শরিয়াহসম্মত খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় বা বিতরণ করা যাবে না- এমন বিধান রেখে সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে নতুন আইন হয়েছে।
সামরিক শাসনামলের ‘যাকাত ফান্ড অরডিন্যান্স, ১৯৮২’ বিলুপ্ত করে ‘যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল’ নামে নতুন আইনের প্রস্তাব আজ বুধবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক সংসদে তোলেন। জনমত যাচাই, কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়, এই আইনের অধীনে একটি যাকাত বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার মনোনীত ৫ জন বিশিষ্ট ফকিহ বা আলেমসহ এই বোর্ড হবে ১৩ সদস্যের। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। যাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, যাকাত বোর্ডের অনুমোদনক্রমে স্থানীয়ভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয়, সিটি করপোরেশন, বিভাগ, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করা যাবে।
বিলে একটি যাকাত তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। দেশের মুসলিম জনগণের দেওয়া যাকাতের টাকা, প্রবাসী মুসলিম নাগরিক, কোনো বিদেশি মুসলিম ব্যক্তি বা সংস্থায় জমা হওয়া যাকাতের টাকা এবং শরিয়াহ সম্মত অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া যাকাতের টাকা দিয়ে এই তহবিল গঠন করা হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে