Ajker Patrika

ঈদের পরে খেলার চ্যালেঞ্জ দিলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ২৩: ৩৩
ঈদের পরে খেলার চ্যালেঞ্জ দিলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনীতিক শামীম ওসমান চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন একই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের প্রতি। ঈদের পরে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়ে খেলার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অনেক নেতা আছেন। আমাদের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিশোধ নেইনি। তিনি বললেন (গিয়াস উদ্দিন) আওয়ামী লীগে ভালো গ্রুপ ও খারাপ গ্রুপ আছে। আওয়ামী লীগের ভালো গ্রুপ নাকি চায় এই সরকার আর ক্ষমতায় না আসে। উনি আমাদের মধ্যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চান। যদি তার মধ্যে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকে, যদি কাপুরুষ না হন, তাহলে বলবেন আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপের সদস্যরা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক।’

এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘গিয়াসউদ্দিন সাহেব আমার বড় ভাই। সম্পর্কে আমার মামাশ্বশুর হন। তিনি অনেক কিছু করেছেন নারায়ণগঞ্জে। আমাদের দশ বারোজনকে হত্যা করেছেন। বিএনপির নেতা তৈমূর ভাইয়ের ছোট ভাই সাব্বিরকে নিষিদ্ধপল্লীর ছেলেদের দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। সেই লোক তিনি। মিশনপাড়া এলাকার ডেভিডকেও হত্যা করিয়েছিলেন, কারণ তার কন্ট্রোলে ছিল না। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ভাইয়েরা আবার ডেঞ্জারাস। তারা বলল, উনি গত ১২ বছর চুপচাপ ছিলেন। যদিও সে আমার মুরুব্বি, কামেল মানুষ। কিছুদিন আগে আমার উদ্দেশে বলেছেন—আমরা কাউকে ভয় পাই না। রক্তচক্ষু দেখাবেন না, ভয় পাই।’

গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনারও আমি বারোটা বাজিয়ে দিতে পারি। কিন্তু এই বিশৃঙ্খলা শহরে আমি চাই না।’

এই বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে আইভীর সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনকে জড়িয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘দশ বছর কোনো খবর ছিল না। মাঠে নেমে নারায়ণগঞ্জের মাঠকে অস্থিতিশীল করছেন। উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দেওয়াচ্ছেন। জাতির জনকের কন্যাকে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে অ্যাটাক করে বক্তব্য দিচ্ছেন, দেন। আমাকে গালি দিচ্ছেন। এগুলা কোনো ব্যাপারই না। প্রবলেম হচ্ছে তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনেকে কথা বলছেন। কেউ বলছেন আমার বারোটা বাজাবেন। ভাইরে, আমি শান্ত হয়ে গেছি। আমি কারও সঙ্গে লড়াই করতে রাজি না। আপনাদের ভয় পাই। আপনাদের যখন লাড্ডুর মতো গোল গোল চোখ যখন নাচায় নাচায় কথা বলেন, আমার ভেতরে কেমন জানি ভয় ভয় লাগে! কোন দিন জানি কী কইরা ফালান! তবে তোলারামে আসলে, মাটির গন্ধে শরীর একটু গরম হয়। সামনে রোজার মাস আসছে একটু সংযমী হই।’

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘সামনে রোজার পর ঈদ, একটু আনন্দ করি। রোজা আর ঈদটা যাক। যারা হুমকি দিচ্ছেন আমাদের, যদি খেলতে চান তাহলে এখানে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঈদের পর নারায়ণগঞ্জেই থাকব। কখন খেলবেন, কয়টা বাজে খেলবেন? আমরা খেলব আপনাদের সঙ্গে।’

অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ একজন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ারের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত মতিয়ার রহমান দেওভোগ গ্রামের বলিয়ার রহমানের ছেলে।

আজ সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মজিবর রহমান জানান, তাঁর ভাই মতিয়ারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেওভোগ গ্রামে মতিয়ার পৈতৃকসূত্রে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি পেয়েছেন। ওই জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধল্যা গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে শহীদ খান, ফরহাদ খান, মো. ফুয়াদ খান ও মাসুদ খানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে ১২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মতিয়ার। গতকাল সকালে মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ধল্যা যাওয়ার পথে দেওভোগ গ্রামের রাস্তায় পৌঁছালে শহীদ খান ও তাঁর লোকজন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আটকান। সেখানে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মতিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মতিয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মতিয়ার রহমানের কানে গুলি লেগে ছিদ্র হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ খান বলেন, জমির ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত