্ষমতাসীন পক্ষগুলোর। দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং চাপ প্রয়োগের পর সরকারের লক্ষ্য নির্বাচন আয়োজনের।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট শেষ ভরসা মন্তব্য করে ইমরান খান দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিটি গঠনে প্রস্তুত বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে তাঁর সমর্থকেরা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় নানা সামরিক স্থাপনায়। এমনকি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তরেও পিটিআই নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর চালান।
ইতিমধ্যে ইমরান খানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচার করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
এমন পরিস্থিতিতে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা সামরিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। সামরিক বিচার এড়াতেই পিটিআই নেতারা এরই মধ্যে দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকস্মিক এসব পদত্যাগের ঘটনায় ইমরান খান বলেন, ধরপাকড় চালিয়ে তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। বুধবারের ভিডিও ভাষণে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে