উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ৩৩ মিনিটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারবে বলে দাবি করেছে চীনের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের একটি দল। বিজ্ঞানীরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে চীনের গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক যদি বাধা না দেয়, তবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ৯৯৭ সেকেন্ড বা ৩৩ মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারবে।
এর আগেই চীনা বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম প্রকাশ করেননি। এবার তাঁরা সরাসরি উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রকাশ করল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় উত্তর কোরিয়ার ‘হাওসাং’ ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরূপ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম ২০১৭ সালে উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেইজিং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক তাং ইউয়ান। তিনি বলেছেন, এটি একটি দুই স্তরের ক্ষেপণাস্ত্র। এটি শক্তিশালী এবং ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
গবেষণাপত্রটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চীনা ভাষার জার্নাল মডার্ন ডিফেন্স টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সানচন শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি রাজ্যের কলম্বিয়াকে লক্ষ্য করে একটি হাওসাং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
গবেষক তাং ইউয়ান বলেছেন, তাঁদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কতটা ভালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে পারবে, তা মূল্যায়ন করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হাওসাং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিতে সক্ষম।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে