বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের অঙ্গীকার রক্ষায় সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে কাতার থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে, তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি আমাদের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে।’
কাতার ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দোহায় রয়েছেন। এই সফরে তাঁর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দায়ী বা জড়িত মনে করলে ওই ব্যক্তির ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, লোকজনকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিরোধ করা বা গণমাধ্যমে তাদের মতামত প্রচারে বাধা প্রদান করা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সবার—ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম।
গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ৩ মে ওয়াশিংটনে ছিলেন।
এসব ভিসা বিধিনিষেধ কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে—এমন প্রশ্নে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্য যাঁরা এ নীতির আওতায় আসবেন, তাঁদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে