মযহারুল ইসলাম বাবলা

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। জনগণের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই রাষ্ট্র পরিচালনায়। ক্ষমতার পালাবদলও জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে ঘটে, উত্তরাধিকারী সূত্রে। গণতন্ত্রের সব দুয়ার সেখানে রুদ্ধ। মার্কিনরা সারা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মাছের মায়ের মায়াকান্না করলেও, মার্কিন তাঁবেদার আরব দেশগুলোর স্বেচ্ছাচারী অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমে প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে। তার প্রধানতম কারণ প্রায় সব আরব দেশই মূলত মার্কিনদের আজ্ঞাবহ সেবাদাসে পরিণত এবং মার্কিন স্বার্থরক্ষায় অনুগত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রাকৃতিক তেল। এই তেলের নিয়ন্ত্রণও মার্কিনদের হাতে। তাই মার্কিনরা আরব দেশগুলোর রাজা-বাদশাহ-আমির-শেখ-একনায়কদের টিকিয়ে রেখেছে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। যারা বশ্যতা মানেনি, তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অজুহাতের খড়্গ। যেমন ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি। মার্কিনদের আগ্রাসনে অগণিত মানুষ হত্যা-ধ্বংসপ্রাপ্ত ইরাক আর আমার দেখা অতীতের ইরাক আজ আমার কাছে স্বপ্নতুল্য। চোখ বন্ধ করে যে নয়নাভিরাম ইরাকের ছবি চোখে ভেসে ওঠে, সেই ইরাককে দখলদার মার্কিনরা অক্ষত রাখেনি। ইরাক মার্কিন তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত এক ভয়ংকর জনপদ। মার্কিন নিষ্ঠুরতা নাৎসিদেরও হার মানিয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের দগদগে ক্ষত নিয়ে কোনোভাবে টিকে থাকা দেশ এখন ইরাক।
১৯৮১ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আমি ইরাকের কিরকুক, বাগদাদ, বসরা, আকাসাত, আল-কাইম, আবেইদি, রামাদি, ফালুজা প্রভৃতি জায়গায় কর্মসূত্রে থেকেছি। মাঝেমধ্যে ঢাকার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় লেখা পাঠাতাম, ছাপা হতো। ১৯৮৪ সালে ছুটিতে ঢাকায় এলে বিচিত্রা অফিসে নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে আলাপে তিনি আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক লেখার তাগিদ দেন। ইরাকে ফিরে কিরকুকে আমার দেখা ইরাকি নিরাপত্তারক্ষীদের কুর্দি গেরিলা-নির্মূল অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে একটি লেখা পাঠাই ছদ্মনামে (ম. ইসলাম), সেটা ছাপা হয়েছিল। ছদ্মনাম থাকায় ওই লেখাটির জন্য আমাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। অথচ লেখাটি ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং ইরাক সরকারের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক।
পরে ঢাকার শিশু একাডেমির ‘দুরন্ত’ ভাস্কর্য ভাঙা, গুলিস্তানে রাতের আঁধারে ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা আমাকে ক্ষুব্ধ করেছিল। অথচ ইরাকজুড়ে দেখেছি আক্-কাদিয়, সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, মেসোপটেমিয়া সভ্যতার স্মারক অগণিত ভাস্কর্য সারা ইরাকের প্রতিটি শহরের সড়কদ্বীপে স্থাপন করা রয়েছে। নিজেদের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন তুলে ধরার সে এক অনন্য নজির। মর্জিনা-আলিবাবা উপাখ্যানের ভাস্কর্য দেখেছি বাগদাদের প্রাণকেন্দ্রে। ৪০টি মটকায় মর্জিনা কর্তৃক ফুটন্ত তেল ঢেলে ৪০ ডাকাত হত্যার দৃশ্য পাথরে খোদাই করা অপূর্ব ভাস্কর্য। পানির ফোয়ারা, তেলের স্থলে পানি ঢালছে মর্জিনা। অত্যাধুনিক আলোকসম্পাতের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দিত ভাস্কর্যগুলো অসাধারণ কেবল নয়, অনন্যও। আরবি ভাষায় আলিবাবা কিন্তু কোনো ব্যক্তির নাম নয়। আলিবাবার বঙ্গানুবাদ চোর। উপাখ্যানটি চোরের কাহিনি হিসেবেই খ্যাত। ডাকাতদের গুহা থেকে চুরি করেছিল বলেই সে চোর।
এ ছাড়া বাগদাদসহ ইরাকের শহরগুলোতে ক্যাসিনো, নাইটক্লাব, পতিতালয়সহ পশ্চিমা স্থূল বিনোদনের সব উপকরণ দেখেছি। ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, তুর্কি, লেবানন, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মেয়েরা নাইটক্লাবে বিয়ার পানের বিনিময়ে সঙ্গ দিত খদ্দেরদের। তারা দেহ-ব্যবসায়ও যুক্ত ছিল। আমাদের দেশের পান-বিড়ির দোকানের মতো ইরাকের যত্রতত্র মদ-বিয়ারের দোকানের ছড়াছড়ি। শবেবরাত ধর্মীয়ভাবে আমাদের উপমহাদেশে পালিত হলেও, ইরাকে ওই দিন কোনো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা দেখিনি। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে শবেবরাত সম্পর্কে তারা অজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। ওই দিনের কোনো ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা ইরাকে পালিত হতেও দেখিনি। ওই দিন বাগদাদ ঘুরে নাইটক্লাব, বার, ক্যাসিনো—সবই খোলা দেখেছি। কোরবানির ঈদের দিন বাগদাদ শহরের কোথাও পশু কোরবানি না দেখে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করায় তারা বলেছিল, হ্যাঁ, কোরবানি আমরা দিই, তবে হজের সময়। প্রতিবছর নয়। কেননা, কোরবানি অনিবার্যরূপে হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ। প্রতিবছর গৃহে কোরবানি দেওয়ার কোনো ধর্মীয় বিধিবিধান নেই। শুনে বিস্মিতই হয়েছিলাম।
যুদ্ধের কারণে পুরুষদের অনুপস্থিতিতে ইরাকি নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মদক্ষতা দেখে হতবাক হয়েছি। শিক্ষায়, প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে, কৃষি, শিল্পে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। ইরাকে নারীরা পূর্ণ অধিকার নিয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতেন বার্থ সোশ্যালিস্ট পার্টির শাসনামলে। তবে শুরুতেই বলেছি একনায়কতন্ত্রের কথা। ইরাকও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এক নেতা, এক দেশ, সাদ্দাম হোসেনেরই ছিল একচ্ছত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা। ইরাকের সামাজিক এসব বিষয় নিয়েই লিখেছিলাম ‘পাশাপাশি’ শিরোনামের লেখাটি, ১৯৮৫ সালের ১২ জুলাই সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল।
স্বনামে লেখার কারণে আমার জন্য তা বয়ে আনে এক ভয়ংকর তিক্ত অভিজ্ঞতা। যতটুকু জেনেছিলাম, ওই লেখাটিকে যুদ্ধাপরাধী এরশাদ সরকারের ধর্মমন্ত্রী ইনকিলাব পত্রিকার মাওলানা মান্নান আরবিতে অনুবাদ করে ঢাকার ইরাকি দূতাবাসে পৌঁছে দেন এবং আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আসেন। ঢাকার ইরাকি দূতাবাস আরবি অনুবাদটি বাগদাদে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
বাগদাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাগদাদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে লেখাটি সম্পর্কে অভিযোগ ও আপত্তি জানায়। রাষ্ট্রদূত আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে দূতাবাসে ডেকে বিষয়টি অবগত করেন। পরিচালকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো দশা। হুলুস্থুল ব্যাপার ঘটে যায়। আমি তখন রামাদি ও ফালুজা দুই জায়গায় কর্মরত। পালা করে দুই জায়গায় থাকছি। তিনি আমাকে জরুরিভাবে বাগদাদে তলব করে তীব্র ভর্ৎসনা করে লেখাটি যে আমি লিখিনি, তেমন স্বীকারোক্তি আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা করেন। অভিযোগ এই যে স্বনামে লিখে নিজেকে ও সবাইকে বিপদে ফেললাম। ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। লেখাটিতে সাদ্দামের বিরোধিতা ছিল না। কিন্তু যা লিখেছি তার একটি শব্দও মিথ্যা নয়। ইরাকি জনগণের প্রতি ভালোবাসার টানে আমি অনেক নেতিবাচক বিষয় লেখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করিনি। আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে দেখা ও কথা হয়। তিনি এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন আমাকে, মিথ্যা একটি বাক্যও না-থাকায় প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না। খুব বেশি হলে ইরাক থেকে বহিষ্কৃত হতে পারি। ওই একই দিন বাগদাদের আল-নাসের প্রকল্পে দুপুরের খাবারের পর বিদায়ের সময় আমার পিঠে হাত দিয়ে ‘বেশি-বেশি খান আর বেশি-বেশি লিখে যান’ বলে রসিকতাও করেছিলেন রাষ্ট্রদূত।
আমার জন্য ভয়ানক বিব্রতকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছিল। চিঠি পেলাম ইরাকি উচ্চপদস্থ গোয়েন্দাদের সঙ্গে আল-কাইম রেসিডেন্স অফিসে সাক্ষাতের জন্য। নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণে তাদের মুখোমুখি হতেই উষ্ণ সম্ভাষণে আমাকে সোফায় নিয়ে বসাল। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে হাস্য-রসিকতা করল কিছুক্ষণ। অল্পক্ষণ পরেই তাদের দম ফাটানো হাসি আর রসিকতা উবে গেল। তাদের হাসি মুখ কঠিন হয়ে গেল। আমাকে নানা প্রশ্নের জালে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাল। আমি ইরান গিয়েছি কি না, ইরানের সঙ্গে আমার কোনো যোগসূত্র আছে কি না? লোভ দেখানো হয় তুরস্কে যাওয়ার সব খরচ তারা বহন করবে। আমি যেন তুরস্ক ঘুরে এসে তুরস্কের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে লিখি। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো আমাকে খণ্ডন করার কোনো সুযোগই তারা দিল না।
বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে বিফল হলাম। তাদের অভিযোগ ছিল মুসলিম বিশ্বে ইরাকের ভাবমূর্তি বিনষ্টের অপচেষ্টার। দুটি মুসলিম দেশ (ইরাক ও ইরান) তখন যুদ্ধরত, এই যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন তাদের পক্ষে। এ লেখায় নাকি তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত ছিলাম, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর বা জবাব দেওয়ার সামান্য সুযোগ তারা আমাকে দেয়নি। বিদায়ের সময় বলেছিল, তোমাকে খুব শিগগির তোমার নিজ দেশে চলে যেতে হতে পারে।
ইরাকি গোয়েন্দারা তাদের কথা রেখেছিল। এর দিন পনেরো পরে আমার রেসিডেন্স পারমিট নবায়নের তাগিদপত্র পেলাম। ভিসা নবায়ন করতে গেলে আমাকে সবার থেকে আলাদা করে একটি কক্ষে নিয়ে কটি কাগজ স্বাক্ষরের জন্য এগিয়ে দেয়, যা আরবি ও ইংরেজিতে লেখা। তাতে লেখা ছিল, আমি আর কোনো দিন ইরাকে যেতে পারব না। ইরাকের দরজা আমার জন্য চিরতরে নিষিদ্ধ। যদি কখনো ইরাক যাই, তাহলে আমাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতে হবে। অঙ্গীকারনামা এবং এই চুক্তি মোতাবেক আমাকে ইরাক থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগামী ১০ দিন সময়সীমার মধ্যে আমাকে ইরাক ছাড়তে হবে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমার ইরাক বসবাসের পাট চুকে ছিল।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। জনগণের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই রাষ্ট্র পরিচালনায়। ক্ষমতার পালাবদলও জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে ঘটে, উত্তরাধিকারী সূত্রে। গণতন্ত্রের সব দুয়ার সেখানে রুদ্ধ। মার্কিনরা সারা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মাছের মায়ের মায়াকান্না করলেও, মার্কিন তাঁবেদার আরব দেশগুলোর স্বেচ্ছাচারী অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমে প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে। তার প্রধানতম কারণ প্রায় সব আরব দেশই মূলত মার্কিনদের আজ্ঞাবহ সেবাদাসে পরিণত এবং মার্কিন স্বার্থরক্ষায় অনুগত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রাকৃতিক তেল। এই তেলের নিয়ন্ত্রণও মার্কিনদের হাতে। তাই মার্কিনরা আরব দেশগুলোর রাজা-বাদশাহ-আমির-শেখ-একনায়কদের টিকিয়ে রেখেছে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। যারা বশ্যতা মানেনি, তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অজুহাতের খড়্গ। যেমন ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি। মার্কিনদের আগ্রাসনে অগণিত মানুষ হত্যা-ধ্বংসপ্রাপ্ত ইরাক আর আমার দেখা অতীতের ইরাক আজ আমার কাছে স্বপ্নতুল্য। চোখ বন্ধ করে যে নয়নাভিরাম ইরাকের ছবি চোখে ভেসে ওঠে, সেই ইরাককে দখলদার মার্কিনরা অক্ষত রাখেনি। ইরাক মার্কিন তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত এক ভয়ংকর জনপদ। মার্কিন নিষ্ঠুরতা নাৎসিদেরও হার মানিয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের দগদগে ক্ষত নিয়ে কোনোভাবে টিকে থাকা দেশ এখন ইরাক।
১৯৮১ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আমি ইরাকের কিরকুক, বাগদাদ, বসরা, আকাসাত, আল-কাইম, আবেইদি, রামাদি, ফালুজা প্রভৃতি জায়গায় কর্মসূত্রে থেকেছি। মাঝেমধ্যে ঢাকার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় লেখা পাঠাতাম, ছাপা হতো। ১৯৮৪ সালে ছুটিতে ঢাকায় এলে বিচিত্রা অফিসে নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে আলাপে তিনি আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক লেখার তাগিদ দেন। ইরাকে ফিরে কিরকুকে আমার দেখা ইরাকি নিরাপত্তারক্ষীদের কুর্দি গেরিলা-নির্মূল অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে একটি লেখা পাঠাই ছদ্মনামে (ম. ইসলাম), সেটা ছাপা হয়েছিল। ছদ্মনাম থাকায় ওই লেখাটির জন্য আমাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। অথচ লেখাটি ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং ইরাক সরকারের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক।
পরে ঢাকার শিশু একাডেমির ‘দুরন্ত’ ভাস্কর্য ভাঙা, গুলিস্তানে রাতের আঁধারে ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা আমাকে ক্ষুব্ধ করেছিল। অথচ ইরাকজুড়ে দেখেছি আক্-কাদিয়, সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, মেসোপটেমিয়া সভ্যতার স্মারক অগণিত ভাস্কর্য সারা ইরাকের প্রতিটি শহরের সড়কদ্বীপে স্থাপন করা রয়েছে। নিজেদের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন তুলে ধরার সে এক অনন্য নজির। মর্জিনা-আলিবাবা উপাখ্যানের ভাস্কর্য দেখেছি বাগদাদের প্রাণকেন্দ্রে। ৪০টি মটকায় মর্জিনা কর্তৃক ফুটন্ত তেল ঢেলে ৪০ ডাকাত হত্যার দৃশ্য পাথরে খোদাই করা অপূর্ব ভাস্কর্য। পানির ফোয়ারা, তেলের স্থলে পানি ঢালছে মর্জিনা। অত্যাধুনিক আলোকসম্পাতের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দিত ভাস্কর্যগুলো অসাধারণ কেবল নয়, অনন্যও। আরবি ভাষায় আলিবাবা কিন্তু কোনো ব্যক্তির নাম নয়। আলিবাবার বঙ্গানুবাদ চোর। উপাখ্যানটি চোরের কাহিনি হিসেবেই খ্যাত। ডাকাতদের গুহা থেকে চুরি করেছিল বলেই সে চোর।
এ ছাড়া বাগদাদসহ ইরাকের শহরগুলোতে ক্যাসিনো, নাইটক্লাব, পতিতালয়সহ পশ্চিমা স্থূল বিনোদনের সব উপকরণ দেখেছি। ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, তুর্কি, লেবানন, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মেয়েরা নাইটক্লাবে বিয়ার পানের বিনিময়ে সঙ্গ দিত খদ্দেরদের। তারা দেহ-ব্যবসায়ও যুক্ত ছিল। আমাদের দেশের পান-বিড়ির দোকানের মতো ইরাকের যত্রতত্র মদ-বিয়ারের দোকানের ছড়াছড়ি। শবেবরাত ধর্মীয়ভাবে আমাদের উপমহাদেশে পালিত হলেও, ইরাকে ওই দিন কোনো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা দেখিনি। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে শবেবরাত সম্পর্কে তারা অজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। ওই দিনের কোনো ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা ইরাকে পালিত হতেও দেখিনি। ওই দিন বাগদাদ ঘুরে নাইটক্লাব, বার, ক্যাসিনো—সবই খোলা দেখেছি। কোরবানির ঈদের দিন বাগদাদ শহরের কোথাও পশু কোরবানি না দেখে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করায় তারা বলেছিল, হ্যাঁ, কোরবানি আমরা দিই, তবে হজের সময়। প্রতিবছর নয়। কেননা, কোরবানি অনিবার্যরূপে হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ। প্রতিবছর গৃহে কোরবানি দেওয়ার কোনো ধর্মীয় বিধিবিধান নেই। শুনে বিস্মিতই হয়েছিলাম।
যুদ্ধের কারণে পুরুষদের অনুপস্থিতিতে ইরাকি নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মদক্ষতা দেখে হতবাক হয়েছি। শিক্ষায়, প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে, কৃষি, শিল্পে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। ইরাকে নারীরা পূর্ণ অধিকার নিয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতেন বার্থ সোশ্যালিস্ট পার্টির শাসনামলে। তবে শুরুতেই বলেছি একনায়কতন্ত্রের কথা। ইরাকও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এক নেতা, এক দেশ, সাদ্দাম হোসেনেরই ছিল একচ্ছত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা। ইরাকের সামাজিক এসব বিষয় নিয়েই লিখেছিলাম ‘পাশাপাশি’ শিরোনামের লেখাটি, ১৯৮৫ সালের ১২ জুলাই সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল।
স্বনামে লেখার কারণে আমার জন্য তা বয়ে আনে এক ভয়ংকর তিক্ত অভিজ্ঞতা। যতটুকু জেনেছিলাম, ওই লেখাটিকে যুদ্ধাপরাধী এরশাদ সরকারের ধর্মমন্ত্রী ইনকিলাব পত্রিকার মাওলানা মান্নান আরবিতে অনুবাদ করে ঢাকার ইরাকি দূতাবাসে পৌঁছে দেন এবং আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আসেন। ঢাকার ইরাকি দূতাবাস আরবি অনুবাদটি বাগদাদে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
বাগদাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাগদাদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে লেখাটি সম্পর্কে অভিযোগ ও আপত্তি জানায়। রাষ্ট্রদূত আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে দূতাবাসে ডেকে বিষয়টি অবগত করেন। পরিচালকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো দশা। হুলুস্থুল ব্যাপার ঘটে যায়। আমি তখন রামাদি ও ফালুজা দুই জায়গায় কর্মরত। পালা করে দুই জায়গায় থাকছি। তিনি আমাকে জরুরিভাবে বাগদাদে তলব করে তীব্র ভর্ৎসনা করে লেখাটি যে আমি লিখিনি, তেমন স্বীকারোক্তি আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা করেন। অভিযোগ এই যে স্বনামে লিখে নিজেকে ও সবাইকে বিপদে ফেললাম। ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। লেখাটিতে সাদ্দামের বিরোধিতা ছিল না। কিন্তু যা লিখেছি তার একটি শব্দও মিথ্যা নয়। ইরাকি জনগণের প্রতি ভালোবাসার টানে আমি অনেক নেতিবাচক বিষয় লেখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করিনি। আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে দেখা ও কথা হয়। তিনি এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন আমাকে, মিথ্যা একটি বাক্যও না-থাকায় প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না। খুব বেশি হলে ইরাক থেকে বহিষ্কৃত হতে পারি। ওই একই দিন বাগদাদের আল-নাসের প্রকল্পে দুপুরের খাবারের পর বিদায়ের সময় আমার পিঠে হাত দিয়ে ‘বেশি-বেশি খান আর বেশি-বেশি লিখে যান’ বলে রসিকতাও করেছিলেন রাষ্ট্রদূত।
আমার জন্য ভয়ানক বিব্রতকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছিল। চিঠি পেলাম ইরাকি উচ্চপদস্থ গোয়েন্দাদের সঙ্গে আল-কাইম রেসিডেন্স অফিসে সাক্ষাতের জন্য। নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণে তাদের মুখোমুখি হতেই উষ্ণ সম্ভাষণে আমাকে সোফায় নিয়ে বসাল। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে হাস্য-রসিকতা করল কিছুক্ষণ। অল্পক্ষণ পরেই তাদের দম ফাটানো হাসি আর রসিকতা উবে গেল। তাদের হাসি মুখ কঠিন হয়ে গেল। আমাকে নানা প্রশ্নের জালে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাল। আমি ইরান গিয়েছি কি না, ইরানের সঙ্গে আমার কোনো যোগসূত্র আছে কি না? লোভ দেখানো হয় তুরস্কে যাওয়ার সব খরচ তারা বহন করবে। আমি যেন তুরস্ক ঘুরে এসে তুরস্কের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে লিখি। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো আমাকে খণ্ডন করার কোনো সুযোগই তারা দিল না।
বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে বিফল হলাম। তাদের অভিযোগ ছিল মুসলিম বিশ্বে ইরাকের ভাবমূর্তি বিনষ্টের অপচেষ্টার। দুটি মুসলিম দেশ (ইরাক ও ইরান) তখন যুদ্ধরত, এই যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন তাদের পক্ষে। এ লেখায় নাকি তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত ছিলাম, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর বা জবাব দেওয়ার সামান্য সুযোগ তারা আমাকে দেয়নি। বিদায়ের সময় বলেছিল, তোমাকে খুব শিগগির তোমার নিজ দেশে চলে যেতে হতে পারে।
ইরাকি গোয়েন্দারা তাদের কথা রেখেছিল। এর দিন পনেরো পরে আমার রেসিডেন্স পারমিট নবায়নের তাগিদপত্র পেলাম। ভিসা নবায়ন করতে গেলে আমাকে সবার থেকে আলাদা করে একটি কক্ষে নিয়ে কটি কাগজ স্বাক্ষরের জন্য এগিয়ে দেয়, যা আরবি ও ইংরেজিতে লেখা। তাতে লেখা ছিল, আমি আর কোনো দিন ইরাকে যেতে পারব না। ইরাকের দরজা আমার জন্য চিরতরে নিষিদ্ধ। যদি কখনো ইরাক যাই, তাহলে আমাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতে হবে। অঙ্গীকারনামা এবং এই চুক্তি মোতাবেক আমাকে ইরাক থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগামী ১০ দিন সময়সীমার মধ্যে আমাকে ইরাক ছাড়তে হবে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমার ইরাক বসবাসের পাট চুকে ছিল।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক
০৮ নভেম্বর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক
০৮ নভেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক
০৮ নভেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আরবি ভাষায় ফি-মাফির বঙ্গানুবাদ; আছে এবং নেই। অথচ ইরাকে ‘আছে’কে ‘আকু’ এবং ‘নাই’কে ‘মাকু’ বলে। আরবিভাষী আরব জগতে ভাষার ভিন্নতা সামান্য হলেও সব আরব দেশেই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে বোধকরি ভিন্নতা নেই, সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানদের একনায়কত্বের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। সর্বত্রই একনায়কতন্ত্রের জয়যাত্রা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক
০৮ নভেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫