Ajker Patrika

আমরা জানি, ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাসীরা ঘাপটি মেরে আছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আমরা জানি, ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাসীরা ঘাপটি মেরে আছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যদি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যত্যয় সৃষ্টি করে, ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’ 

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জানি, ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে। সভা উপলক্ষে তারা ধীরে ধীরে আবার বের হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির যে সমস্ত নেতা বড় গলায় কথা বলছেন, তারা এই অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থদাতা, মদদদাতা, হুকুমদাতা। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ 
 
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল বিএনপি কুমিল্লায় সমাবেশ করেছে। আপনারা হয়তো জানেন, শতাধিক গরু জবাই করে তারা একটি বড় পিকনিক করেছে কুমিল্লায়। পিকনিকের আয়োজন এমন যে, আগের রাত্রে অনেক মানুষ ছিল, পরের দিন অনেকেই চলে গেছে। কুমিল্লার জনসভায় মির্জা ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলেছেন, তিনি এই কথাও বলেছেন যে, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা না কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।’ 

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কাউকে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার এবং গন্ডগোল করার সুযোগ দিতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্যেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটি হীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সভা করতে চায়। নয়াপল্টনের সামনে কোনো মাঠ নেই, সেটি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বড় রাস্তা। সেই রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন তারা সেখানে সভা করতে চায়! তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এরপরও মির্জা ফখরুল সাহেব অসৎ উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।’ 

এর আগে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এনজিও আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্যমন্ত্রী। 

ডরপ প্রেসিডেন্ট মো. আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিড়ি শ্রমিক ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব জুলাই যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি: সামান্তা শারমিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধানমন্ডি থানা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহের মধ্যে জুলাইয়ের সম্মুখসারির সব যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সার্বিক খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘রুমী আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। উনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এনসিপিতে কাজ করতে এসেছিলেন। যেভাবে তাঁকে আমরা দেখতে পেয়েছি, এটাকে এনসিপির জায়গা থেকে, জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধার জায়গা থেকে আমরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা খবর পাই যে আমাদের সহযোদ্ধা রুমীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায়। হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে, রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ অন্যান্য যারা জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন, সবাইকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।’

এ সময় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের যারা সম্মুখসারির যোদ্ধা, যারা শহীদ পরিবার এবং যাঁরা আহত হয়েছেন, যাঁরা এই পুরো অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয় নাই।’

জুলাই সনদ ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেত্রী। নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে, তার সঠিক রোডম্যাপ নেই বলেও অভিযোগ জানান তিনি। সামান্তা বলেন, ‘জুলাই সনদ এবং সংস্কার নিয়ে দিনকে দিন আলাপ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় যখন পুরো দেশটাকে একটা এমন নির্বাচনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে নির্বাচনে কীভাবে পুলিশ বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করবে—সেটার কোনো সঠিক রোডম্যাপ (পথনির্দেশ) নাই।’

প্রসঙ্গত, রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল আজ সকালে জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন ও ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের জরুরি সভা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন ও ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের জরুরি সভা

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির স্বাস্থ্যগত সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট জরুরি সভা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

জোটের মুখপাত্র নাহিদ ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সহসভাপতি সাইদুল খন্দকারসহ জোটভুক্ত তিন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।

সভায় হাদির ওপর হামলাকারীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও উদ্যমী ও সঠিক ভূমিকা দাবি করে ওসমান হাদির ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের জন্য সমন্বিত প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে একটি উপকমিটি এবং জোটের রাজনৈতিক ইশতেহার, ব্র্যান্ডিং ও প্রচারণা কৌশল প্রণয়নের জন্য পৃথক আরেকটি উপকমিটি গঠন করা হয়।

এ ছাড়া সভায় ফ্যাসিবাদের মূল শক্তি ও তাদের দোসরদের নানাভাবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করা হয়। এ প্রসঙ্গে জোটের নেতারা তীব্র সমালোচনা করে বলেন, প্রয়োজনে জেলা ও আসনভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে ফ্যাসিবাদের প্রক্সিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে তিন দলের নগর, জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে সমন্বয় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে ৭ রুটে বিশেষ ট্রেন চাইল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩০
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডন থেকে ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা যাতে তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে ঢাকায় আসতে পারেন, এ জন্য সাত টি রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন করেছে বিএনপি।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন তারেক রহমান। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতার ঢাকায় আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিভিন্ন রুটে রেলগাড়ি রিজার্ভ করার উদ্যোগ নিতে চায় বিএনপি।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করা হবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

যে সাতটি রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন বিএনপি করেছে, সেগুলো হচ্ছে কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া ঠিকমতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন: ডা. জাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০০
বৃহস্পতিবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের ফটকে ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: স্ক্রিনশট
বৃহস্পতিবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের ফটকে ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: স্ক্রিনশট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর শারীরিক অবস্থা যতটুকু ডিসক্লোজড (সাধারণকে জানানো) করা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা-ই করা হয়েছে। দেশবাসীকে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন—এই কামনা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা পূর্বের যে অবস্থায় ছিল, তাই রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয় রয়েছে। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সময়ের ব্যবধান থাকায় সন্ধ্যাতেও তাঁদের সঙ্গে মিটিং হয়। এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। আমরা আশাবাদী—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর বয়স, দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং পরিকল্পিতভাবে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই—তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সর্বক্ষণ উপস্থিত রয়েছেন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব নেতা-কর্মী, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল উন্মুক্ত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমাদের নেতাকর্মীরাও কোনো বিঘ্ন ঘটাবেন না।’

ব্রিফিং শেষে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে—এটা বলতে পারেন।’

উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত