নিজেদের জলসীমা সুরক্ষিত রাখতে ইরান পুরোপুরি সক্ষম বলে জানিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাগেরি। বিশ্বজুড়ে আট মাসের সফর শেষে ফিরে আসা দুটি ইরানি যুদ্ধজাহাজকে স্বাগত জানাতে রোববার (২১ মে) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নৌবাহিনীর কমান্ডাররা যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজে করে হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করেন। মূলত ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রদর্শন এবং জলপথে চলাচলকারী জাহাজের নিরাপত্তার তদারকির ইঙ্গিত দিতে হরমুজ প্রণালি ভ্রমণ করেন তাঁরা। তবে ইউএসএস পল হ্যামিল্টন নামের একটি আর্লেই বার্ক শ্রেণির ডেস্ট্রয়ারে নৌবাহিনী কমান্ডারদের এমন নৌযাত্রা বিরল ঘটনা।
তাঁদের যাত্রার একপর্যায়ে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর তিনটি দ্রুতগতির নৌযান জাহাজটির দিকে এগিয়ে আসে। এ সময় রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরা তাঁদের নৌযানের ডেকে উন্মুক্ত মেশিনগানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে পল হ্যামিল্টনের নাবিকেরা একইভাবে মেশিনগান নিয়ে সতর্কভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্যরা নৌযানগুলোর ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।
ইরানের চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে তাদের আঞ্চলিক জলসীমা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে হরমুজ প্রণালিতে কী করছে তা ব্যাখ্যা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইরানের বিদেশি সহায়তা প্রয়োজন নেই। নিজেদের নৌ কর্মকর্তারা এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস দ্বারাই জলসীমা সুরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।
বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে, ওই পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যায়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে