অরুণ কর্মকার

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে।
বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
মানুষের সব জল্পনা, আলোচনা, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা এখন ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা নিয়ে। ১০ ডিসেম্বর কী ঘটবে ঢাকায়! কী ঘটতে পারে! আদৌ কিছু কি ঘটবে?
বিএনপি কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে পারবে? পুলিশ তথা সরকার কি তা করতে দেবে? না হলে তাদের পক্ষে কি পুলিশের শর্তের বেড়াজালের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা সম্ভব হবে? সেটা কি তারা করবে? নাকি শেষ পর্যন্ত বিএনপির সমাবেশই ভণ্ডুল হয়ে যাবে? তা যদি হয়, কী হবে তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া!
অনেক প্রশ্ন। সঙ্গে মত-অমতেরও শেষ নেই। এ-ই চলছে সর্বত্র। অফিস, ক্লাব, পরিবহন কিংবা পারিবারিক গণ্ডি, যেখানেই কিছুক্ষণের জন্যও কয়েকজন মানুষ একত্র হচ্ছে, বসছে, সেখানেই এটি হয়ে উঠছে প্রধান আলোচনার বিষয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের আবেদন নাকচ করে ২৬টি শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলার পর গণমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
নয়াপল্টন কেন: এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে বিএনপির যে কটি বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে, তাতে প্রচুর জনসমাগম লক্ষ করা গেছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশে জনসমাগম হওয়ার কথা আরও বেশি। অন্তত বিএনপির পক্ষ থেকে সে রকমই বলা হয়েছে। তেমন একটি সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন, বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তাটি একমদমই যে উপযুক্ত নয়, তা সবাই বোঝে।
তাহলে ওই স্থানেই বিভাগীয় সমাবেশ করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর কেন? কৌশল কী? কী আছে বিএনপির মনে? এই বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি কিছু স্পর্শকাতর কথাবার্তাও বলেছে। যেমন ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে। সরকার পালাতে বাধ্য হবে, ইত্যাদি। এরপর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির মনের কথা বা কৌশল নিয়ে সরকারের চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ আছে।
নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করার পেছনে বিএনপির একমাত্র কৌশল হতে পারে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে নয়াপল্টনসহ চারপাশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া।
নয়াপল্টনের রাস্তা পূর্বদিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে টিকাটুলি পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ। সেখান থেকে একটু উত্তরে মিন্টো রোড-মন্ত্রিপাড়া।
বিজয়নগরের রাস্তা ধরে দক্ষিণে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে গুলিস্তান। একটু পশ্চিমে সরকারের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব। পুরানা পল্টন মোড় থেকে পূর্বদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে আবার মতিঝিল-শাপলাচত্বর। রাজধানীর এই পুরো কেন্দ্রীয় অঞ্চলটি হয়ে উঠবে নয়াপল্টনের জনসমাবেশের এক্সটেনশন।
এ রকম পরিস্থিতিতে সমাবেশকারীরা সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গণ-অবস্থানের ঘোষণাও দিয়ে বসতে পারে। তখন সরকারবিরোধী বিএনপির অন্যান্য সহযোগী রাজনৈতিক শক্তিরও সেখানে যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আশঙ্কা থাকে অন্তর্ঘাতমূলক এবং সন্ত্রাসী হামলারও। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশ তথা সরকারের জন্য কঠিন হবে। হয়তো সে রকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে নয়াপল্টনকে উপযুক্ত মনে করছে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা সরকার সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। দেবে না।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন: পুলিশ তথা সরকার আবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সেখানে সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা রক্ষা করা পুলিশের জন্য সুবিধাজনক। উদ্যানের চারপাশের রাস্তায় পাহারাচৌকি বসিয়ে এবং অবস্থান নিয়ে পুলিশ অপেক্ষাকৃত সহজেই তা করতে পারবে। তা ছাড়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
বড় কোনো সমাবেশ বা গণজমায়েতের জন্য বর্তমানে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। কিন্তু এ স্থানটি বিএনপির পছন্দ নয়। সে কারণে বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের মনের কথা বা কৌশল নিয়ে পুলিশ বিভাগ তথা সরকার বিশেষভাবে সন্দিহান। তাই কোনোভাবেই বিএনপিকে নয়াপল্টনে এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও গোল বাধিয়েছে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ২৬টি শর্ত। এর মধ্যে সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টার বেশি আগে কোনো নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে যেতে পারবেন না, এমন শর্তও রয়েছে। এ ধরনের শর্তের কারণে সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করতে দেওয়ার সরকারি সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান বিএনপি। কেননা এ রকম একটি বিভাগীয় সমাবেশে ঢাকার বাইরের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো থেকে প্রচুর মানুষ আসবে। কিন্তু তারা যদি আগেভাগে সমাবেশস্থলে যেতে না পারে, তাহলে যাবে কোথায়? এটা তো দুই-পাঁচজন লোকের ব্যাপার নয়। তা ছাড়া, এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য শর্তাদি না দিয়ে সোহারওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরও বিএনপি তাতে রাজি না হলে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কূটকৌশল সবার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠত। কিন্তু সরকার সে পথে যায়নি।
শেষ পর্যন্ত কি সমাবেশ হবে: পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড়। অন্যদিকে পুলিশ সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেবে না। পুলিশ অনুমতি দেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না।
পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বলে দলটির নেতা-কর্মীদের কথাবার্তায় মনে হয়। কিন্তু পুলিশ যদি ৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নয়াপল্টন এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত কোনো রাস্তায় কাউকে দাঁড়াতেই না দেয়? যদি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওই সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে আগের রাত থেকেই?
তাহলে বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। এই পরিস্থিতিতে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেও অনেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়াই শ্রেয় মনে করবে। সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সমাবেশটি হবে না। বিএনপি পিছু হটতে বাধ্য হবে। তখন পুলিশ আরও আগ্রাসী হয়ে আটক-গ্রেপ্তার শুরু করতে পারে।
এর বিপরীত চিত্র হতে পারে জনসমাবেশে আসা জনতার প্রবল শক্তির কাছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিছু হটল। নতি স্বীকার করল। সেই পরিস্থিতিতে বিএনপি সমাবেশ থেকে গণ-অভ্যুত্থানের ডাক দিল। সরকারের পতন ঘটাল। তাদের মূল লক্ষ্য অর্জিত হলো।
তবে এই সম্ভাবনা যেহেতু এখন পর্যন্ত শূন্যের কোঠায়, সেহেতু বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য গোঁ ধরে থাকলে ১০ ডিসেম্বর সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য। তাতে বিএনপির কতটা লাভ হবে, সেটা তারাই ভালো বুঝবে। এ কথা বলা যায় যে তারা যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য শর্ত শিথিল করার দাবি করে, তাতে তারা জনসমর্থন পাবে। হয়তো পুলিশ বিভাগ তথা সরকার কিছু শর্ত শিথিল করতেও পারে। তাতে বিএনপির পরিকল্পিত সমাবেশটি হবে।
এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কী পদ্ধতিতে তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়।
অন্যদিকে সরকারকে ভাবতে হবে গণতন্ত্রের সাধারণ রীতিনীতি মেনে বিএনপিকে কীভাবে সভা-সমাবেশ করার সুযোগটুকু দেওয়া যায়। রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ দীর্ঘ মেয়াদে কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। সাধারণ জনগণের জন্য তো নয়ই।
লেখক: অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে।
বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
মানুষের সব জল্পনা, আলোচনা, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা এখন ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা নিয়ে। ১০ ডিসেম্বর কী ঘটবে ঢাকায়! কী ঘটতে পারে! আদৌ কিছু কি ঘটবে?
বিএনপি কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে পারবে? পুলিশ তথা সরকার কি তা করতে দেবে? না হলে তাদের পক্ষে কি পুলিশের শর্তের বেড়াজালের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা সম্ভব হবে? সেটা কি তারা করবে? নাকি শেষ পর্যন্ত বিএনপির সমাবেশই ভণ্ডুল হয়ে যাবে? তা যদি হয়, কী হবে তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া!
অনেক প্রশ্ন। সঙ্গে মত-অমতেরও শেষ নেই। এ-ই চলছে সর্বত্র। অফিস, ক্লাব, পরিবহন কিংবা পারিবারিক গণ্ডি, যেখানেই কিছুক্ষণের জন্যও কয়েকজন মানুষ একত্র হচ্ছে, বসছে, সেখানেই এটি হয়ে উঠছে প্রধান আলোচনার বিষয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের আবেদন নাকচ করে ২৬টি শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলার পর গণমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
নয়াপল্টন কেন: এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে বিএনপির যে কটি বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে, তাতে প্রচুর জনসমাগম লক্ষ করা গেছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশে জনসমাগম হওয়ার কথা আরও বেশি। অন্তত বিএনপির পক্ষ থেকে সে রকমই বলা হয়েছে। তেমন একটি সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন, বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তাটি একমদমই যে উপযুক্ত নয়, তা সবাই বোঝে।
তাহলে ওই স্থানেই বিভাগীয় সমাবেশ করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর কেন? কৌশল কী? কী আছে বিএনপির মনে? এই বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি কিছু স্পর্শকাতর কথাবার্তাও বলেছে। যেমন ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে। সরকার পালাতে বাধ্য হবে, ইত্যাদি। এরপর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির মনের কথা বা কৌশল নিয়ে সরকারের চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ আছে।
নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করার পেছনে বিএনপির একমাত্র কৌশল হতে পারে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে নয়াপল্টনসহ চারপাশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া।
নয়াপল্টনের রাস্তা পূর্বদিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে টিকাটুলি পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ। সেখান থেকে একটু উত্তরে মিন্টো রোড-মন্ত্রিপাড়া।
বিজয়নগরের রাস্তা ধরে দক্ষিণে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে গুলিস্তান। একটু পশ্চিমে সরকারের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব। পুরানা পল্টন মোড় থেকে পূর্বদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে আবার মতিঝিল-শাপলাচত্বর। রাজধানীর এই পুরো কেন্দ্রীয় অঞ্চলটি হয়ে উঠবে নয়াপল্টনের জনসমাবেশের এক্সটেনশন।
এ রকম পরিস্থিতিতে সমাবেশকারীরা সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গণ-অবস্থানের ঘোষণাও দিয়ে বসতে পারে। তখন সরকারবিরোধী বিএনপির অন্যান্য সহযোগী রাজনৈতিক শক্তিরও সেখানে যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আশঙ্কা থাকে অন্তর্ঘাতমূলক এবং সন্ত্রাসী হামলারও। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশ তথা সরকারের জন্য কঠিন হবে। হয়তো সে রকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে নয়াপল্টনকে উপযুক্ত মনে করছে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা সরকার সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। দেবে না।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন: পুলিশ তথা সরকার আবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সেখানে সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা রক্ষা করা পুলিশের জন্য সুবিধাজনক। উদ্যানের চারপাশের রাস্তায় পাহারাচৌকি বসিয়ে এবং অবস্থান নিয়ে পুলিশ অপেক্ষাকৃত সহজেই তা করতে পারবে। তা ছাড়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
বড় কোনো সমাবেশ বা গণজমায়েতের জন্য বর্তমানে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। কিন্তু এ স্থানটি বিএনপির পছন্দ নয়। সে কারণে বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের মনের কথা বা কৌশল নিয়ে পুলিশ বিভাগ তথা সরকার বিশেষভাবে সন্দিহান। তাই কোনোভাবেই বিএনপিকে নয়াপল্টনে এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও গোল বাধিয়েছে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ২৬টি শর্ত। এর মধ্যে সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টার বেশি আগে কোনো নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে যেতে পারবেন না, এমন শর্তও রয়েছে। এ ধরনের শর্তের কারণে সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করতে দেওয়ার সরকারি সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান বিএনপি। কেননা এ রকম একটি বিভাগীয় সমাবেশে ঢাকার বাইরের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো থেকে প্রচুর মানুষ আসবে। কিন্তু তারা যদি আগেভাগে সমাবেশস্থলে যেতে না পারে, তাহলে যাবে কোথায়? এটা তো দুই-পাঁচজন লোকের ব্যাপার নয়। তা ছাড়া, এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য শর্তাদি না দিয়ে সোহারওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরও বিএনপি তাতে রাজি না হলে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কূটকৌশল সবার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠত। কিন্তু সরকার সে পথে যায়নি।
শেষ পর্যন্ত কি সমাবেশ হবে: পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড়। অন্যদিকে পুলিশ সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেবে না। পুলিশ অনুমতি দেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না।
পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বলে দলটির নেতা-কর্মীদের কথাবার্তায় মনে হয়। কিন্তু পুলিশ যদি ৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নয়াপল্টন এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত কোনো রাস্তায় কাউকে দাঁড়াতেই না দেয়? যদি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওই সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে আগের রাত থেকেই?
তাহলে বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। এই পরিস্থিতিতে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেও অনেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়াই শ্রেয় মনে করবে। সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সমাবেশটি হবে না। বিএনপি পিছু হটতে বাধ্য হবে। তখন পুলিশ আরও আগ্রাসী হয়ে আটক-গ্রেপ্তার শুরু করতে পারে।
এর বিপরীত চিত্র হতে পারে জনসমাবেশে আসা জনতার প্রবল শক্তির কাছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিছু হটল। নতি স্বীকার করল। সেই পরিস্থিতিতে বিএনপি সমাবেশ থেকে গণ-অভ্যুত্থানের ডাক দিল। সরকারের পতন ঘটাল। তাদের মূল লক্ষ্য অর্জিত হলো।
তবে এই সম্ভাবনা যেহেতু এখন পর্যন্ত শূন্যের কোঠায়, সেহেতু বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য গোঁ ধরে থাকলে ১০ ডিসেম্বর সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য। তাতে বিএনপির কতটা লাভ হবে, সেটা তারাই ভালো বুঝবে। এ কথা বলা যায় যে তারা যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য শর্ত শিথিল করার দাবি করে, তাতে তারা জনসমর্থন পাবে। হয়তো পুলিশ বিভাগ তথা সরকার কিছু শর্ত শিথিল করতেও পারে। তাতে বিএনপির পরিকল্পিত সমাবেশটি হবে।
এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কী পদ্ধতিতে তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়।
অন্যদিকে সরকারকে ভাবতে হবে গণতন্ত্রের সাধারণ রীতিনীতি মেনে বিএনপিকে কীভাবে সভা-সমাবেশ করার সুযোগটুকু দেওয়া যায়। রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ দীর্ঘ মেয়াদে কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। সাধারণ জনগণের জন্য তো নয়ই।
লেখক: অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

বিএনপি কি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করার চেষ্টা করবে? যদি তা করে তাহলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ বাধবে। পুলিশ শক্তি প্রদর্শন করবে। বিএনপির সমাবেশে আগেভাগে আসা ব্যক্তিরা ছত্রভঙ্গ হবে। হতাহতের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫