প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি করে চিহ্ন থাকে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্ন হলো আনন্দসরোবর লেক।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কেন্দ্রীয় মাঠের প্রান্ত ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এটি। ইংরেজি ‘এল’ বর্ণের আকৃতির এ লেকের পেছনে রয়েছে ছেলেদের আবাসিক হল। লেকটির পূর্ব দিকে আছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধুর স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’। লেকের পূর্ব দিকের পাড় ঘেঁষে রয়েছে মনমাতানো সৌন্দর্য ও বাহারি সুগন্ধি ফুলের বাগান। এর উত্তর দিকে আছে ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চ।
আনন্দসরোবর লেকটি কচ্ছপ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য। নির্মাণের পরপরই বেশ কিছু কচ্ছপ ও রঙিন মাছ অবমুক্ত করা হয় এখানে। লেকের পাড়ে বড়শি হাতে বসে শিক্ষার্থীদের মাছ ধরতেও দেখা যায় মাঝেমধ্যে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের লেকের পানিতে সাঁতার কাটার অনুমতি আছে।
আনন্দসরোবরের বিকেলগুলো জমে ওঠে আড্ডায়। শিক্ষার্থীরা গিটার হাতে বসে পড়েন বন্ধুদের সঙ্গে।
লেকটির রাতের সৌন্দর্য যেন আরেক নতুন দিকের সূচনা করে। জোছনা রাতে আনন্দসরোবরের ঢেউয়ে যেন নৃত্য করে আকাশের চাঁদ। কখনোবা অন্ধকার রাতে নীরব হয়ে যায় চারপাশ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে