আর্থিক সংকটের কারণে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব জাহাংগীর আলম।
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ইভিএম প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।’
ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না ইসির।
অবশ্য ইসির কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ ইভিএম রয়েছে, তা দিয়ে কত আসনে যন্ত্রটির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে, তা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেড় শ আসনে ইভিএমে নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। সে প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে দিলেও ৫ মাসেও সাড়া পায়নি। ১৭ জানুয়ারি একনেকের সভার আলোচ্যসূচিতেও ছিল না ইভিএম প্রকল্প।
আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও চেয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার ইভিএম প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠায় নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে দুই লাখ সেট ইভিএম কেনার কথা বলা হয়।
এতে বিভিন্ন খাতের খরচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দুই লাখ ইভিএম কেনায় খরচ ধরা হয় ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা আগের কেনা প্রতি ইভিএমের চেয়ে ১ লাখ টাকা বেশি। ইভিএম রাখার ঘর বানাতে ৩৬৯ কোটি টাকা ধরা হয়, ইভিএম আনা-নেওয়ায় ৫৩৮টি গাড়ি কিনতে খরচ হবে ২৭০ কোটি টাকা, ৬ মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে ৬ কোটি টাকা, সিসি ক্যামেরায় খরচ হবে ১৩১ কোটি টাকা। এসব ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরিকল্পনা কমিশন গাড়ি ও ইভিএমের ঘরসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানোর কথা বলে। তবে ইসি খরচ কমাতে রাজি নয়। আলোচ্য প্রকল্পে এক বছরেই প্রয়োজন হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে