১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই দিনের শহীদদের স্মরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবসে শনিবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে এক মিনিট আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো বিদ্যুতের লোড বন্ধ করতে পারি না। আমরা সবাইকে সচেতন করেছি, তারা যাতে এক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে। এটা অনেক জায়গায় হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলাবাগান, খিলগাঁও, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্ল্যাকআউট পালন করেছে বলে খবর পেয়েছি।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাসহ সারা দেশে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে দিনটিকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছে, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীর কাছে এই স্বীকৃতির আবেদন করেন তিনি। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাক সেটাই আমরা চাই।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে