বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ দিনে ৬৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ১৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় মোট মামলা হয়েছে ১৪৮টি এবং প্রায় ৫ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী। তিনি বলেন, গণ-আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত আওয়ামী লীগ খেই হারিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়ে নারকীয় উন্মত্ততায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বৈঠক করে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মী ও মিছিল-সমাবেশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই ভোট ডাকাত সরকারের হিংস্রতা প্রকট হচ্ছে।
রিজভী বলেন, গত ১৫ বছরের মতো আবারও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মাফিয়া সরকার পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি করে দেশে নৈরাজ্য ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সরকার যদি বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে হামলা ও বাধা প্রদানের এই ধারা অব্যাহত রাখে, তাহলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এর জন্য সৃষ্ট যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিবাদী নিশিরাতের সরকার উৎখাতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। হাটে-মাঠে-ঘাটে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আন্দোলনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপির তৃণমূলের শক্তি এখন সবচেয়ে জোরালো। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন এ দেশের মৃত্তিকা থেকে উৎসারিত। তাই একে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয় ৷ রক্তপিপাসু মনোভাব পরিত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগ চিরতরে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে